× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাজেট
ব্যয় বাড়লেই আয় বাড়বে অর্থমন্ত্রী
google_news print-icon

ব্যয় বাড়লেই আয় বাড়বে: অর্থমন্ত্রী

ব্যয়-বাড়লেই-আয়-বাড়বে-অর্থমন্ত্রী
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের পর দিন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলেন আসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: পিআইডি
বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটে ব্যাপক কর ছাড় দেয়া হয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য। যদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করা যায়, তাহলে কিছুই হবে না। সে জন্য বেসরকারি খাতকে সুযোগ-সুবিধা বেশি দেয়া হয়েছে। কারণ, তারাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। 

প্রস্তাবিত অর্থবছরের বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব অভিহিত করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এই বাজেট বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান রক্ষা করবে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের ব্যয় বাড়াতেই হবে। কারণ, ব্যয় বাড়ালেই আয় বাড়বে। এ জন্য এবারের বাজেট সম্প্রসারণমূলক করা হয়েছে।’

শুক্রবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। করোনার কারণে এবারও তিনি ভার্চুয়াল সংবাদ সংম্মেলন করেন। নতুন বাজেটে যেসব বিষয়ে সমালোচনা উঠে এসেছে, তার জবাব দেন অর্থমন্ত্রী।

শুরুতে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। এরপর সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বিশাল বাজেটে ঘোষণা করেন। এর এক দিন পর যথারীতি নতুন বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. শামসুল আলম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন অংশ নেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাত হচ্ছে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রধান চালিকাশক্তি। এ জন্য বেসরকারি খাতকে চালকের আসনে বসাতে হবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আগে আমরা মুদ্রানীতিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়েছি। কিন্তু বাজেটে উল্লেখযোগ্যভাবে কর ছাড় দেয়া হয়নি।

‘এবারের বাজেটে ব্যাপক কর ছাড় দেয়া হয়েছে। কোনো রেট বাড়ানো হয়নি। কর ছাড় দেয়া হয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য। যদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করা যায়, তাহলে কিছুই হবে না। সে জন্য বেসরকারি খাতকে সুযোগ-সুবিধা বেশি দেয়া হয়েছে। কারণ, তারাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।’

সবাইকে টিকা দিতে কত দিন

বাজেটে বলা হয়েছে, প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে করোনার ‍টিকা দেয়া হবে। হিসাব করে দেখা গেছে, দেশের সব মানুষকে করোনার টিকার আওতায় আনতে গেলে কমপক্ষে ৪ বছর সময় লাগবে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটি শুধু প্রাক্কলন করা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় তা হলে আরও বেশি পরিমাণে টিকা দেয়া হবে।

‘প্রথমে আমরা একটি উৎস থেকে টিকা আনার চেষ্টা করেছিলাম। তাতে সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়। এখন আমরা বিকল্প উৎস থেকে চেষ্টা করছি। শিগগিরই টিকা আসবে।

‘কিন্তু যখন প্রথম টিকা দেশে এসেছিল, তখন মাইকিং করেও টিকা দেয়ার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এখন আগ্রহ বেড়েছে। তবে মোদ্দা কথা, সবাইকে টিকার আওতায় আনতে হবে। টিকা কেনায় কোনো সংকট হবে না বলে আশা করছি।’

জিডিপি ও বাজেট ঘাটতি

নতুন বাজেটে জিডিপি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এটি অর্জিত হবে কি না, জানতে চাওয়া হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই হবে। এটি অর্জনে যা কিছু করা দরকার, তা আমরা পরিকল্পনা করেছি এবং সে অনুযায়ী কাজ শুরু হবে।’

ঘাটতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ প্রায় সব দেশই ঘাটতি বাজেট করে। সে জন্য বেশি খরচের লক্ষ্যে সম্প্রসারণমূলক বাজেট করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬.২ শতাংশ। আর ভারতে বাজেট ঘাটতি হচ্ছে জিডিপির ৬.৮ শতাংশ।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জিডিপির তুলনায় ঋণ অনুপাত এখনও সহনীয়। ৪০ শতাংশের নিচে। আমরা চীন ও ভারতের চেয়ে এ ক্ষেত্রে ভালো অবস্থানে আছি।’

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ এখন ৪৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ফলে অন্য দেশকে ঋণ দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন ঋণ নিচ্ছি। কিন্তু একদিন আমি বলেছিলাম, ঋণ দেব। তা-ই সত্যি হয়েছে। এখন আমরা ঋণ দিতে পারি।’

বাজেটে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাজেটটি ব্যবসাবান্ধব। যেসব কর প্রণোদনা দেয়া হয়েছে, তা কাজে লাগালে বাড়বে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান।

‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা দেয়া। এখানে স্থানীয় শিল্প বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য করহার (রেট) বাড়ানো নয়, কমানো। কারণ, করহার কমালে রাজস্ব আদায় বাড়বে।’

হিমায়িত মাংস আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় বাজেটে শুল্ক আরোপ করে কোনো লাভ হবে কি না, প্রশ্ন করা হলে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘দেশীয় ব্যবসায়ীদের সুরক্ষায় আমদানি করা মাংসে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। কেন মাংস আমদানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলো, সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।’

এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তটি ভালো। স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্তমান সরকারের নীতি হচ্ছে, বিদেশ থেকে যাতে কোনো পণ্য আমদানি না করতে হয়।’

এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের এভাবেই নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী আমরা নীতি-সহায়তা প্রণয়ন করছি।’

করোনায় যারা চাকরি হারিয়েছে, তাদের জন্য বাজেটে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চাইলে অর্থসচিব বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বড় করা হয়েছে। করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানো হয়েছে। বিভিন্ন খাতে কর ছাড় দেয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ সৃষ্টি করা। আশা করছি, এসব পদক্ষেপের ফলে যারা চাকরি হারিয়েছেন, আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে চাকরি ফিরে পাবেন তারা, যদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’

এবারের বাজেটে ঘাটতি জিডিপির ৬.২ শতাংশ, এটা খুব বেশি কেন- জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ঘাটতি বেশি না। আমাদের ঋণ নেয়ার আরও বেশি সুযোগ রয়েছে। আমাদের ব্যয় বাড়াতেই হবে। ব্যয় বাড়াতে না পারলে আয় আসবে না।

‘রাজস্ব বেড়েছে। রপ্তানি বেড়েছে। রেমিটেন্সের অবস্থানও শক্তিশালী। সুতরাং আমি কোনো সমস্যা দেখি না (আই ডোন্ট সি অ্যানি প্রবলেম)।’

পরে ঘাটতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বাজেটে ঘাটতি নতুন নয়। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাজেটে ঘাটতি থাকবেই। তবে এর পরিমাণ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। সে ক্ষেত্রে আমি বলব, যেহেতু আমরা গত ১০ বছর ধরে প্রবৃদ্ধিসহ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি, তাই আমাদের কোনো ভয় নেই। আমাদের ধারের বাজার খুব ভালো। আবার ধার পরিশোধের রেকর্ডও খুব ভালো। কারণ, আমরা ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে কখনোই খেলাপি হইনি।’

প্রতিরক্ষা বাজেট নিয়ে বক্তৃতায় কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি, এটা কি ভুলে গেলেন, নাকি ইচ্ছাকৃত- এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট বক্তব্য সব মিলিয়ে ছিল ৭৫ মিনিট। সব খাতের বিষয়ে কথা বলার সুযোগ ছিল না। এর অর্থ এই নয় যে, খাতগুলো বরাদ্দ থেকে বাদ পড়েছে।’

এ প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা খাতের ২০৩০ সাল পর্যন্ত একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতে সব ব্যয়ই ওই লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে খরচ করা হয়। এবার বাজেটেও প্রতিরক্ষা খাতে ৮ শতাংশ বরাদ্দ বেড়েছে।’

কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি খাতে অবকাঠামোগত যে সমস্যা ছিল, তা বিনিয়োগের মাধ্যমে দূর হচ্ছে। তবে করোনা মহামারি বড় বাধা। এরপরও এই খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে। আমরা এখন কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের দিকে বেশি নজর দিচ্ছি, যাতে মানুষের আয় বাড়ে। এবার বাজেটেও কৃষি খাতের বরাদ্দ কম নয়। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া আছে, যখনই টাকা দরকার হবে, প্রয়োজনে অন্যান্য খাত থেকে টাকা এনে চাহিদা মেটানো হবে।’

আরও পড়ুন:
‘উত্তরে বিনিয়োগবান্ধব পরিস্থিতি তৈরি হবে’
বিএনপি-সিপিডির বাজেট প্রতিক্রিয়া কাকাতুয়ার শেখানো বুলি: তথ্যমন্ত্রী
প্রস্তাবিত বাজেটে শ্রমিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দের দাবি
জীবন-জীবিকা নিয়ে স্পষ্ট কিছু পায়নি সিপিডি
মহামারিতেও সরকারি কর্মীদের বেতনে বেশি বরাদ্দ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাজেট
Student protests at midnight to protest the students attack

খুবি শিক্ষকের উপর ছাত্রের হামলা, প্রতিবাদে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

খুবি শিক্ষকের উপর ছাত্রের হামলা, প্রতিবাদে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছবি: সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকির উপর হামলা করেছেন সাবেক এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন খুবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (০২ মে) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী ওই শিক্ষার্থীর নাম আবদুল্লাহ নোমান। তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এ হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন শিক্ষক সাকি। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে হামলার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

এদিকে, শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে গভীর রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হামলাকারী নোমানকে ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন তারা। তাকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে রাত ১টার দিকে ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম। শিক্ষকের ওপর শিক্ষার্থীর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

তিনি ইউএনবি কে বলেন, ‘আমি নির্বাক। শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা একটি নিকৃষ্ট ও গর্হিত কাজ। যা কখনও চিন্তা করা যায় না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ বছর ইতিহাসে এ ধরনের জঘন্যতম ঘটনা একটিও ঘটেনি।’

উপাচার্য আরও বলেন, একজন শিক্ষক লাঞ্ছিত করা মানে পুরো শিক্ষক সমাজকেই লাঞ্ছিত করা। হামলাকারীকে শাস্তির আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে।

মন্তব্য

বাজেট
Hajj flight starts from Sylhet on May 7

সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ মে

সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ মে ছবি: সংগৃহীত

সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট আগামী ১৪ মে থেকে শুরু হচ্ছে। এ দিন ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের মদিনার উদ্দেশে উড়াল দিবে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট।

বাংলাদেশ বিমানের সিলেটের ম্যানেজার শাহনেওয়াজ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিলেটের হজযাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এ বছর পাঁচটি ফ্লাইট সরাসরি সিলেট থেকে পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ফ্লাইট যাবে সরাসরি মদিনায়। বাকি চারটি ফ্লাইট ২৩, ২৫, ২৬ ও ২৯ মে সিলেট-জেদ্দা রুটে পরিচালিত হবে।

রোড টু মক্কা কর্মসূচির অধীনে হজ্জ যাত্রীদের জন্য দুই দেশের ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্নের সুযোগ থাকলেও সিলেট থেকে পরিচালিত ফ্লাইটের যাত্রীদের সৌদি ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরে করা হবে।

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সিলেট জোনের সভাপতি মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান জানান, সিলেট থেকে এ বছর ২৭ শ মুসল্লী হজে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৫ জন সিলেট থেকে বিমানের ফ্লাইটে এবং অন্যরা যাবেন ঢাকা থেকে।

এ অঞ্চলের হজযাত্রীদের নিবন্ধনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সিলেটের তিনটি শীর্ষ এজেন্সির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

বাজেট
The goal is to create a national certificate by creating national consensus Professor Ali Riaz

জাতীয় ঐকমত্য তৈরির মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করাই লক্ষ্য : অধ্যাপক আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য তৈরির মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করাই লক্ষ্য : অধ্যাপক আলী রীয়াজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে সংলাপে সূচনা বক্তৃতা করেন। ছবি : পিআইডি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠায় আমাদের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।

জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তৃতায় তিনি আজ এ কথা বলেন।

আলী রিয়াজ আশা প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দেবে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন রকম আদর্শিক অবস্থান থেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। আমরা আশা করি জাতীয় স্বার্থে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রশ্নে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেকটা দল ও জোট কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকবেন। কারণ আমরা সকলে মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন, বিনির্মাণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আলী রিয়াজ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে অগ্রসর হওয়ার জন্য তা অত্যন্ত প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এক জায়গায় আসতে হবে। এর অর্থ এ নয় যে সব বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব। কিন্তু যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠনে এবং গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন সেখানে আশা করি একমত হতে পারব। সেটাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট (এনপিপি) ১১২টায় একমত, ২৬টায় একমত নয় এবং ২৮ টায় আংশিক একমত হয়েছে বলে জানান জোটের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

বৈঠকে ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জোটের ১১ জন নেতা আজ সংলাপে অংশ নিয়েছেন।

ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, একটা অনির্বাচিত সরকার যদি দীর্ঘসময় থাকে এটা বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ
বলেন, ‘আপনি এমন একটা ভোটের ব্যবস্থা করে দেন যাতে মানুষ বলতে পারে দীর্ঘ পনেরো বছর পর আমরা এমন একটা ভোট দেখতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, দেশের মানুষ যেন বলতে পারে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সরকার গঠন করতে পেরেছি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।

সংস্কার কমিশন সমূহের সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করা হয় গত ১২ ফেব্রুয়ারি। সাত সদস্য বিশিষ্ট এই কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করছে।

মন্তব্য

বাজেট
Dhaka South City Corporation

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান

৫০০ জন মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অংশগ্রহণ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক শনিবার (০৩ মে) খিঁলগাও উত্তর শাহজাহানপুর এলাকায় মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এর উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্থানীয় সোসাইটির জনগন এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান
উত্তর শাহজাহানপুর আবাসিক এলাকা, ঝিল ও সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়।

সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের মশক কর্মীদের দ্বারা উত্তর শাহজাহানপুর আবাসিক এলাকা, ঝিল ও সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়।

পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্ষার মৌসুমকে মাথায় রেখে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা দুটি স্তরে কার্যক্রম শুরু করেছি, প্রথমটি হলো নিয়মিত মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। দ্বিতীয়টি হল বিশেষ মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম এবং জনগনকে সম্পৃক্তকরণ জনসচেতনতামূলক র‍্যালি যা পর্যায়ক্রমে ডিএসসিসির দশটি অঞ্চলে পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যে যাত্রাবাড়ী ও ধানমন্ডিতে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

প্রশাসক আরো বলেন, নগরবাসীকে সচেতনত হতে হবে এবং বাসার ভেতরে, ফুলের টব, চৌবাচ্চা ও বারান্দায় জমে থাকা পানি তিনদিনের ভেতরে নিজ উদ্যোগে ফেলে দিতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন এবং নগরবাসীকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

এ ছাড়াও অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক একটি র‍্যালি হয়।


পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো: জিল্লুর রহমান, সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞা সহ সকল বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাজেট
Skype is closing

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কাইপে

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কাইপে ছবি: সংগৃহীত

একসময়ের জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম স্কাইপে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। আগামী ৫ মে ২০২৫ থেকে স্কাইপে আর ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানটি তাদের নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাইক্রোসফট টিমসকে মূল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সামনে আনতে চায়।

এক ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ‘ব্যবহারকারীদের আরও আধুনিক ও কার্যকর যোগাযোগের অভিজ্ঞতা দিতে স্কাইপে বন্ধ করে টিমসকে পুরোপুরি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’ আগামী তিন মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে স্কাইপে ব্যবহারকারীদের টিমসে স্থানান্তর করা হবে। মাইক্রোসফট জানায়, স্কাইপে বন্ধ হয়ে গেলেও ব্যবহারকারীরা তাদের আগের সব সুবিধা টিমসের মাধ্যমেই পাবেন। স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সহজ করতে স্কাইপের বর্তমান ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়েই মাইক্রোসফট টিমসে বিনা খরচে লগইন করতে পারবেন। এতে আগের মতোই ব্যক্তিগত ও গ্রুপ কল, বার্তা আদান-প্রদান, ফাইল শেয়ারিংসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাবে।

মাইক্রোসফটের ভাষ্য, ‘টিমসে লগইন করলেই স্কাইপের আগের সব চ্যাট ও কন্ট্যাক্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানান্তর হয়ে যাবে। ফলে ব্যবহারকারীরা আগের মতোই নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যেতে পারবেন।’ স্কাইপে বন্ধ হওয়ার আগে ব্যবহারকারীদের সামনে দুটি বিকল্প রাখা হয়েছে। প্রথমত, স্কাইপের বর্তমান অ্যাকাউন্টের তথ্য ব্যবহার করে টিমসে লগইন করলেই আগের চ্যাট ও কন্ট্যাক্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে। ফলে ব্যবহারকারীরা ঠিক আগের মতোই তাদের যোগাযোগ চালিয়ে যেতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, যারা টিমসে যেতে চান না, তারা চাইলে স্কাইপের বার্তা, কন্ট্যাক্ট ও কলের হিস্ট্রির সব তথ্য ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

এ ছাড়া ৫ মে পর্যন্ত স্কাইপে ও টিমস একই সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে টিমস অ্যাপ ডাউনলোড করে স্কাইপের অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করলেই আগের সব চ্যাট ও কন্ট্যাক্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেয়ে যাবেন।

মাইক্রোসফট নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য স্কাইপে ক্রেডিট ও কলিং সাবস্ক্রিপশন সেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে যারা আগে থেকেই এসব সেবা ব্যবহার করছেন, তারা পরবর্তী মেয়াদ শুরুর আগ পর্যন্ত এসব সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া ৫ মের পরও স্কাইপের পেইড ব্যবহারকারীরা স্কাইপে ওয়েব পোর্টাল বা মাইক্রোসফট টিমসের মাধ্যমে ‘স্কাইপে ডায়াল প্যাড’ ব্যবহার করতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের ভাষ্য, স্কাইপে বন্ধ হলেও টিমস ব্যবহারকারীদের আরও আধুনিক ও উন্নত যোগাযোগের অভিজ্ঞতা দেবে। টিমসের বহুমুখী ফিচার স্কাইপের তুলনায় বেশি কার্যকর হবে। বিশ্বব্যাপী কয়েক কোটি মানুষ দুই দশক ধরে স্কাইপে ব্যবহার করে আসছেন। তবে গত কয়েক বছরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় স্কাইপে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে।

মন্তব্য

বাজেট
Army chief

সরকারি সফরে কাতার গেছেন সেনাবাহিনী প্রধান

সরকারি সফরে কাতার গেছেন সেনাবাহিনী প্রধান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সরকারি সফরে আজ কাতার গেছেন ।

সফরকালে তিনি কাতারের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার লক্ষ্যে মতবিনিময় করবেন।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সফর শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ৫ মে দেশে ফিরে আসবেন।

মন্তব্য

বাজেট
Locals brought two Indians to capture two Bangladeshis

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় দুই ভারতীয়কে তুলে আনলেন স্থানীয়রা

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় দুই ভারতীয়কে তুলে আনলেন স্থানীয়রা বাংলাদেশি নাগরিকদের হাতে আটক দুই ভারতীয় নাগরিক। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর সীমান্ত এলাকায় ধান কাটার সময় দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী দুই ভারতীয় কৃষককে ধরে এনে ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন।

গতকাল শুক্রবার সকালে বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন সীমান্তের ৩২০ মেইন পিলারের সাব পিলার ১০-এর কাছে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম ও বিরল থানার এসআই কাওসার।

বিএসএফ ধরে নেওয়া বাংলাদেশি মাসুদ রানা (২৬) পিতা এনামুল, গ্রাম কাটালিয়া ও এনামুল হক (৫৫) পিতা ইসরাইল, কাঠালিয়া, উভয় থানা বিরর দিনাজপুর।

স্থানীয়রা জানায়, বিরলের ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন সীমান্তে ধান ও মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন মাসুদ ও এনামুল নামের দুই কৃষক। কোনো কিছু না বলে হঠাৎ করে বিএসএফের সদস্যরা শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গ্রামে ঢুকে তাদের ধরে নিয়ে যায়। বিএসএফের সদস্যরা অস্ত্রে সজ্জিত থাকায় ওই মুহূর্তে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি। তবে তাৎক্ষণিক গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে নিয়ে আসে। ঘটনাটি জানতে পেয়ে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসী আটক দুই ভারতীয়কে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মিজান দৈনিক বাংলার প্রতিবেদককে জানান, বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে গ্রামবাসীও দুই ভারতীয়কে আটক করে বিজিবির হাতে দিয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আমরা উভয়পক্ষ বিকেলে পতাকা বৈঠকে বসব। আশাকরি পতাকা বৈঠকে বসলে সমস্যাটি সমাধান হবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

p
উপরে