করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আর এ জন্য মূল কৃতিত্ব তিনি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের মানুষকে।
মুস্তফা কামালের ভাষায়, ‘অসম্ভব’ কর্মদক্ষতা নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে চলেছেন শেখ হাসিনা। আর তাকে অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে চলেছেন এই দেশের ১৭ কোটি মানুষ।
তিনি বলেন, ‘মহামারির এই কঠিন সময়েও আমাদের দেশের মানুষ কাজ বন্ধ করেননি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজ করে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। আমাদের দেশের মানুষ কর্মঠ, প্রচণ্ড আত্মপ্রতয়ী। জীবন-জীবিকা একসঙ্গে চালিয়ে তারা অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত।’
মহামারির মধ্যেই আরেকটি বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন তিনি। এটা তার তৃতীয় বাজেট। আর বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট।
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এবার তার বাজেটের শিরোনাম দিয়েছেন, ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’।
বাজেট ঘোষণার এক দিন আগে মঙ্গলবার নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত ২৩টি প্যাকেজের আওতায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৩০৩ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা, এরপর শিল্পোৎপাদন চালু করা সবই ছিল ‘সময়োপযোগী’ পদক্ষেপ।
‘পুরো দেশ এখন এর সুফল পাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্র ভালো করছে। প্রতিটি খাত উড়ন্ত অবস্থায় আছে। সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী। কোনো দেশেই এ অবস্থা খুঁজে পাওয়া যাবে না’, বলেন মুস্তফা কামাল।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় তিনি বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিছু অমানুষ তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি।
‘পিতার মতোই দেশের মানুষকে ভালোবেসে এই দেশটাকে “সোনার বাংলাদেশ” গড়ার নেশায় রয়েছেন শেখ হাসিনা। শুধু আমি নই, দেশের মানুষও এখন দেখতে পাচ্ছেন, বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।’
মহামারির এই সময়ে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেশের নতুন বাজেট নিয়ে কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে গাণিতিক কোনো সংখ্যা প্রকাশ করতে রাজি হননি। বাজেটের লক্ষ্য ও ধরন নিয়ে একটা ধারণা দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, ব্যাংক খাত, পুঁজিবাজারসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। নিচে তার সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো:
নিউজবাংলা: কোভিড-১৯ গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে তছতছ করে দিয়েছে। এর মধ্যে কেমন চলছে বাংলাদেশের অর্থনীতি?
মুস্তফা কামাল: আমি আপনার প্রশ্নের উত্তরটা এভাবে শুরু করতে চাই: ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে আছে শুধু বাংলাদেশ, চীন ও ভিয়েতনাম। ২০২০ সালে বাংলাদেশের যে অর্জন, আমি মনে করি এটিই বড়ভাবে দেখা যেতে পারে। কারণ, গত বছরটা ছিল আমাদের জন্য ঐতিহাসিক বছর। গত বছর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর পাশাপাশি বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। এই দেশের মানুষ যথাযথভাবে জাতির পিতাকে বিশ্বদরবারে আরও আলোকিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কামার, কুমার, তাঁতি, জেলে, চাষি, ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষই কাজ করছেন। এ জন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।
আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা শেখ হাসিনার মতো একজন নেতা, একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, যিনি সামনে দেখতে পান… দেশের সব মানুষকে তিনি জানেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আগামী দেখার দক্ষতা রয়েছে। তিনি দেশের মানুষের নার্ভ বুঝতে পারেন। ওয়ান-টু-ওয়ান দেখতে পান।
মানুষকে যতটা সম্ভব দ্রুত কাজে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অর্থনীতি সচল রাখতে করোনাভাইরাসের প্রকোপের শুরুতেই এক লাখ দশ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যখন প্রধানমন্ত্রী এই প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন, তখন আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। পুরো দেশ এখন এর সুফল পাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্র ভালো করছে। প্রতিটি খাত উড়ন্ত অবস্থায় আছে। সামনের দিকে যাচ্ছে। সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী। কোনো দেশেই এ অবস্থা খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, সবকিছু মিলিয়ে ভালোভাবেই অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। সামনে আরও সুন্দর দিন অপেক্ষা করছে। বঙ্গবন্ধু যা করে যেতে পারেননি, সেগুলো করার জন্য তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সোনার বাংলা নির্মাণের মাধ্যমে সুবর্ণরেখা স্পর্শ করবেন।
আমাদের শক্তি হচ্ছে এ দেশের মানুষ। শেখ হাসিনা এই মানুষকে ভালোবেসে, গাইডলাইন দিয়ে একদম সামনে থেকে লিড দিয়ে সামনে নিয়ে যাচ্ছেন।
মহামারি করোনাভাইসের ধাক্কা সামলে আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে; অর্থনীতির সব সূচক এখন উর্ধ্বমুখী। কোভিড-১৯-এর আঘাতে পৃথিবীর বড় বড় দেশের অর্থনীতি যেখানে তছনছ হয়ে গেছে, আমরা সেখানে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করে মাথা উঁচু করে ঘুরে দাঁড়িয়ে আছি। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে।
নিউজবাংলা: বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে আপনি জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছিলেন ৮ দশমিক ২ শতাংশ। করোনার কারণে প্রথম দফায় তা কমিয়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ নামিয়ে এনেছিলেন। এখন তা আরও কমিয়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশে এনেছেন। আসলে কত হবে?
মুস্তফা কামাল: এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক- এডিবি বলছে, এবার আমাদের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫ থেকে ৬ শতাংশের মতো হবে। বিশ্বব্যাংক অবশ্য বলছে কম হবে; ওরা প্রতিবারই কম বলে। কিন্তু বছর গেলে হিসাব শেষে দেখা যায়, তাদের হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। এবারও তাই হবে।
এখানে একটা কথা আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, দেশের মানুষ আত্মনিবেদিত হয়ে এবং আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যার যতটা সুযোগ আছে, সেখান থেকেই এ দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করছেন। এতে দেশের অর্থনীতি আরও অনেক ওপরে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা দেশের মানুষ কাজ করে চলেছেন। ফলে আমি মনে করি, এই মহামারির কঠিন সময়েও আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের কম হবে না। আর এটা যদি হয়, তাহলেই আমরা খুশি; কেননা, পৃথিবীর অনেক দেশই এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে না। কোনো কোনো দেশের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে।
এখানে আমি আরও একটা বিষয় বলতে চাই, ইতিমধ্যে কিন্তু আমরা মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছি। পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছি তো অনেক আগেই। শ্রীলঙ্কাকে রিজার্ভ থেকে ঋণ দিতে যাচ্ছি। আর এসব নিয়ে বাংলাদেশকে প্রশংসা করে এই তিন দেশের মিডিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। এতেই প্রমাণিত হয়, আমরা ভালো করছি; নানা বাধা-বিপত্তির মধ্যেও এগিয়ে চলেছি।
নিউজবাংলা: দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আশার কথা শোনাচ্ছেন আপনি। সত্যিই কি অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে?
মুস্তফা কামাল: গত কয়েক বছর ধরেই আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেশ ভালো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমরা ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। তার আগের বছরগুলোতেও ৭ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। কোভিড-১৯-এর কারণে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি অর্জিত হবে বলে আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রাথমিক তথ্য দিয়েছে।
আমাদের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যাবে, দেশের অর্থনীতি কেমন চলছে। একটি বিষয় অবিশ্বাস্য রকম অবাক করে দিয়েছে আমাকে: এই মহামারির মধ্যেও আমাদের প্রবাসী ভাইবোনেরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়ে চলেছেন। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে আসে; প্রবৃদ্ধি ৪০ শতাংশের মতো। এর আগে কোনো অর্থবছর বা বছরেও এত রেমিট্যান্স দেশে আসেনি।
সবাই যখন আশঙ্কা করেছিল, মহামারির ধাক্বায় রেমিট্যান্স একেবারে কমে যাবে। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো বেশি বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে আমরা সাহস পাচ্ছি। মহামারি মোকাবিলা করাও আমাদের সহজ হচ্ছে।
এই রেমিট্যান্সে দেশে লাখ লাখ পরিবার চলছে। ছোট ছোট ব্যবসা হচ্ছে। রেমিট্যান্স আরও বাড়বে। কারণ সরকার এ ক্ষেত্রে প্রণোদনার মাধ্যমে পাঠানোর খরচ দিয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স পাঠাতে যে ফরম পূরণ করতে হয়, তা সহজ করা হয়েছে।
এখানে আরেকটি কথা আমি বলতে চাই, আমি যখন পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলাম, তখনই একটা বিষয়ে আমি স্টাডি করেছিলাম। আমি হিসাব করে দেখেছিলাম, দেশে সব মিলিয়ে ৩৪-৩৫ বিলিয়ন ডলারের মতো রেমিট্যান্স দেশে আসত। এর মধ্যে অর্ধেকেরও কম ১২ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার আসত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধ পথে। বাকিটা আসত হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধ পথে।
এখন ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়ার কারণে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরিমাণ অনেকটা কমেছে। এটাকে একেবারে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করছি আমরা।
নিউজবাংলা: অর্থনীতির আরেক গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও বেশ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। রিজার্ভ কি আরও বাড়বে বলে আপনার মনে হয়?
মুস্তফা কামাল: আমাদের আরেকটি স্বস্তির বিষয় হচ্ছে রিজার্ভ। মূলত রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই বর্তমানে আমাদের রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ওপরে অবস্থান করছে। এ বছরের মধ্যেই রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।
নিউজবাংলা: প্রধানমন্ত্রী রিজার্ভ বিনিয়োগে নিয়ে আসার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে কী ধরনের চিন্তাভাবনা করছেন?
মুস্তফা কামাল: প্রধানমন্ত্রীর কথা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে আমরা সরকারি প্রকল্পে রিজার্ভ থেকে অর্থায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণের মতো প্রকল্পে এই অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছি। বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ নিলে ৪ থেকে ৫ শতাংশ সুদ দিতে হয়। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিদেশে বিনিয়োগ করলে এক থেকে দেড় শতাংশের বেশি সুদ পাওয়া যায় না। ফলে এই অর্থ সরকার ব্যবহার করলে রাষ্ট্রেরই লাভ।
আমরা সেই কাজটিই শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যে। রিজার্ভ থেকে প্রথম ঋণ পাচ্ছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা, যা দেয়া হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরোয়। ১০ বছর মেয়াদে এই ঋণ দেবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। এর মধ্যে তিন বছর গ্রেস পিরিয়ড। সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশি টাকা দিয়ে ইউরো কিনে এই ঋণ দেবে।
নিউজবাংলা: অর্থনীতির অন্য সূচকগুলো সম্পর্কে কিছু বলবেন?
মুস্তফা কামাল: আমি যখন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিই, তখন বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্য (ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট) ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেতিবাচক ছিল। এখন তা ইতিবাচক। কোভিড-১৯-এর কারণে আমাদের রপ্তানি আয়ে ধাক্কা লেগেছিল, সেটা কেটে গেছে। এই অর্থবছরের ১১ মাসে অর্থাৎ জুলাই-মে সময়ে ৯ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মহামারির ধাক্কা সামলে উঠতে আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে ১০ হাজার কোটি টাকার মতো প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত এই বিচক্ষণ ঘোষণা রপ্তানি বাণিজ্য দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে বলে আমি মনে করি।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে বরাবরের মতোই আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেছি। প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ফলে বিনিয়োগেও গতি ফিরে এসেছে। গত কয়েক মাস ধরে আমদানি ব্যয়ও বাড়ছে। আশা করছি, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তা ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
নিউজবাংলা: আপনি বলছিলেন, নতুন বাজেটের গাণিতিক কোনো সংখ্যা প্রকাশ করবেন না। বাজেটের লক্ষ্য ও ধরন নিয়ে খানিকটা ধারণা দেবেন, প্লিজ।
মুস্তফা কামাল: বাজেট কেমন হচ্ছে, কী থাকছে তা জানার জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেদিন সংসদে প্রচারিত হবে, সত্যিকার তথ্য আপনাদের সামনে চলে আসবে। এটা কোনোভাবেই আমরা ডিসক্লোজ করতে পারি না। তবে জেনারেলি আমরা এই কথা বলতে পারি যে, আমাদের লক্ষ্যই থাকবে দেশের মানুষকে বাঁচানো; ব্যবসায়ীদের বাঁচানো। সবার সবকিছু দেখেই আমরা এবার বাজেট উত্থাপন করব।
আমাদের সব পিছিয়ে পড়া মানুষ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে রাখতে হবে। তাদের সঙ্গে রেখেই এগিয়ে যেতে চাই। সে কারণেই এভাবে বলতে চাই, আগামী বাজেট হবে ‘জীবন ও জীবিকা রক্ষার’ বাজেট।
সমাজের অতিদরিদ্র মানুষকে মূলধারায় নিয়ে আসা, গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করা এবং মহামারির কারণে বিধ্বস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোকে টিকে থাকার সুযোগ করে দেয়ার কৌশল অবশ্যই থাকবে নতুন বাজেটে।
নিউজবাংলা: অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক ভালো থাকলেও বিনিয়োগে স্থবিরতা কিন্তু কাটছে না। এবারের বাজেটে বিনিয়োগ বাড়াতে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মুস্তফা কামাল: সামষ্টিক অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য। বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে। এ জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন জোগান দিতে সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখা হবে। গত বছরের এপ্রিল থেকে ব্যাংকঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন হচ্ছে। অর্থনীতির গতিশীলতার জন্য অনেক আগে থেকেই মুদ্রানীতি সম্প্রসারণমূলক রয়েছে। সুতরাং ভাবার কোনো কারণ নেই, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ হয়ে গেছে, ফলে আর নতুন বিনিয়োগ হবে না। অর্থনীতিতে গতি আনতে আরও নীতি-সহায়তা প্রয়োজনা হলে অবশ্যই দেয়া হবে।
এখানে আরেকটি বিষয় বলে রাখা খুবই প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি: এই যে ৯ শতাংশ সুদহার বাস্তবায়ন করা হয়েছে, এটার পুরো কৃতিত্ব কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অর্জন করতে সুদহার কমাতে হবে। নতুবা আমরা কারোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকব না। এ জন্য ব্যাংকঋণের সুদহার কমানোও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ছিল। যার সুফল এখন ব্যবসায়ী, ব্যাংক সবাই পাচ্ছে।
অনেকেই বলেছিল, ব্যাংক এই সুদহারে কাজ করতে পারবে না। আমি বলেছিলাম, লোকসান হবে না। কারণ ১৪ বা ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে বছর শেষে বড় অঙ্কের রাইট-অফ করতে হচ্ছে। কম সুদে কম আয় করলেও নিট আয় বেশি থাকবে, যদি রাইট-অফ করতে না হয়। এখন যে তথ্য পাচ্ছি, ব্যাংকগুলো ভালো ব্যবসা করছে। কোনো কোনো ব্যাংক ৯ শতাংশের কম সুদেও ঋণ দিচ্ছে।
নিউজবাংলা: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর তো কোনো উন্নতি হচ্ছে না। সার্বিক ব্যাংক খাত নিয়ে কিছু বলবেন?
মুস্তফা কামাল: আমি আসার আগে প্রতিটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে প্রতিবছর সুন্দরভাবে মূলধন সরবরাহ করা হতো। মূলধন না দিলে তারা চলতে পারত না। আমি তাদের সঙ্গে একটা সভা করে সুস্পষ্টভাবে বলেছি, মূলধন আর সরবরাহ করা হবে না। উপার্জন বাড়িয়ে নিজেদের তহবিলে চলতে হবে।
এখন আর কাউকে টাকা দিতে হচ্ছে না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো মুনাফা করছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো প্রতিটি মুনাফা করছে। ব্যাংকগুলোকে এখন আর তহবিল নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে না।
খেলাপি ঋণ কমানোরও নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করছি, ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
নিউজবাংলা: দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে খারাপ অবস্থা চলছিল। সবাইকে অবাক করে দিয়ে এই মহামারির মধ্যে বাজার চাঙাভাবে ফিরেছে। এর পেছনে কী কারণ দেখছেন আপনি?
মুস্তফা কামাল: আমাদের পুঁজিবাজার এখন অনেক শক্তিশালী। অন্য সময় ব্যাংক থেকে টাকা না দিলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আসত না। এখন কিন্তু রেমিট্যান্সের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হচ্ছে। পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়ছে; সূচক বাড়ছে।
এটি অর্থনীতির আরেকটি খাত, যেখানে অনেক মানুষ সম্পৃক্ত। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিএসইসিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে। আশা করছি, একটি ভালো পুঁজিবাজার আমরা দেখতে পাব।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৬৩০ টাকা। সে হিসাবে স্বর্ণের ভরি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন বুধবার তা ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে স্বর্ণের নতুন নির্ধারিত দাম কার্যকর হবে।
বাজুস এর আগে চলতি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ভালো মানের স্বর্ণের ভরিতে ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়। মাঝে ২০ এপ্রিল ভরিতে ৮৪০ টাকা দাম কমানোর পরদিন ২১ এপ্রিল আবার ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।
এবার শুরু হয় দাম কমানোর পালা। সবশেষ দাম বাড়ানোর দু’দিন পর ২৩ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে তিন হাজার ১৩৮ টাকা ও ২৪ এপ্রিল দু’হাজার ৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। আর বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ টানা তিন দিনে স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।
সোনার দামে এমন উত্থান-পতনের কারণ জানতে চাইলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন নতুন পদ্ধতি বা পলিসি অনুসরণ করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করি। সেটি হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল পলিসি।
‘এতদিন আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করতাম। সেক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে যখন স্বর্ণের দাম কমত তখন আমরা কমাতাম। আর যখন বাড়ত তখন বাড়াতাম।’
তিরি আরও বলেন, ‘এখন আমরা আমাদের স্বর্ণের সবচেয়ে বড় বাজার তাঁতীবাজারের বুলিয়ান মার্কেট ফলো করে দর নির্ধারণ করি। এই বাজারে স্বর্ণের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় উঠা-নামা করে। সেটা অনুসরণ করে আমরা নতুন দর নির্ধারণ করে থাকি। সেক্ষেত্রে দিনে দু’বারও গোল্ডের দাম বাড়ানো-কমানো হতে পারে।’
আরও পড়ুন:ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে।
ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলমের সভাপতিত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২৫ জুন ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১৬ মে।
সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সঙ্গে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন:কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে সমগ্র বিশ্ব যখন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হয়, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়।
যদিও একটি শ্রেণি বাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে বরাবরই সক্রিয় ছিল। তবে দূরদর্শী নেতৃত্বগুণে বিনিয়োগকারীদের অর্থের সুরক্ষা দিতে বারবার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দেননি অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক আচরণ করছে পুঁজিবাজার। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও এ পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে বাজারকে স্থিতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এমনকি পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে গতকাল ফ্লোর প্রাইসমুক্ত সব শেয়ারে একদিনের দর কমার নিম্নসীমা (সার্কিট ব্রেকার) ৩ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির সময়োপযোগী এমন পদক্ষেপ বাজারকে আবারও টেনে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সন্দেহভাজন বেশকিছু লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে বাজারে। এতে বিশেষ একটি শ্রেণি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বাজারকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করছে। কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও এতে জড়িত রয়েছে। বাজারে অবাঞ্ছিত বিক্রির আদেশ দিয়ে তারা অস্থিরতা তৈরি করছে। তাছাড়া বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে বাজারে একটা শ্রেণি স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে বাজার কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে।
এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বেশ কিছু ট্রেডার নিজেদের মধ্যে যোগশাজসের মাধ্যমে প্রথমে কম দরে শেয়ার বিক্রি করত। পরে তাদের দেখাদেখি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যখন প্যানিক হয়ে শেয়ার বিক্রি করত তখন তারা আবার কম দরে শেয়ারগুলো কিনে নিত। এভাবে তারা নিজেদের মধ্যে শেয়ার লেনদেন করে প্যানিক সৃষ্টির মাধ্যমে ভালো শেয়ারগুলোর দাম কমাত। এই কাজে তাদের বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও সহযোগিতা করত।’
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ারের দর কমার কথা নয়। গুটি কয়েক অসাধু ট্রেডারের কারসাজিতে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে বড় বড় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন বলেন, ‘এক শ্রেণির অসাধু বিনিয়োগকারী চাচ্ছেন বর্তমান কমিশন বিদায় হয়ে নতুন কেউ দায়িত্বে আসুক, যাতে তারা নতুন করে আরও সুযোগ নিতে পারেন। তারাই বিভিন্ন দুর্বল শেয়ারে কারসাজি করে সুবিধা নিচ্ছেন।
‘ফোর্সড সেলের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার তারা কম দরে কিনে নিচ্ছেন। কমিশনের উচিত হবে কারসাজিকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, যাতে তারা বারবার বাজারকে ম্যানিপুলেট করার সাহস না পায়।’
এদিকে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক সময়ের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
ওই আদেশে বলা হয়, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর এক দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। বর্তমানে দরভেদে কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।
দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়েছে। সার্কিট ব্রেকারের এ সিদ্ধান্ত বুধবার থেকে কার্যকর করতে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আজকের এই সার্কিট ব্রেকার আরোপ বাজারে কারসাজি রোধ করবে। এটি সন্দেহভাজন লেনদেন বন্ধ করবে। আর এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি সক্রিয় হবে বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো শেয়ার বর্তমানে আন্ডারভ্যালুতে আছে। এখানে তারা বিনিয়োগ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’
সার্কিট ব্রেকার বাজারের দরপতন ফেরাতে ব্যর্থ হলে আবারও ফ্লোর প্রাইস দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আশা করছি, আমাদের বাজারে আর কখনও ফ্লোর প্রাইস দিতে হবে না। শিগগিরই বাজার একটা স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরবে।’
আরও পড়ুন:দেশের পুঁজিবাজারে শেয়ারের দরপতনের গতি কমিয়ে আনার চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার আগের দিনের শেষ হওয়া দরের ভিত্তিতে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না।
শেয়ারের দাম কমার ক্ষেত্রে আগে মূল্যসীমা ছিল ১০ শতাংশ। তবে ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ কোনো শেয়ারের দাম বাড়ার সীমা ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বুধবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, যেসব শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের আওতায় আছে সেসব শেয়ারের ক্ষেত্রে নতুন আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বাজার সূচকের অবাধ পতন ঠেকাতে এর আগে ২০২২ সালের জুলাই শেষে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস ছিল ২০২২ সালের ২৮ জুলাই ও তার আগের চার দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড়।
বর্তমানে বেক্সিমকো, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানির ক্ষেত্রে ওই ফ্লোর প্রাইস কার্যকর রয়েছে।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম একদিনের ব্যবধানে আরেক দফা কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে দু’হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বলা হয়েছে,
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নতুন নির্ধারিত দাম বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।
বাজুস এর আগের দিন মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা।
নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৯৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের ভরি ১ হাজার ৭১৪ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা।
অবশ্য স্বর্ণালঙ্কার কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এর চেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৮ টাকা।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার ভরি ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বাজারে গত বছর প্রথমবারের মতো ল্যাপটপ নিয়ে আসে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী ও এক্সিকিউটিভদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে এ ল্যাপটপ।
দেখে নেওয়া যাক কী আছে ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস ল্যাপটপটিতে। এর ফিচার, পারফরম্যান্স ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাই বা কেমন।
ডিজাইন ও গঠন
স্লিক ও হালকা ডিজাইনের ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস সহজেই সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। শিক্ষার্থী ও ব্যস্ত এক্সিকিউটিভদের জন্য এ ল্যাপটপ যথার্থ। এর পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক মেটালিক ডিজাইন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে দেয় প্রিমিয়াম অনুভূতি। স্লিক প্রোফাইল ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত সরু বেজেল ল্যাপটপটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। ফলে বাজারের একই ধরনের দামি ল্যাপটপের সমকক্ষ হয়ে ওঠে ওয়াইটু প্লাস।
তা ছাড়া এর মসৃণ এজি গ্লাস টাচ প্যানেলের কারণে সিল্কি-স্মুথ ও স্থায়ী টাচের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। ১.৫ মিলিমিটার কি ট্র্যাভেল এবং ব্যাকলাইটিংযুক্ত রেসপনসিভ কি-বোর্ড টাইপিংকে করে তোলে সহজ ও আরামদায়ক। তাই কম আলোতেও টাইপ করতে কোনো সমস্যা হয় না।
পারফরম্যান্স ও প্রোডাক্টিভিটি
১১তম প্রজন্মের কোর আই৫ প্রসেসর ও ৮ জিবি র্যাম রয়েছে ইনফিনিক্স ওয়াইটু প্লাসে। স্টোরেজের প্রয়োজন মেটাতে এতে আছে ৫১২ জিবি এনভিএমই পিসিআইই এসএসডি। প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজ করা কিংবা কনটেন্ট স্ট্রিম করাসহ সব ধরনের উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায় খুব সহজেই। এর ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিকস সাধারণ গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া এডিটিংয়ের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় গ্রাফিকস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। উইন্ডোজ ১১ পরিচালিত ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের অপারেটিং সিস্টেম সবার পরিচিত ও ব্যবহার করা সহজ।
ডিসপ্লে ও মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতা
উজ্জ্বল রং ও ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে স্পষ্ট ও পরিষ্কার ভিজ্যুয়াল দেয় ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লেযুক্ত ইনবুক ওয়াইটু প্লাস। ৮৫ শতাংশ স্ক্রিন-টু-বডি রেশিওর সঙ্গে চমৎকার মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতার জন্য ডিসপ্লেটি দারুণ। কাজেই আপনার প্রিয় নেটফ্লিক্স সিরিজ দেখা কিংবা ফটো এডিট করা— সবই হবে স্বাচ্ছন্দ্যে।
ল্যাপটপটিতে আছে ডুয়েল এলইডি ফ্ল্যাশ ও এআই নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তিযুক্ত ১ হাজার ৮০ পিক্সেলের ফুল এইচডি+ ক্যামেরা। এর ফলে ভিডিও কলের অভিজ্ঞতা হবে আরও উন্নত।
ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং
ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের ৫০ ওয়াট-আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কোনো চার্জ ছাড়াই প্রতিদিনের কাজে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। পাশাপাশি এর ৪৫ ওয়াট টাইপ-সি পোর্টযুক্ত চার্জারে ডিভাইসটি দ্রুত ও সহজেই চার্জ করা যায়। ফলে ভারী চার্জার বহনের প্রয়োজন হয় না।
দাম
ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:‘ডিজিটাল আর্কিটেকচার ট্রান্সফরমেশন ইন লোকাল গভর্মেন্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক উদ্যোগের পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন ও অবহিতকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহীতে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্দেশিত স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র জনাব এএইচএম খায়রুজ্জামা (লিটনের) পরামর্শক্রমে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) অর্থায়ন এবং এটুআই, আইসিটি ডিভিশনের বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের ৫টি পাবলিক ফাইন্যানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট (হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন ধরনের সনদ যেমন জাতীয়তা সনদ, রিকশা/ভ্যান লাইসেন্স, বিদ্যুৎ/গ্যাসসহ বিভিন্ন ধরনের বিল) সংক্রান্ত সেবার স্মার্ট রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল আর্কিটেকচার ট্রান্সফরমেশন ইন লোকাল গভর্মেন্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক উদ্যোগ রাজশাহীতে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
উদ্যোগের পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন ও অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রায় ৬০ জনের অংশগ্রহণে ৩ দিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়। এ উদ্যোগটি রাজশাহী সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।
উক্ত উদ্যোগের প্রধান সমন্বায়ক এটুআই, আইসিটি ডিভিশন চিফ ই-গর্ভনেন্স ড. ফরহাদ জাহিদ শেখ বর্ণিত কর্মশালায় স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন এবং পাইলটিং কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রাজশাহী জেলা পরিষদ, পবা উপজেলা পরিষদ, চারঘাট পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ, কাটাখালী পৌরসভা ও পারিলা, হরিপুর, হরিয়ান, হুজরীপাড়া ও ইউনিয়নের সম্মানিত মেয়র, চেয়ারম্যান, মেম্বার, কাউন্সিলর, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, সিস্টেম অ্যানালিস্ট এবং এটুআই আইসিটি ডিভিশনের কর্মকর্তারা।
মন্তব্য