× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
শোকস্তব্ধ শিল্পকলায় মান্নান হীরার বিদায়
google_news print-icon

শোকস্তব্ধ শিল্পকলায় মান্নান হীরার বিদায়

শোকস্তব্ধ-শিল্পকলায়-মান্নান-হীরার-বিদায়
শিল্পকলা একাডেমিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সহকর্মী ও সংস্কৃতিজনদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বলেন, নাটকের মাধ্যমে শোষণ মুক্তির বার্তা দিয়েছিলেন মান্নান হীরা, জারি রেখেছিলেন সমাজ প্রগতির লড়াই।

ফুলেল শ্রদ্ধা আর সহকর্মী-সহযোদ্ধাদের চোখের পানিতে শেষ বিদায় নিলেন বরেণ্য নাট্যকার, নির্দেশক ও বাংলাদেশে পথ নাটকের পথিকৃৎ মান্নান হীরা।

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে তার কফিনে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।

এরপর বেলা সাড়ে ১২টার মরদেহ নেয়া হয় সেগুনবাগিচা মসজিদে। সেখানে জানাজা শেষে দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করে মান্নান হীরার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স।

শিল্পকলা একাডেমিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সহকর্মী ও সংস্কৃতিজনদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বলেন, নাটকের মাধ্যমে শোষণ মুক্তির বার্তা দিয়েছিলেন মান্নান হীরা, জারি রেখেছিলেন সমাজ প্রগতির লড়াই।

শ্রদ্ধা জানানোর পর সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘এ রকম মানুষের চলে অপূরণীয় ক্ষতি, মেনে নেয়া কষ্টের। মান্নান হীরা প্রধানমন্ত্রীর খুব স্নেহের ছিলেন। তার চলে যাওয়াতে খুব ব্যথিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নাট্যকার মামুনুর রশিদ। বলেন, ‘মান্নান হীরা শুধু আমার সহযোদ্ধা নয়, আমার সন্তানের মতো, আমার বন্ধুর মতো।’

নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রথম দিকে যে নাট্যকারেরা পথ দেখিয়েছেন তারা হলেন সৈয়দ শামসুল হক, আবদুল্লাহ আল মামুন, মামুনুর রশিদ, সেলিম আল দীন, এর পরের প্রজন্মের প্রধান নাট্যকার ছিলেন মান্নান হীরা।

‘মান্নান হীরা তার নাটকের মাধ্যমে অসাম্যের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর তুলে ধরেছেন। তিনি কোনো রকম আপস করেননি। সাহসের সঙ্গে সময়ের প্রয়োজনে যা বলার সেটা নাটকের মাধ্যমে শিল্পোত্তীর্ণভাবে বলে গেছেন।’

রাজধানীর কাকরাইলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান মান্নান হীরা।

তিনি মঞ্চনাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন। সরকারি অনুদানে নির্মাণ করেন ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’। ‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘৭১-এর রঙপেন্সিল’ নামে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন তিনি।

মান্নান হীরার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন:
মান্নান হীরা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধানমন্ত্রী
নাট্যকার মান্নান হীরা আর নেই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The judicial reform commission proposes to prevent false and harassing cases

মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধের প্রস্তাব বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের

মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধের প্রস্তাব বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ৫ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধ বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের প্রস্তাবে বলা হয়, ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধ বিষয়ে একটি বাস্তবানুগ আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে নিবিড় ও ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ।’

মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধে বাস্তবসম্মত আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গত বুধবার হস্তান্তর করা হয়।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

মোট ২৮ দফা প্রস্তাবের ২৫ নম্বরে রয়েছে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন সংক্রান্ত অংশটি।

মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধ বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের প্রস্তাবে বলা হয়, ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধ বিষয়ে একটি বাস্তবানুগ আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে নিবিড় ও ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

‘ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারার অনুরূপ একটি বিধান উক্ত কার্যবিধির ২৩ অধ্যায়ে (দায়রা আদালত কর্তৃক বিচার) সন্নিবেশ করা। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারায় উল্লিখিত জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ। মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা বলে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ থাকলে (বিশেষত, এজাহারে অস্বাভাবিক সংখ্যক অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম থাকলে), অপরাধ সংঘটনে কোনো আসামির সুনির্দিষ্ট কোনো ভূমিকার উল্লেখ এজাহারে না থাকলে সেই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে না এই মর্মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুলিশের প্রতি নির্দেশনা জারি।’

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ‘মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা বলে সন্দেহ করা যায় এরূপ মামলায় কোনো আসামি পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হলে পাবলিক প্রসিকিউটর বা ক্ষেত্রমতে, কোর্ট ইন্সপেক্টর বা কোর্ট সাব-ইন্সপেক্টর, আদালতে ওই আসামির জামিনের বিরোধিতা করবে না এই মর্মে আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাবলিক প্রসিকিউটরদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান।’

আরও পড়ুন:
হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল, পলক ও মবিনের ৪ দিনের রিমান্ড
খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ ৪৭ আসামি খালাস
জনগুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানির সরাসরি সম্প্রচার চেয়ে রিট
৭ দিনে আড়াই হাজার হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার হবে: আইন উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The wounded and martyred family began to provide financial assistance to the martyr family

অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু

অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সোমবার জুলাই শহীদ ২১টি পরিবার ও সাতজন আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘সবসময় ভাবি যাদের কারণে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলার সাহস করছি, তাদের এই ত্যাগ কোনো নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সোমবার জুলাই শহীদ ২১টি পরিবার ও সাতজন আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

বৈঠকে তিনটি শহীদ পরিবার ও তিনজন যোদ্ধা বক্তব্য দেন। তারা হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্তি, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

জুলাইয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘সবসময় ভাবি যাদের কারণে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলার সাহস করছি, তাদের এই ত্যাগ কোনো নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদের ইতিহাসের স্রষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘যে জাতি ইতিহাসকে স্মরণ করতে পারে না, সে জাতি জাতি হিসেবে গড়ে ওঠে না। এই স্বীকৃতিটা জাতির পক্ষ থেকে আমি আপনাদের কৃতজ্ঞতা।’

শহীদ পরিবার ও আহতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকে থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের অংশ হলেন। এটা হলো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি। এর বাইরেও আপনাদের দায়িত্ব সমাজের সবাইকে গ্রহণ করতে হবে।’

সব হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিচার হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচার তাৎক্ষণিকভাবে করতে গেলে অবিচার হয়ে যায়। বিচারের মূল জিনিসটা হলো এটা সুবিচার হতে হবে...অবিচার যেন না হয়। আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই এই সংগ্রাম হয়েছে, এই আত্মত্যাগ হয়েছে।

‘আমরা যদি অবিচারে নামি, তাহলে তাদের আর আমাদের মধ্যে তফাৎটা থাকল কোথায়? আমরা অবিচারে নামব না। আমরা যারা অপরাধী, তাদের পুলিশের হাতে, আইনের হাতে সোপর্দ করব। যারা অপরাধী নয়, পুলিশের হাতে দেওয়ার মতো নয়, তাদের মানুষ করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাব। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয়, তাদের সৎ পথে নিয়ে আসতে হবে।’

ওই সময় তিনি জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের আহ্বান জানান, দেশে কোনো সহিংসতা ও হানাহানি যেন না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে।

বৈঠকে আহত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারের গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদরা ‘জুলাই শহীদ’ নামে অভিহিত হবেন এবং আহতগণ ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে অভিহিত হবেন এবং পরিচয়পত্র পাবেন।

প্রতিটি শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জুলাইয়ে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি প্রতিটি শহীদ পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে। শহীদ পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।

জুলাই যোদ্ধারা দুটি মেডিক্যাল ক্যাটাগরি অনুযায়ী সুবিধাদি পাবেন।

গুরুতর আহতদের ‘ক্যাটাগরি এ’ অনুযায়ী এককালীন ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি গুরুতর আহত প্রত্যেক জুলাই যোদ্ধা মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।

বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্ত হবেন ও মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন। তারা কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন।

‘ক্যাটাগরি বি’ অনুযায়ী, জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ১ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি/আধাসরকারি কর্মসংস্থান প্রাপ্য হবেন।

জুলাই যোদ্ধাদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। তারা পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন।

এখন পর্যন্ত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার। এ ছাড়া আহতদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই তালিকাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুন:
শাহবাগ মোড় অবরোধ, বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি শহিদ পরিবারের স্বজনদের
জুলাই অভ্যুত্থানকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন: জাতিসংঘ মিশনের প্রতিবেদন মধ্য ফেব্রুয়ারিতে
অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ সরকারের
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে অভিমত চায় সরকার
জুলাই ঘোষণাপত্র: অন্তর্বর্তী সরকারের সংলাপে বিএনপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Operation will continue until the Devil is over Home Advisor

ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাড়াতাড়ি বাকিদেরও আনা হবে।’

ডেভিল যতদিন শেষ না হবে, ততদিন পর্যন্ত অপারেশন চলবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের নতুন মৃত্তিকা ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রবিবার সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাড়াতাড়ি বাকিদেরও আনা হবে।’

যারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে, তাদের টার্গেট করে ডেভিল হান্ট অপারেশন চলবে বলেও জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।

গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঘোষণা দেয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের।

পরে শনিবার রাত থেকেই সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল জোরদার করা হয়।

ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অপরাধ দেশবাসীর জানা রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
‌‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: গাজীপুরে আটক ৪০
গাজীপুরসহ দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব
প্রকৃতি সংরক্ষণের জায়গা হবে বোটানিক্যাল গার্ডেন: পরিবেশ উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former CEC Justice Abdur Rauf left

চলে গেলেন সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফ

চলে গেলেন সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফ সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফ। ছবি: ইউএনবি
সাবেক এ বিচারপতি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সিইসি নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আবদুর রউফ ইন্তেকাল করেছেন, যার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

রাজধানীর মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিউ) রবিবার সকাল ১০টার দিকে ইন্তেকাল করেন তিনি।

সাবেক এ বিচারপতি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সিইসি নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন।

আবদুর রউফ ১৯৯৫ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে যান।

এ ছাড়া তিনি দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজধানীর মহাখালীর টিবি হাসপাতাল গেট সংলগ্ন গাউছুল আজম জামে মসজিদে আজ বাদ আছর মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার বাদ জোহর জাতীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জানাজা এবং ময়মনসিংহের দাপুনিয়া হাই স্কুল মাঠে বাদ মাগরিব তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

আরও পড়ুন:
চলে গেলেন সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ
ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য অক্টোবরের মধ্যে আইন-কানুন ঠিক করতে হবে: সিইসি
সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি: সিইসি
দেশে একমাত্র এইচএমপিভি রোগীর মৃত্যু
গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Vandalism TIB urges the government to take effective role

ভাঙচুর: সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির

ভাঙচুর: সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির টিআইবির লোগো। ফাইল ছবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “আগে থেকে সহিংস কর্মসূচির ঘোষণা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে দায়িত্বপালনরত সেনাবাহিনী, তথা সরকার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশঙ্কাজনকভাবে নির্লিপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাটি ‘অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত’ এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।”

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত দুই দিনের ভাঙচুর ও সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ ও তা প্রতিরোধে সরকারের ‘বিবৃতিনির্ভর নির্লিপ্ততায়’ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদশে (টিআইবি)।

সংস্থাটি শনিবার এক বিবৃতিতে এ অবস্থান ব্যক্ত করে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিকে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে শুধু বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব সম্পন্ন করা নয়, সরকারের কার্যকর ভূমিকা অপরিহার্য বলে মনে করে টিআইবি।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দলীয়করণ ও পরিবারতন্ত্রের সীমাহীন লালসা-তাড়িত কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বেশি অপূরণীয় ক্ষতি করেছে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। বহুমাত্রিক অধিকার হরণের শিকার আপামর দেশবাসীর ক্ষোভের মাত্রা বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে পলাতক শেখ হাসিনা ও তার দেশি-বিদেশি সহযোগীদের নির্লজ্জ ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার প্রেক্ষিতে।

‘তাই বলে আইনসিদ্ধ প্রতিক্রিয়ার পথ অনুসরণ না করে দেশব্যাপী যে প্রতিশোধপ্রবণ ভাঙচুর ও সহিংসতা চলেছে, তা কোনোভাবেই প্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটি জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ সর্ম্পকে দেশ-বিদেশে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেবে না।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, “আগে থেকে সহিংস কর্মসূচির ঘোষণা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে দায়িত্বপালনরত সেনাবাহিনী, তথা সরকার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশঙ্কাজনকভাবে নির্লিপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাটি ‘অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত’ এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।”

তিনি বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের পুঞ্জীভূত বিশাল জঞ্জাল অপসারণ করে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা হয়তো বিতর্কের ঊর্ধ্বে। তবে তার প্রয়োগে সুচিন্তিত ঝুঁকি নিরসন কৌশলের ওপর ভিত্তি করে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সক্রিয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কারণে এই প্রশ্ন যৌক্তিকভাবে উত্থাপিত হতে পারে।

‘তাই শুধু দায়সারা বিবৃতি দিয়ে নয়, যেকোনো পরিস্থিতি আইনসিদ্ধভাবে মোকাবিলায় সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “এমনটি অব্যাহত থাকলে নজিরবিহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে সূচিত ‘নতুন বাংলাদেশের’ অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন এবং বিশেষ করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন:
বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: বিপিএ
সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ
কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসায় আগুন, গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো আওয়ামী লীগ কার্যালয়
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, আগুন নিয়ে সরকারের বিবৃতি
নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Conspiracy with the chief adviser Press Secretary

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
শফিকুল আলম বলেন,‘যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নেতিবাচকভাবে বিশ্বে তুলে ধরতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আর এতে জড়িত রয়েছে ভারতের মিডিয়া।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার ‘দ্রোহের গ্রাফিতি: চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান প্রকাশনা’ শীর্ষক উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

ওই সময় দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান শফিকুল আলম।

তিনি বলেন,‘যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকার যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, গ্রাফিতির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
ভারতের সঙ্গে সব অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রেলকর্মীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
স্টাফদের দাবির বিষয়ে আলোচনার দরজা খোলা: রেলপথ উপদেষ্টা
কে এম সফিউল্লাহর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Benazirs statement is deep conspiracy and sedition BPA

বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: বিপিএ

বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: বিপিএ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি
বিপিএর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের সভায় অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ব্যক্তির দায়ভার কখনও কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও একাধিক দুদকের মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল পুলিশ সদস্য মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।’

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র করেছেন মন্তব্য করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

সংগঠনটির সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলু শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠনে পুলিশের সকল সদস্য অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে ও দেশপ্রেমের চেতনা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।

‘পুলিশ বাহিনীর যে সকল বিতর্কিত সদস্য গণহত্যাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য একমত পোষণ করে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি গণহত্যা, দুর্নীতি, মানিলন্ডারিংসহ একাধিক মামলায় জড়িত পলাতক আইজিপি বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে একটি ষড়যন্ত্রমূলক সভায় অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়, যেখানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে তার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের গোচরীভূত হয়।

‘ওই বক্তব্যটি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ও এর সদস্যদের পেশাদারত্বকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে বলে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন মনে করে।’

বিপিএর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ ধরনের সভায় অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ব্যক্তির দায়ভার কখনও কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও একাধিক দুদকের মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল পুলিশ সদস্য মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।

‘বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এ জাতীয় ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
সদরদপ্তরের সামনে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ
পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের জন্য নতুন পোশাক নির্ধারণ
পরিবর্তন হচ্ছে পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক
পুলিশ সদস্যকে গুলি করে পানিতে ফেলে দিল সন্ত্রাসীরা
সারদায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ এসআইয়ের পদায়ন প্রশ্নে রুল

মন্তব্য

p
উপরে