২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে আগামীর বন্দর বে টার্মিনালের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খলিলুর রহমান।
এ ছাড়া তিনি স্বাস্থ্য খাত ও শিক্ষা খাতের উন্নয়ন এবং স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষাসহ আরও ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খলিলুর রহমান বলেন, সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প এবং প্রতিবেশী দেশ ভারত তথা সেভেন সিস্টার অঞ্চল থেকে বন্দরের আয় বৃদ্ধির জন্য বে টার্মিনাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের দাবি, আসন্ন বাজেটে এই বে টার্মিনালের জন্য যেন বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়।
মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি বলেন, করোনা মহামারির সময় এই বাজেটে সরকারকে অবশ্যই স্বাস্থ্য খাতের দিকে নজর দিতে হবে। করোনা প্রতিরোধে অন্তত ৩০ কোটি ডোজ টিকা আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া মহল্লাভিত্তিক করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তির মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি তা তদারকি করতে ওয়ার্ড বা ইউনিয়নভিত্তিক ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিতে হবে। কেউ যাতে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করতে না পারে তাই মহামারি আইন সংশোধন করে শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রায় এক বছর চার মাস দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, তাই শিক্ষা খাতের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সপ্তাহের পাঁচদিনের অনলাইন পড়াশোনা পর্যালোচনা করার জন্য অন্তত একদিন মাস্ক পরে এবং দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩ ঘণ্টার জন্য হলেও পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা উচিত।
খলিলুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক জরিপ কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্স তালিকায় ব্যয়বহুল ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৬৮তম, যা দেশের রপ্তানি উন্নয়নে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। এর থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজনে কাস্টমস কার্যক্রম সহজীকরণ করা, বন্দরের খরচ কমানো এবং শিপিং এজেন্টদের আইন মানতে বাধ্য করা, যার প্রস্তাব আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছি। আমরা আশাবাদী আসছে বাজেটে বিষয়টির দিক নির্দেশনা থাকবে যার ফলে দেশে কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমবে। আশা করি দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সামনের বাজেটে আমাদের প্রস্তাব গৃহীত হবে।
তিনি বলেন, আমরা শুনেছি এবার করপোরেট ট্যাক্স কমানো হচ্ছে। এটা আসলে একটি ভালো উদ্যোগ। করপোরেট ট্যাক্স কমলে ব্যাংক সুদ কমবে এবং সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে আসবে। ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করার সঙ্গে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র এবং অনলাইনে কর প্রদান সার্টিফিকেট দেয়ার নিয়ম চালু সময়ের চাহিদা। কর কাঠামো তুলনামূলক বিচারে বিত্তবানদের পক্ষে। সহজতর কর ব্যবস্থাপনা কর আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়ক। স্বপ্রণোদিত কর প্রদানের সীমা ৩ লাখের পরিবর্তে ৪ লাখ এবং প্রবীণ করদাতার বেলায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা করা উচিত। এ ছাড়া শিক্ষা খাতে সরকারের ব্যয় উল্লেখযোগ্য হলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করদাতাদের বেলায় শিক্ষা খাতে খরচ রেয়াত নেই। বিষয়টি আগামীতে কর রিটার্ন দাখিলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত।
খলিলুর রহমান আরও বলেন, রপ্তানির জন্য আমদানি করা কাঁচামাল ছাড়া অপ্রয়োজনীয় আমদানির ওপর কর অথবা ভ্যাট আরোপ করা আবশ্যক। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের চেয়ে আমদানি করা পণ্যের ভ্যাট অথবা কর কম হওয়ায় স্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হন। স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার নতুন কৌশল প্রয়োগ করা গেলে আমদানিনির্ভরতা কমবে। দেশীয় শিল্প বিকাশে বিশেষ সুবিধা অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই। ভ্যাট অব্যাহতি প্রাপ্ত পণ্যের ওপর ট্রেড ভ্যাট চালু করে এনবিআর দ্বৈতনীতি অবলম্বন করেছে। এতে খুচরা এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের হয়রানির পাশাপাশি পণ্যের মূল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আশা করি আমাদের প্রস্তাব মতে আসছে বাজেটে ভ্যাট বিষয়ে সহায়ক দিকনির্দেশনা আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের আমদানি বাণিজ্য অনেক সহজ হলেও রপ্তানির বড় অংশই প্রতিনিয়ত ট্যারিফ নন ট্যারিফ বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই আমাদের রপ্তানির নন ট্যারিফ বাধা অপসারণে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন:ব্যাংক থেকে বড় ঋণ নিয়ে কিংবা টাকা ছাপিয়ে এবারের বাজেট করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মোটামুটিভাবে বাজেটটাকে বাস্তবায়ন করবো। বিরাট একটা গ্যাপ নিয়ে বাজেট করব না। বড় বড় মেগা প্রজেক্ট নিয়ে ধার করে ডেফিসিট দিয়ে এগুলা করব না। ব্যাংক থেকে বড় ঋণ করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা এসব করব না। কিছুটা তো ডেফিসিট থাকবে। সেটা আমরা আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সাথে বসে প্রজেক্টের ব্যাপারে নেগোশিয়েট করবো।’
গতবারের চেয়ে বাজেট ছোট হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা সময় হলেই জানতে পারবেন।’
ক্রয় কমিটির নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের তেলের একটু ঘাটতি আছে। আমরা রাইস ব্রান অয়েল আনার বিষয় কথা বলেছি। বেশিরভাগ প্রস্তাবগুলো পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের। আমাদের নদীর পাড়গুলো ভেঙে গেছে, সেখানে আমরা প্রজেক্ট এপ্রুভ করলাম। নদীগুলো যদি আমরা সংরক্ষণ করি, তাহলে বর্ষা মৌসুমে দেখা যাবে রাস্তা ভাঙতে থাকবে। এর ৬টি প্রজেক্ট। আর বাকিগুলো খাদ্য গুদাম নিয়ে। আর এলএনজি আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সবার স্বার্থ রেখেই এনবিআরের নতুন অধ্যাদেশ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ে যে নতুন অধ্যাদেশ করা হয়েছে, সেখানে সবার স্বার্থ সংরক্ষিত আছে বলে মন্তব্য সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
কাস্টমস কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন, তাদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে এনবিআরের অর্ডিন্যান্স করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে কিছুই বলতে চাই না। তারা যা বলার বলবে। আপনারা বিষয়টা ভালো করে পড়বেন। দেখবেন তাদের স্বার্থ সংরক্ষিত আছে। সুতরাং তাদের দুশ্চিন্তা করার কিছুই নেই। এনবিআরটা যেভাবে আছে, তাদের টার্মস অব রেফারেন্স অনুযায়ী একটা ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস।’
তিনি বলেন, ‘পলিসি ডিভিশন আর ইমপ্লিমেন্টেশন ডিভিশন এক থাকে না। সব দেশেই আলাদা থাকে। পলিসি ডিভিশনটা একটু প্রফেশনাল লোক দিয়ে কাজ করতে হয়। অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান এবং জিডিপি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। আর এনবিআর করবে এটা ইমপ্লিমেন্ট। এনবিআর যদি এটা পলিসিও করে (যাদের কাজ হলো কালেক্ট করা), তাদের একটা ইন্টারেস্ট থাকে। আমি একটা পলিসি করলাম আবার আমি আদায়ও করলাম।’
সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘আমি বলবো অধ্যাদেশ অন্তত সুচিন্তিতভাবে করা হয়েছে। ওদের সাথে যে আলাপ করা হয়নি; তা না। এনবিআরের হাজার হাজার লোকের সাথে তো আলোচনা করা যায় না। যারা মেম্বর বা সদস্য অবশ্যই তাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আবার প্রশাসনের লোকের কিছু মন্তব্য আছে। তাদের সাথেও আলোচনা করা হয়েছে।’
রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অলরেডি গতবারের তুলনায় রাজস্ব আদায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে৷ এটা হতাশাব্যাঞ্চক না। ফলে আমি আশা করছি, অন্তত গতবারের চেয়ে কম হবে না।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৫ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। রোববার রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে অনুষ্ঠিত বাজেট সভায় সর্বসম্মতভাবে এ বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেয়া হয়। সভা থেকে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা রেকর্ড রাজস্ব আদায় হয়েছে ডিএনসিসির। গত চার বছরে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ।
সভার শুরুতে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম সূচনা বক্তব্য দেন। পরে ডিএনসিসির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. বরকত হায়াত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থাপিত সংশোধিত বাজেট এবং নতুন বাজেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন লাভ করে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল সিটি করপোরেশনকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ডিএনসিসির সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি।
‘নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিকল্প নেই। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি।
‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএনসিসির মোট বাজেটের ৫৩% ব্যয় নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে। মোট ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি বহন করা হবে ডিএনসিসির নিজস্ব তহবিল থেকে।’
মেয়র বলেন, ‘কর হার বৃদ্ধি না করেও রাজস্ব আদায়ে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ডিএনসিসি। অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহের ফলে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। নগরবাসী ঘরে বসেই অনলাইনে ডিএনসিসির হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারছেন। ফলে নাগরিক ভোগান্তি কমেছে। অনলাইন পদ্ধতির ফলে দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করা সম্ভব হয়েছে। নিশ্চিত হয়েছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।’
এদিকে জানা গেছে, বিগত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ডিএনসিসির রাজস্ব আদায় হয়েছিল যথাক্রমে ৬১২ কোটি, ৬৯২ কোটি, ৭৯৪ কোটি ও ১০৫৮ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য খাত হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৫১৭ কোটি ৮৫ লাখ, ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ ৭৪ কোটি ৯৬ লাখ, সম্পত্তি হস্তান্তর কর বাবদ ২৮০ কোটি, সড়ক খনন ফি বাবদ ১০৪ কোটি ৭৯ লাখ, গরুর হাটের ইজারা বাবদ ৩২ কোটি ৭৭ লাখ, বিজ্ঞাপন ফি বাবদ ১০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ডিএনসিসি রাজস্ব আয় করেছে বলে জানা গেছে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুস্থ, সচল, আধুনিক স্মার্ট ডিএনসিসি গড়তে বাজেটে তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে; এক-জনস্বাস্থ্য রক্ষা, দুই-জলাবদ্ধতা নিরসন, তিন-জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে ডিএনসিসির বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
‘জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং খাল উদ্ধারপূর্বক খালের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় বাজেট সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সব বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:জাতীয় সংসদে পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ (সোমবার) প্রধানমন্ত্রী সবাইকে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। জাতীয় সংসদে গতকাল (রোববার) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে। উনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন, সবাই যাতে যত্নের সঙ্গে নজরদারির মধ্য দিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করেন।
‘জবাবদিহিতা, দ্রুততা, নিপুণতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে যাতে বাজেট বাস্তবায়ন হয়- সে বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সরকার প্রধান মাননীয় মন্ত্রী ও সচিব সবাইকে বলেছেন, এদিকে সবাই যেন আমরা মনোযোগী হই। বাজেট সঠিকভাবে বাস্তবায়নে যাতে আমরা সবাই মনোনিবেশ করি।’
আরও পড়ুন:অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আয়োজিত বাজেট-উত্তর নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান অর্থমন্ত্রী। সূত্র: ইউএনবি
শেখ হাসিনা পরে অর্থমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন টেবিল ঘুরে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- সংসদ উপনেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ ও সংসদ সদস্যবৃন্দ।
এছাড়াও নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সৌদি কোম্পানিগুলোকে অফশোর ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট করতে আকৃষ্ট করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে আর্থিক খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ।
রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রিয়াদে সোমবার সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সভায় অংশ নেয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদিরা যদি আর্থিক খাতে বিনিয়োগ করতে চায় তাহলে আলোচনা করা হবে। তারা আমেরিকা ও ইউরোপে টাকা জমা রাখে। বাংলাদেশও টাকা জমা রাখার একটি সুযোগ করে দিয়েছে। যেকোনো বিদেশি কোম্পানি ও ব্যক্তি বাংলাদেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে তাদের অর্থ রাখতে পারবেন। অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এটিও আলোচনা হবে।’
হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা একটি নতুন সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। এটিকে জনপ্রিয় করতে চাই আমরা। এমন দেশ রয়েছে যেখানে বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তিরা এ জাতীয় ডিপোজিট তৈরি করে।’
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বাড়াতে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে চলতি বছরের মার্চ মাসে সংসদে অফশোর ব্যাংকিং আইন, ২০২৪ পাস করা হয়।
বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই সেবার নিয়ম-নীতি শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রায় ডিপোজিট করার এই সুযোগ দেশে বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজতর করা এবং ডলারের একটি প্রধান উৎস তৈরি করছে।
‘বাজেটে বিদেশনির্ভরতা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন বাজেটে বিদেশনির্ভরতা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন আমাদের দেশের উপযোগী বা পছন্দমতো না হলে অনেক বিদেশি ঋণপ্রস্তাব আমরা ফিরিয়ে দেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রীকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে প্যারিস কনসোর্টিয়ামে যেতে হতো। তাদের সময় বিশেষ করে উন্নয়ন বাজেটে বিদেশনির্ভরতা ছিল ৫০ শতাংশের বেশি।
‘আজকে এটি ১৫-২০ শতাংশে নেমে এসেছে। আমরা বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে অনেকের ঋণপ্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি, ফিরিয়ে দেই।
‘সামগ্রিক ও বৈশ্বিক অর্থনীতির স্বার্থে কিছু বৈদেশিক ঋণ নিতে হয়। যেমন আমরা বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পার্টনার। সেখানে আমাদের জন্য বরাদ্দ থাকে। সেটি না নিলে ল্যাপস হয়ে যায়। এজন্য ক্ষেত্রবিশেষে নিতেও হয়।’
বাজেটের সমালোচনাকে গতানুগতিক আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবারই বাজেট প্রস্তাব ও পাসের পর একটি মহল বলে যে বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাস্তবায়নযোগ্য নয়। অথচ গত ১৫ বছরে আমাদের প্রণীত বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯২ থেকে ৯৬ শতাংশ।
‘দেশ এগিয়ে গেছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। দারিদ্র্য ৪১ থেকে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্য ২৫ দশমিক ৫ থেকে মাত্র ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। গড় জিডিপি ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে এবং অনেক আগেই পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতি আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। কেউ বাঁচতে পারবে না। দুর্নীতির সঙ্গে যিনিই জড়িত থাকুক না কেন, আমরা ছাড় দেব না।’
শনিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে যেসব অর্থ প্রকাশ করা হয়নি সেই অর্থ মূলধারায় আনার লক্ষ্যে বাজেটে সেই অর্থকে বৈধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই অর্থগুলোকে অর্থনীতির মূলধারায় আনতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘অতীতে এ ধরনের সুযোগ প্রায়ই দেয়া হতো। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ও গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনও অতীতে এই সুযোগ নিয়েছেন।
সংসদ নেতা বলেন, ‘সুষ্ঠু নীতি এবং গণমানুষের শক্তির ভিত্তিতে সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
‘এই বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সবাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং এর মাধ্যমে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটকে কেউ উচ্চাভিলাষী বলেছেন, কেউ বলেছেন ঘাটতি বাজেট। কিছুক্ষণ আগে বিরোধী দলের নেতাও বলেছেন যে এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
‘আমি এই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী মনে করি না। চ্যালেঞ্জ নেয়াই আমাদের কাজ। আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই এবং সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা যে লক্ষ্য নির্ধারণ করি তা কখনোই শতভাগ পূরণ হয় না। সেটা করা সম্ভব নয়। তারপরও আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে, আমরা সেখানে পৌঁছাতে যাচ্ছি। আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছি। দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সরকার দলের নির্বাচনি ইশতেহার ভুলে যায়নি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের আগে ইশতেহার তৈরি করি। কিন্তু এই ইশতেহারের কথা আমরা ভুলে যাই না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জাতির কাছে দেয়া ওয়াদা আমরা পূরণ করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।
‘এই বাজেটের মাধ্যমে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে বাজেট দেয়। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট দিয়েছি, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ। কাজেই এই বাজেটকে মোটেই উচ্চাভিলাষী মনে করি না।’
শনিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটকে আমি মোটেই উচ্চাভিলাষী মনে করি না। একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনও পূরণ হয় না। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে এখানে আমরা যাব। সেটা আমরা যেতে পেরেছি।
‘কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় সাত লাখ কোটি টাকার বাজেট! এটাও তো সন্তুষ্টির জায়গা হওয়া উচিত যে আমরা এই জায়গায় আসতে পেরেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই (বড় বাজেট বাস্তবায়ন) সম্ভব হয়েছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছেটা কী? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। সেজন্যই তো উন্নয়নটা হয়। উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘এই বাজেটের মধ্যে আগামী দিনে আমরা যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল, সেটি বাস্তবায়নে সক্ষম হব। সেই ধারাবাহিকতা আমাদের আছে।
‘আমরা একটা রাজনৈতিক দল করি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমাদের নিজেদের ঘোষণাপত্র আছে, আমরা নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণা করি। এই ইশতেহার আমরা কখনো ভুলে যাই না।
‘জাতির কাছে যে ওয়াদা দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি, তা পালন করি। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারতে অগ্রাধিকার এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের যে দিকনির্দেশনা তা বাজেটে উঠে এসেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বাজেটের ওপর এ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ ২৩৪ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য দিয়েছেন। তারা বাজেটের ওপর আলোকপাত করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এর বাইরে অনেকেই বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাজেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যে যাই করুন তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলেছেন, কেউ বলেছেন ঘাটতি বাজেট। কিছুক্ষণ আগে বিরোধীদলীয় নেতা বললেন এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার কমাতে হবে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কমাতে হবে ইত্যাদি। এই চ্যালেঞ্জ নেয়ার মতো সক্ষমতা আছে কি না। চ্যালেঞ্জ নেয়াটাই তো আমাদের কাজ। চ্যালেঞ্জ নিয়েই তো আমরা চলতে চাই, চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য