× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

জীবনের জয়গান গাওয়া হাজারিকা

জীবনের-জয়গান-গাওয়া-হাজারিকা
বাংলাদেশের প্রতি প্রবল ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন তার গানে। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গেয়েছেন ‘জয় জয় নবজাত বাংলাদেশ/জয় জয় মুক্তিবাহিনী’। গানটি জয় করে নেয় বাংলাদেশিদের হৃদয়।

‘মানুষ মানুষের জন্যে,

জীবন জীবনের জন্যে,

একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না?’

ঠিক এভাবে গানে গানে মানবপ্রেম ও জীবনের কথা বলে গেছেন ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ভূপেন হাজারিকা। প্রতিবেশী দেশের সংগীত জগতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশেও ছিলেন তুমুল জনপ্রিয়।

বাংলাদেশের প্রতি প্রবল ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন তার গানে। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গেয়েছেন ‘জয় জয় নবজাত বাংলাদেশ/জয় জয় মুক্তিবাহিনী’। গানটি জয় করে নেয় বাংলাদেশিদের হৃদয়।

কিংবদন্তি এ মানবতাবাদী শিল্পীর প্রয়াণ দিবস আজ। ২০১১ সালের এই দিনে (৫ নভেম্বর) তিনি মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

ভূপেন হাজারিকা ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামের সদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

শিশু কণ্ঠশিল্পী হিসেবে অসমিয়া চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের মাধ্যমে গানের জগতে প্রবেশ করেন তিনি। মাত্র ১২ বছর বয়সেই মূর্ত হয়ে ওঠে তার সংগীত প্রতিভা।

পরবর্তী সময়ে তিনি আবির্ভূত হন অসমিয়া চলচ্চিত্রে এবং নিজেই অসমিয়া চলচ্চিত্রের একজন গুণী পরিচালক হয়ে ওঠেন। তবে তিনি মানুষকে বেশি আলোড়িত করেছেন তার সংগীত দিয়ে।

অসমিয়া ভাষার অসংখ্য গান বাংলা ও হিন্দি ভাষাতে গেয়েছেন হাজারিকা। তার গানে প্রকৃতি, প্রেম সাম্যের কথা আবার শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সুর ধ্বনিত হয়েছে বারবার।

তিনি গেয়েছিলেন ‘আমায় একজন সাদা মানুষ দাও’, ‘আজ জীবন খুঁজে পাবি’, ‘বিস্তীর্ণ দুপারে অসংখ্য মানুষের’, ‘হে দোলা হে দোলা’, ‘মেঘ থমথম করে’, ‘শরৎবাবু খোলা চিঠি দিলাম তোমায়’, ‘আমি এক যাযাবর’সহ অসংখ্য বাংলা গান।

ভূপেন হাজারিকা সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন বিভিন্ন পুরষ্কার ও সম্মাননা। ভারত সরকার ১৯৯৩ সালে তাকে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মাননা দেয়।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The students were removed from the road with the principals request

অধ্যক্ষের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার, সড়ক থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা

অধ্যক্ষের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার, সড়ক থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ সংশোধনের দাবিতে এবং সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর অধ্যক্ষের অনুরোধে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে তারা সড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। এতে সড়কে বন্ধ হয়ে যাওয়া যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, অবরোধ চলাকালে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার সায়েন্সল্যাব মোড়ে আসেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের আহ্বান মেনে সড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, নতুন ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’-এর বর্তমান ধারায় ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েট বিভাগ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শতবর্ষের ঐতিহ্য নষ্ট হবে বলে দাবি করেন তারা।

উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েট বিভাগ শুধু একটা শিক্ষা ধাপ নয়, এটা আমাদের ইতিহাসের অংশ। এই বিভাগ তুলে দিলে কলেজের ঐতিহ্য ধ্বংস হয়ে যাবে।

সামিউল ইসলাম নামের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই না আমাদের পরের প্রজন্ম এই কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সুযোগ হারাক। শত বছরের পুরোনো এই ধারা বজায় রাখা উচিত। ঢাকা কলেজ সবসময়ই মাধ্যমিকের পর শিক্ষার্থীদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা ভালো, কিন্তু ঐতিহ্য মুছে দিয়ে নয়। আমাদের দাবি ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেই এগোতে হবে।

অন্যদিকে, অবরোধের কারণে ওই এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় তীব্র ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। ফলে আজিমপুর, নীলক্ষেত, শাহবাগ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এর আগে, সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা কলেজে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা শুরুর প্রস্তুতির সময় ঢাকা কলেজে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে ‘দালাল’ মন্তব্যের অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে শিক্ষকরা ধরে কমনরুমে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে সহপাঠীকে ছাড়িয়ে আনেন।

এসময় উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও স্নাতকের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মারামারিতে জড়ান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hanif ordered a notice to appear in the newspaper to appear in court

হানিফসহ ৪ জনকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ

হানিফসহ ৪ জনকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফসহ ৪ জনকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্র্যাইব্যুনাল। একইসঙ্গে পলাতক এই চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আগামী ১৪ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দুপুর দেড়টা থেকে চারটার মধ্যে কুষ্টিয়ার বক চত্বর থেকে অনুমান ৫০ গজ উত্তরে শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, বার্মিজ গলিতে সুরুজ আলী বাবু, হরিপুর গামী রাস্তা আড়ং এর সামনে শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুত্তাকিন, মো. উসামা, তুলা পট্টির গলিতে ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী ও ফায়ার সার্ভিসের বিপরীত দিকে রাস্তার ওপর চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ শহীদ হন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The wind of Dhaka is unhealthy today

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

রাজধানী ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণে ঢাকা আজ বিশ্বের পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আইকিউএয়ার অনুযায়ী সকাল ৯টায় ঢাকার বায়ুর দূষণ মান ১৫৮। একই সময় বিশ্বে শীর্ষ দূষণের তালিকায় প্রথম থাকা পাকিস্তানের লাহোরের বায়ুর দূষণ মান ২২১। তৃতীয় অবস্থানের থাকা কলকাতার বায়ুর দূষণ মান ১৬৪ ও চতুর্থ অবস্থানে থাকা বায়ুর দূষণ মান ১৬২।

বায়ুর মান শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Israeli prisoners described the fascinating Palestinians

ইসরাইলি কারাগারের লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন মুক্ত ফিলিস্তিনিরা

ইসরাইলি কারাগারের লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন মুক্ত ফিলিস্তিনিরা

ইসরাইলি আটক থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাদের কারাগারে কেমন ছিলেন সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন ফিলিস্তিনিরা। তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার।

প্রতিবেদননে বলা হয়—আব্দাল্লাহ আবু রাফে নামের এক ফিলিস্তিনি তার ইসরাইল থেকে মুক্তির অনুভূতিকে ‘অসাধারণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ছিলাম এক কসাইখানায়, কারাগারে নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা ‘ওফার কারাগার’ নামের এক কসাইখানায় ছিলাম। সেখানে এখনো অনেক তরুণ পুরুষ আটক রয়েছে। ইসরাইলি কারাগারের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। সেখানে কোনো বিছানা নেই—তারা সবসময় বিছানা নিয়ে যায়। খাবারের অবস্থাও খুবই খারাপ। সেখানে জীবনযাপন সত্যিই কঠিন।’

আরেক মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দি, ইয়াসিন আবু আমরা, ইসরাইলি কারাগারের পরিস্থিতিকে ‘খুব, খুবই খারাপ’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘খাবার, নির্যাতন, মারধর—সবকিছুই খারাপ ছিল। কোনো খাবার বা পানীয় দেওয়া হতো না। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে (খান ইউনিস) তারা আমাকে দুটি মিষ্টি দিয়েছে, আমি সেগুলোই খেয়েছি।’

আরেকজন মুক্তিপ্রাপ্ত, সাঈদ শুবাইর, যিনি সোমবার মুক্তি পান, বলেন তিনি তার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতি বর্ণনাতীত। লোহার শিক ছাড়াই সূর্য দেখা—এই অনুভূতি বর্ণনা করার মতো নয়। আমার হাত এখন হ্যান্ডকাফমুক্ত। স্বাধীনতা অমূল্য।’

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইল প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে, যারা আজীবন বা দীর্ঘ মেয়াদের সাজা ভোগ করছিলেন। এছাড়া, গাজা থেকে যুদ্ধ চলাকালে আটক করা আরও প্রায় ১,৭১৮ জনকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, এই দ্বিতীয় দলটি ‘জোরপূর্বক নিখোঁজ’ হিসেবে বিবেচিত ছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The World Health Organization Warning with Indias 3 Cuff Syrup

ভারতের ৩ কফ সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

ভারতের ৩ কফ সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

ভারতের তিনটি কফ সিরাপের বিষয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই কফগুলো উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে এবং জীবনের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। এই কফ সিরাপগুলো তৈরি করা হয়েছে ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

ভারতের ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিসসিও) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডব্লিউএইচও’র সতর্কবর্তা সম্পর্কে তারা ওয়াবিহাল এবং এই সতর্কবার্তাকে আমলে নিয়ে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরো কঠোর ও নিখুঁত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তারা।

এই তিনটি কফ সিরাপ হলো ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি কোল্ডরিফ, রেডনেক্স ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি সিরাপ রেসপিফরেশ টিআর এবং শেপ ফার্মার তৈরি সিরাপ রিলাইফ।

এই সিরাপগুলোতে ডায়াথিলিন গ্লাইকোল নামের একটি রাসায়নিকের অস্বাভাবিক উপস্থিতির কারণেই এই সতর্কবার্তা দিয়েছে ডব্লিউএইচও। শিশুদের কাশির সিরাপ তৈরির জন্য ডায়াথিলিন গ্লাইকোল একটি প্রয়োজনীয় রাসায়নিক, তবে কোনো সিরাপে যদি অনুমোদিত বা নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি ডায়াথিলিন গ্লাইকোল ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা রীতিমতো বিষে পরিণত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, এই তিন কফ সিরাপে ডায়াথিলিন গ্লাইকোলের উপস্থিতি নির্ধারিত বা অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি।

গত আগস্টে ভারতে শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি কোল্ডরিফ সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জন শিশুর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kushtia Daulatpur border in a joint operation of Tk 1 crore illegal nets

কুষ্টিয়া দৌলতপুর  সীমান্তে যৌথ অভিযানে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ জাল ধ্বংস

কুষ্টিয়া দৌলতপুর  সীমান্তে যৌথ অভিযানে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ জাল ধ্বংস

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ১৪ কোটি টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ও ১২ অক্টোবর উপজেলার সীমান্তবর্তী আশ্রায়ন বিওপির আওতাধীন এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে, সহকারী পরিচালক এবং ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মো. জাকিরুল ইসলাম অভিযানে অংশ নেন।

অভিযানকালে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া ও মদনের ঘাট এলাকায় আনুমানিক ৩৫ হাজার কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা।

পরে সোমবার দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ আশ্রায়ন বিওপি এলাকায় জনসম্মুখে এসব অবৈধ জাল ধ্বংস করা হয়। পরিচালক (অপারেশন) যশোর সদর দপ্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শিকদার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ এর উপস্থিতিতে জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।

৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। মাদক ও সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। জনসাধারণের সেবায় বিজিবি ভবিষ্যতেও সর্বদা নিয়োজিত থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
MPO teachers will observe the March Two Secretariat program today

আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

দাবি পূরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করায় মঙ্গলবার শহীদ মিনার থেকে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করবেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। পাশাপাশি তাঁদের অবস্থান ও কর্মবিরতি চলবে।

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশের দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। গতকালেক তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। পাশাপাশি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। গতকাল রাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন বা ঘোষণা না এলে লং মার্চসহ পরবর্তী কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।

দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আমাদের ওপর নির্বিচার পুলিশি লাঠিপেটা করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এমনকি একজন শিক্ষককে ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই ও বিচার দাবি করছি।’

তিন দফা দাবিতে গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এতে সারা দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী এতে অংশ নেন। কিন্তু সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তারা। লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা।

মন্তব্য

p
উপরে