× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

‘খিচুড়ি’র স্রষ্টা সুকুমার রায়

খিচুড়ির-স্রষ্টা-সুকুমার-রায়
জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ছেলে সুকুমার রায় । তার ছেলে বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়।

“হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),

হয়ে গেলে ‘হাঁসজারু’ কেমনে তা জানি না।”

ছোটবেলায় ‘খিচুড়ি’ ছড়ার এ দুটি লাইন মুখে মুখে ছিল অনেকের। মজার এ ছড়াটির রচয়িতা ক্ষণজন্মা শিশুসাহিত্যিক ও ‘ননসেন্স ছড়া’র প্রবর্তক সুকুমার রায়।

১৮৮৭ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতার এক ব্রাহ্ম পরিবারে জন্ম সুকুমারের।

জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ছেলে সুকুমার। এ ছড়াকারের ছেলে বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়।

কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০৬ সালে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বিএসসি করেন সুকুমার রায়। ১৯১১ সালে উচ্চতর শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন।

১৯১৩ সালে সুকুমার কলকাতায় ফিরে আসেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভারতের অগ্রগামী আলোকচিত্রী ও লিথোগ্রাফ শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

সুকুমার ইংল্যান্ডে পড়াকালীন তার বাবা উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় উন্নত-মানের রঙিন হাফটোন ব্লক তৈরি ও মুদ্রণক্ষম একটি ছাপাখানা স্থাপন করেছিলেন। সে সময়ে উপেন্দ্র ছোটদের জন্য ‘সন্দেশ’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন।

সুকুমারের ইংল্যান্ড থেকে ফেরার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তার বাবার মৃত্যু হয়। এরপর ‘সন্দেশ’ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন সুকুমার। শুরু হয় বাংলা শিশুসাহিত্যের এক নতুন অধ্যায়।

‘সন্দেশ’-এর সম্পাদক থাকাকালীন তার লেখা ছড়া, গল্প ও প্রবন্ধ আজও বাংলা শিশুসাহিত্যে মাইলফলক হয়ে আছে।

সুকুমার রায়ের লেখা কবিতার বই ‘আবোল তাবোল’, গল্প ‘হ-য-ব-র-ল’, গল্প সংকলন ‘পাগলা দাশু’, এবং নাটক ‘চলচ্চিত্তচঞ্চরী’ বাংলায় সর্বযুগের সেরা ‘ননসেন্স’ ধরনের ব্যঙ্গাত্মক শিশুসাহিত্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

১৯২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কালাজ্বরে (লেইশ্মানিয়াসিস) আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ক্ষণজন্মা এই শিশুসাহিত্যিক।

মৃত্যুর এত বছর পরও সুকুমার রায় বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিকদের একজন।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
A League leaders son in hospital after police torture

‘পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে’ হাসপাতালে আ.লীগ নেতার ছেলে

‘পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে’ হাসপাতালে আ.লীগ নেতার ছেলে আহত কৃষক সিরাজ উদ্দিন। ছবি: নিউজবাংলা
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত হয়ে জেলার বাজিতপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এ বিষয়ে তারা কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি।

উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের মহিষবেড় এলাকায় নলা বিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রোববার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্বজনরা জানান, অতর্কিত পুলিশি হামলা-নির্যাতনের শিকার হন মো. সিরাজ উদ্দিন। পুলিশের বেধড়ক বুটের লাথি ও লাঠিপেটায় তার বাম পায়ের ঊরুর হাড় ভেঙে যায়। এ ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীল হয়ে গেছে, ফুলে জখম হয়ে যায় তার। এক পর্যায়ে সিরাজের চিৎকার শুনে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

গুরুতর আহত ৪৫ বছর বয়সী কৃষক সিরাজ উদ্দিন পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার বাবা আশ্রাব আলী এই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

সিরাজের ভাই মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, নলা বিলে মাছের খাদ পাহাড়া দিতে যায় তার ভাই সিরাজ। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে এএসআই নুরুল হকসহ অন্য পুলিশ সদস্যেরা পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় সিরাজ প্রতিবাদ করায় এএসআই নুরুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজের বাম উরু লক্ষ্য করে বুট দিয়া লাথি মারে। এ লাথিতে সিরাজের বাম উরুর হাড় ভেঙ্গে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান।

তারপর ভাঙ্গা স্থানে আরও কয়েকটি লাথি মারে এবং গলায় পা দিয়া চেপে ধরে নূরুল হক। এ সময় তার সাথে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যরাও সিরাজকে মারধর করে। সিরাজের চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এলে তারা সটকে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সিরাজ সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রিয়াজ উদ্দিন আরও জানান, এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানায় গিয়ে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি। তাই এ ঘটনায় আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কৃষক সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বলেন, ‘তার স্বামীকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসক জানান, তার আঘাতগুলো গুরুতর। অপারেশন লাগতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘তিনটা কন্যা সন্তান নিয়ে এমনিতেই ভালভাবে চলতে পারছিনা। যে মানুষটার উপার্জনে সংসার চলে পুলিশে মেরে সে মানুষটার পা ভেঙ্গে দিয়েছে। এখন খুবই বিপদে আছি। এমন বর্বরোচিত হামলার তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি।’

৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. মস্তুফা জানান, সিরাজ উদ্দিন খুব ভালো লোক। সে সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশ্রব আলীর ছেলে।

তিনি বলেন, ‘কেউ অপরাধ করলে পুলিশ তাকে আটক করতে পারে। তবে তার শরীরে এভাবে আঘাত করতে পারে না। আমি এ ঘটনাটি শুনেই ওই পুলিশ সদস্যের মোবাইলে ফোন করি। ঘটনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই সে মোবাইল ফোন কেটে দেয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে কথা বলতে আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক নূরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তার দাবি তিনি সেখানে যাননি।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
ছাগল চুরি: ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে তুলে এনে নির্যাতন চেয়ারম্যানের
নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল
বাবার কাছে টাকা পাওনা, কিশোরকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন
মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, নারী গ্রেপ্তার
অটোচালককে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, এসআই প্রত্যাহার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prothom Alo journalist detained in Savar

সাভারে প্রথম আলোর সাংবাদিককে আটক

সাভারে প্রথম আলোর সাংবাদিককে আটক সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মো. শামসুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
আটক মো. শামসুজ্জামান সাভারে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম আবর্তনে বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরে।

ঢাকার সাভারে ভাড়া বাসা থেকে প্রথম আলোর সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে।

উপজেলার আশুলিয়ার আমবাগান এলাকার বাসা থেকে বুধবার ভোররাতে ওই সাংবাদিককে আটক করা হয়।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু মন্ডল নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

আটক মো. শামসুজ্জামান সাভারে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম আবর্তনে বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরে।

শামসুজ্জামান গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত এসপি রবিউল ইসলামের ভাই।

তিনি সাভারের আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় একাই থাকতেন, তবে মঙ্গলবার রাতে আরিফুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিক ঘটনার সময় শামসুজ্জামানের বাসায় ছিলেন।

সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সাভার- ধামরাইয়ে সাংবাদিকতা করছি। মাঝেমধ্যে অফিসের কাজে ঢাকা যাই। গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকা গিয়েছিলাম। ফেরার পথে বেশি রাত হওয়ায় ভাইয়ের বাসায় আসি কাল সকালে আবার ঢাকা যাব এ জন্য।’

আরিফ আরও বলেন, “আমি রাতে ঘুমিয়েছিলাম। ভোর ৪টার দিকে শামস ভাই আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। উঠে দেখি, ডাইনিংয়ে পাঁচ/ছয় ব্যক্তি দাঁড়ানো। আর এক ব্যক্তি ভাইয়ের কক্ষে তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ড ডিস্ক নিয়ে নেয়। বাইরে থাকা একটি ব্যাগ ফাঁকা করে সেই ব্যাগে ওসব ঢুকাচ্ছে। এরপর কর্মকর্তা গোছের একজন ঘরের ভিতরে ঢুকে আমার কাছে পরিচয় জানতে চায়। বলে, জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তারপর বাসায় দিয়ে যাবে।

“সিআইডি পরিচয়দানকারী এদের মধ্যে একজন বাড়িওয়ালার সঙ্গে কথা বলছিলেন, ‘নিউজ দিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে। সেটাই শুনব।’ তাদেরই একজন শামস ভাইয়ের প্রয়াত বড় ভাই রবিউলের কথা বলেন। উনি তো এসি রবিউলের ছোট ভাই। এরপর ১০-১৫ মিনিট অবস্থান করার পর তারা বাসা ছেড়ে চলে যায়।’

ওই সাংবাদিক আরও বলেন, ‘এর ৪৫ মিনিট পর তারা আবার শামসুজ্জামান ভাইকে নিয়ে বাসায় আসেন। এ সময় তারা জব্দ করা মালামালের তালিকা করেন। শামসুজ্জামানকে জামাকাপড় নিতে বলা হয়। এ সময় কক্ষের ভেতরে দাঁড় করিয়ে তার ছবি তোলা হয়। পাঁচ/সাত মিনিটের মধ্যে আবার তারা বের হয়ে যান। বাসা তল্লাশির সময় দুইবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন উপস্থিত ছিলেন।’

প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসে বটতলার নূরজাহান হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন, একজন নিরাপত্তা প্রহরী, শামসুজ্জামানসহ মোট ১৯ জন ব্যক্তি সেহরির খাবার খান। ভোর পৌনে ৫টার দিকে বটতলা থেকে তারা আবার শামসুজ্জামানের বাসায় যান। শামসুজ্জামানের বাসার সামনে থাকা দুটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো চ ৫৬-২৭৪৭ ও ঢাকা মেট্রো জ ৭৪-০৩৩১। আরেকটিতে কোনো নম্বর প্লেট দেখা যায়নি। দ্বিতীয়বার বাসায় যাওয়ার সময় আশুলিয়া থানার এসআই রাজু সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

আশুলিয়া থানার এসআই রাজু মন্ডল বলেন, ‘ওখানে সিআইডির এক এসপি স্যার ছিলেন। ওখানে আমাকে জাস্ট উনারা প্রেজেন্ট থাকতে বলছে। পোশাক পরিহিত পুলিশ হিসেবে আমাকে রাখছে। এটা খুব সিকিউরড করে ধরা হয়েছে। এডিশনাল এসপি স্যার আসছিলেন চারজন। কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ ছিল না।

‘কাকে ধরতে আসছে, কাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে এটা সম্বন্ধে আমি জানিই না। আসলে কোন ব্যাপারে তাকে কেন ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমি জানি না। পরে আপনাদের স্থানীয় এক সাংবাদিক একটু বলল।’

শামসুজ্জামান যে বাসায় থাকতেন, সে বাড়ির মালিক ফেরদৌস আলম কবির বলেন, ‘শামসুজ্জামান নিচ তলায় এক বছর আগে বাসা ভাড়া নেয়। ওই একমাত্র ব্যাচেলর ছিল। গুলশানে হলি আর্টিজানে ওর ভাই রবি শহীদ হয়েছেন। সে হিসেবেই ওর প্রতি আলাদা মায়া ছিল আমার, যে কারণে ওরে বাসা ভাড়া দিয়েছি।

‘গতকাল রাতে সিআইডি পরিচয়ে ৫-৭ জন বাসায় এসেছিল। তাদের আচরণ পেশাদার ছিল। শামসকে নিয়ে তারা ভোর ৪টার দিকে বের হয়ে যায় একসাথে সেহরি খাওয়ার কথা বলে। পরে শামসকে নিয়ে তারা আবার আসছে। কাপড়চোপর আর ফোন ও ল্যাপটপজাতীয় ডিভাইসগুলো নিয়ে গেছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, আসলে কী ব্যাপার। তারা বলেছে, উনি একটা নিউজ করেছিল। সেটার প্রেক্ষিতে একটা মামলা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, যারা সিআইডি পরিচয়ে এসেছিল, তাদের সাথে শামসের আচরণও অস্বাভাবিক মনে হয়নি। মনে হচ্ছিল তারা পূর্ব পরিচিত।

সিআইডির ভাষ্য

সিআইডি ঢাকা বিভাগের ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা বিভাগ কাউকে আটক করেনি।’
সিআইডি সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
সিআইডি ঢাকা মেট্রোর দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ঢাকা মেট্রোর কেউ আটক করলে বিষয়টা জানতাম। সিআইডির নাম করে অন্য কেউ করেছে কি না, বিষয়টা জানি না।’
আরও পড়ুন:
সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত, এসআই প্রত্যাহার
‘গাড়ি চালকের সাহায্যে বাসায় ঢুকে সাংবাদিক আফতাবকে হত্যা’
সাংবাদিক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টুর মায়ের মৃত্যু
মিরপুরে ফ্ল্যাট থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার
বরিশালে সংবাদের জে‌রেই অপূর্বর ওপর হামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rafiqul Madanis bail on the condition of not giving anti state speech

রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য না দেয়ার শর্তে রফিকুল মাদানির জামিন

রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য না দেয়ার শর্তে রফিকুল মাদানির জামিন পুলিশের হাতে আটক রফিকুল মাদানি। ফাইল ছবি
মাদানির আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছু শর্ত দিয়ে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। শর্তের মধ্যে রয়েছে কোনো ওয়াজ মাহফিলে সমাজবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, প্রচলিত আইনবিরোধী কোনো উক্তি বা বক্তব্য দেবেন না, এমন লিখিত নিয়ে চারটি থানার মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন। এখন তার মুক্তিতে আপাতত আর কোনো বাধা নেই।’

ভবিষ্যতে কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য না দেয়ার শর্তে শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানিকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে মাদানির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদানির আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছু শর্ত দিয়ে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। শর্তের মধ্যে রয়েছে কোনো ওয়াজ মাহফিলে সমাজবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, প্রচলিত আইনবিরোধী কোনো উক্তি বা বক্তব্য দেবেন না, এমন লিখিত নিয়ে চারটি থানার মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন। এখন তার মুক্তিতে আপাতত আর কোনো বাধা নেই।’

জামিন চেয়ে কবে আবেদন করেছিলেন জানতে চাইলে রফিকুল ইসলামের আইনজীবী বলেন, ‘গত বছর জামিন আবেদন করেছিলাম। এরপর দীর্ঘ সময় বারবার রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময় নেওয়ায় শুনানিতে বিলম্ব হয়েছে। আজকে শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন, তবে এ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।’

ঢাকা ও গাজীপুর মিলিয়ে মাদানির নামে চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও একটি আমরা রয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ভোরে নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দার নিজ বাড়ি থেকে মাদানিকে আটক করে র‌্যাব। এরপর ১৬ এপ্রিল তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ।

মতিঝিল থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইউটিউব ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মাদানি দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। তার এসব বক্তব্যে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। তার দেয়া বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয়ে তারা দেশের সম্পত্তির ক্ষতি করছে।

আরও পড়ুন:
৫ দিনের রিমান্ডে তেজগাঁও থানায় ‘শিশুবক্তা’
রিমান্ড শেষে আবারও কারাগারে ‘শিশুবক্তা’
মতিঝিলের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে রফিকুল মাদানী
গাজীপুরের আরেক মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে ‘শিশুবক্তা’
একদিনে তিন জেলায় ‘শিশুবক্তার’ রিমান্ড

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The chairman tortured the goat thief by not finding the son and bringing the father

ছাগল চুরি: ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে তুলে এনে নির্যাতন চেয়ারম্যানের

ছাগল চুরি: ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে তুলে এনে নির্যাতন চেয়ারম্যানের আঙ্গুর মিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ছবি: নিউজবাংলা
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে চেয়ারম্যান বিল্পব আমাকে বিষয়টা জানান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

নরসিংদীর মনোহরদীতে ছাগল চুরির অভিযোগ উঠেছে ১৮ বছর বয়সী ছাদিকুল নামে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কিশোরকে না পেয়ে তার বাবা আঙ্গুর মিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নেয় চেয়ারম্যানের লোকেরা। পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে বন্দি করে নির্যাতন করা হয়।

রাত পৌনে ১টার দিকে নির্যাতিত আঙ্গুর মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তার পরিবারের লোকজন। স্বজনদের অভিযোগ, আপোষের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করেন চেয়ারম্যানের লোকজন।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদে। মঙ্গলবার রাতে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন আটকে রাখা আঙ্গুরের স্ত্রী রিমা আক্তার।

এ বিষয়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে আঙ্গুরের মেয়ে ময়না আক্তার নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের লোক পরিচয় দিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেয় বাবাকে। তারা দুই দফায় ১০/১২জন লোক আসে তাদের মধ্যে মামুন, সাদ্দাম, নাজমুল নামে তিনজনকে চিনেছি বাকিদের চেহারা চিনি নাম জানি না। সঙ্গে আমার মাকেও নিয়ে যায়। পরে মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমার ভাইকে নিয়ে গেলে বাবাকে ছাড়া হবে। ভাই কোথায় জানিনা। এখনো মা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আছে বাবা বন্দি পরিষদের ভেতরে। এ ঘটনার বিচারের জন্য আমরা সকালে পুলিশের কাছে যাব।

অভিযুক্ত খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার হোসেন বিপ্লব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে হেয় করতে অনেকে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। মূল বিষয়টা হলো আমার এলাকা থেকে গরু-ছাগল চুরির হচ্ছে ঘনঘন। গত বৃহস্পতিবার আঙ্গুরের ছেলে ছাদিকুল ছাগল চুরি করে ধরা খেয়েছে কটিয়াদি গ্রামে।

‘আজ আমার পরিষদে বিচার আসে চরসবুদ্ধি, পাড়াতলা, চরআহম্মদপুর গ্রামে থেকে ছাগল চুরি হয়েছে। এর মধ্যে চুরি হওয়া ছাগলের মালিক সোহাগ মিয়া, মানিক মিয়া ও শাহজাহান মিয়া বলেন পাড়াতলা গ্রামে আঙ্গুরের ছেলে ছাদিকুল তা চুরি করে পালিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পরে স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আঙ্গুরের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলেকে না পেয়ে আঙ্গুর মিয়াকে জিঙ্গাসা করতে পরিষদে নিয়ে আসে। এ খবর বিকেলে ৫টার দিকে পেয়েছি। পরে পরিষদে এসে তাদের বলে যাই ইফতার, তারাবী নামাজ শেষে শালিসে বসব। এরপর আমি থানা পুলিশকে বিষয়টা অবগত করে রাত ১০টার দিকে পরিষদে আসি।’

ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি, তার হুকুমে আঙ্গুরকে তুলে আনা হয় নাই। বরং তার আসতে দেরি হওয়ায় গ্রাম-পুলিশের পাহারায় আঙ্গুরকে আটকে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তাকে কোনো নির্যাতন করা হয় নাই। আর টাকা চাওয়ার কোনো প্রমাণ দেখাতে বলেন আঙ্গুরের স্ত্রীকে।’

এদিকে খিদিরপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জামিলের নিউজবাংলাকে বলেন, গত তিনদিন আগে ছাগল চুরি হয়ে যায় চরআহম্মদপুর গ্রামে। এ ঘটনায় ছাদিকুলকে সন্দেহ করে চেয়ারম্যান বিপ্লবের কাছে লোকজন যায়। পরে সকাল ১০টার দিকে বিল্পবের লোকেরা সন্ত্রাসী কায়দায় ছাদিকুলের বাবা আঙ্গুরকে পরিষদে নিয়ে বন্দি করে রাখে।

এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে চেয়ারম্যান বিল্পব আমাকে বিষয়টা জানান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
জামিন পেয়েই সাংবাদিককে ‘দাঁত ভাঙা’ জবাব দেয়ার হুমকি চেয়ারম্যানের
শিশু গৃহকর্মীর পায়ে গরম পানি ঢালার অভিযোগ, গৃহকর্ত্রী আটক
বিস্কুট খাওয়ার অভিযোগে শিশুকে বেঁধে মারধরের অভিযোগ
যৌন হয়রানি প্রতিরোধের অভিজ্ঞতা জানাল ৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ফের পেছাল ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Polada got 12 days leave and went on permanent leave

‘পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল’

‘পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল’ সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া ও গ্রামের বাড়িতে তার শোকগ্রস্ত মা ও বাবা। কোলাজ: নিউজবাংলা
মামুন মিয়ার বাবা চিৎকার করে বলেন, ‘আমার পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল।’

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়ার বাড়িতে চলছে মাতম।

ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে পবিত্র নগরী মক্কায় যাওয়ার পথে সৌদি আরবের আসির অঞ্চলের আবহা জেলায় ৪৭ যাত্রী নিয়ে একটি বাস ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়। যাত্রীদের মধ্যে ৩৫ বাংলাদেশি ছিলেন।

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানায়, দুর্ঘটনাস্থলটি জেদ্দা থেকে আনুমানিক ৬০০ কিলোমিটার দূরে। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত হন।

প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ বাংলাদেশি রয়েছেন। ওই আটজনের মধ্যে তিনজন কুমিল্লার। তারা হলেন জেলার মুরাদনগরের মামুন, রাসেল মোল্লা ও দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার এলাকার গিয়াস হামিদ।

মামুনের বাড়ি মুরাদনগরের মোস্তাপুর গ্রামে। সৌদি আরবে ২২ বছর বয়সী এ যুবকের নিহত হওয়ার খবর পেয়ে বুধবার সকাল থেকে প্রতিবেশী ও স্বজনরা ভিড় করতে থাকেন তার বাড়িতে।

‘পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল’

বাড়িতে দেখা যায়, মামুনের বাবা আবদুল আওয়াল তেমন কথা বলছেন না। মা মমতাজ বেগম ছেলের জন্য হাউমাউ করে কাঁদছেন। মোবাইলে ছবি দেখে বুক চাপড়াতে দেখা যায় তাকে।

আবদুল আওয়ালের তিন মেয়ে, দুই ছেলের মধ্যে মামুন মিয়া চতুর্থ। ছয় মাস আগে মামুন তার মামা ইয়ার হোসেনের মাধ্যমে সৌদিতে যান। সেখানে হোটেল বয় হিসেবে কাজ করতেন।

নিহত মামুনের মামী তাসলিমা বেগম জানান, মামুন, তার মামা ইয়ার হোসেন এবং মামুনের ভাগ্নে জাহিদুল ইসলাম বাসে করে ওমরাহ করার জন্য মক্কার উদ্দেশে রওনা হন। পথে তারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন।

তাসলিমা আরও জানান, মামুন ও স্বজনদের বহন করা বাসটি ব্রেকফেল করে একটি ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা খায়। পরে এতে আগুন ধরে যায়। মামুন গাড়ি থেকে বের হতে পারেননি; আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়।

এ দুর্ঘটনায় মামুনের মামা ইয়ার হোসেন ও ভাগ্নে জাহিদ গুরুতর আহত হন। তারা মক্কার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মামুনের বাবা আবদুল আওয়াল জানান, অন্তত ৯ মাস আগে মামুন ভিসার জন্য আবেদন করেন। বয়স কম হওয়ায় সে আবেদন বাদ দেয়া হয়। পরে ৬ মাস আগে ফের আবেদন করেন মামুন। ৫ লাখ টাকা খরচ করে তাকে সৌদিতে আরবে পাঠানো হয়। পুরো টাকা আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধার করা।

তিনি বলেন, ‘সৌদিতে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পাই রাত ১টার দিকে। আমার নাতি জাহিদ ফোন করে বলে নানা, মামুন মামা তো নাই। কলিজাডা ফাইট্টা গেছে কথাডা হইন্না। আমার ছেলের লাশটা আইন্না দাও; আমি দেখমু।’

ওই সময় তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আমার পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল।’

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি বলেন, ‘আমি নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশাসনিকভাবে পরিবারটির জন্য যা করার দরকার আমরা তাই করব।’

কুমিল্লা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান দপ্তরের কর্মকর্তা দেব্রবত ঘোষ বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনেছি। মরদেহ দেশে নিয়ে আসার জন্য যা যা করতে হয়, তার সবই করব।’

আরও পড়ুন:
কাভার্ড ভ্যান-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২
বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ৩
বান্দরবানে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৬
আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডে গাড়ির ধাক্কায় হেলপার নিহত
সফরের আমন্ত্রণ সৌদি বাদশাহর, স্বাগত জানালেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A young man died in Jatrabari after being punched by the landlord

যাত্রাবাড়ীতে ‘বাড়িওয়ালার কিল-ঘুষিতে’ মারা গেলেন যুবক

যাত্রাবাড়ীতে ‘বাড়িওয়ালার কিল-ঘুষিতে’ মারা গেলেন যুবক আব্দুল্লাহ আল সোহান। ছবি: নিউজবাংলা
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক আজহারুল বলেন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে যেয়ে জানতে পারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোলাপবাগ মনোয়ারা হাসপাতালের সামনে কিলঘুষির ঘটনায় সোহান নামে এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কিল-ঘুষিতে এক যুবক মারা গেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গোলাপবাগের মানিক নগর এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

২৮ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ আল সোহানের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার, বাউফল উপজেলার গোলাবাড়ি গ্রামে। ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি থেকে লেখাপড়া শেষ করে কানাডায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। তার বাবা বাউফল ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘মুগদা জেনারেল হাসপাতালে যেয়ে সেখানে জানতে পারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোলাপবাগ মনোয়ারা হাসপাতালের সামনে কিলঘুষির ঘটনায় সোহান নামে এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

‘পরে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে কী কারণে তাকে মারধর করা হলো এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’

নিহতের চাচতো ভাই সাগর মিয়া বলেন, ‘আমার চাচতো ভাই সোহান গত দুই বছর আগে দোলা আক্তার নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে। বিষয়টি উভয় পরিবারের লোকজন জানতেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ত্রী দোলাকে নিয়ে তার বাবার গোলাপবাগের ভাড়া বাসায় যান। বাসা থেকে ফেরার সময় বাড়িওয়ালা জামাল মিয়ার সঙ্গে দেখা হয়, তখন জামাল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে সোহানকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। এতে সোহান অচেতন অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, পরে তাকে দ্রুত মুগদা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের বিষয়টা বাড়িওয়ালা ও আশেপাশের লোকজন জানতেন না। এ ঘটনায় মধ্যরাতে অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা জামালকে আটক করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।’

আরও পড়ুন:
কালিহাতীতে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে চালক নিহত
প্রতিবেশীর ‘দায়ের কোপে’ পান বিক্রেতা নিহত
অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, দুজন নিহত    
এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানানো হলো প্রতিবেদনে
কাভার্ড ভ্যান-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Noor Alam Siddiqui one of the 4 Caliphs passed away

চলে গেলেন ‘৪ খলিফার একজন’ নূরে আলম সিদ্দিকী

চলে গেলেন ‘৪ খলিফার একজন’ নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত
নূরে আলম সিদ্দিকীকে মুক্তিযুদ্ধের ‘চার খলিফার একজন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি। তিনি প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ছিলেন।

স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যু হয়েছে।

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

নূরে আলম সিদ্দিকীর প্রেস সচিব অনিকেত রাজেশ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

হেলিকপ্টারে করে সকাল ১০টায় তার মরদেহ নির্বাচনী এলাকা ঝিনাইদহে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজার পর আছরের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা হবে। এ সময় নূরে আলম সিদ্দিকীকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে। এরপর সাভারে নিজের করা মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

নূরে আলম সিদ্দিকীকে মুক্তিযুদ্ধের ‘চার খলিফার একজন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি। তিনি প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ছিলেন।

নূরে আলম সিদ্দিকী ছয় দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ ছাড়া ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে