সৌন্দর্য সচেতনতায় এখন নারীর পাশাপাশি পিছিয়ে নেই পুরুষও। পোশাকে নিত্যনতুন ডিজাইন অথবা সৌন্দর্য চর্চার বিভিন্ন উপকরণ জনপ্রিয় হচ্ছে ছেলেদের কাছেও। এমনকি এই শতকে চুলের কাটেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।
ঢাকার নরসুন্দরেরা বলছেন, দেশের তরুণদের চুলের ছাঁটে পরিবর্তনে মূলত প্রভাব রাখছে ইউরোপিয়ান ও কোরিয়ান স্টাইল। এজন্য সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে প্রতি বছরই নতুন নতুন চুলের কাট রপ্ত করেছেন নরসুন্দরেরা।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি অভিজাত ও সাধারণ সেলুন ঘুরে দেখা গেছে, এবারের ঈদ ফ্যাশনে তরুণদের বেশি পছন্দ ফেড কাট। এর পরেই রয়েছে স্টেপ কাট। আরও কয়েকটি চুলের ছাঁটের চাহিদাও রয়েছে ঈদ ফ্যাশনে।
মাথার চারপাশে প্রায় চুলশূন্য ‘ফেড কাট’
নগরীর কয়েকটি সেলুনের কর্মীরা নিউজবাংলাকে জানান, মাথার চারপাশে চুলের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম রেখে যে কাট দেওয়া হয় সেটিই ফেড কাট। এই স্টাইলের কাটে মাথার পেছনে এবং কানের ওপরে চুল প্রায় থাকে না। মাথার চামড়া দৃশ্যমান হয়ে যায়।
তারা জানান, কানের এক ইঞ্চি ওপর থেকে চুল বড় হওয়া শুরু করে। অন্যদিকে মাথার পেছনে অর্ধেক পার হওয়ার পর ওপরের দিকে চুল হালকা বড় হয় এই কাটে।
মূলত কোরিয়ান এই স্টাইল এখন ঢাকার তরুণদের সবচেয়ে পছন্দ। শিশুরাও বেশ পছন্দ করছে এই কাট।
রাজধানীর বনশ্রীর ইউনিকর্ন হেয়ার সেলুনের মালিক তানজিদ আহমেদ রাকিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই কাট মূলত সিল্কি চুলের জন্য। কোরিয়ানরা মূলত এই কাট দিয়ে থাকে। ওদের চুলগুলো সিল্কি হয়। তাই ওরা চায় কানের চারপাশের চুল একটু ছোট করে রাখতে।’
বাংলাদেশে এই কাট জনপ্রিয় হওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউটিউব বা গুগলে এই কাটগুলো খুঁজলেই পাওয়া যায়। সাধারণত কোরিয়ান সেলিব্রেটিদের যারা ফলো করেন, তারা এটি সহজেই জানতে পারেন। আমরাও আমাদের বারবারকে ওইভাবেই ফলো করতে বলি।’
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া এখন ইউরোপিয়ানদের স্টাইল আমাদের দেশে বেশি অনুকরণ করা হচ্ছে। চুলের বিভিন্ন কাট মূলত তাদের থেকেই নেয়া হয়। আমরা সেই অনুযায়ী ক্যাটালগ করতে থাকি। সবার চেহারা তো এক রকম হয় না। তাই সবার চুলের কাটিংও এক রকম হবে না। অনেক ক্ষেত্রে আমরা চেহারার সঙ্গে মিল রেখে ভিন্ন ভিন্ন কাট দিয়ে থাকি।’
মাথার উপরের দিকে লম্বা চুলের স্টেপ কাট
তরুণদের মধ্যে চুলের আর একটি জনপ্রিয় কাট হলো স্টেপ কাট। এই কাট মুখের আদলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দিয়ে থাকেন নরসুন্দরেরা। সাধারণত যাদের একটু বড় ও ঘন চুল থাকে তাদের ঘাড় ও কানের নিচে থেকে চুল ছোট করে ফেলা হয়।
সিদ্ধেশ্বরীর জয় হেয়ার ফ্যাশনের মালিক শংকর চন্দ্র শীল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফেড কাটের পর স্টেপ কাট এখন অনেক জনপ্রিয়। সাধারণত এটি মেয়েদের চুলে দেয়া হয়। তবে এখন অনেক ছেলেও চুল বড় রাখতে চায়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও স্টেপ কাট অনেক জনপ্রিয়।’
শংকর জানান, ফেড কাট ও স্টেপ কাট ছাড়াও লেয়ার কাট, ওয়ান সাইড কাট, টু সাইড কাট, ব্যাক কাটও এখনকার তরুণদের পছন্দ।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর চুলের কাট পরিবর্তন হয়। গত ঈদে এক সাইড কাটিং অনেক জনপ্রিয় ছিল। তার আগে ফুটবল প্লেয়ারদের কাট জনপ্রিয় ছিল। তবে এ বছর সেটি পরিবর্তন হয়েছে।’
শংকর বলেন, ‘বাইরের দেশের সিনেমা বা খেলা দেখে আমাদের তরুণেরা চুলের কাট অনুসরণ করেন। একসময় বেকহ্যাম, রোনাল্ডো ও নেইমার কাট জনপ্রিয় ছিল। গজনি সিনেমা আসার পর ওই রকম একটা কাট জনপ্রিয় হয়। ২০ বছর আগে আমরা তেরে নাম সিনেমার কাট দিয়ে শুরু করেছিলাম।’
লেয়ার কাট
লেয়ার কাট বেশ জনপ্রিয় এক শ্রেণির তরুণের কাছে। এক্ষেত্রে সাধারণত মাথার সব জায়গায় চুলের দৈর্ঘ্য সমান রাখা হয়। সামনের দিকে দৈর্ঘ্য খানিকটা বড় থাকে। সেই অনুযায়ী লেয়ার করা হয় কানের দুই পাশে।
স্পাইক কাট
বিভিন্ন সেলুন ঘুরে জানা গেছে, কয়েক বছর আগেও তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল স্পাইক কাট। এখনও কেউ কেউ এই কাট বেছে নিচ্ছেন।
এই কাটে সাধারণত সামনের চুলগুলো একটু বাঁকানো অবস্থায় রাখা হয়। আর চারপাশের চুল ছোট থাকে। স্পাইক স্টাইলে চুল কাটতে হলে কপালের ওপরের চুল ছোট করে স্পাইক করতে হবে। মাথার ওপরের দিকের চুল তুলনামূলক বড় হবে, তবে পেছনের দিকে থাকবে লেয়ার কাট।
ফায়ার কাট
উচ্চবিত্ত তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে চুলের ফায়ার কাট। এটি এখনও সব হেয়ার সেলুনে চালু হয়নি।
শংকর চন্দ্র শীল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এখনও এই স্টাইলে চুলের কাট দেইনি। তবে কেমিক্যালের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চুলে আগুন লাগিয়ে এই কাট দেয়া হয়। অনেক সেলুনে ফায়ার কাটের সঙ্গে ফেসিয়ালসহ আরও কিছু রূপচর্চার ব্যবস্থা রয়েছে।’
ওয়ান সাইড কাট
মাথার যেকোনো এক পাশের চুল ছোট করে দেয়া হয় এই কাটে। অন্য পাশে চুল বড় থাকে। এটি মূলত ইউরোপিয়ান স্টাইল অনুসরণে দেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
টু সাইড কাট
এই কাটে মাথার দুই পাশে চুল ছোট করে মাঝখানে বড় করে রাখা হয়। এটি ওয়ান সাইড কাটের পরিবর্তিত সংস্করণ।
বোর কাট বা কদম ছাঁট
এই হেয়ার স্টাইলে চুলে ক্লিপ দিয়ে কাটতে হয়। এ ক্ষেত্রে চুলের দৈর্ঘ্য হবে ১ ইঞ্চির ৮ ভাগের এক ভাগ। এ স্টাইলে পুরো মাথার চুল সমান থাকবে, যা দেখতে অনেকটা কদম ফুলের মতো।
যাদের মাথা একটু বড় এবং চুল অনেক ঘন ও মোটা, তাদের জন্য এই কাট উপযুক্ত।
মধ্যবয়সীর পছন্দ আর্মি কাট
সেলুন মালিকেরা জানান, তরুণেরা নতুন নতুন চুলের ছাঁট বেছে নিলেও মধ্যবয়স্ক ও পঞ্চাশোর্ধ্বদের বেশি পছন্দ আর্মি কাট। ছোট করে চুলের ছাঁট দেয়া হয় এই স্টাইলে। সেনাবাহিনীতে যারা কর্মরত তাদের এই কাট বাধ্যতামূলক। তবে সাধারণ চাকরিজীবী মধ্যবয়স্করাও বেছে নিচ্ছেন এই কাট।
আরও পড়ুন:৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি সকাল ৬টা ১১ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ওই সময় তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কয়েক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। ওই সময়ে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
পরে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় এ ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএম শাহাবুদ্দিন।
প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা থেকে এমন তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাত বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫’ তুলে দিয়েছেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক এ পুরস্কার প্রদান করেন তিনি।
এবার স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ পুরস্কার বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন। তিনি পুরস্কার বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫ তুলে দেবেন।
ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যেসব ব্যক্তি এবার স্বাধীনতা পুরুস্কার পাচ্ছেন তারা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
আরও পড়ুন:ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামান রবিবার যে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন, তাতে বলা হয়, ‘সরকার আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করল। ছুটিকালীন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
‘তবে জরুরি পরিষেবা, যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।’
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতা-বহির্ভূত থাকবে। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।
‘জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে সবার আগে পরিবার থেকে নারীকে সাহস দিতে হবে। যেকোনো সংকটে নারীর পাশে ঢাল হয়ে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবার পাশে না থাকলে রাষ্ট্রের পক্ষে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। পরিবার নারীকে সাহস দিলে রাষ্ট্রও নারীর পাশে থেকে সাহস জোগাতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নারীর প্রতিবন্ধকতা কখনও শেষ হয় না। সমাজে একটা গোষ্ঠী আছে, যারা নারীকে ক্ষমতায়িত করতে চায় না। দুর্বল নারীকে যত পছন্দ করে, সবলচিত্তের নারীকে তারা পছন্দ করে না। এটাই বাস্তবতা।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে (৮ মার্চ) সামনে রেখে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
উপদেষ্টা বলেন, ‘একজন নারীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলা হলে সে দেশের কাজে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও পরিবারের পাশাপাশি সমাজেরও দায় রয়েছে। নারীর চলার পথ পুরুষের পাশাপাশি নির্বিঘ্ন ও নির্ভরতার হতে হবে।’
তিনি বলেন, “নারী এখন যে অবস্থানে রয়েছে, সে অবস্থানে থেকে নারী বলে বিতর্কিত নয়, কাজে সে বিতর্কিত হোক, অদক্ষ বলে বিতর্কিত হোক, শুধু নারী বলেই ভূল, নারী বলেই অদক্ষ, এ কথাটা বলা যাবে না। আমি বলব ‘স্কাই ইজ দ্য লিমিট।
“তাই তার চিন্তার গন্ডিটাকে তার পারিপার্শ্বিকতার নেতিবাচক মনোভাবে আটকে না রেখে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তাদের পাশে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অভিভাবককে বুঝতে হবে, ছেলে ও মেয়ে দুজনই পরিবারের সম্পদ। পরিবারের উচিত নারীকে ক্ষমতায়িত করা।”
আরও পড়ুন:চলতি বছর ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এ বছর কারা ও কতজন এ পুরস্কার পাচ্ছেন, তা জানাননি উপদেষ্টা।
সচিবালয়ে রবিবার স্বাধীনতা পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি উল্লিখিত বক্তব্য দেন।
উপদেষ্টা বলেন, কমিটি কিছু নাম সুপারিশ করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নামের তালিকা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো হবে।
দেশের জন্য অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ব্যতিক্রমী কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ওই সময়ে উপস্থিত আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, এর আগে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে দলগত ও গোষ্ঠীগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। র্যাবের মতো বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকেও দেশের সর্বোচ্চ এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
এ বছর ১০ জনের কম ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য