ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পর পাশে দাঁড়াতে উদগ্রীব বাংলাদেশিরা টাকা পয়সা দিয়ে চেষ্টা করছেন সহযোগিতার।
বারিধারায় দূতাবাসে গিয়েই তারা দিয়ে আসছেন টাকা। আর তাদের জন্য দূতাবাসের প্রধান ফটক আংশিক খোলা রাখা হয়েছে।
ভেতরে সাধারণ মানুষের আনাগোনা। বাইরে ব্যস্ততা গণমাধ্যম কর্মীদের।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় দূতাবাসে গিয়ে দেখা যায়, যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য অনুদান নিয়ে যাচ্ছেন বহুজন। নিরাপত্তারক্ষী সবাইকে হাসিমুখে অনুদান দেয়ার জায়গা নির্দেশ করে দিচ্ছেন।
দূতাবাসে ঢুকতেই দেখা যায়, বাইরে অনেকগুলো ওষুধের বাক্স রয়েছে। ভেতরে ঢুকেই দেখা গেল, দেয়ালে ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের ছবি।
কেউ অর্থ সাহায্য দিচ্ছেন, আবার কেউ ওষুধ দিয়ে সাহায্য করছেন। দুইজন নারী ও একজন পুরুষ ব্যস্ত আছেন অনুদান নিতে।
রাজধানীর বাসিন্দা এক তরুণ সেখানে জমা দিয়েছেন ৩০ হাজার টাকা, আরেকজন দিয়েছেন ১৫ হাজার টাকা। এমন আরও অনেকে দিচ্ছেন, এমনকি ৫০০ টাকা দিতেও দেখা গেল।
কর্মীরা জানান, গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর থেকেই দিনভর শত শত মানুষ যাচ্ছেন ভালোবাসার দান নিয়ে।
মিরপুর থেকে ওষুধ নিয়ে এসেছেন শিক্ষার্থী সাজিদ হোসেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকার কয়েকজন বন্ধু মিলে কিছু ওষুধ কিনেছি।’
তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে অনুদান দেয়ার বিষয়টি জেনেছিলাম। সেখানে কিছু ওষুধের কথা বলা হয়েছিল। তাই কয়েকজন বন্ধু মিলে উল্লেখিত ওষুধ কিনেছি।’
রাজধানীর খিলগাঁও থেকে রাইসিন গাজী এসেছেন প্রতিবাদ জানাতে। হাতে প্ল্যাকার্ড আর গায়ে জড়িয়েছেন ফিলিস্তিনের পতাকা। অনুদানের বিষয়টি তার জানা ছিল না।
রাইসিন নিউবাংলাকে বলেন, ‘আমি ইসরায়েলের অগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। তবে এখানে এসে আমি অবাক হয়েছি। সবাই অর্থ অথবা ওষুধ সাহায্য নিয়ে এসেছে। আমার এটা একদম জানা ছিল না। আমিও এর পরের বার অর্থ সাহায্য নিয়ে আসব।’
ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান একমি থেকে একটি ছোট কাভার্ড ভ্যানে ওষুধ এসেছে অনুদান হিসেবে। আরও অনেকগুলো মানবিক সংস্থা থেকেও এসেছে একই ধরনের উপাদান।
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাহসিন আল জাবিও এসেছেন ওষুধ নিয়ে। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কিছু ওষুধ কিনে এনেছি। আমার কাছে দূতাবাসের দেয়া একটি রশিদ রয়েছে। আমি এটা ফেসবুকে আপলোড করব যাতে অন্যরা বিশ্বাস করে।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুইজন কর্মকর্তা মো. ফখরুল ও তানভীরকেও দেখা গেল সেখানে।
ফখরুল বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জন্য ভালোবাসা থেকেই এসেছি। সেখানে গিয়ে তো আর কিছু করতে পারব না। তাই এখানে এসে কিছু সাহায্য করেছি। আমাদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যারা কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন তারা সবাই মিলে কিছু অর্থ নিয়ে আসলাম। এখানে ছাড়া তো বিশ্বস্ত কোন জায়গা নেই অনুদানের। এখানে এসে দূতাবাসে কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছি।’
দূতাবাসের একজন কর্মচারী বলেন, ‘গত দুই দিন থেকেই এখানে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক সাহায্য দিতে আসছেন। তবে এ বিষয়ে আমাদের কথা বলা মানা রয়েছে। আপনি চাইলে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তবে স্যার অনেক ব্যস্ত আছেন।’
কী কী সাহায্য দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অর্থ ও ওষুধ সাহায্য করা হচ্ছে। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি থেকে ওষুধ এসেছে।’
পরে রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে অনুদান নিয়ে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। তিনি শুক্রবার এই বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
অনুদানের আহ্বান
এর আগে গত সোমবার দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক বার্তায় অনুদান আহ্বান সংক্রান্ত বার্তা দেয়া হয়। সেটি দূতাবাসের ফেসবুক পেইজেও দেয়া হয়।
বার্তায় জানানো হয়, নিম্নোক্ত নম্বরে অর্থ পাঠানো যাবে-
০১৭১৫৮৩৩৩৩০২ (রকেট, পারসোনাল), ০১৭১৫০৮১৮৩৯ (বিকাশ, পারসোনাল), ০১৭১৫০৮১৮৩৯ (নগদ, পারসোনাল), ০১৩০১৭৯৪২৯৫ (বিকাশ, পারসোনাল), ০১৫৩১৭১২৯৪৫ (বিকাশ, পারসোনাল)।
তবে দূতাবাস থেকে জানানো হয়, শুধুমাত্র ফিলিস্তিন দূতাবাসের অফিশিয়াল বিকাশ-রকেট-নগদে টাকা দেয়া যাবে। এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ফিলিস্তিন দূতাবাসে ফোন অথবা ই-মেইল করতে হবে। ফিলিস্তিন দূতাবাসের ফোন নম্বর, ঠিকানা এবং ই-মেইল গুগলে পাওয়া যাবে। অথবা ফিলিস্তিন দূতাবাসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে তথ্য জেনে নিতে হবে।
কেউ যদি সরাসরি টাকা অথবা ওষুধ দিতে চায় তাহলে বারিধারায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসে আসতে হবে।
এসব নম্বরে অনুদান পাঠানোর পর অর্থের অঙ্ক ও প্রেরকের পরিচয় ০১৯৮৮১৪১৪১৪ নম্বরে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
কী চলছে ফিলিস্তিনে?
মুসলমান ও ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র ভূমি খ্যাত অবরুদ্ধ পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে সংঘর্ষের ঘটনাকে ঘিরে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছিল উত্তেজনা। এর জেরেই শুরু হয় সহিংসতা।
আল-আকসা থেকে সরে যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে হামাস। পাল্টা জবাবে ১০ মে থেকে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
২০১৪ সালের পর অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলায় এ পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি হারিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদের মধ্যে ৪৭ হাজার মানুষের ঠাঁই হয়েছে জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্কুলে।
অবরুদ্ধ গাজায় ১০ দিনের ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৭ জনে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জন নারী ও ৬৪ জন শিশু।
১১তম দিনের মতো চলছে সহিংসতা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে বৃহস্পতিবার ভোরেই ১০০ দফার বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ফিলিস্তিনি বিদ্রোহীরাও।
আরও পড়ুন:জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখন্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে হাসিনা এটাকে পঁচিয়ে দিয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণী বলার চেষ্টা করে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না। জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে দিবে, একজনকে ভোট দিবে, যাকে ভোট দিবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না পড়েও না বিশ্বাসও করে না।
শনিবার (২৩ আগষ্ট) শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপি এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরিফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এবারের সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য