নোয়াখালীর গানের সম্রাট অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
দেশে করোনা মহামারির বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৩ মার্চ প্রথম প্রয়াণ দিবসে তাকে স্মরণে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও মোহাম্মদ হাশেম ফাউন্ডেশন কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
মোহাম্মদ হাশেম ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মুস্তফা মনওয়ার সুজন জানান, শিল্পীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মঙ্গলবার নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর দত্তের হাটে শিল্পীর বাসভবন হাসু ভিলায় বাদ জোহর দোয়া মাহফিল। বাদ আসর মাইজদী কোর্ট মসজিদের পাশে মোহাম্মদ হাশেমের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত।
মাইজদীর নতুন বাস স্ট্যান্ডের পেছনে জিনাত মঞ্জিলে সন্ধ্যায় শিল্পীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান ‘কথা ও গান’। এতে সভাপতিত্ব করবেন মোহাম্মদ হাশেম ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কাজী খসরু।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, নোয়াখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন কৈশোর জানান, বিকেল ৪টায় শিল্পীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মোহাম্মদ হাশেম স্মরণ সভার আয়োজন করা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, নোয়াখালী শাখার সভাপতি বিমলেন্দু মজুমদার।
এ ছাড়া চ্যানেল নোয়া ভিশনের ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম ‘মোহাম্মদ হাশেমের জীবন ও গান’ হবে রাত ১০টায়।
অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেম চার দশক নোয়াখালীর আঞ্চলিক গান নিয়ে গবেষণা করেছেন। লিখেছেন দেড় হাজারের বেশি গান। নিজেই গেয়েছেন বেতার-টেলিভিশনে।
নোয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষাকে সংগীতে রূপান্তর করে পেয়েছেন ব্যাপক পরিচিতি। শুধু নোয়াখালীর আঞ্চলিক গানই নয়, তিনি লিখেছেন পাঁচ শতাধিক পল্লীগীতিও।
মোহাম্মদ হাশেম ১৯৪৭ সালের ১০ জানুয়ারি নোয়াখালী সদর থানার চরমটুয়া ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মোহাম্মদ হাইস্কুলে মাধ্যমিক পাশ করে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সনদপ্রাপ্ত হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই তিনি গানের জগতে পরিচিত হতে থাকেন। সংগীতেও তার উচ্চতর ডিগ্রি রয়েছে। লোকসঙ্গীত সম্রাট শিল্পী আবদুল আলীম তার সংগীত গুরু। ঢাকা মিউজিক কলেজে সংগীতে ডিগ্রি নেয়ার পর তিনি সেখানেই বাংলা বিভাগ ও সঙ্গীতের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৭৩-৭৪ সালের দিকে মোহাম্মদ হাশেম নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় গান লিখতে শুরু করেন। এর আগে নোয়াখালী অঞ্চলের কোনো গান ছিল না বললেই চলে। তার হাতেই এ অঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষা, আনন্দ-বেদনা, মেঘনা পারের মানুষের সংগ্রামী জীবনাচার সংগীতে রূপ নেয়। তার অধিকাংশ গান সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
নোয়াখালীর প্রধান সংগীত খ্যাত ‘আঙ্গো বাড়ি নোয়াখালী রয়াল ডিস্ট্রিক ভাই/ হেনী মাইজদী চৌমুহনীর নাম কে হুনে নাই’-গানটি তাকে এনে দিয়েছিল জগতজোড়া খ্যাতি। এ গান আজও মানুষের মুখে মুখে।
তার জনপ্রিয় অন্যান্য গানের মধ্যে রয়েছে, ‘আল্লায় দিসে বাইল্লার বাসা নোয়াখাইল্লা মাডি’; ‘নোয়াখালীর দক্ষিণে দি উইটসে নোয়া চর’; ‘রিকশাঅলা কুসকাই চালা ইস্টিশন যাইয়াম’; ‘আহারে ও কুলসুম কতুন আইলো ডুবাইআলা কইল্লো এ জুলুম’।
মোহাম্মদ হাশেম অধ্যাপনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৭০ সালে রেডিও পাকিস্তানের ‘অনুষ্ঠান সংগঠক’ হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু। পর্যায়ক্রমে ঢাকা সংগীত কলেজ, কবিরহাট সরকারি কলেজ, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজসহ দেশের বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। ২০০৫ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন।
সংগীতে আবদুল আলীম ছাড়াও ওস্তাদ বারীন মজুমদারের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীত, ওস্তাদ আবিদ হোসেন খানের কাছে তত্ত্বীয় সংগীত, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে তবলায় দীক্ষা নেন। শেষে তিনি নিজ বাসভূমে গিয়ে শুরু করেন শিক্ষকতা ও সংগীত সাধনা।
২০০৫ সালে একুশে বইমেলায় বের হয় এই সাধক পুরুষের গানের প্রথম সংকলন ‘নোয়াখালীর আঞ্চলিক গান’। ২০১৫ সালে তার রচিত বাছাই করা আড়াই শ গান নিয়ে নির্বাচিত নোয়াখালীর আঞ্চলিক গান সংকলন বের হয়।
অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেম বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণির গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী ছিলেন। ২০২০ সালের ২৩ মার্চ ঢাকায় মৃত্যু হয় এই শিল্পীর।
শিক্ষার্থীদের সামনেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শার্টের কলার চেপে ধরে কিল-ঘুষি মেরেছেন যুব মহিলা লীগের এক নেত্রী। বুধবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি বহুমুখী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
লাঞ্ছনার শিকার প্রধান শিক্ষকের নাম রবিউল ইসলাম খান। আর অভিযুক্ত সামশাদ রানু ওরফে রাঙ্গা ভাবি জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মহিলা প্যানেল মেয়র।
লাঞ্ছনার শিকার প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বলেন, ‘আজ (বুধবার) বিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিল। একই দিন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা ছিল।
‘অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলায় সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নিতে দেরি হচ্ছিল। তাই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিল। তাদের মধ্যে সামশাদ রানুর ছেলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্কও ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ে আসতেই আমার শার্টের কলার চেপে ধরে টানতে টানতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের দিকে নিয়ে যান সামশাদ রানু। একইসঙ্গে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় পায়ের জুতা খুলেও তিনি আমাকে মারধর করতে যান। অন্য শিক্ষকরা এগিয়ে আসায় তিনি জুতা দিয়ে আমাকে মারতে পারেননি।
‘সামশাদ রানু বিদ্যালয়ে সবার সামনে আমাকে লাঞ্ছিত করেছেন। আকষ্মিক এ ঘটনায় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। বিষয়টি মোবাইল ফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছি।’
অভিযুক্ত সামশাদ রানু এ বিষয়ে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের কক্ষ না খোলায় আমার ছেলেসহ প্রায় ৮শ’ শিক্ষার্থী সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তীব্র তাপদাহের মধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিল। সোয়া ১০টার পর প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে এলে আমি তাকে শ্রেণিকক্ষের তালা খোলার কথা বলি। ‘তিনি বলেন- এই দায়িত্ব আমার না, সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস ও কর্মচারী সিদ্দীকের। তিনি আমাকে উল্টো বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অন্যরা আপনাকে আমার পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে।’
রানু বলেন, “প্রধান শিক্ষকের এমন বক্তব্যের জবাবে তাকে আমি বললাম, আমি এখানে কোনো নেত্রী হিসেবে না, অভিভাবক হিসেবে এসেছি। এরপরই আমি তার জামার কলার চেপে ধরে টেনে নিয়ে ‘তালা খোল’ বলে কক্ষের তালা খুলিয়েছি। তখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বসে।”
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গার ইউএনও রনি আলম নূর বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোনে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি তাকে আমার কার্যালয়ে আসতে বলেছি। অভিযোগ পেলে ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জে বিসিক শিল্প নগরীর গার্মেন্ট (পোশাক কারখানা) মালিকদের হয়রানি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরীর পশ্চিম মাসদাইর থেকে বিসিকের ৩ নম্বর গেট পর্যন্ত ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘কাউকে প্রশ্রয় দেবেন না। ঈদের পর র্যাব, পুলিশ, প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে আসবো এই বিসিকে। ব্যবসায়ীরা তাদের মাল কাকে দেবেন সেটা তাদের ব্যাপার। পোশাক মালিকদের হয়রানি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে এই রাস্তার কাজ আগামী জুলাই মাসেই শুরু হবে। নারায়ণগঞ্জের শিল্প খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় হয়। আমি শিল্প মন্ত্রণালকে জানাব, সমস্যার সমাধান না হলে ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স দেবেন না।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘অনেকে দেশকে অস্বাভাবিক করে দিতে চায়। ভৌগোলিক সীমারেখায় থাবা দিতে চায়। কে কোন দল করে সেটা বিষয় নয়। সবার আগে দেশ। দেশ ভালো থাকলে, সবাই ভালো থাকবে।’
বিসিক শিল্প মালিক সমবায় সমিতির সহযোগিতায় এবং সদর উপজেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে রাস্তাটি নির্মাণ করার কথা জানানো হয় অনুষ্ঠানে। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেমসহ অন্য অনেক ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন:কোনো ধরনের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার ঈঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশি-বিদেশি যত চাপই আসুক না কেন, ওই চাপের কাছে বাঙালি মাথা নত করে না। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার আমরাই সুরক্ষিত করব। আমরাই আন্দোলন-সংগ্রাম করে গণতন্ত্র এনেছি। এই গণতন্ত্রিক অধিকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই আজকে বাংলাদেশে উন্নত হয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে।
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে বুধবার আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে। মানুষ ভোটাধিকার পেয়েছে। আওয়ামী লীগই জনগণের ভোটের অধিকারের সুরক্ষা দেবে। মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ কখনও পরাজিত হয় না। কেউ ভোটাধিকার কেড়ে নিলে জনগণ ছেড়ে দেয় না, খালেদা জিয়া তার প্রমাণ।’
বিএনপি শুধু ভোট চোর নয়, ভোট ডাকাত বলে এসময় মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতা দিতে পারে একমাত্র এদেশের জনগণ। জনগণের এই অধিকার, সচেতনতা আমরা দিতে পেরেছি, এটা এ দেশের মানুষ জানে।’
বিএনপিকে কেউ নাগরদোলায় বসিয়ে ক্ষমতা দিয়ে যাবে না উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘জনগণের ক্ষমতায় তারা বিশ্বাস রাখে না। তারা মনে করে অন্য কোথাও থেকে এসে নাগরদোলায় চাপিয়ে কেউ তাদের ক্ষমতায় বসাবে। কেউ দেবে না; দেয় না। ব্যবহার করে; ব্যবহার করবে; কিন্তু, দেবে না ক্ষমতা।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দেয় তখন আমি একটা কথা বলেছিলাম, আল্লাহতালা জন বুঝে ধন দেয়। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে গ্যাস একটুও পাবে না, দিতেও পারবে না। সত্যিই কিন্তু দিতে পারে নাই। যে ক’টা কূপ খনন করছে, সবগুলো শুকনা। কোনো গ্যাস পায়নি, যারা কিনতে চেয়েছিল তারাও নিতে পারেনি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন করতে চাইলে করুক। আমরা কিছু বলব না। তবে আমাদের নজর রাখতে হবে, তারা অগ্নি সন্ত্রাস করেছে কিনা, মানুষকে পুড়িয়ে, হাত পা কেটেছে কিনা। সেটা যেন করতে না পারে। নিজের চোখ-ক্যামেরা সবসময় ঠিক রাখতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও করে অগ্নি সন্ত্রাস করলে বিএনপি মার্কিন ভিসা পাবে না।’
বাজেট বাস্তবায়ন
বাজেট প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণী আছেন, যারা বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন। বুদ্ধিজীবী। আমি বিদ্যুৎ দিয়েছি, তারা এয়ারকন্ডিশন রুমে বসে বক্তৃতা দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নেন।
‘প্রাইভেট টেলিভিশনও আওয়ামী লীগ সরকারই দিয়েছে। সেই টেলিভিশনের টক শোতে এসে আলোচনা করে- এই বাজেট আওয়ামী লীগ কোনোদিনও কার্যকর করতে পারবে না। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, করতে পারব সেটা বুঝে-শুনেই আমরা বাজেট দিয়েছি। আমরা যা দিয়েছি আমরা তা করতে পারব।’
দুই দিনের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদ্যুতের কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছে সরকার। দুই দিনের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ১০-১৫ দিনের মধ্যে (বিদ্যুৎ) পরিস্থিতির উন্নতি হবে। অতিরিক্ত গরমে মানুষের কষ্ট বুঝতে পারছি আমরা। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি।
‘দুর্ভাগ্য আমাদের। এক গেল করোনাভাইরাসের তিনটা বছর। সবকিছু চলাচল বন্ধ। অর্থনীতি একেবারে স্থবির। উন্নত দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি। এরপরও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন। সবকিছুর দাম এত বেড়ে গেছে যে, পণ্য ক্রয় ও পরিবহন দুদিকেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
এসময় খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়ানোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের বাইরেও রপ্তানি করতে পারব। রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র গার্মেন্টসের ওপর নির্ভর করে থাকব না। আমরা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। এই ডিজিটাল ডিভাইস, আমরা এগুলো তৈরি করব। ইতোমধ্যে অনেক বিনিয়োগ আসছে। একশটা অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি, সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ আসছে। আইসিটি, ডিজিটাল ডিভাইস- এগুলো উত্পাদন করে আমরা রপ্তানি করব।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাহজাহান খান, সিমিন হোসেন রিমি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
আরও পড়ুন:র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) হেফাজতে মারা যাওয়া নওগাঁ ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক সুলতানা জেসমিনের আর্থিক লেনদেনের প্রমাণপত্রে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম পাওয়া গেছে। সুলতানার হাতে লেখা প্রমাণপত্রগুলো তার স্বজনরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দিয়েছেন।
৪৬ পাতা প্রমাণপত্রের মধ্যে একটি পাতায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একটি নম্বর, অংকে ও কথায় লেখা ৫০ হাজার টাকা, ০৫/০১/২০২৩ তারিখ (বৃহস্পতিবার) ও এডিসি মিল্টনের নাম লেখা আছে। সবই সুলতানার হাতে লেখা বলে তার স্বজনরা দাবি করেছেন।
সুলতানা জেসমিনের মামা নাজমূল হক মন্টু জানান, নওগাঁ শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তার ভাগ্নী। সম্প্রতি সেই বাসা থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে গিয়ে আর্থিক লেনদেনের ৪৬ পাতার পত্রগুলো পাওয়া যায়।
পত্রগুলোতে দেখা যায়, মৃত্যুর আগে সাম্প্রতিক সময়ে সুলতানা বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে টাকা পাঠানোর কথা লিখে রেখেছিলেন। প্রমাণপত্রগুলো হাইকোর্টের নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
৪৬ পাতা প্রমাণপত্রের একটিতে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম লেখা আছে। সেই কাগজে একটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর ও ৫০ হাজার টাকা দেনদেনের কথাও উল্লেখ করা আছে।
সুলতানার হাতে লেখা এসব প্রমাণপত্রের সূত্র ধরে অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এনামূল হকের দায়ের করা মামলা ও সুলতানার মৃত্যুর ঘটনার অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে উল্লেখ করেন মন্টু।
সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু ও তার বিরুদ্ধে এনামূল হকের করা মামলার বিষয়টি তদন্ত করছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি নওগাঁ সার্কিট হাউসে সুলতানার স্বজনদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে কমিটি।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, খুঁটিনাটি সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েই তদন্ত করছেন তারা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সুলতানার আর্থিক লেনদেনের প্রমাণপত্রে নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সুলতানা জেসমিনকে আমি চিনতাম না। তার সঙ্গে আমার পরিবারের কারও কোনো সম্পর্কও ছিলো না।’
র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ আদালতের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ মে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির প্রধান করা হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খানকে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং নওগাঁর পুলিশ সুপার মনোনীত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত, র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি দল চলতি বছরের ২২ মার্চ রাজশাহী স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক যুগ্ম সচিব এনামুল হকের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সঙ্গে নিয়েই নওগাঁ পৌরসভার চণ্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে আটক করে। আটক অবস্থায়ই ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসমিন মারা যান।
আরও পড়ুন:জামায়াতে ইসলামীর প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। তারা তাদের মতামত প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক।
‘কিন্তু, জামায়াত বর্তমানে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত নয়। তাই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ডিএমপি কমিশনার।’
তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা ভাঙচুরের সম্ভাবনার মতো বিষয়গুলো ডিএমপি কমিশনারকে বিবেচনা করার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের আলোচনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
রাষ্ট্রদূতরা কূটনৈতিক প্রোটোকল মেনে চলবেন এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও জ্বালানি সংকটের কারণে বাংলাদেশে শিল্প উৎপাদন চাপে পড়েছে। সেই সঙ্গে প্রভাব পড়েছে পরিষেবা খাতে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশে মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, নীতি অনিশ্চয়তার সঙ্গে বাড়তি উদ্বেগ হিসেবে যোগ হয়েছে বাংলাদেশি পণ্যের বৈদেশিক চাহিদা হ্রাস পাওয়া।
এতে প্রত্যাশিতভাবেই ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ২ শতাংশ হওয়ার কথা বলছে বিশ্বব্যাংক, যা আগের বছর ৭ দশমিক ১ শতাংশ ছিল। তবে আগামী অর্থবছরে আবারও জিডিপি বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ওই তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন সময় দেশের প্রবৃদ্ধি হোঁচট খেতে পারে বলে সতর্ক করে আসছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার পূর্বাভাসে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাধার মুখে পড়তে পারে বলে জানানো হয়।
সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু পরে তা কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি বছর জিডিপি কমলেও আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি বেড়ে ৬ দশমিক ২ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৪ এ পৌঁছাবে।
২০২০-২১ অর্থবছরে তা ছিল ৬ দশমিক ৯। আর করোনা মহামারীর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি কমে ৩ দশমিক ৪ গিয়ে ঠেকে।
বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’- এ বলা হয়, উচ্চ অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ, রিজার্ভ সংকট, আর্থ-সামাজিক উত্তেজনাসহ বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আর্থিক খাত ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গত দুই দশক ধরে একাধিক জলবায়ু-সম্পর্কিত বিপর্যয়ে এখানকার আর্থিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গুর চিকিৎসায় সরকারের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, মশা কমলে ডেঙ্গু কমবে। কিন্তু রোগীর চিকিৎসায় আমরা প্রস্তুত।’
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীদের জন্য দেশের সব পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঢাকা শহরে বলেন, অন্যান্য ডিভিশনাল শহরে বলেন, কিংবা জেলা শহরে বলেন, সব জায়গায় ডেঙ্গু চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে; কর্নার আছে, ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং রোগীদের যে ওষুধ দরকার হবে, সে ব্যবস্থাও করা আছে।’
ডেঙ্গু চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন তিনি।
তবে নিজেদেরও সচেতন হতে হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাড়ির ভেতরে-বাইরে যেন পরিত্যক্ত জিনিস পড়ে না থাকে, ফুলের টবে পানি জমে না থাকে, সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।’
বাংলাদেশে ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় দেশে। সে বছরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন আর মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের।
২০২০ সালে শুরু হয় মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। করোনায় কমে আসে ডেঙ্গুর প্রকোপ। রোগী শনাক্ত হয় ১ হাজার ৪০৫ জন। তাদের মধ্যে মারা যান সাতজন।
এ ছাড়া ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ২৮ হাজার ৪২৯ জন, মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। সবশেষ ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন মোট ৬২ হাজার। মারা যান ২৮১ জন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য