× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাজেট
ভাতার ৫০০ টাকায় কী হয়?
google_news print-icon

ভাতার ৫০০ টাকায় কী হয়?

ভাতার-৫০০-টাকায়-কী-হয়?
ভাতার কার্ড হাতে বরিশালের আনোয়ার বেগম। ছবি: নিউজবাংলা
নতুন বাজেটে এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে সরকারের ভাতাভোগীর সংখ্যা। কিন্তু যে গরিব, অসহায় মানুষদের জন্য ভাতা দেয়া হয়, মাসে ৫০০ টাকা কতটা কাজে লাগে তাদের? কী করেন তারা এ ভাতা দিয়ে?

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীরা মাসে ৫০০ টাকা ভাতা পান। তিন বছর ধরে এই একই পরিমাণ ভাতা পাচ্ছেন তারা।

এই তিন বছরে গড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। কিন্তু ভাতার পরিমাণ বাড়েনি। এমনকি করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও তাদের ভাতার অঙ্ক বাড়ায়নি সরকার।

অনেকেই আশায় ছিলেন, এবারের বাজেটে ভাতা বাড়ানো হবে। কিন্তু ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে বাজেট প্রস্তাব সংসদে উপস্থাপন করেছেন, তাতে তাদের সে আশা পূরণ হয়নি। এত দিন যে ভাতা পেতেন, সেই ভাতাই পাবেন তারা।

তবে ভাতাভোগীর সংখ্যা আরও ১৫ লাখ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

সরকারি হিসাবেই বাজারে মোটা চালের কেজি এখন ৫০ টাকা। গ্রামের মানুষ সাধারণত তিন বেলা ভাত খায়। সে ক্ষেত্রে একজনের জন্য প্রতিদিন প্রায় এক কেজির মতো চাল লাগে।

এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, একজন বয়স্ক, বিধবা বা স্বামী নিগৃহীতা নারী মাসে সরকারের কাছ থেকে যে ভাতা পান, ১০ কেজি চাল কিনতেই তা শেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ একজনের ১০ দিনের চালের খরচও হয় না এই টাকা দিয়ে।

যাদের অন্য কোনো আয় নেই; কাজ করতে পারেন না, তাদের এই অল্প টাকা দিয়ে আসলে কিছুই হয় না।

কঠিন এই বাস্তবতায় এসব ভাতার পরিমাণ কমপক্ষে ১ হাজার টাকা করার দাবি উঠেছে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে।

দেশের চার জেলায় যারা ভাতা পান, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। তারা তাদের নিদারুণ কষ্টের কথা জানিয়ে ভাতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

তবে এই মুহূর্তে সরকার ভাতা বাড়াতে চায় না। ভাতাভোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়াতে চায়।

এ বিষয় নিয়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে কলটি রিসিভ হয়নি। এসএমএস করা হলেও কোনো জবাব আসেনি।

পরে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকার আসলে আপাতত ভাতার পরিমাণ বাড়াতে চায় না। গ্রামে একজন বয়স্ক মানুষের কাছে ৫০০ টাকা অনেক। আমাদের সরকারের এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, আগে সবাই পাক। তারপর ভাতার টাকা বাড়ানোর কথা ভাবা যাবে।

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এমন নির্দেশনাই দিয়েছেন। আমরা সে মোতাবেকই কাজ করছি। নতুন বাজেটে আরও ১৫০ উপজেলার সব বয়স্ক এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারীকে ভাতার আওতাভুক্ত করা হবে।’

বিদায়ি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ১১২টি উপজেলার সব বয়স্ক এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ভাতার আওতাভুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়। বর্তমানে সারা দেশে ৪৯ লাখ বয়স্ক নাগরিককে মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা দেয় সরকার।

ভাতার ৫০০ টাকায় কী হয়?

নতুন বাজেটে আরও ১৫০ উপজেলায় সব বয়স্ককে ভাতার আওতাভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে নতুন করে ৮ লাখ সুফলভোগী যোগ হবে। সব মিলিয়ে মোট ভাতাভোগীর সংখ্যা হবে ৫৭ লাখ।

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে আরও ১৫০টি উপজেলায় সোয়া ৪ লাখ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীকে নতুন করে ভাতার আওতায় আনার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। বর্তমানে ১১২টি উপজেলায় ২০ লাখ ৫০ হাজার নারীকে এই ভাতা দেয়া হয়।

এ ছাড়া নতুন বাজেটে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার জন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে নতুন অর্থবছরের বাজেটে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা খরচের যে পরিকল্পনা অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল সাজিয়েছেন, তার মধ্যে ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি বরাদ্দ রেখেছেন সামাজিক নিরাপত্তা খাতে।

এই অঙ্ক মোট বাজেটের প্রায় ১৮ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ দশমিক ১১ শতাংশ।

নতুন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ভাতাভোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ করা হলেও ভাতার অঙ্ক একই আছ। সব মিলিয়ে আরও প্রায় ১৫ লাখ গরিব মানুষ সরকারের সহায়তা পাবে।

এতদিন এই ভাতা পাচ্ছিলেন ৮৮ লাখ গরিব, অসহায় মানুষ। নতুন করে সুবিধাভোগীর সংখ্যা যোগ হলে ভাতা পাওয়া গরিবের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

বয়স্ক ভাতা পেতে হলে পুরুষের বয়স কমপক্ষে ৬৫ এবং নারীর ৬২ বছর হতে হয়। এই ভাতা পেতে হলে মাসে আয় ১০ হাজার টাকার কম হতে হবে।

কেমন আছেন বরিশালের ভোতাভোগীরা

বরিশাল শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা আম্বিয়া খাতুন। বয়স ৬৯ বছর। চার বছর ধরে পান ভাতা। কিন্তু এই টাকা দিয়ে কিছুই হয় না তার।

নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপকালে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘স্বামী নাই আর পোলাও নাই। দুই মাইয়া আল্লে হেয়া বিয়া দিয়া দিছি মেলা আগে। হেরা বছ্ছরে একবার পারলে সাহায্য করে, না পারলে করে না। মোর ভরসা ওই বয়স্ক ভাতাডাই।

‘৪ বছর ধইরা পাই। যা পাই, ওয়া দিয়া ঘরের ল্যাম্পও জ্বালান যায় না, হেইরপরও ওইটাই ভরসা। ওইয়া দিয়াই চলতে হয়। অনেক সময় আশপাশের মানু মেলাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে।’

ভাতার ৫০০ টাকায় কী হয়?
ভাতার কার্ড হাতে বরিশালের আম্বিয়া খাতুন। ছবি: নিউজবাংলা

নানা অভিযোগ অনুযোগ করে আম্বিয়া বলেন, ‘তিন মাস পরপর কাউন্সিলর অফিসে যাইয়া ১৫০০ টাহা আনতে হয়। আমনেরাই কন, এই দিয়া কিছু হয়? পেট তো চালান লাগে।

‘ছোডো একটু ঘরে থাহি। এক বেলা রাইন্দা দুই দিন খাই। টাহা তো লাগবে খাইতে। আর দোহানদাররা তো বাহিও দেতে চায় না মোরে। মুই তো হেয়া শোধ করতে পারমু না। সরকার যদি মোগো এই বয়স্ক ভাতার টাহাডা বাড়াইয়া দিত তাইলে অনেক ভালো হইত। এক হাজার টাহা দেলেও হেলে দুই বেলা তো খাইতে পারতাম একটু।’

একইভাবে ভাতা টাকা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন শহরের কসাইখানা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম।

তিনি বলেন, ‘৭৪ বছর বয়স হইছে মোর। এহন চলতে ফেরতে কষ্ট হয় অনেক। কয়েক বছর ধইরা ভাতা পাই। হেয়া একটাহাও বাড়ে নাই। জিনিসপত্রের দামও তো অনেক বাড়ছে। হেইয়ার হিসেবে এহন যে তিন মাস পরপর ১৫০০ টাহা কইরা দেয় হেতে কি কিছু হয়?

‘মোর চক্ষুতে অনেক সমস্যা। ঠিকমতো চোহে দেহি না। কেমনে যে চলি আল্লাহই জানে। মাইয়ারে বিয়া দেওয়ার পর হে কি খালি বছরে কাপড় দেয়। আর পোলার চায়ের দোহানে এক ঘণ্টা সময় দেতে হয়। হেই পারপাস আমারে দেহাশুনা করে পোলায়।’

আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আগে চাউলের কেজি যে টাহা ছিল, হেই টাহা তো এহন আর নাই। সবকিছুর দাম বাড়ছে। কয়দিন পর দেখমু পানিটাও কিন্না খাওয়া লাগতে আছে। এইয়ার মধ্যে মোগো যে ভাতা দেতে আছে হেয়া তো বাড়ে না, মোগো আগের টাহাই দেতে আছে।

‘মালের দাম বাড়ার লগে লগে মোগো টাহাও যদি বাড়াইয়া দেয়, তাইলে অনেক ভালো হয়। নাইলে মোর চলতে অনেক সমস্যা। ওষুধপত্রসহ পোলার সংসারে তিনমাস পর পর ওই টাহা দেতে হয়। এই যুগে কী হয় ১৫০০ টাহায়?’

আম্বিয়া খাতুন, আনোয়ারা বেগমের মতো বয়স্কভাতা বাড়ানোর দাবি করেছেন বিএম কলেজ রোড এলাকার বৃদ্ধা ময়নামতি দাস, পলাশপুরের সোনা খাতুনসহ অনেকে।

গাইবান্ধা

তিন বছর ধরে বিধবা ভাতা পেয়ে আসছেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের বিধবা রোকেয়া বেওয়া। স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে কাছমতি বেগমকে নিয়ে তার সংসার।

মা-মেয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তারপরও তাদের মুখে খানিকটা হাসি এনে দিয়েছে সরকারের দেয়া বিধবা ভাতার মাসিক ৫০০ টাকা।

ভাতার ৫০০ টাকায় কী হয়?
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের বিধবা রোকেয়া বেওয়া

এই টাকা দিয়ে কী করেন জানতে চাইলে রোকেয়া বেওয়া বলেন, ‘টেকা তুলি বাজারঘাট করি। চাউল কিনি। ১৫০০ টেকা হামার কাছে মেলা টেকা। এই টেকা না দিলি বাঁচনো না হয় বাবা। না খায়া মনো হয়।’

এই টাকায় সংসার চলে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ। আর টেকা পামো কোনটে? এই টেকাই চলি ফিরি খাই। মানষের বাড়িত থাকি এনা-ওনা আনি। এগলে দিয়েই মিলিধিলি চলি বাবা।

‘কষ্ট হয় চলতি। তাও করিধরি বাঁচি আছি। আর এনা বেশি টেকা পালে ভালই চলবের পানো হয়। মানষের বাড়িত কাম করা নাগিল নে হয়।’

একই উপজেলার উত্তর দামোদরপুর গ্রামের বয়স্ক ভাতাভোগী মোন্তাজ আলী প্রামানিক বলেন, ‘ছয় মাস পর ঈদের আগত টেকা পাচি ৩ হাজার। টেকা তুলি বাড়িত যাবার পাই নাই। তার আগে শেষ। দোকানত বাকিবুকি। বাজারত বাকি সোগ শোধ কচ্চি।

‘পত্তি ওষুধপাতি খাম। টেকার জন্যি ওষুধ পামো না। বিছনেত পড়ি আছম। যে টেকা পামো, তাক দিয়ে এখান-ওখান হয়; পেটত ভাত দিবের পাম না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাসে একটা হাজার টেকা পালি যেন হলি হয়। ডাল-ভাত, ওষুধপাতি খাবার পানো হয়। ৫০০ টেকা দিয়ে কিছু হয় না রে বাপ।’

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জ পৌরসভার কামড়াপুর এলাকার মৃত তুফায়েল আলীর স্ত্রী খুদেজা খাতুন। দুই ছেলে এবং চার মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন, ছেলেরাও বিয়ে করে আলাদা থাকেন। তার ভরণ-পোষণের জন্য ছেলেরাই মাস খরচ দেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার আমরারে বয়স্ক ভাতা দেয় মাসে ৫০০ টেকা কইরা। তিন মাস পরপর এই টেকা তুলতা পারি। সরকারি কর্মকর্তারার বেতন বাড়ছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কিন্তু আমরার ভাতা বাড়তাছে না।’

দুঃখ করে তিনি বলেন, ‘মাসে ৫০০ টেকা দিয়ে একজন মানুষ চলত পারে? ৫০০ টেকা দিয়া এখন ১০ কেজি চাউলও পাওয়া যায় না।’

তেঘরিয়া গ্রামের আবু মিয়া। তিন ছেলে দুই মেয়ে। তিনিও ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা কেউ কেউ রিকশা চালান, কেউ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। অভাব-অনটনের সংসারে অসুস্থ আবু মিয়া যেন ছেলের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সংসার চালাইতে পুলাইনতের (ছেলেদের) অনেক কষ্ট হয়। এর মাঝে আমি অসুস্থ হওয়ার কারণে কয়দিন পরপর ওষুদ লাগে। এখন লকডাউনের লাইগা রিকশা চালাইত পারে না, অন্য কোনো কামও পায় না। অনেক কষ্টে আছি আমরা।

‘সরকার আমারে যে ভাতা দেয়, ইডা দিয়া আমার ওষুদের খরচই হয় না। এই ভাতা আরও বাড়ানো দরকার।’

সরকার ভাতা না বাড়িয়ে নতুন লোকদের ভাতার আওতায় আনতে চাচ্ছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা বুড়া হইছে, সবাইকেই ভাতা দেয়া উচিত। কিন্তু এত কম টেকা দিলে অইব কেমনে। আরও বেশি দিতইব।’

নীলফামারী

নীলফামারী শহরের নিউ বাবুপাড়া মহল্লার বাসিন্দা পলাশ হোসেন। ২০১০ সাল থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়ে আসছেন। সেখানকার আশরাফ হোসেন দুলাল ও শাবানা বেগম ছালেহার সন্তান পলাশ।

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় মাসিক সাড়ে ৭০০ টাকা পাচ্ছেন পলাশ।

সরকারি ভাতা পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পলাশ বলেন, ‘যে টাকা পাচ্ছি এ জন্য ধন্যবাদ জানাই তাকে। তবে এই সময়ে এসে মাসে সাড়ে ৭০০ টাকা কাজে আসে না।

‘চলাফেরা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ হিসাব করলে যৎসামান্য। আমি দাবি জানাই, যেন এর পরিমাণ বাড়ানো হয়।’

মিলন পল্লী এলাকার প্রয়াত বিষাদু মামুদের স্ত্রী ছাবিয়া বেগম। ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে বয়স্ক ভাতা ভোগ করে আসছেন তিনি। নানা রোগ আষ্টেপৃষ্ঠে ধরেছে তাকে। প্রতি মাসে শুধু ওষুধই কিনতে হয় ১ হাজার ২০০ টাকার।

ছাবিয়া বেগম বলেন, ‘এই ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হলে উপকৃত হবেন আমার মতো দেশের লাখ লাখ অসহায় বয়স্ক মানুষরা।’

একই দাবি গাছবাড়ি মহল্লার খোঁচা মামুদের স্ত্রী আমিনা বেগমেরও। একমাত্র সন্তানের উপার্জনে সংসার চালাতে হয় পাঁচজনের খরচ। অভাব অনটন লেগেই থাকে।

আমিনা বেগম বলেন, ‘শরীরে ব্যথা লেগেই রয়েছে। সঠিক চিকিৎসা করাতে পারছি না। নানা রোগ শরীরে ধরেছে। আমাদের ভাতার টাকা যদি বাড়ানো হয় তাহলে কিছুটা উপকৃত হতাম।’

৯৮ সাল থেকে শুরু বয়স্ক ভাতা

অবহেলিত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর থেকে চালু হয় বয়স্ক ভাতা। সে সময় ভাতার পরিমাণ ছিল ১০০ টাকা। ৪ লাখ ৪ হাজার জন পেতেন ভাতা। বাজেটে এ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৪৮ হাজার ৫০ লাখ টাকা।

২০০৬-০৭ অর্থবছর ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়। ভাsতাভোগীর সংখ্যা বেড়ে হয় ১৬ লাখ।

২০০৯-১০ অর্থবছরে ভাতার অঙ্ক বাড়িয়ে করা হয় ৩০০ টাকা। সুবিধাভোগীর সংখ্যা হয় ২২ লাখ ৫০ হাজার।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করে সরকার। ভাতাভোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ৪০ লাখ।

৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটেও ভাতার অঙ্ক সেই ৫০০ টাকাই আছে। তবে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৪৯ লাখ হয়েছে। বাজেটে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা শুরু ১৯৯৯ সাল থেকে

এই ভাতাও ১০০ টাকা দিয়ে শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে বেড়ে ৫০০ টাকায় ঠেকেছে। বর্তমানে ২০ লাখ ৫০ হাজার নারী এই ভাতা পাচ্ছেন। বাজেটে বরাদ্দ আছে এক হাজার ২৩০ কোটি টাকা।

এ ছাড়া সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ৭ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়া হচ্ছে। ১৮ লাখ অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীকে মাসে ৭৫০ টাকা করে ভাতা দিচ্ছে সরকার।

এসব ভাতা বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন কঠিন সময়। মহামারির এই সময়ে বাজেটের আকার, ঘাটতি বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানোর প্রয়োজন আমি দেখছি না।

‘কোভিডের মধ্যে চলতি অর্থবছরে চার-সাড়ে চার শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও যথেষ্ট। আগামী অর্থবছরে ৫ শতাংশ হলেও ভালো। সরকার নতুন বাজেটে এসব ভাতা যাতে আরও বেশিসংখ্যক মানুষ পায়, সে ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা খুবই ভালো। তবে একই সঙ্গে আমি ভাতার পরিমাণটা বাড়ানোরও অনুরোধ করছি। কেননা এই বাজারে ৫০০ টাকা দিয়ে আসলেই তেমন কিছু হয় না।’

[সহযোগী প্রতিবেদক: বরিশাল প্রতিনিধি তন্ময় তপু, গাইবান্ধা প্রতিনিধি পিয়ারুল ইসলাম, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি কাজল সরকার এবং নীলফামারী প্রতিনিধি নূর আলম]

আরও পড়ুন:
অন্তঃসত্ত্বা না হয়েও মাতৃত্বকালীন ভাতা
‘এডা টেহার কাট’ চান ৭৫ বছরের ফুলেছা
৮৮ লাখ ভাতাভোগীর তথ্যভান্ডার তৈরি
ঈদে এক কোটি পরিবারকে ৪৫০ কোটি টাকা
ভাতা বাড়িয়ে হাজার টাকা করতে চান মন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাজেট
After 3 years of excavation in Joypurhat Chiri river is full

জয়পুরহাটে খননের ৩ বছর পেরোতেই ভরাট চিরি নদী

জয়পুরহাটে খননের ৩ বছর পেরোতেই ভরাট চিরি নদী

খননের ৩ বছর পেরোতেই আবারও ভরাট হয়ে যাচ্ছে জয়পুরহাটের চিরি নদী। প্রায় ২২ কিলোমিটার এ নদীর কোথাও কোথাও ভরে গেছে কচুরিপানায়। নদীর কোন কোন স্থানে পানি থাকলেও অনেক স্থানে নেই। এতে নদী খননের পর যে সুফল পাওয়ার আশা ছিল তা পাচ্ছেন না নদীর দুইপাড়ের মানুষরা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নদী আন্দোলনের নেতারা জানান, অপরিকল্পিত খননে বালু ও মাটি আবারও নদীতে মিশে যাওয়া, বর্জ্য ফেলা ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আবারও ভরাট হচ্ছে এই নদী। তাই নদীর নাব্য টিকিয়ে রাখতে শুধু খনন করলেই হবে না, প্রয়োজন এর রক্ষণাবেক্ষণ।

জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে ৪টি নদী। এর মধ্যে আক্কেলপুর থেকে সদর পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার রয়েছে চিরি নদী। এটি শাখা নদী হিসেবে পরিচিতি। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে প্রায় ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি নদীর খননকাজ শুরু হয়, যা শেষ হয় ২০২২ সালের জুন মাসে। নদী খননের প্রকল্পের উদ্দেশ্যে ছিল জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সারা বছর সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা, পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বন্যার ঝুঁকি কমিয়ে আনা, পুনর্খননের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করা, নৌচলাচলের মাধ্যমে সহজ যোগাযোগ নিশ্চিত করা, পরিবেশ ও আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করা। কিন্তু চিরি নদীতে এসব বেশিরভাগ উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদী খননের ফলে সারা বছর পানি থাকার আশা থাকলেও শুকনো মৌসুমে কোথাও পানি থাকছে, কোথাও থাকছে না। নদী খনন করার সময় বাঁধের ওপর রাখা মাটি আবারও নদীতে মিশে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও নদী ভরে আছে কচুরিপানায়। কোথাও পানি থাকলেও ময়লার কারণে হয়ে পড়েছে ব্যবহার অযোগ্য। এতে দিন দিন নদীটি নাব্য হারিয়ে ফেলছে। নদীরক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সচেতন মহলের।

সদর উপজেলার খঞ্জনপুর এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, নদী খনন করার আগে আমাদের বাড়ির কাছে চিরি নদীতে কিছু পানি থাকত। আমরা প্রতিদিনের কাজে পানি ব্যবহার করতাম। কিন্তু খননের পর আর পানি থাকছে না। নদী সংস্কার করেই আমাদের অসুবিধা হয়ে গেছে। পানি পাচ্ছি না, আবার কচুরিপানায় ভরে গেছে।

একই এলাকার রমজান আলী বলেন, ছোটবেলায় নদীতে অনেক মাছ ধরা হতো। মনে হয়েছিল নদী খনন করার পর নাব্য ফিরে আসবে। কিন্তু এখন তা দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টি হলেও বেশিরভাগ জায়গায় পানি নেই। আগে মাছ ধরা হতো। এখন পানি না থাকার কারণে মাছ ধরা যায় না। গোসল করা যায় না। নদী আমাদের কোনো উপকারে আসছে না।

সদরের কুঠিবাড়ী ব্রিজ এলাকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদী খনন করা হলো, পানি থাকবে বলে। কিন্তু নদীতে কোনো পানি নেই। উপকারের জন্য খনন করা হলো এখন উপকারের চেয়ে অপকারই হচ্ছে বেশি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের জয়পুরহাট জেলার সমন্বয়ক লুৎফুল্লাহিল কবির আরমান বলেন, চিরি নদী খনন করা হয়েছে পুরোপুরি অপরিকল্পিতভাবে। নদী খননের সময় মাটি ও বালু নদীর পাড়ের ওপর রাখা হয়েছিল। পরে বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে আবার নদীতে পড়ে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে কোনো সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। জনগণের কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদী খনন করে কোনো লাভই হয়নি। নদী রক্ষাসহ পরিবেশ রক্ষা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও আমাদের সবার সচেতন হতে হবে।

জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াদুল ইসলাম বলেন, ১২০ কোটি ৬৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ব্যয়ে জয়পুরহাটের ৪টি নদীর খননকাজ করা হয়েছে। এ থেকে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। নদীগুলো খনন করায় বন্যার ঝুঁকি একেবারে কমে গেছে। তবে নদীগুলো বড় কোনো নদীর সঙ্গে সংযুক্ত না থাকার কারণে পানি কম থাকে। আর চিরি নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে বা কচুরিপানা জমে গেছে এ বিষয়ে আমাদের কেউ জানায়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে কচুরিপানা সরানো বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করা হবে।

মন্তব্য

বাজেট
How did this celebrity porn star work?

কারা এই সেলিব্রেটি পর্ণ তারকা, কিভাবে কাজ করতেন?

কারা এই সেলিব্রেটি পর্ণ তারকা, কিভাবে কাজ করতেন?

আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি নেটওয়ার্ক পরিচালনার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি দম্পতি হলেন চট্টগ্রামের আজিম ও মানিকগঞ্জের বৃষ্টি (ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে)। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি ওয়েবসাইটে পর্নো কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গত রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে বান্দরবানে যৌথ অভিযান চালিয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) এবং এলআইসি শাখা তাদের গ্রেপ্তার করে। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কীভাবে তারা কাজ করতেন

২৮ বছর বয়সী বৃষ্টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে ‘বাংলাদেশের এক নম্বর মডেল’ হিসেবে পরিচয় দিলেও বাস্তবে তিনি আন্তর্জাতিক পর্ন সাইটে সক্রিয় পারফর্মার। ২০২৪ সালের ১৭ মে তার প্রথম ভিডিও প্রকাশিত হয় এবং এখন পর্যন্ত তার আপলোড করা ১১২টি কনটেন্টে ২৬৭ মিলিয়নের বেশি ভিউ রয়েছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক মনিটরিং সূত্রে জানা গেছে।

বৃষ্টি ও আজিম বিদেশি প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি টেলিগ্রাম, টুইটার (এক্স) ও বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করে তাদের ভিডিওর প্রচারণা চালাতেন। শুধু অক্টোবরের শুরুর দুই সপ্তাহেই ৫০টির বেশি ফেসবুক পেজ থেকে তাদের কনটেন্টের লিংক প্রচার করা হয়েছে।

আজিম ও বৃষ্টির পরিচয়

আজিম চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে একাধিক গণমাধ্যম জানায়, তিনি আগে থেকেই অপরাধচক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশের নথি অনুসারে, গত ২৫ আগস্ট তিনি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হলেও দ্রুত জামিনে মুক্ত হন।

বৃষ্টি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ঢাকায় চলে যান এবং পরবর্তীতে অনলাইনভিত্তিক এডাল্ট কনটেন্ট প্রোডাকশনে জড়ান। নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এলেও বর্তমানে তাদের জীবনযাত্রা সামাজিক মাধ্যমে বিলাসবহুল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাব ও অর্থ আয়ের কৌশল

তদন্তে দেখা গেছে, বৃষ্টির নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল খোলা হয়েছে, যা তারা দু’জনে যৌথভাবে পরিচালনা করেন। ওই চ্যানেলে নিয়মিত পেইড ভিডিও বিক্রি করা হতো। পাশাপাশি তারা আয়ের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে তরুণ-তরুণীদের এই কাজে যুক্ত হওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। বৃষ্টির ফেসবুকে প্রায় ৪৯ হাজার এবং ইনস্টাগ্রামে ১২ হাজার অনুসারী রয়েছে।

আইনের চোখে অপরাধ

বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২ অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি তৈরি, প্রচার ও সংরক্ষণ ফৌজদারি অপরাধ। সিআইডি বলছে, এই দম্পতি শুধু অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না, বরং দেশে বসে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন এবং অন্যদেরও এই চক্রে যুক্ত করছিলেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সিআইডি দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

বাজেট
Uncertainty in drug production can lead to loss of 4 thousand crore rupees 
শাহজালালের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড

ওষুধ উৎপাদনে অনিশ্চয়তা, ক্ষতি ছাড়াতে পারে ৪ হাজার কোটি টাকা 

ওষুধ উৎপাদনে অনিশ্চয়তা, ক্ষতি ছাড়াতে পারে ৪ হাজার কোটি টাকা 

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের ওষুধ শিল্পে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। ইতোমধ্যে শীর্ষ ৪৫টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বাপি)।

অ্যান্টিবায়োটিক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও ভ্যাকসিনসহ জীবনরক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দাবি করে বাপি বলছে, সামগ্রিকভাবে এই ঘটনার অর্থনৈতিক প্রভাব প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাপির মহাসচিব ডা. মো. জাকির হোসেন।

তিনি বলেন, ১৮ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের ওষুধ শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল ভস্মিভূত হয়েছে। এই আকস্মিক ক্ষতি পুরো খাতকে বহুবিধ ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে।

ডা. জাকির বলেন, দেশে বর্তমানে ৩০৭টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এর মধ্যে সক্রিয়ভাবে উৎপাদনে আছে প্রায় ২৫০টি কোম্পানি। বাপির প্রাথমিক জরিপ অনুযায়ী, শুধু শীর্ষ ৪৫টি কোম্পানিরই প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে গেছে। অন্য কোম্পানিগুলোর ক্ষতির হিসাব যুক্ত হলে মোট ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি হবে।

তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া কাঁচামালের মধ্যে ছিল অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন, হরমোন, ডায়াবেটিক ও ক্যান্সার জাতীয় ওষুধ তৈরির উপকরণ। শুধু তাই নয়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্পেয়ার পার্টস ও মেশিনারিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা পুনরায় আমদানি করা সময়সাপেক্ষ। ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি সময়সূচিও প্রভাবিত হবে।

বাপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ওষুধ শিল্প দেশের অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি মানসম্পন্ন ওষুধ ১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হয়, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশও রয়েছে। কিন্তু এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে উৎপাদন চেইনে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে।

তিনি বলেন, দেশের ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের প্রায় ৯০ শতাংশই আসে চীন, ভারত ও ইউরোপ থেকে। এসব কাঁচামালের একটি বড় অংশ জীবনরক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, যা সাধারণত আকাশপথে আমদানি করা হয়। কার্গো ভিলেজে আগুন লাগায় এসব দামি কাঁচামাল ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে, বিকল্প হিসেবে অন্য এয়ারপোর্টে নামানো পণ্যগুলোকেও নিয়ে উদ্বেগ আছে, কারণ সেগুলোকেও নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়।

আরও জটিলতা দেখা দিয়েছে নারকোটিকস বিভাগের অনুমোদন নেওয়া পণ্যগুলো নিয়ে। ডা. জাকির হোসেন বলেন, এই পণ্যগুলো পুনরায় আনা অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ, কারণ এতে ধাপে ধাপে একাধিক অনুমোদন নিতে হয়। ফলে এই দিক থেকেও বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বাপির ধারণা, এই ক্ষতির প্রভাব সরাসরি কাঁচামালের বাইরে গিয়েও বিস্তৃত হবে। ‘একটি র-ম্যাটেরিয়াল হারালে সেই উপকরণে নির্ভরশীল প্রতিটি ফিনিশড প্রোডাক্টের উৎপাদনই অনিশ্চয়তায় পড়ে। ফলে সামগ্রিকভাবে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্রভাব পড়বে বলে আমরা অনুমান করছি’— বলেন ডা. জাকির হোসেন।

তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি দ্রুত তদন্ত, ক্ষতিপূরণের কার্যকর ব্যবস্থা এবং বিকল্প কার্গো ব্যবস্থাপনা জোরদার করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

বাজেট
Varsha Mahir described the plan to kill Jobaid

জোবায়েদ হত্যার পরিকল্পনার বর্ণনা দিলেন বর্ষা-মাহির

জোবায়েদ হত্যার পরিকল্পনার বর্ণনা দিলেন বর্ষা-মাহির

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসাইনকে এক মাস আগে হত্যার পরিকল্পনা করেন অভিযুক্ত বর্ষা ও তার প্রেমিক মাহির। অভিযুক্ত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মঙ্গলবার রাজধানীর বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তার দাবি, প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বর্ষা ও মাহির।

ওসি বলেন, ‘প্রায় ৯ বছর ধরে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন মাহির রহমান। সম্প্রতি মেয়েটি তার টিউশন শিক্ষক জোবায়েদ হোসেনের প্রতি আকৃষ্ট হন। বিষয়টি মাহিরকে জানালে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। পরে মেয়েটি জোবায়েদের প্রতিও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন এবং মাহিরকে সঙ্গে নিয়ে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।’

তিনি আরো জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুজনে মিলে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। সেদিনই দুটি সুইচগিয়ার কেনা হয়। পরিকল্পনা ছিল, দুই দিক থেকে আক্রমণ করে জোবায়েদকে হত্যা করা।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত রোববার সন্ধ্যার আগে টিউশনিতে যাওয়ার পথে আরমানিটোলার নূরবক্স রোডের রৌশান ভিলার নিচে জোবায়েদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন মাহির রহমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিল বন্ধু ফারদিন আহম্মেদ আয়লান। আর পুরো ঘটনাটি সমন্বয় করেন ওই ছাত্রী।

ওসি রফিকুল বলেন, ‘প্রথমে মেয়েটি হত্যার কথা অস্বীকার করলেও মাহিরের মুখোমুখি করলে সত্য প্রকাশ পায়। তারা দুজনই স্বীকার করেছেন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেন এবং ১৯ অক্টোবর তা বাস্তবায়ন করেন।’

ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর বাসায় পড়াতে গিয়েছিলেন জোবায়েদ। বাসার গেট দিয়ে ঢুকে সিঁড়িতে ওঠার সময় সুইচগিয়ার দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পরে রাতেই পুলিশ মেয়েটিকে হেফাজতে নেয়। পরদিন প্রধান আসামি মাহির রহমান ও তার সহযোগী ফারদিন আহম্মেদ আয়লানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মন্তব্য

বাজেট
Meherpur snake bite child death

মেহেরপুর সাপে কেটে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুর সাপে কেটে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুরে মায়ের সাথে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বিষধর সাপের কামড়ে আলিফ নামের ৯ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে সাপে কাটলে প্রথমে ওঝা ও পরে হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হয়।

আলিফ সদর উপজেলার খোকসা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মানিক হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে খোকসা গ্রামের আলিফ অন্যান্য দিনের মত সোমবার দিবাগত রাতে মায়ের সাথে বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল। রাত ১০টার দিকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার কানে সাপে কামড়ে দেয়। এসময় শিশু আলিফের চিৎকারে তা মা জেগে উঠে এবং সাপটি দেখতে পায়। দ্রুত পরিবারের সদস্যরা আলিফকে উদ্ধার করে প্রথমে ওঝার স্বরনাপন্ন হয়ে ঝাড়ফুক দেওয়া শেষে রাতেই আবার নেওয়া হয় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য জেনারেল হাসপাতাল মেহেরপুরে। হাসতাপালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ভোরে আলিফের মৃত্যু হয়। রাতেই সাপটিকে মেরে ফেলে হয়েছে।

মন্তব্য

বাজেট
Security personnel beaten to death after complaining of rape in Narayanganj

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিরাপত্তাকর্মী পিটিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিরাপত্তাকর্মী পিটিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ শহরে এক শিশুকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে আবু হানিফ (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে খানপুর এলাকার ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত আবু হানিফ খুলনার বাগেরহাটের খন্তাকাটা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও খানপুর এলাকার ইতু ভিলার বাড়ির দারোয়ান। গ্রামের বাড়িতে তার তার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী বসবাস করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের খানপুর এলাকার ইতু ভিলা ভবনের ভাড়াটিয়া ও গার্মেন্ট কর্মীর ১১ বছর বয়সী শিশুকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে ভবনের দারোয়ান (নিরাপত্তাকর্মী) আবু হানিফের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে শিশুটি তার মাকে এ বিষয়ে জানালে তিনি সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের জানান। এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে কয়েকজন স্থানীয় যুবক তাকে খানপুর জোড়া ট্যাঙ্কি এলাকায় নিয়ে পিটুনি দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম অভিযোগ করেন, দুপুরে এলাকার স্থানীয় যুবক অভি সহ আরও কয়েকজন বাসায় এসে আমার স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে আমাকে ধরে নিয়ে খানপুর জোড়া ট্যাংকির নিচে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আমার শ্যালক আবু হানিফকে আটকে মারধর করার দৃশ্য দেখতে পাই। এ সময় অভির লোকজন আমাকেও চড়-থাপ্পড় মারে এবং আমার লুঙ্গি খুলে উলঙ্গ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা আমার শ্যালক হানিফকে অটোরিকশায় করে অন্যত্র নিয়ে যায়। পরে রাতে খবর পেয়ে খানপুর হাসপাতালে গিয়ে আমার শ্যালকের লাশ দেখতে পাই।

এ বিষয়ে খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় কয়েকজন যুবক হানিফকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে তার হাতে-পায়ে ক্ষত থাকায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলায় তারা হানিফকে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাত ৮ টার দিকে হানিফের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েকজন যুবক হানিফকে মারধর করেছে বলে জানতে পেরেছি। পরে তার মৃত্যু হলে আমরা লাশ হাসপাতালে পেয়েছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওই শিশুকে ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার কোন অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি। তাছাড়া এটা তদন্তের বিষয়। তদন্ত শেষে নিশ্চিত করে এ বিষয়ে বলা সম্ভব হবে।

মন্তব্য

বাজেট
Government ready to hold National Assembly elections in February Home Affairs Adviser

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে পুনরায় জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।”

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বডিওর্ন ক্যামেরা কেনা হবে এবং এ বিষয়ে সরকার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিগত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক কিছু বড় অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এসব ঘটনা তদন্তের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে।

প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো এবং বিমান ও বিমানবন্দরে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য

p
উপরে