× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাজেট
লক্ষ্য থাকবে মানুষকে বাঁচানো ব্যবসায়ীদের বাঁচানো
google_news print-icon
সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী

‘লক্ষ্য থাকবে মানুষকে বাঁচানো, ব্যবসায়ীদের বাঁচানো’

লক্ষ্য-থাকবে-মানুষকে-বাঁচানো-ব্যবসায়ীদের-বাঁচানো
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের এক দিন আগে নিউজবাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সব পিছিয়ে পড়া মানুষ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে রাখতে হবে। তাদের সঙ্গে রেখেই এগিয়ে যেতে চাই।’

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আর এ জন্য মূল কৃতিত্ব তিনি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের মানুষকে।

মুস্তফা কামালের ভাষায়, ‘অসম্ভব’ কর্মদক্ষতা নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে চলেছেন শেখ হাসিনা। আর তাকে অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে চলেছেন এই দেশের ১৭ কোটি মানুষ।

তিনি বলেন, ‘মহামারির এই কঠিন সময়েও আমাদের দেশের মানুষ কাজ বন্ধ করেননি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজ করে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। আমাদের দেশের মানুষ কর্মঠ, প্রচণ্ড আত্মপ্রতয়ী। জীবন-জীবিকা একসঙ্গে চালিয়ে তারা অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত।’

মহামারির মধ্যেই আরেকটি বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন তিনি। এটা তার তৃতীয় বাজেট। আর বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এবার তার বাজেটের শিরোনাম দিয়েছেন, ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’।

বাজেট ঘোষণার এক দিন আগে মঙ্গলবার নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত ২৩টি প্যাকেজের আওতায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৩০৩ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা, এরপর শিল্পোৎপাদন চালু করা সবই ছিল ‘সময়োপযোগী’ পদক্ষেপ।

‘পুরো দেশ এখন এর সুফল পাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্র ভালো করছে। প্রতিটি খাত উড়ন্ত অবস্থায় আছে। সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী। কোনো দেশেই এ অবস্থা খুঁজে পাওয়া যাবে না’, বলেন মুস্তফা কামাল।

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় তিনি বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিছু অমানুষ তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি।

‘পিতার মতোই দেশের মানুষকে ভালোবেসে এই দেশটাকে “সোনার বাংলাদেশ” গড়ার নেশায় রয়েছেন শেখ হাসিনা। শুধু আমি নই, দেশের মানুষও এখন দেখতে পাচ্ছেন, বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।’

মহামারির এই সময়ে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেশের নতুন বাজেট নিয়ে কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে গাণিতিক কোনো সংখ্যা প্রকাশ করতে রাজি হননি। বাজেটের লক্ষ্য ও ধরন নিয়ে একটা ধারণা দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, ব্যাংক খাত, পুঁজিবাজারসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। নিচে তার সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো:

‘লক্ষ্য থাকবে মানুষকে বাঁচানো, ব্যবসায়ীদের বাঁচানো’
রেওয়াজ অনুযায়ী বাজেট উপস্থাপনের দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কালো ব্রিফকেস হাতে সংসদ ভবনে প্রবেশ করবেন অর্থমন্ত্রী

নিউজবাংলা: কোভিড-১৯ গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে তছতছ করে দিয়েছে। এর মধ্যে কেমন চলছে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

মুস্তফা কামাল: আমি আপনার প্রশ্নের উত্তরটা এভাবে শুরু করতে চাই: ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে আছে শুধু বাংলাদেশ, চীন ও ভিয়েতনাম। ২০২০ সালে বাংলাদেশের যে অর্জন, আমি মনে করি এটিই বড়ভাবে দেখা যেতে পারে। কারণ, গত বছরটা ছিল আমাদের জন্য ঐতিহাসিক বছর। গত বছর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর পাশাপাশি বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। এই দেশের মানুষ যথাযথভাবে জাতির পিতাকে বিশ্বদরবারে আরও আলোকিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কামার, কুমার, তাঁতি, জেলে, চাষি, ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষই কাজ করছেন। এ জন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।

আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা শেখ হাসিনার মতো একজন নেতা, একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, যিনি সামনে দেখতে পান… দেশের সব মানুষকে তিনি জানেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আগামী দেখার দক্ষতা রয়েছে। তিনি দেশের মানুষের নার্ভ বুঝতে পারেন। ওয়ান-টু-ওয়ান দেখতে পান।

মানুষকে যতটা সম্ভব দ্রুত কাজে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অর্থনীতি সচল রাখতে করোনাভাইরাসের প্রকোপের শুরুতেই এক লাখ দশ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যখন প্রধানমন্ত্রী এই প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন, তখন আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। পুরো দেশ এখন এর সুফল পাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্র ভালো করছে। প্রতিটি খাত উড়ন্ত অবস্থায় আছে। সামনের দিকে যাচ্ছে। সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী। কোনো দেশেই এ অবস্থা খুঁজে পাওয়া যাবে না।

আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, সবকিছু মিলিয়ে ভালোভাবেই অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। সামনে আরও সুন্দর দিন অপেক্ষা করছে। বঙ্গবন্ধু যা করে যেতে পারেননি, সেগুলো করার জন্য তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সোনার বাংলা নির্মাণের মাধ্যমে সুবর্ণরেখা স্পর্শ করবেন।

আমাদের শক্তি হচ্ছে এ দেশের মানুষ। শেখ হাসিনা এই মানুষকে ভালোবেসে, গাইডলাইন দিয়ে একদম সামনে থেকে লিড দিয়ে সামনে নিয়ে যাচ্ছেন।

মহামারি করোনাভাইসের ধাক্কা সামলে আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে; অর্থনীতির সব সূচক এখন উর্ধ্বমুখী। কোভিড-১৯-এর আঘাতে পৃথিবীর বড় বড় দেশের অর্থনীতি যেখানে তছনছ হয়ে গেছে, আমরা সেখানে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করে মাথা উঁচু করে ঘুরে দাঁড়িয়ে আছি। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে।

নিউজবাংলা: বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে আপনি জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছিলেন ৮ দশমিক ২ শতাংশ। করোনার কারণে প্রথম দফায় তা কমিয়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ নামিয়ে এনেছিলেন। এখন তা আরও কমিয়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশে এনেছেন। আসলে কত হবে?

মুস্তফা কামাল: এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক- এডিবি বলছে, এবার আমাদের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫ থেকে ৬ শতাংশের মতো হবে। বিশ্বব্যাংক অবশ্য বলছে কম হবে; ওরা প্রতিবারই কম বলে। কিন্তু বছর গেলে হিসাব শেষে দেখা যায়, তাদের হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। এবারও তাই হবে।

এখানে একটা কথা আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, দেশের মানুষ আত্মনিবেদিত হয়ে এবং আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যার যতটা সুযোগ আছে, সেখান থেকেই এ দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করছেন। এতে দেশের অর্থনীতি আরও অনেক ওপরে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা দেশের মানুষ কাজ করে চলেছেন। ফলে আমি মনে করি, এই মহামারির কঠিন সময়েও আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের কম হবে না। আর এটা যদি হয়, তাহলেই আমরা খুশি; কেননা, পৃথিবীর অনেক দেশই এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে না। কোনো কোনো দেশের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে।

এখানে আমি আরও একটা বিষয় বলতে চাই, ইতিমধ্যে কিন্তু আমরা মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছি। পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছি তো অনেক আগেই। শ্রীলঙ্কাকে রিজার্ভ থেকে ঋণ দিতে যাচ্ছি। আর এসব নিয়ে বাংলাদেশকে প্রশংসা করে এই তিন দেশের মিডিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। এতেই প্রমাণিত হয়, আমরা ভালো করছি; নানা বাধা-বিপত্তির মধ্যেও এগিয়ে চলেছি।

‘লক্ষ্য থাকবে মানুষকে বাঁচানো, ব্যবসায়ীদের বাঁচানো’
বৃহস্পতিবার আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী-ফাইল ছবি

নিউজবাংলা: দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আশার কথা শোনাচ্ছেন আপনি। সত্যিই কি অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে?

মুস্তফা কামাল: গত কয়েক বছর ধরেই আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেশ ভালো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমরা ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। তার আগের বছরগুলোতেও ৭ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। কোভিড-১৯-এর কারণে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি অর্জিত হবে বলে আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রাথমিক তথ্য দিয়েছে।

আমাদের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যাবে, দেশের অর্থনীতি কেমন চলছে। একটি বিষয় অবিশ্বাস্য রকম অবাক করে দিয়েছে আমাকে: এই মহামারির মধ্যেও আমাদের প্রবাসী ভাইবোনেরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়ে চলেছেন। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে আসে; প্রবৃদ্ধি ৪০ শতাংশের মতো। এর আগে কোনো অর্থবছর বা বছরেও এত রেমিট্যান্স দেশে আসেনি।

সবাই যখন আশঙ্কা করেছিল, মহামারির ধাক্বায় রেমিট্যান্স একেবারে কমে যাবে। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো বেশি বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে আমরা সাহস পাচ্ছি। মহামারি মোকাবিলা করাও আমাদের সহজ হচ্ছে।

এই রেমিট্যান্সে দেশে লাখ লাখ পরিবার চলছে। ছোট ছোট ব্যবসা হচ্ছে। রেমিট্যান্স আরও বাড়বে। কারণ সরকার এ ক্ষেত্রে প্রণোদনার মাধ্যমে পাঠানোর খরচ দিয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স পাঠাতে যে ফরম পূরণ করতে হয়, তা সহজ করা হয়েছে।

এখানে আরেকটি কথা আমি বলতে চাই, আমি যখন পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলাম, তখনই একটা বিষয়ে আমি স্টাডি করেছিলাম। আমি হিসাব করে দেখেছিলাম, দেশে সব মিলিয়ে ৩৪-৩৫ বিলিয়ন ডলারের মতো রেমিট্যান্স দেশে আসত। এর মধ্যে অর্ধেকেরও কম ১২ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার আসত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধ পথে। বাকিটা আসত হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধ পথে।

এখন ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়ার কারণে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরিমাণ অনেকটা কমেছে। এটাকে একেবারে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করছি আমরা।

নিউজবাংলা: অর্থনীতির আরেক গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও বেশ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। রিজার্ভ কি আরও বাড়বে বলে আপনার মনে হয়?

মুস্তফা কামাল: আমাদের আরেকটি স্বস্তির বিষয় হচ্ছে রিজার্ভ। মূলত রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই বর্তমানে আমাদের রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ওপরে অবস্থান করছে। এ বছরের মধ্যেই রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।

নিউজবাংলা: প্রধানমন্ত্রী রিজার্ভ বিনিয়োগে নিয়ে আসার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে কী ধরনের চিন্তাভাবনা করছেন?

মুস্তফা কামাল: প্রধানমন্ত্রীর কথা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে আমরা সরকারি প্রকল্পে রিজার্ভ থেকে অর্থায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণের মতো প্রকল্পে এই অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছি। বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ নিলে ৪ থেকে ৫ শতাংশ সুদ দিতে হয়। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিদেশে বিনিয়োগ করলে এক থেকে দেড় শতাংশের বেশি সুদ পাওয়া যায় না। ফলে এই অর্থ সরকার ব্যবহার করলে রাষ্ট্রেরই লাভ।

আমরা সেই কাজটিই শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যে। রিজার্ভ থেকে প্রথম ঋণ পাচ্ছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা, যা দেয়া হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরোয়। ১০ বছর মেয়াদে এই ঋণ দেবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। এর মধ্যে তিন বছর গ্রেস পিরিয়ড। সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশি টাকা দিয়ে ইউরো কিনে এই ঋণ দেবে।

নিউজবাংলা: অর্থনীতির অন্য সূচকগুলো সম্পর্কে কিছু বলবেন?

মুস্তফা কামাল: আমি যখন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিই, তখন বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্য (ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট) ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেতিবাচক ছিল। এখন তা ইতিবাচক। কোভিড-১৯-এর কারণে আমাদের রপ্তানি আয়ে ধাক্কা লেগেছিল, সেটা কেটে গেছে। এই অর্থবছরের ১১ মাসে অর্থাৎ জুলাই-মে সময়ে ৯ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মহামারির ধাক্কা সামলে উঠতে আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে ১০ হাজার কোটি টাকার মতো প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত এই বিচক্ষণ ঘোষণা রপ্তানি বাণিজ্য দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে বলে আমি মনে করি।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে বরাবরের মতোই আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেছি। প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ফলে বিনিয়োগেও গতি ফিরে এসেছে। গত কয়েক মাস ধরে আমদানি ব্যয়ও বাড়ছে। আশা করছি, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তা ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।

নিউজবাংলা: আপনি বলছিলেন, নতুন বাজেটের গাণিতিক কোনো সংখ্যা প্রকাশ করবেন না। বাজেটের লক্ষ্য ও ধরন নিয়ে খানিকটা ধারণা দেবেন, প্লিজ।

মুস্তফা কামাল: বাজেট কেমন হচ্ছে, কী থাকছে তা জানার জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেদিন সংসদে প্রচারিত হবে, সত্যিকার তথ্য আপনাদের সামনে চলে আসবে। এটা কোনোভাবেই আমরা ডিসক্লোজ করতে পারি না। তবে জেনারেলি আমরা এই কথা বলতে পারি যে, আমাদের লক্ষ্যই থাকবে দেশের মানুষকে বাঁচানো; ব্যবসায়ীদের বাঁচানো। সবার সবকিছু দেখেই আমরা এবার বাজেট উত্থাপন করব।

আমাদের সব পিছিয়ে পড়া মানুষ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে রাখতে হবে। তাদের সঙ্গে রেখেই এগিয়ে যেতে চাই। সে কারণেই এভাবে বলতে চাই, আগামী বাজেট হবে ‘জীবন ও জীবিকা রক্ষার’ বাজেট।

সমাজের অতিদরিদ্র মানুষকে মূলধারায় নিয়ে আসা, গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করা এবং মহামারির কারণে বিধ্বস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোকে টিকে থাকার সুযোগ করে দেয়ার কৌশল অবশ্যই থাকবে নতুন বাজেটে।

নিউজবাংলা: অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক ভালো থাকলেও বিনিয়োগে স্থবিরতা কিন্তু কাটছে না। এবারের বাজেটে বিনিয়োগ বাড়াতে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মুস্তফা কামাল: সামষ্টিক অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য। বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে। এ জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন জোগান দিতে সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখা হবে। গত বছরের এপ্রিল থেকে ব্যাংকঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন হচ্ছে। অর্থনীতির গতিশীলতার জন্য অনেক আগে থেকেই মুদ্রানীতি সম্প্রসারণমূলক রয়েছে। সুতরাং ভাবার কোনো কারণ নেই, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ হয়ে গেছে, ফলে আর নতুন বিনিয়োগ হবে না। অর্থনীতিতে গতি আনতে আরও নীতি-সহায়তা প্রয়োজনা হলে অবশ্যই দেয়া হবে।

এখানে আরেকটি বিষয় বলে রাখা খুবই প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি: এই যে ৯ শতাংশ সুদহার বাস্তবায়ন করা হয়েছে, এটার পুরো কৃতিত্ব কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অর্জন করতে সুদহার কমাতে হবে। নতুবা আমরা কারোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকব না। এ জন্য ব্যাংকঋণের সুদহার কমানোও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ছিল। যার সুফল এখন ব্যবসায়ী, ব্যাংক সবাই পাচ্ছে।

অনেকেই বলেছিল, ব্যাংক এই সুদহারে কাজ করতে পারবে না। আমি বলেছিলাম, লোকসান হবে না। কারণ ১৪ বা ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে বছর শেষে বড় অঙ্কের রাইট-অফ করতে হচ্ছে। কম সুদে কম আয় করলেও নিট আয় বেশি থাকবে, যদি রাইট-অফ করতে না হয়। এখন যে তথ্য পাচ্ছি, ব্যাংকগুলো ভালো ব্যবসা করছে। কোনো কোনো ব্যাংক ৯ শতাংশের কম সুদেও ঋণ দিচ্ছে।

নিউজবাংলা: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর তো কোনো উন্নতি হচ্ছে না। সার্বিক ব্যাংক খাত নিয়ে কিছু বলবেন?

মুস্তফা কামাল: আমি আসার আগে প্রতিটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে প্রতিবছর সুন্দরভাবে মূলধন সরবরাহ করা হতো। মূলধন না দিলে তারা চলতে পারত না। আমি তাদের সঙ্গে একটা সভা করে সুস্পষ্টভাবে বলেছি, মূলধন আর সরবরাহ করা হবে না। উপার্জন বাড়িয়ে নিজেদের তহবিলে চলতে হবে।

এখন আর কাউকে টাকা দিতে হচ্ছে না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো মুনাফা করছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো প্রতিটি মুনাফা করছে। ব্যাংকগুলোকে এখন আর তহবিল নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে না।

খেলাপি ঋণ কমানোরও নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করছি, ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

নিউজবাংলা: দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে খারাপ অবস্থা চলছিল। সবাইকে অবাক করে দিয়ে এই মহামারির মধ্যে বাজার চাঙাভাবে ফিরেছে। এর পেছনে কী কারণ দেখছেন আপনি?

মুস্তফা কামাল: আমাদের পুঁজিবাজার এখন অনেক শক্তিশালী। অন্য সময় ব্যাংক থেকে টাকা না দিলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আসত না। এখন কিন্তু রেমিট্যান্সের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হচ্ছে। পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়ছে; সূচক বাড়ছে।

এটি অর্থনীতির আরেকটি খাত, যেখানে অনেক মানুষ সম্পৃক্ত। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিএসইসিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে। আশা করছি, একটি ভালো পুঁজিবাজার আমরা দেখতে পাব।

আরও পড়ুন:
আখের গোছায় ব্যক্তি, সুদ গোনে সরকার
১৭ লাখ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট অর্থনীতি সমিতির
১০ টাকায় চাল বিতরণ চলবে  
বাজেট নিয়ে ইশা ছাত্র আন্দোলনের ৪ প্রস্তাব
বাজেটে বেকারদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাজেট
Waltons 1 MW floating solar power project in sustainable industrial development

টেকসই শিল্পোন্নয়নে ওয়ালটনের ১ মেগাওয়াট ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প

টেকসই শিল্পোন্নয়নে ওয়ালটনের ১ মেগাওয়াট ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প

বাংলাদেশের শিল্পখাতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে পরিবেশবান্ধব নীতি অনুসরণ করছে দেশের সুপারব্র্যান্ড ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। জিরো কার্বন নিঃসরণ, সাশ্রয়ী জ্বালানি, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ক্লিন ও গ্রিন এনার্জি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নিজস্ব অর্থায়নে ১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ভাসমান (ফ্লোটিং) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে ওয়ালটন। শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের শিল্পখাতে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের পথে আরেকটি নতুন মাইলফলক।

ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের জলাশয়ের ওপর স্থাপন করা হয়েছে এই ১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ফ্লোটিং সোলার প্রজেক্ট, যা দেশের বেসরকারি খাতে নির্মিত সবচেয়ে বড় ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বুলনপুরে স্থাপিত ২.৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে জলাশয়ের ওপর ০.৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্যানেল ভাসমানভাবে স্থাপন করা হয়েছিল।

ওয়ালটনের এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি বিভাগের প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন,

“ফ্লোটিং সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে ওয়ালটন নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে। এটি প্রমাণ করে, ভবিষ্যতের টেকসই শিল্পোন্নয়ন প্রকৃতি ও প্রযুক্তির ভারসাম্যের মাধ্যমেই সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, জলাশয়ের ওপর স্থাপিত এই প্রকল্প শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনই করছে না, বরং মাছ চাষ, ভূমি সংরক্ষণ, পানির বাষ্পীভবন হ্রাস ও পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ফ্যাক্টরি বন্ধ বা আংশিক উৎপাদনে থাকলে উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ নেট মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

রাজু জানান, প্রকল্পে ব্যবহৃত ফ্লোটিং স্ট্রাকচারগুলো ফুড-গ্রেড প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি, যা পানি ও জলজ প্রাণীর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। প্যানেলগুলো এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে মাছের স্বাভাবিক জীবনচক্র ব্যাহত না হয়। এই সিস্টেম আগামী ২০ বছর পর্যন্ত কার্যকরভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম থাকবে।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে বিভিন্ন স্থাপনার ছাদ, ফুটপাত ও খালি জায়গায় ১০ মেগাওয়াট সৌর শক্তি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। শিল্পপ্রক্রিয়ায় পানি সাশ্রয় ও পুনঃব্যবহারের জন্য ইটিপি’র মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত পানির প্রায় ৭৫ শতাংশ নিরাপদভাবে পুনঃব্যবহার করা হচ্ছে।

এ ছাড়া ই-বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার ও আপসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে বর্জ্য হ্রাস ও সম্পদের পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করছে ওয়ালটন।

এসব কার্যক্রমের ফলে প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত ৯১১,৮২৩ মেট্রিক টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস এবং সামগ্রিক কার্বন ফুটপ্রিন্ট ১০ শতাংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে।

শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওয়ালটন শুধু পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণই করেনি, বরং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই শিল্প ও সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি আদর্শ মডেল তৈরি করেছে।

জেবি/এসডি

মন্তব্য

বাজেট
Digital Media Excellence Award 2025 Recognizing the best in digital journalism in Bangladesh

ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫: বাংলাদেশের ডিজিটাল সাংবাদিকতার শ্রেষ্ঠদের স্বীকৃতি

ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫: বাংলাদেশের ডিজিটাল সাংবাদিকতার শ্রেষ্ঠদের স্বীকৃতি

ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (DMF) দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করেছে “ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫”, যা বাংলাদেশের অনুপ্রেরণাদায়ক সাংবাদিক, মিডিয়াকর্মী ও উদ্ভাবকদের স্বীকৃতি জানাতে একটি মহোৎসব।

এই মর্যাদাপূর্ণ আয়োজনে সাংবাদিকতা, উদ্ভাবন ও মিডিয়ার সৃজনশীলতায় অসামান্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মান জানানো হয়, যাদের কাজ সমাজে স্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর ডিজিটাল মার্কেটিং বিভাগের ম্যানেজার ও ডিএমএফ এর সাধারণ সম্পাদক রায়হান রবিন। তিনি বলেন, ডিএমএফ-এর এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ডিজিটাল সাংবাদিকতার নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পেশাদারিত্ব ও উদ্ভাবনের মান উন্নয়ন করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন “ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫”-এর জুরি বোর্ডের সদস্যরা, যারা দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের সম্পাদনা ও ডিজিটাল নেতৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করেন।

সভাপতির বক্তব্য

সংগঠনের সভাপতি ও দ্য বাংলাদেশ টাইমস-এর ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন,

“নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল সাংবাদিকতা ও উদ্ভাবনে উৎসাহিত করা, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গণমাধ্যমকে আরও এগিয়ে নেওয়া এবং সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়াই এই আয়োজনের লক্ষ্য। সাংবাদিকতা পেশাকে আরও শক্তিশালী করা এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল মিডিয়ার সম্ভাবনাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরাই ডিএমএফ-এর মূল উদ্দেশ্য।”

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. তৃণা ইসলাম (হেড অব অপারেশনস, দ্য বিজনেস ডেইলি) ও ফয়সাল তিতুমীর (সিনিয়র প্রেজেন্টার, যমুনা টেলিভিশন), যারা সজীব উপস্থাপনায় পুরো আয়োজনে প্রাণ ঢেলেছেন।

প্রধান অতিথি: জনাব শফিকুল আলম, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

বিশেষ অতিথি: জনাব ফয়েজ আহমেদ, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

গেস্ট অব অনার:

  • ড. রাশিদ আহমেদ হোসাইনি, পরিচালক, বিজিএমইএ (BGMEA)
  • জনাব জাবেদ সুলতান পিয়াস, চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার, প্রথম আলো
  • মোঃ ফেরদৌস নাঈম পরাগ, হেড অব মার্কেটিং, জিটিভি ও সেক্রেটারি জেনারেল, ইএমএমএ (EMMA)
  • জনাব তসলিম চৌধুরী, সিইও ও হেড অব মার্কেটিং, মোহনা টিভি এবং প্রেসিডেন্ট, ইএমএমএ (EMMA)
  • জনাব রাকিব হোসেন, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, লুমিনাস গ্রুপ

২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিএমএফ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের ডিজিটাল মিডিয়া পেশাজীবীদের অন্যতম শীর্ষ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে, যেখানে টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইন সাংবাদিকদের একত্র করে প্রশিক্ষণ, উদ্ভাবন এবং সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল মিডিয়া ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার কাজ করছে।

জুরি বোর্ড (২০২৫)

  • কামরুল ইসলাম – ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, ঢাকা পোস্ট
  • উদয় হাকিম – সম্পাদক, ঢাকা বিজনেস
  • বদরুল আলম নাবিল – সম্পাদক, অনলাইন ও প্রোগ্রাম, মাইটিভি
  • কাজী আওলাদ হোসেন – সম্পাদক ও প্রকাশক, বাংলা ৫২ নিউজ ডটকম
  • রুহুল আমিন রনি – সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও লিড (হেড), ডিজিটাল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, প্রথম আলো
  • মিজানুর রহমান সোহেল – হেড অব অনলাইন, ভোরের কাগজ
  • মইন বকুল – হেড অব অনলাইন, আমাদের সময়
  • সরাফাত হোসেন – হেড অব ডিজিটাল, দৈনিক ইত্তেফাক
  • রাজীব খান – হেড অব ডিজিটাল মিডিয়া, চ্যানেল ২৪
  • আজাদ বেগ – ডিজিটাল গ্রোথ এডিটর, দ্য ডেইলি স্টার
  • এম এ এইচ এম কবির আহম্মেদ – হেড অব ডিজিটাল অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া, আরটিভি
  • সিরাজুল ইসলাম সুমন – হেড অব ডিজিটাল সেলস, আজকের পত্রিকা
  • গৌতম মণ্ডল – ইনচার্জ অব অনলাইন, সমকাল
  • মাসউ বিন আব্দুর রাজ্জাক - অনলাইন ইনচার্জ, দীপ্ত নিউজ (দীপ্ত টিভি)
  • লুৎফী চৌধুরী – কো-ফাউন্ডার ও সিইও, অ্যাডফিনিক্স
  • ডা. তৃণা ইসলাম – হেড অব অপারেশনস, দ্য বিজনেস ডেইলি

পুরস্কারপ্রাপ্তরা (প্রফেশনাল বিভাগসমূহ)

  • মোঃ তন্ময় উদ্দৌলাহ, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার, বৈশাখী টিভি – মাল্টিমিডিয়া ফিচার নিউজ
  • বিনয় দত্ত, হেড অব রিসার্চ ও এডিটোরিয়াল, ঢাকা পোস্ট – ফিচার / অনলাইন মিডিয়া
  • সফিকুল ইসলাম তুষার, মাল্টিমিডিয়া ইনচার্জ, জাগোনিউজ২৪ – মাল্টিমিডিয়া ফিচারস ও ভিউজ
  • ফারুক হোসেন মজুমদার, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার, ৭১ টিভি – সংবাদ কাভারেজের সামাজিক প্রভাব
  • আবু রায়হান ইফাত, স্পোর্টস রিপোর্টার, চ্যানেল আই – ক্রীড়া
  • কুদরাত উল্লাহ, সাব এডিটর, দৈনিক আমাদের সময় – বিনোদন
  • মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সাব এডিটর (কালচার ও এন্টারটেইনমেন্ট ইনচার্জ), দ্য ডেইলি সান – বিনোদন
  • ইমরান হক, হেড অব ডিজিটাল, গ্লোবাল টিভি – আলোচিত সংবাদ (মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট)
  • খান শান্ত, স্টাফ রিপোর্টার (অপরাধ), দৈনিক নতুন সংবাদ – আলোচিত সংবাদ (পরিবহন খাত)
  • মোঃ আতিক হাসান শুভ, স্টাফ রিপোর্টার, বাংলা ট্রিবিউন – আলোচিত সংবাদ (প্রিন্ট ও অনলাইন)
  • মোঃ সিফাত রানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, বার্তা২৪.কম – আলোচিত সংবাদ (অনলাইন মিডিয়া)
  • আসিফ ইকবাল, রিপোর্টার, এখন টিভি – আলোচিত সংবাদ (টিভি ও অনলাইন)
  • মোস্তফা ইমরুল কায়েস, সিনিয়র রিপোর্টার, ঢাকা মেইল – অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা (অনলাইন)
  • জাফর ইকবাল, স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক কালবেলা – অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা (প্রিন্ট / অনলাইন)
  • মোঃ পলাশ হোসেন, পাবনা জেলা সংবাদদাতা, এনটিভি অনলাইন – মফস্বল সাংবাদিকতা (মাল্টিমিডিয়া)
  • খান মাহমুদ আল রাফি, মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা, দৈনিক কালবেলা – মফস্বল সাংবাদিকতা (প্রিন্ট / অনলাইন)
  • এস. কে. সাগর, স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন – পরিবেশ বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তন
  • আরিফুল ইসলাম আরমান, হেড অব নিউ মিডিয়া ইনিশিয়েটিভস, ঢাকা পোস্ট – প্রযুক্তি (অনলাইন মিডিয়া)
  • সোলায়মান হোসেন শাওন, সিনিয়র রিপোর্টার, দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ – প্রযুক্তি (প্রিন্ট / অনলাইন)
  • শারমিন পারভিন (লিয়ানা), মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার, নিউজ২৪ – অসাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া ভিজিবিলিটি
  • মোঃ ওয়ালিউল হাসানাত, নিউজরুম এডিটর ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার, দৈনিক যুগান্তর – অসাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া ভিজিবিলিটি (প্রিন্ট ও মাল্টিমিডিয়া)
  • সাইফুল ইসলাম, হেড অব মাল্টিমিডিয়া, ঢাকা পোস্ট – অসাধারণ মৌলিক সৃষ্টিকর্ম (অনলাইন মিডিয়া)
  • সামেউল আলিম, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার, দৈনিক করতোয়া – অসাধারণ মৌলিক সৃষ্টিকর্ম (প্রিন্ট মিডিয়া)
  • আরিফুল ইসলাম, রিয়াদ প্রতিনিধি, সৌদি আরব – প্রবাস সাংবাদিকতা (টিভি ও মাল্টিমিডিয়া)
  • মাহির দিয়ান মাহদি, মাল্টিমিডিয়া চায়না করেসপন্ডেন্ট, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড – প্রবাস সাংবাদিকতা (প্রিন্ট মিডিয়া)
  • মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ সুজন, টরন্টো প্রতিনিধি, কানাডা – প্রবাস সাংবাদিকতা (অনলাইন মিডিয়া)
  • মোঃ আব্দুল খালেক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, গ্লোবাল টেলিভিশন – জুরি স্বীকৃত বিশেষ বিভাগ

জুরি স্পেশাল অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা

  • ইউনিভার্সাল অ্যামিটি ফাউন্ডেশন – মানবিক উদ্যোগ
  • আদনান হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা, ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন – মানবিক উদ্যোগ
  • কিরন – কর্পোরেট স্কিল ডেভেলপমেন্ট
  • পাঠাও অ্যাপ – এক্সিলেন্স ইন ডিজিটাল ইনোভেশন (লোকাল)
  • ফখরুদ্দিন জুয়েল, এনটিভি ডিজিটাল – ডিজিটাল মিডিয়া আইকন
  • আবু নাসিম, দীপ্তপ্লে – ডিজিটাল মিডিয়া আইকন
  • এনইউএসডিএফ (রিয়াজ হোসেন) – স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ফর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট
  • স্টার ফেয়ার (চট্টগ্রাম) – আলমগীর হোসেন আলো – এক্সিলেন্স ইন ইউথ এনগেজমেন্ট
  • মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, ফাউন্ডার, চেকমেট ইভেন্টস – এক্সিলেন্স ইন ইউথ এনগেজমেন্ট
  • গাজী পাম্পস অ্যান্ড মোটরস – পাইওনিয়ার ওয়াটার পাম্প ইন বাংলাদেশ
  • প্রিমিয়াম হোমস লিমিটেড – প্রমিসিং রিয়েল স্টেট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড
  • যমুনা এসি – দ্যা গুডনেস অফ পিউরিফাইড এয়ার এক্সিলেন্স ইন এয়ার কন্ডিশনার ইনোভেশন
  • এনপলি – পাইওনিয়ার ইন পাইপ সেটিংস ম্যানুফ্যাকচারিং ইন বাংলাদেশ
  • পামপে – এক্সিলেন্স ইন ডিজিটাল ক্রেডিট এনাবেলমেন্ট স্মার্টফোন সেগমেন্ট
  • ওয়ালটন ফ্রিজ – পাইওনিয়ার রেফ্রিজারেটর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন বাংলাদেশ
  • জহিরুল ইসলাম, ইগনাইট ইয়ুথ ফাউন্ডেশন – পাথওয়ে টু লার্নিং ইনিশিয়েটিভ
  • উইগ্রো – রুরাল ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড
  • আইওজেএইচ (IOJH) – ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন জার্নাল হাব
  • ফাস্ট ইভার আরজেএসসি রেজিস্টার্ড রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইন বাংলাদেশ
  • স্যাট একাডেমি – ইমারজিং লিডার ইন এডুটেক
  • নুসরাত শামস মানিয়া – আউটস্ট্যান্ডিং কনট্রিবিউশন টু এনিমেল কেয়ার
  • মোঃ গিয়াস উদ্দিন ইমন, জিএম ও হেড অব মার্কেটিং, দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ – এক্সিলেন্স ইন পোয়েট্রি
  • আব্দুর রউফ – ভিশনারি এআই আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড
  • সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি – জুরি স্পেশাল স্পোর্টস কনটেন্ট ক্রিয়েটর
  • ইমরুল কাওসার ইমন – জুরি স্পেশাল মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটর
  • শিব্বির মাহমুদ, চেয়ারম্যান, দিগন্ত মিডিয়া গ্রুপ – মিডিয়া আইকন
  • দৈনিক কালবেলা – ফাস্টেস্ট রাইসিং মাল্টিমিডিয়া ইনোভেশন এন্ড ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড
  • দৈনিক যুগান্তর – মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল ডিজিটাল নিউজ কন্টেন্ট পাবলিশার
  • শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম, হেড অফ কর্পোরেট কমিউনিকেশন ও পিয়ার, বিকাশ লিমিটেড – লাইফটাইম এক্সিলেন্স ইন নিউজ প্রেজেন্টেশন
  • শহীদুল আলম, ফাউন্ডার, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট – গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট ও হিউম্যানিটারিয়ান এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড

এই সম্মাননায় ডিএমএফ আবারও প্রমাণ করেছে যে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা আজ শুধুমাত্র সংবাদ প্রচার নয়—এটি প্রযুক্তি, সৃজনশীলতা ও দায়িত্বশীলতার সমন্বয়ে সমাজ পরিবর্তনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।

মন্তব্য

বাজেট
Greetings from GREC BD Aemers Admission Worldwide

প্রথমবারের মতো গেমিফিকেশন লার্নিং প্রোগ্রাম বিষয়ক ইভেন্টের আয়োজন করছে GREC BD & Aemers Admission Worldwide

প্রথমবারের মতো গেমিফিকেশন লার্নিং প্রোগ্রাম বিষয়ক ইভেন্টের আয়োজন করছে GREC BD & Aemers Admission Worldwide

২৬ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার,, প্রথমবারেরে মতো গেমিফিকেশন লার্নিং প্রোগ্রাম বিষয়ে একটি ইভেন্টের আয়োজন করছে GREC BD & Aemers Admission Worldwide। এই প্রোগ্রামটি বিশেষভাবে বর্তমান আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী নিজেদের মধ্যে আলোচনা , চিন্তাভাবনা, দলবদ্ধ কাজ, সার্ভের মাধ‍্যমে এ গেমটি ডিজাইন করেছে। প্রোগ্রামে পাঁচটি ইন্টারেক্টিভ লার্নিং গেম থাকবে, যা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করবে। প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে শেখা, গঠনমূলক চিন্তাভাবনা, দলগতভাবে কাজ করা এবং সমস্যা সমাধান কিভাবে করতে হয় শেখার সুযোগ পাবেন।

প্রথমবারের মতো গেমিফিকেশন লার্নিং প্রোগ্রাম বিষয়ক ইভেন্টের আয়োজন করছে GREC BD & Aemers Admission Worldwide

এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট পরিচালক হোসনে আরা বেগম জানান এই গেম এর মাধ্যমে তাদের অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটিস বোঝা এবং ক্রিটিক্যাল সমস্যাগুলো সমাধানে সহায়তা করবে এবং উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের এই যাত্রাকে আরও সহজ করবে। এই গেমটি তৈরি করেছে কিছু মেধাবী আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী। তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও কাজের সময় যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতেই এটি নির্মিত। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীরা যদি এই গেম থেকে উপকৃত হয়, তবে আমাদের এই উদ্যোগই হবে সত্যিকারের সফলতা।

প্রথমবারের মতো গেমিফিকেশন লার্নিং প্রোগ্রাম বিষয়ক ইভেন্টের আয়োজন করছে GREC BD & Aemers Admission Worldwide

এছাড়াও এর মাধ‍্যমে শিক্ষার্থীরা মাল্টিপল-চয়েস, ফিল-ইন-দ্য-ব্ল্যাঙ্ক, ড্র্যাগ-অ্যান্ড-ড্রপ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিখবে কিভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পায়, ব্যবসা ও ফাইন্যান্স বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রসারিত হয় এবং জীবন ও কর্মধারার পরিবর্তন ঘটে।

প্রথমবারের মতো গেমিফিকেশন লার্নিং প্রোগ্রাম বিষয়ক ইভেন্টের আয়োজন করছে GREC BD & Aemers Admission Worldwide

এখানে ৫০-এর অধিক শিক্ষার্থী সনদপত্র পেয়েছেন এবং তাদের পিতামাতা ও অভিভাবক অংশগ্রহণ করে তাদের সাফল্য উদযাপন করেছেন। এমন একটি তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানে অভিভাবক, অতিথি ও কমিউনিটি লিডাররাও উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাজেট
Per capita income of Dhaka people is 5 thousand 163 dollars DCCI

ঢাকার মানুষের মাথাপিছু আয় ৫ হাজার ১৬৩ ডলার: ডিসিসিআই

*এটি দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয়ের প্রায় দ্বিগুণ *দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশ ঢাকায়
ঢাকার মানুষের মাথাপিছু আয় ৫ হাজার ১৬৩ ডলার: ডিসিসিআই

ঢাকা জেলার মানুষের গড়ে মাথাপিছু আয় বর্তমানে ৫ হাজার ১৬৩ মার্কিন ডলার। এটি দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয়ের প্রায় দুই গুণের কাছাকাছি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত অর্থবছর (২০২৪–২৫) শেষে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলার।

গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ইকোনমিক পজিশন ইনডেক্স (ইপিআই) বা অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক প্রণয়নবিষয়ক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ঢাকার মানুষের মাথাপিছু আয়ের এমন তথ্য জানানো হয়।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সংস্থা, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা চেম্বার জানায়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১১ সালে করা জেলাভিত্তিক জিডিপির তথ্যকে ভিত্তি ধরে এ জেলার বিনিয়োগ, ভোগ, ব্যয়, আমদানি, রপ্তানি, আয়তন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা জেলার মাথাপিছু আয়ের এ হিসাব অনুমান করা হয়েছে। যদিও ঢাকার মাথাপিছু আয় ও জিডিপির এসব তথ্যের সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি।

সর্বশেষ গত মে মাসে জাতীয় মাথাপিছু আয়ের তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস। এতে উঠে আসে, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন (২০২৪–২৫ অর্থবছর) ২ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলার। এই মাথাপিছু আয় এযাবতকালের রেকর্ড। এর আগের অর্থবছরের চেয়ে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৮২ ডলার। গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৩৮ ডলার। তবে বিবিএস বিভাগ বা জেলাভিত্তিক মাথাপিছু আয়ের হিসাব করে না।

মাথাপিছু আয় ব্যক্তির একক আয় নয়। দেশের অভ্যন্তরীণ আয়ের পাশাপাশি প্রবাসী আয়সহ যত আয় হয়, তা একটি দেশের মোট জাতীয় আয়। সেই জাতীয় আয়কে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে এই হিসাব করা হয়।

বিবিএসের হিসাবে দেখা গেছে, ২০২১–২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার। এরপর ২০২২–২৩ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৪৯ ডলারে। গত অর্থবছরে তা আরও কমে ২ হাজার ৭৩৮ ডলার হয়। মূলত ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় বিবিএসের হিসাবে মাথাপিছু আয়ের পার্থক্য হয়।

কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশ ঢাকায়

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এ কে এম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী। তিনি জানান, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বড় একটি অংশ সম্পন্ন হয় ঢাকা জেলায়। দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশ আসে এই জেলা থেকে। ঢাকাকে বিবেচনা করা হয় আর্থিক খাতের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সাড়ে ৭০০–এর বেশি কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ঢাকা জেলায় অবস্থিত।

আসাদুজ্জামান জানান, দেশের শহুরে জনসংখ্যার ৩২ শতাংশের বাস ঢাকা জেলায়। আর মোট জনসংখ্যার ১১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ ঢাকায় থাকেন। ঢাকা খুবই শিল্পঘন জেলা। দেশের মোট পণ্য রপ্তানির ৪০ শতাংশের বেশি হয় এ জেলা থেকে। সব মিলিয়ে মোট দেশজ আয়ে (জিডিপি) এককভাবে ৪৬ শতাংশ অবদান রাখছে ঢাকা জেলা।

ইপিআই সূচক চালু করবে ঢাকা চেম্বার

দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে ইকোনমিক পজিশন ইনডেক্স (ইপিআই) বা অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা চেম্বার। প্রতি তিন মাস পরপর ইপিআই সূচক প্রকাশ করা হবে। এতে মূলত শিল্প ও সেবা খাতের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পরিবর্তন চিহ্নিত করা হবে এবং তার আলোকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নীতিনির্ধারকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে।

ঢাকা চেম্বারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় ইপিআই সূচক নির্ধারণের প্রক্রিয়া ও কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ পরিমাপের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন সূচক, যেমন বিসিআই, ইজ অব ডুইং বিজনেস ইনডেক্স, জিডিপি প্রভৃতি রয়েছে। তবে এসব সূচক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রকৃত পরিবর্তন ও কারণগুলো যথাযথভাবে প্রতিফলিত করতে পারে না। সরকার অনেক সময় ভূ–অর্থনৈতিক পটভূমি নীতিনির্ধারণ করে, কিন্তু হালনাগাদ তথ্য না থাকায় সেগুলো সব সময় কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না।

এমন বাস্তবতায় ইপিআই সূচক প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তাসকিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, স্থানীয় বিভিন্ন সূচকে দেখা যায়, ‘দেশের অর্থনীতি ভালো করছে। কিন্তু বৈশ্বিক সূচকের কিংবা অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখতে পাই, আমরা বিভিন্ন সূচকে সবচেয়ে নিচের দিকে থাকি। তাই এসব সূচকের তথ্যে আত্মতুষ্টির কারণ নেই; বরং এসব সূচককে বৈশ্বিক মানের সঙ্গে তুলনা করে প্রকাশ করলে সেটি বেশি কার্যকর হবে।’

আর ইপিআই সূচকটি প্রতি মাসে প্রকাশ করা ও সূচকের পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ দেন ঢাকা চেম্বারের আরেক সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) মহাপরিচালক মো. নূরুল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্পের (এসএসজিপি) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ নেসার আহমেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক সৈয়দ মুনতাসির মামুন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ কে এম আতিকুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (এসএমইএসপিডি) নওশাদ মোস্তফা, পরিচালক মো. সালিম আল মামুন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. দীন ইসলাম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইএসএস) গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট মিয়া রহমত আলী প্রমুখ।

মন্তব্য

বাজেট
ELF Lubricants Hybrid Vehicle Service Trained 50 Mechanics

ইএলএফ লুব্রিক্যান্টসের হাইব্রিড গাড়ি সার্ভিস প্রশিক্ষণ পেল ৫০ মেকানিক

ইএলএফ লুব্রিক্যান্টসের হাইব্রিড গাড়ি সার্ভিস প্রশিক্ষণ পেল ৫০ মেকানিক

ফ্রান্সের পারফরম্যান্স লুব্রিক্যান্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিক্যান্টস স্থানীয় গাড়ি মেকানিকদের দক্ষতা উন্নয়নে একদিনব্যাপী বিশেষ হাইব্রিড গাড়ি সার্ভিস প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করেছে।

টোটালএনার্জিসের এই ব্র্যান্ডের উদ্যোগে কর্মশালাটি শুক্রবার রাজধানীর কন্টিনেন্টাল ওয়ার্কস লিমিটেডের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের বিভিন্ন সার্ভিস ওয়ার্কশপ থেকে আসা ৫০ জন অভিজ্ঞ মেকানিক প্রশিক্ষণে অংশ নেন।

কর্মশালায় হাইব্রিড গাড়ির ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণ, ইলেকট্রিক মোটর পরীক্ষা, হাইব্রিড ট্রান্সমিশন সার্ভিসিং, হাই-ভোল্টেজ নিরাপত্তা ও আধুনিক ত্রুটি শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইএলএফ জানিয়েছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য স্থানীয় মেকানিকদের আরও দক্ষ করে তোলা, যাতে তারা গাড়ির কর্মক্ষমতা বাড়াতে, মেরামতের সময় কমাতে ও গাড়ির আয়ুষ্কাল দীর্ঘ করতে পারেন।

এতে চালক ও মালিকরা উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণও হ্রাস পাবে বলে জানায় ইএলএফ।

প্রশিক্ষণটি স্থানীয় চাহিদা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সাজানো হয়েছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল অটোমোটিভ প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এটি ইএলএফ-এর একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোটালএনার্জিস বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বিক্রয় পরিচালক টেরি হায়াশি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্কশপ মালিক, সার্টিফায়েড মেকানিক, প্রশিক্ষক, ফ্লিট সার্ভিস ম্যানেজার, মোটরযান সাংবাদিক, ইএলএফ পরিবেশক ও অন্যান্য অংশীদাররা।

ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, ‘গাড়ির প্রযুক্তি দ্রুত বদলাচ্ছে, তাই তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দক্ষতাও বাড়াতে হবে। আজকের প্রশিক্ষণ তাদের জন্য স্বীকৃতি, যারা প্রতিদিন আমাদের সড়ক ব্যবস্থা সচল রাখছেন। পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক পরিবহনের ভবিষ্যৎ গড়তে আমরা বাংলাদেশের মেকানিকদের পাশে থাকতে পেরে গর্বিত।’

ইএলএফ বাংলাদেশের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, টেকনিশিয়ানদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ মানে ভবিষ্যতের পরিবহন খাতকে শক্তিশালী করা। আমরা হাইব্রিড সার্ভিসিং জ্ঞান ও নিরাপদ কার্যাভ্যাস ছড়িয়ে দিয়ে একটি টেকসই সার্ভিস নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছি।

আগামী দিনে নতুন প্রজন্মের গাড়ির জন্য স্থানীয় কারিগরি সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইএলএফ, যা গাড়ির সার্ভিসিং মান, নিরাপত্তা ও দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে।

মন্তব্য

বাজেট
Wheat officially arrived from the United States for the first time

যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে এলো গম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে এলো গম

বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো জি টু জি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি শুরু করছে।

উভয় দেশের সরকারে মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আলোকে এ আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বাংলাদেশের খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-এর মধ্যে চুক্তিটি সই হয়। এর আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।

প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি নোরস স্ট্রিড জাহাজটি শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙরে পৌঁছায়।

জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা যায়, ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গমের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন চট্টগ্রামে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৮৯ মেট্রিক টন গম মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।

মন্তব্য

বাজেট
IMF welcomed Bangladesh Banks increase in reserves

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানাল আইএমএফ

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানাল আইএমএফ

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে রিজার্ভ বৃদ্ধি প্রশংসনীয়। তবে এই প্রক্রিয়া দেশের ঘোষিত বিনিময় হার ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা তারা মূল্যায়ন করবে।

আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপপরিচালক থমাস হেলব্লিং বলেন, “রিজার্ভের সঞ্চয়কে আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির একটি কেন্দ্রীয় লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, বিশেষ করে যেহেতু দেশটি এখনো পেমেন্ট ভারসাম্যের চাপের মুখে রয়েছে।”

গত শুক্রবার হংকংয়ে আয়োজিত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, পেমেন্ট ভারসাম্যের দুর্বলতা হ্রাসে রিজার্ভ বৃদ্ধির লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ। এ সাফল্যের জন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংককে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান।

তিনি জানান, ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির পঞ্চম পর্যালোচনার অংশ হিসেবে আইএমএফের একটি মিশন চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফর করবে। মিশনটি মাঠপর্যায়ে কাজ করবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে। ফলাফল কী হয়, তা এখনো দেখার বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তবে এই পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত বিনিময় হার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, সেটিও আইএমএফ মূল্যায়ন করবে বলে তিনি জানান।

আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। এ বৃদ্ধি ঘটেছে মূলত মুদ্রা প্রবাহ বাড়া, ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম থাকা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বাজার থেকে ডলার কেনার কারণে।

২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে আমদানি বৃদ্ধির ফলে রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি হয়। ওই সময় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করে। এক বছরের বেশি সময় ধরে ‘ক্রলিং পেগ’ (নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা) বিনিময় হার ব্যবস্থা বজায় রাখার পর, ২০২৫ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিময় হার ব্যবস্থায় নমনীয়তা চালু করে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত টাকার মান ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। তবে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহ, বিশেষ করে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে।

মন্তব্য

p
উপরে