আগামী অর্থবছরের বাজেট পেশের আগেই এটিকে বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মূল্যায়ন করেছে বিএনপি। করোনাকালে গতানুগতিক বাজেট না দিয়ে ছয় মাসের জন্য বিশেষ বাজেট দেয়ার প্রস্তাব করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আগামী ৩ জুন প্রস্তাব করা হচ্ছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। তার পাঁচ দিন আগে বিএনপির বাজেট ভাবনা তুলে ধরতে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন ফখরুল।
গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত বছরও তাদের পরামর্শ উপেক্ষা করে সরকার যে বাজেট দিয়েছে, সেটা বাস্তবায়ন করা যায়নি, আগামী বাজেটও বাস্তবায়ন করা যাবে না।
ফখরুল বলেন, ‘সরকার এবার ৬ লাখ ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার যে বাজেট দিতে যাচ্ছে সেটি বিশাল, অবাস্তবায়নযোগ্য, উচ্চাভিলাষী, গতানুগতিক।
‘আসন্ন অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম আট মাসে আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা, যা ৫০ শতাংশেরও নিচে। বাকি চার মাসে আদায় করতে হবে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা’- বলেন বিএনপি নেতা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন ৪৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বলে বাস্তবায়ন, পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ- আইএমইডির প্রতিবেদনও উল্লেখ করেন ফখরুল। বলেন, ‘দুই মাসে খরচ করতে হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা।
অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: সংগৃহীত
‘এমনিতেই বরাদ্দ কম, তার ওপর বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে পারে না মন্ত্রণালয়। তাহলে এ বাজেটের অর্থ কী?’- প্রশ্ন রাখেন বিএনপি নেতা।
গত বছরও বিএনপি একই দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সরকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট দিয়েছে, সেটি গতানুগতিক, অবাস্তবায়নযোগ্য হয়েছে বলে দাবি করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘এই বাজেট যা জাতিকে হতাশ করেছে। শেষ পর্যন্ত এই বাজেটের কোনো লক্ষ্যই সেভাবে পূরণ হয়নি। না রাজস্ব আহরণে, না প্রক্ষেপণকৃত উন্নয়ন, প্রণোদনা ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে।’
করোনাভাইরাসে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হওয়ায় রাজস্ব আদায়ে সরকার ব্যর্থ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জেনেশুনে এ ধরনের অবাস্তব টার্গেট তাই তামাশা ছাড়া আর কী হতে পারে?’
এবার বাজেট ঘাটতি অনুমান করা হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৮০২ কোটি টাকা, যা জিডিপির সাড়ে ৬ শতাংশ। ফখরুল বলেন, এত বিশাল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি এই প্রথম।
ক্রান্তিকালে গতানুগতিক বাজেট নয়
করোনা মহামারির কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘জীবন ও জীবিকার টানাটানিতে জনজীবন ও অর্থনীতি দুটোই মহাসংকটে রয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে না পারলে কোনোভাবেই অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়।’
গতানুগতিক বাজেট না দেয়ার দাবি করে তিনি বলেন, ‘করতে হবে বিশেষ সময়ের বিশেষ বাজেট। এর মুখ্য উদ্দেশ্য হবে করোনার প্রভাব মোকাবিলার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ও দুর্ভোগ উপশম করা। ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনা। এ জন্য দরকার হবে সহায়ক নীতি-সহায়তা।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, করোনার ভয়াবহতা না কমলে গতানুগতিক বাজেট করে কোনো লাভ নেই। লক্ষ্য হওয়া উচিত আগামী ছয় মাসের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট করা।’
করোনার কারণে পূর্ণাঙ্গ বাজেটের কোনো লক্ষ্যই অর্জিত হবে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির অস্বাভাবিক সংকোচনে প্রচলিত বাজেটব্যবস্থা থেকে সরে এসে তিন বছরের মধ্যমেয়াদি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার আলোকে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জীবন-জীবিকার টানাটানির এ দুর্যোগকালে প্রবৃদ্ধি কোনো ইস্যু নয়। এখন প্রবৃদ্ধির কথা না বলে বরং কর্মসংস্থান এবং মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষার কথাই বলতে হবে। কারণ, জীবন ও জীবিকার সমন্বয়ের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
‘তবে মনে রাখতে হবে জীবিকার চেয়ে জীবন আগে। তাই এবারের বাজেট হতে হবে মূলত জীবন বাঁচানোর বাজেট। এ বাজেট হওয়া উচিত ঝুঁকি মোকাবিলা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বাজেট। এ বাজেট হতে হবে জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার বাজেট।’
মাথাপিছু আয় কীভাবে বাড়ল?
সরকার জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলার হয়েছে। এই পরিসংখ্যানে সংশয় প্রকাশ করেন ফখরুল। বলেন, ‘মানুষের অর্থনৈতিক জীবন বিপর্যয়ের যে চিত্র চারদিকে তাতে তো তা প্রতিভাত হয় না।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের আয় কমেছে ৩৭ শতাংশ। বেতননির্ভর মানুষের আয় কমেছে ৪৯ শতাংশ। দেশে গত কোভিড সময়ে ২ কোটি ৪৫ লাখ নতুন দরিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তাহলে মাথাপিছু আয় বাড়লটা কার?’
কালোটাকা সাদা করার সুযোগের সমালোচনা
বিএনপির প্রতিটি বাজেটেই এই সুযোগ দেয়া হলেও ফখরুল এখন এর বিরোধিতা করছেন। তিনি বলেন, ‘হরিলুট করে সঞ্চিত কালোটাকা জায়েজ করার দরজা অবারিত করে দিলেন অর্থমন্ত্রী, যা অনৈতিক এবং ন্যায়নীতি মেনে আইন পালনকারী নাগরিকদের প্রতি অবিচার।’
‘কোভিডকালীন এত কালোটাকা কারা আয় করেছে জাতি তা জানতে চায়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতি জানতে চায়, এরা কারা? যদিও এরই মধ্যে সরকারদলীয় ও সরকারের মদদপুষ্ট অনেক রাঘব বোয়ালের নাম বেরিয়ে পড়েছে।’
অপ্রদর্শিত আয়ের বিরাট অংশ পাচার হয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বছরে পাচার হয় ১ লাখ কোটি টাকার অধিক। সাত বছরে পাচার হয়েছে ৫ হাজার ২৭০ কোটি ডলার, টাকার অঙ্কে যা সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা, যা ২০১৯-২০ সালের জাতীয় বাজেটের প্রায় সমান।
প্রণোদনা পাচ্ছে না সবাই
কোভিড থেকে উত্তরণে সরকার যে প্রণোদনা দিচ্ছে, সেটি টার্গেট গ্রুপের কাছে পৌঁছাতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, বড় শিল্পপতিরা প্রণোদনা তহবিল যতটা পেয়েছে, তার চেয়ে কম পেয়েছে মাঝারি শিল্প এবং তার চেয়েও কম পেয়েছে ছোট উদ্যোক্তারা। কুটিরশিল্প পেয়েছে আরও কম। অথচ উচিত ছিল সবচেয়ে ছোট যারা, তাদের ক্ষেত্রেই তহবিলের সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন। কারণ, তাদের প্রয়োজনটাই বেশি।
প্রণোদনা প্যাকেজে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত, দুস্থ, গরিব, দিনমজুর, শ্রমিকেরা উপকৃত হয়নি অভিযোগ করে বিএনপি নেতা বলেন, প্রণোদনা প্যাকেজের ৫০ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা বিতরণই সম্ভব হয়নি, যা মোট অর্থের প্রায় ৪২ শতাংশ।
মেগা বাজেটে বরাদ্দের সমালোচনা
বাজেটে ১০টি মেগা প্রকল্পের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এসব মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে সে অর্থ নিঃস্ব, বেকার, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নগদ অর্থ বণ্টনের জন্য বরাদ্দ করা যেত।
স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতায় মানুষ মারা যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল। বলেন, গত এক দশকের মধ্যে এবারই সবচেয়ে কম উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। বরাদ্দের মাত্র ২৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
স্বাস্থ্য খাতের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ খাতকে অবহেলিত রেখে বিশাল বাজেট প্রণয়ন করে কী হবে?- প্রশ্ন রাখেন বিএনপি নেতা।
বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ১৫ শতাংশ এবং জিডিপির কমপক্ষে ৫ শতাংশ করারও দাবি জানান বিএনপি নেতা। তার অভিযোগ, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই সবচেয়ে কম ব্যয় করে এই খাতে।
টিকা নিয়ে ‘বালখিল্যতা’
করোনার টিকা আনতে শুরু থেকেই একাধিক দেশের সঙ্গে চুক্তি না করারও সমালোচনা করেন ফখরুল। বলেন, ‘আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে শুরু থেকেই জোর দিয়ে বলেছিলাম টিকার জন্য একক উৎসের ওপর নির্ভর না করে বিকল্প সূত্র খুঁজতে। তখন সরকার বলেছিল, বিএনপি নাকি টিকা নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ সরকার এখন চীন এবং রাশিয়া থেকে টিকা আনার চেষ্টা করছে। অবশেষে প্রমাণিত হলো, টিকা নিয়ে বিকল্প অন্বেষণে আমাদের পরামর্শটিই সঠিক ছিল।’
গণটিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর টিকা নিচ্ছেন এক নারী। ফাইল ছবি
তিনি বলেন, বিএনপির পরামর্শ শুরুতে মানলে সরকারকে এখন ‘লেজেগোবরে’ অবস্থায় পড়তে হতো না।
টিকা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশেই উৎপাদনের পরামর্শও দেন ফখরুল।
দেশে শ্রেণিবৈষম্য ব্যাপক আকার ধারণ করেছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিত্তবান-বিত্তহীনের ব্যবধান দশমিক ৪ পর্যন্ত সহনীয় বলে মনে করা হয়। আমাদের দেশে এটা বর্তমানে দশমিক ৫-এর কাছাকাছি রয়েছে। এটা অসহনীয় একটি অবস্থা।
‘সমাজে যখন ন্যায়-অন্যায়ের কোনো ব্যবধান থাকে না, দুর্নীতি আর অসৎ পন্থাই অর্থ আয়ের প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়, তখন সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়তে থাকে।’
ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান কমাতে হলে সবার আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলেও মনে করেন বিএনপি নেতা।
মেগা প্রকল্পের বাজেট বেশি ধরা হয়েছে বলে আগের করা দাবি নতুন করে আবার তুলে ধরেন বিএনপি নেতা। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিও তুলে ধরেন।
সড়ক নির্মাণে বিশ্বে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘এতেই বোঝা যায় নির্মাণ খাতে কী ধরনের রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হচ্ছে।’
তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চার লেনের সড়কের চেয়ে ইউরোপে চার লেনের সড়ক নির্মাণের খরচ অর্ধেক।
ব্যাংকে লুটপাট
ব্যাংকিং খাতকে রীতিমতো লুট করা হয়েছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিশেষ নীতিমালার কারণে ঋণ গ্রহীতারা ঋণ পরিশোধ করছে না।
ঋণখেলাপিদের কবল থেকে দেশকে ও অর্থনীতিকে মুক্ত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলা হলেও তাদের আবার বিপুল ঋণ অবলোপন করে দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ঋণ খেলাপি ও ব্যাংকমালিকদের অনৈতিক সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ আদায়ে জোরদার হওয়ার চেয়ে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে অবলোপনের দিকে, যা কোনো ভালো সমাধান নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক তার ঐতিহাসিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা আগের মতো পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘ব্যাংকমালিকদের পরিবারের সদস্যদের অনৈতিকভাবে বছরের পর বছর পরিচালক পদে বহাল থাকার স্থায়ী সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ঋণখেলাপিরা তুলনামূলকভাবে কম খেলাপি।’
বিএনপির মতে বাজেট যেমন হওয়া উচিত
স্বাস্থ্য খাতকে বাজেটের সর্বাধিক তালিকায় রাখা স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করা, প্রতিটি মানুষকে জাতীয় স্বাস্থ্যকার্ড প্রদান, প্রতিটি জেলায় ডেডিকেটেড সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুরক্ষার বরাদ্দ বাড়ানো ও নতুন দরিদ্রদের চিহ্নিত করে তাদের কাছে সামাজিক সুরক্ষার অর্থ পৌঁছে দেয়া, দরিদ্রদের জন্য তিন মাসের জন্য ১৫ হাজার টাকা এককালীন নগদ প্রদান, উপকারভোগীদের তালিকা নিরপেক্ষভাবে করা, এসএমই, শিল্প ও কৃষি খাতে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে বিশেষ প্রণোদনা অর্থ বরাদ্দ, প্রবাসীদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ঋণ, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য পাঁচ বছর করছাড়, সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো, কৃষি খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ, ছাঁটাই না করার শর্তে প্রণোদনা দেয়া, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা, তৈরি পোশাকসহ রপ্তানি খাতে সহায়তা অব্যাহত রাখা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দেয়ার দাবি জানান ফখরুল।
শীর্ষ অর্থনীতিবিদদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ে একটি অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করারও পরামর্শ দেয় বিএনপি।
এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ ভর্তুকি বাদ দেয়া, অনিবন্ধিত বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে আয়কর আদায়, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো থেকে কর বৃদ্ধি, দেশি কোম্পানিকে পুনর্নিরীক্ষণ, বিদেশি অনুদান বাড়ানোর চেষ্টা করার পরামর্শ দেন ফখরুল।
ব্যাংক খাত থেকে আর ঋণ না নেয়া, মুদ্রা সম্প্রসারণ নীতি অব্যাহত রাখার কথাও বলেন ফলরুল।
আরও পড়ুন:
সাময়িক বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবা পুনরায় চালু হয়েছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সকাল ১১টা থেকে পুরো রুটে নিরবচ্ছিন্নভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের সাময়িক ভোগান্তির জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে এবং যাত্রীদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার পর মেরামতের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে আজ সকালেই রুটটি পুনরায় চালু করেছে, যাতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমানো যায়।
ফার্মগেটে মেট্রোরেল দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর উত্তরা-মতিঝিল রুটে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। কর্তৃপক্ষ আরও সতর্কতা অবলম্বন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে মেট্রোরেলের একটি ভারি বিয়ারিং প্যাড ছিটকে পড়ে পথচারী আবুল কালাম নিহত হন। এই ঘটনায় উত্তরা-মতিঝিল রুটের মেট্রোরেল চলাচল তখন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারদের নাম পরিচয় জানায়নি ডিবি।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ অংশে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’-তে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করছে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি নম্বর-৫ এ বিষয়টি জানানো হয়।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ৩টার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ১৩০০ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ১২৮০ কিলোমিটার এবং পায়রা বন্দর থেকে প্রায় ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-পশ্চিমমুখী হয়ে ক্রমশ শক্তিশালী হতে পারে এবং ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা বা রাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র থেকে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় প্রায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার বেগে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর বর্তমানে অত্যন্ত উত্তাল রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে আগে জারি করা ১ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যেতে এবং উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সাগরে ঢেউয়ের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দেশের উপকূলীয় এলাকায় থাকা জেলেদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ঘুমের মধ্যে এক মাদরাসা ছাত্রকে বিভৎসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। এর আগে, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো.নাজিম উদ্দিন (১৩) উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। অপরদিকে, আটক আবু ছায়েদ (১৬) ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম ২২ পারা ও ছায়েদ ২৩ পারা পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পন্ন করে। গত ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে নাজিম ও আবু ছায়েদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মাদরাসার এক শিক্ষক বিষয়টি জানতে পেরে তাদের মধ্যে মিটমাট করে দেয়। কিন্ত এ ঘটনার জের ধরে নাজিমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সোনাইমুড়ী বাজার থেকে ৩শত টাকা দিয়ে একটি ধারালো ছুরি কিনে নিয়ে আসে ছায়েদ। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে যায় ১৪জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক। রাত আড়াইটার দিকে অন্য ছাত্রদের অগোচরে ছায়েদ ঘুম থেকে উঠে ঘুমের মধ্যে নাজিমকে জবাই করে দেয়। ওই সময় নাজিমের গলার গোঙরানির আওয়াজ শুনে একই কক্ষে থাকা ছাত্র-শিক্ষক ঘুম থেকে জেগে উঠে এ ঘটনা দেখতে পায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে ভোররাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়। টুপি পরা নিয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে বিরোধের সূত্র ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে। লাশের সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং রাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়; বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শারীরিক শিক্ষা বিভাগ ও মেডিকেল সেন্টারের অবহেলা এবং দায়িত্বহীনতার কারণেই সায়মার মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোসা. রোখসানা বেগম প্রাথমিকভাবে দাবি করেছেন, সায়মার মৃত্যু ‘হার্ট অ্যাটাক’-এর কারণে হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ শুরু করেন।
রাত ৯টার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে তারা ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটন, দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা এবং সুইমিংপুল ও চিকিৎসা সেবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।
এসময় রাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি (সহসভাপতি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, আমরা এতক্ষণ ধরে আন্দোলন করতেছি, কিন্তু প্রশাসন থেকে প্রতিনিধি আসতে এত সময় লাগে কেন জানি না। প্রশাসন মনে করে ওরা আন্দোলন করতেছে করুক, তারপর যখন ক্লান্ত হয়ে যাবে তখন আমরা যাবো৷ প্রত্যেকটা আন্দোলনেই তারা এমন করেছে। আমাদের ভাই-বোনদের ইচ্ছে করে কষ্ট দিচ্ছে। শুধু মন্নুজান হল না, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা হলের শিক্ষার্থীরা সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। আমরা এখান থেকে বিচার নিশ্চিত করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
রাকসুর জিএস (সাধারণ সম্পাদক) সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, কয়েকটা বিষয় প্রশাসনকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে, তাহলে তার ফিটনেস কেন চেক করা হয়নি? ফিটনেস চেক ছাড়া শরীরচর্চা বিভাগ শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকা একজন শিক্ষার্থীকে কীভাবে সাঁতারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে অনুমতি দিলো? এটার জবাব তাদের দিতে হবে। সুইমিংপুলে স্বচ্ছ পানি কেন ছিল না এবং আধা ঘণ্টা ধরে একজন শিক্ষার্থী সুইমিংপুলে থাকলেও সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কেন দেখতে পেলেন না— তারও জবাব দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও রাবি মেডিকেল সেন্টারে আগেও বাংলা বিভাগের এক ভাইকে নিয়ে গেলে আধমরা অবস্থায় রামেকে পাঠানো হয়। আজও তারা আমার বোন সায়মাকে সঠিকভাবে কোনো চিকিৎসা দিতে পারেনি কেন? এবং অবশ্যই সায়মা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত অনতিবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চলতি সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা হবে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
গত ২০ অক্টোবরের মধ্যে ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। ছয়দিন পেরোলেও কেন তা প্রকাশ করা হয়নি, জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু সংশোধনের প্রস্তাব এসেছিল সেটাও করা হয়েছে। সোমবার সকালে ব্রিফ করে দেব।’
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কবে শেষ হবে, এ নিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘দল নিবন্ধনের বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে মাঠপর্যায় থেকে কিছু বাড়তি তথ্য আসেছে। এটা পর্যালোচনা চলছে। এ সপ্তাহের ভেতরে করে দেব। কারণ, আমাদেরও একটা দায় আছে। আমাদের দিক থেকে তাগিদ আছে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী শতভাগ সম্পন্ন করতে হবে বিষয়টি এমন নয়। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কিছু কিছু জায়গায় সমন্বয় করতে হয়। কিছু কিছু বিষয় আগে করা হয়েছে আর কিছু কিছু বিষয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং কিছু কিছু বিষয়ে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। সময় অনুযায়ী দিনক্ষণ মেপে কোনো কাজ করা সম্ভব নয়।’
এক ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি মোবাইল সিম থাকলে সেগুলো বৃহস্পতিবারের (৩০ অক্টোবর) মধ্যে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে ‘ডি-রেজিস্টার’ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক জরুরি বার্তা এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রাহকরা নিজেদের এনআইডিতে পছন্দমতো ১০টি সিম রেখে অতিরিক্ত সিমগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে ডি-রেজিস্টার (নিবন্ধন বাতিল) বা মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন। সময়সীমা শেষ হলে কমিশন দৈবচয়নের মাধ্যমে অতিরিক্ত সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল করবে।
নিজের এনআইডির বিপরীতে কতগুলো সিম নিবন্ধিত আছে তা যাচাই করার জন্য ব্যবহারকারীরা *১৬০০১#, এনআইডির শেষ ৪ ডিজিট পাঠিয়ে তথ্য জানতে পারবেন।
যদি গ্রাহক নিজে অতিরিক্ত সিম ডি-রেজিস্টার করতে ব্যর্থ হন, তাহলে কমিশন দৈবচয়নের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল করবে বলে সতর্ক করেছে বিটিআরসি।
মন্তব্য