সংসদ ভবনে খোলা তলোয়ার নিয়ে হামলার পরিকল্পনা মামলার আসামি বিতর্কিত ধর্মীয় বক্তা আমির হামজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।
শেরেবাংলা নগর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলায় আসামি হিসেবে আমির হামজাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে মঙ্গলবার তাকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের হেফাজতে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলামের আদালতে বিকেল ৩টার দিকে রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মে তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টারত সাকিব নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে আটকের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়।
ওই মামলায় সাকিবসহ আলী হাসান উসামা ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে আসামি করা হয়।
সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়, সাকিব মোবাইল ফোনে উগ্রবাদী বার্তাসংবলিত ভিডিও প্রচারকারী আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহারের মতো ব্যক্তির ভিডিও দেখে উগ্রবাদে আসক্ত হন।
ওই এজাহারে মুফতি আমির হামজার নাম ছিল। তার সূত্র ধরেই সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া থেকে আমির হামজাকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।
এদিকে এ ঘটনায় করা মামলায় আলী হাসান ওসামা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য আল আমিন রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।
মুফতি আমির হামজা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের রিয়াজ সর্দারের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন:উত্তরের জেলা নওগাঁয় এখন চলছে আউশ ধান কাটা-মাড়াইয়ের ব্যস্ততম সময়। মাঠে-ঘাটে কৃষকদের প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেলেও তাদের মুখে নেই হাসি। কারণ, চলতি মৌসুমে বৈরি আবহাওয়া, পোকার আক্রমণ ও কৃষি উপকরণের ঊর্ধ্বগতির কারণে আউশ ধানের ফলন যেমন কম হয়েছে, তেমনি বাজারে দামও আশানুরূপ নয়। ফলে চাষাবাদে খরচের টাকা উঠানো নিয়েই চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
জেলার মহাদেবপুর, মান্দা, বদলগাছী, ধামইরহাটসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠ ঘুরে জানা গেছে, বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে গড়ে ১২ থেকে ১৬ মন। যেখানে গত বছর ফলন ছিল ১৮ থেকে ২০ মন পর্যন্ত। এ বছর বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়, যা দিয়ে খরচই উঠছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের।
উত্তরগ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, ‘শীষ বের হওয়ার সময় অতিবৃষ্টি আর পরে পোকার আক্রমণে অনেক ধান চিটা হয়েছে। পারিজা জাতের ধান বিঘাপ্রতি ১২-১৪ মন হয়েছে, আর ব্রি-৪৯ ধান ১৫-১৮ মন পর্যন্ত। দামও ঠিক নাই, মনপ্রতি যদি অন্তত ১২০০ টাকা পেতাম তাহলে কিছুটা লাভ হতো।’
ভীমপুরের কৃষক ওবাইদুল ইসলাম জানান, ‘৮ বিঘা জমিতে আউশ ধান করেছি। ফলন আশানুরূপ হয়নি। সার, কীটনাশক, ডিজেল সবকিছুর দাম বেশি। এগুলোর দাম না কমলে আমাদের পক্ষে লাভবান হওয়া সম্ভব না।
শ্রমিক সংকট ও খরচের বোঝা:
আউশ ধান কাটা ও মাড়াইয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি আশেপাশের জেলা থেকে আসা মৌসুমি শ্রমিকরা কাজ করছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা শ্রমিক সমশের আলী বলেন, ‘আমরা ১০ জনের দল নিয়ে ১৫ দিন ধরে মহাদেবপুরের বিভিন্ন মাঠে কাজ করছি। ধান কাটা হচ্ছে বিঘাপ্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় অথবা ৩ মন ধান মজুরি হিসেবে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু ফলন কম হওয়ায় কৃষকেরা খুশি না।’
চাষিরা জানান, সার, কীটনাশক, ডিজেল ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে বিঘাপ্রতি খরচ দাঁড়িয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। অথচ বিক্রি করে সেই খরচও উঠছে না।
কৃষি বিভাগ যা বলছেন:
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খলিলুর রহমান বলেন, ‘এ বছর জেলায় ৫৮ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ হেক্টর বেশি। ফলন কিছুটা কম হলেও ব্রি-৯৮ ও ব্রি-১৯ জাতের ধানে ফলন তুলনামূলক ভালো। কৃষকদের উৎসাহ দিতে আমরা ৪০ হাজার কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা দিয়েছি।’
তিনি আরও জানান, কিছু এলাকায় অতিবৃষ্টি ও পানি জমে থাকায় ফলন কম হয়েছে। তবে আগামীতে উন্নত জাত ও সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকরা আউশে ভালো ফলন পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নওগাঁর মাঠে এখনো ধান কাটার ধুম পড়লেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। তারা চায় সরকারিভাবে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হোক এবং কৃষি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা হোক। তবেই কৃষক বাঁচবে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার স্বপ্নও বাস্তবায়ন হবে।
ভিসি এবং প্রক্টর জামাতীকরণের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনকে কলুষিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না।
শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মুন্না বলেন, ব্যাপকভাবে কারচুপির মাধ্যমে ডাকসুতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে তারা জয়লাভ করেছে। কিন্তু সাধারণ প্রত্যেকটি প্যানেল এটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সেটা এনসিপি’র প্যানেল বলেন, স্বতন্ত্রের প্যানেল বলেন, উমামা ফাতেমার প্যানেল বলেন, প্রত্যেকেই এটাকে তীব্র ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা মনে করি, ভিসি এবং প্রক্টর জামাতীকরণের মাধ্যমে নির্বাচনকে কলুষিত করেছে। আমরা মনে করি, এটা কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে। গতকালকে জাকসুতেও তারা একই কাজ করার চেষ্টা করেছে। ছাত্রদল নির্বাচন বর্জন করেছে।
যুবদল সভাপতি বলেন, আপনারা দেখেছেন, দুটো নির্বাচনের মধ্যে আমরা কোনোরকম বিশৃঙ্খলায় যাইনি। আমরা জনগণকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। জাতীয় নির্বাচনে আমরা মনে করি, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং আমাদের নেতাকর্মীরা সঠিকভাবে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়ে ঠিকমতো মনিটরিং করতে পারলে আমরা মনে করি না বাংলাদেশের জনগণের বিপক্ষে কোনো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে তারা পার পাবে।
নরসুন্দা নদী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্যোগ সম্পর্কে আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ৫ই আগস্টের পর থেকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদেরকে বার্তা দিচ্ছেন এবং চাচ্ছেন, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে, জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। তার এই নির্দেশনা অনুযায়ী, দায়িত্বের এবং মানবিক সমাজ বিনির্মাণের যে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি, তারই অংশ হিসেবে জেলা যুবদল নরসুন্দা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য এডভোকেট আশরাফ জালাল খান মনন, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান জিএস শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশতাক আহমেদ শাহীন, সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্নেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন । এছাড়া কেন্দ্রীয় ও জেলা যুবদলসহ বিভিন্ন ইউনিটের কয়েকহাজার নেতাকর্মী তাদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন।
ডাকসু নির্বাচনে যেমন শান্তি-শৃঙ্খলা ছিল, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন তেমনি শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে নির্বাচনে সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিবে।
শুক্রবার সকালে মাগুরা মাঝাইল গ্রামে রেল প্রকল্প এবং রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমেদের বাড়ি পরিদর্শন কালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সেভাবেই কাজ এগিয়ে চলছে। দেশে কারো ক্ষমতা নেই এ নির্বাচন ঠেকানোর। সকল রাজনৈতিক দলের সাথে কথাবার্তা চলছে সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় মাগুরা জেলা প্রশাসক মো: অহিদুল ইসলাম এবং রেল প্রকল্পের প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আসাদ সহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন শুধুমাত্র একটি সাধারণ নির্বাচনই নয়, এটি হচ্ছে একটি ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন যার মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশের পথরেখা নির্ধারিত হবে। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদেরকে অবশ্যই মৌলিক সংস্কারগুলো চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কোন বিকল্প আমাদের হাতে নেই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানতম তিনটি মেন্ডেটের অন্যতম হচ্ছে সংস্কার। তাই নির্বাচন ও বিচারের মতোই সমান গুরুত্ব দিয়ে জুলাই সনদের বিষটিকে দেখতে হবে।’
দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব এবং এ সংক্রান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে গঠিত ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রস্তাবনাগুলোও উপস্থাপন করা হয়।
কমিশন সদস্যরা জানান, খুব শিগগিরই কমিশন তাদের প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জমা দেবে। এই বিষয়টিকে সামনে এগিয়ে নিতে আগামী রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারো বৈঠক করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ, কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ড. আসিফ নজরুল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানও বৈঠকে অংশ নেন।
বগুড়া-৬ আসনের সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু ও তার স্ত্রী জোবাইদা আহসান জবার দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ইব্রাহীম মিয়া এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
আবেদনে বলা হয়, বগুড়া-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি মাধ্যমে শত কোটি টাকা অর্জনের একটি অভিযোগের অনুসন্ধান দুদকে চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রাগেবুল আহসান ও তার স্ত্রীর বিদেশ যাওয়া রহিত করা প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়।
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে নৌ অধিক্ষেত্রের পূজা মণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জনের স্থানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য নৌ পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ান।
বৃহস্পতিবার নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার সম্মেলন কক্ষে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ‘নৌ অধিক্ষেত্রে পূজা মণ্ডপ, প্রতিমা বিসর্জন ঘাট ও নদীতে প্রতিমা বিসর্জন’ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
সভার শুরুতেই প্রতিমা তৈরির স্থানে পূজা কমিটির করণীয়, নৌ পুলিশের করণীয়, পূজা চলাকালীন পূজা কমিটি ও নৌ পুলিশের করণীয় এবং প্রতিমা বিসর্জনের সময় করণীয় বা বর্জনীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনায় পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ দুর্গাপূজা শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত নৌ পথে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে নৌ টহল জোরদার করার পরামর্শ দেন এবং নৌ পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।
নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ান বলেন, সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও অপরাধ রোধে নৌ অধিক্ষেত্রে নৌ পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পূজামণ্ডপের উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রেখে নারী ও শিশুরা নির্বিঘ্নে সেখানে যাতায়াত করতে পারে সেই ব্যাপারে পরামর্শসহ গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পুলিশ সুপারদের উপস্থিত থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে নৌ পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পূজা কমিটির বিভিন্ন পদবির নেতৃবৃন্দ সরাসরি ও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের চন্দনপুর সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার কিংবা মাটি ভরাট না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বছরে ৬ মাসই মাঠ জলাবদ্ধতা থাকে। ফলে কোমলমতি শিশু কিশোরেরা খেলাধূলা ও চিত্তবিনোদন হতে বঞ্চিতসহ ভোগান্তি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজলোর জামির্ত্তা ইউনিয়নের ৪৫ নং চন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ যেন একটি ডোবা নালা পুকুরে পরিনত হয়েছে। স্কুলটি ১৯২২ সালে ৬১ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। স্কুলের ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুল মাঠ ও জমির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি স্কুলের জমি সংক্রান্ত তথ্য জানেন না বলে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে সহকারী শিক্ষকের কাছ হতে জানাগেছে স্কুল সংলগ্ন পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত ৩৬ শতাংশ। আর বাকী ২৫ শতাংশ জমি রয়েছে বিছিন্ন। স্কুলের সমানে উত্তর দক্ষিণে রয়েছে বাড়ী পূর্ব পাশে রয়েছে ক্লিনিক। দুই পাশের বাড়ী হতে স্কুলের মাঠ নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
এ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেরুন জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে থাকে। এতে মাঠের ঘাস ও আগাছা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ায়, চার পাশে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে মশা বংশ বিস্তার করছে বিধায় ডেঁঙ্গু আক্রান্ত নিয়েও আমরা চিন্তিত। দ্রুত বিদ্যালয় মাঠটি মাটি ভরাট সংস্কারের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় ব্যাংকার আব্দুস সালাম জানান, এ সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। মাঠ ভরাটে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার বলেন দূর্ভোগের কথা কি বলব, কত সাংবাদিক ছবি নিল, বড় স্যারদের ভিডিও করে দিলাম কিছুই হলো না। মাঠের পানি নিয়ে মুশকিলে আছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.কামরুল হাসান সোহাগ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে প্রধান শিক্ষক আবেদন দিলে সরকারি বরাদ্দে দ্রুত মাঠ ভরাটের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য