× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

আমার দাদা রুদ্র

আমার-দাদা-রুদ্র
এখনো কানে বাজে দাদার সেই ভরাট-দরাজ গলার আবৃত্তি, বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুঃসময়’ কবিতাটি যেটি আবৃত্তি করে স্কুলে প্রথম হয়েছিলাম। পরে জেনেছি, ঢাকায় যে কজন কবি স্বকণ্ঠে কবিতাপাঠে শ্রোতৃপ্রিয় ছিলেন, দাদা তাদের অন্যতম।

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (১৯৫৬-১৯৯১)। আমাদের দশ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। আমরা ডাকি ‘দাদা’ নামে। দাদার সঙ্গে আমার বয়সের পার্থক্য বিশ বছরেরও বেশি। আমার শৈশব-কৈশোর যখন মিঠেখালি গ্রামে ও মোংলায় কাটছে, দাদা তখন ঢাকায়। ফলে দাদার সান্নিধ্য পেয়েছি অনেক কম। দাদার সঙ্গে ব্যক্তিগত স্মৃতিও তাই আমার খুব অল্প। মনে পড়ে, স্কুলে ভর্তি হবার সময় দাদা আমার নাম বদলে দিল (আমাদের প্রায় সব ভাইবোনের নামই দাদা পরিবর্তন করেছিল)। আব্বা আমার নাম রেখেছিলেন মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ। দাদা স্কুলের ফরমে আমার নাম নির্ধারণ করে দিল হিমেল বরকত। দাদা নিজেও বদলে নিয়েছিল নিজের নাম, লেখালেখির শুরুর দিকেই। মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ থেকে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। দাদা একবার আমাদের ছোট তিন ভাইবোনকে (ইরা, সুমেল ও আমি) সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে প্রকাশিত পৃথিবীর ইতিহাস নামে একটি বই উপহার দিল। তাতে লিখে দিল ধর্মীয় গালগপ্পো থেকে মুক্ত থাকার জন্য বইটি পড়ে নেয়া প্রয়োজন।

আরেকটি স্মৃতির কথা খুব মনে পড়ে, স্কুলে পড়ার সময় টুকটাক ছড়া লিখতাম। একদিন মেজো আপা (সোফিয়া শারমিন) খাবার টেবিলে দাদাকে জানাল, ‘দাদা, বাবু তো ছড়া-টড়া লিখছে। তুমি একটু দেখে দিও।’ আমি স্বভাবসুলভ লজ্জায় কুঁকড়ে গেলাম। দাদা হেসে বলল, ‘ভালো তো! আমাকে দেখিয়ো।’ আমি গোপনে-গোপনে ছড়াগুলো নতুন করে, কাটাকুটি ছাড়া আলাদা কাগজে তুললাম। কিন্তু দাদাকে দেখাবার লজ্জাটুকু কাটাতে পারলাম না। লেখা আর দেখানো হল না। তবে, আবৃত্তি শেখার সৌভাগ্য হয়েছিল দাদার কাছ থেকে। স্কুলের প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত কবিতাগুলো আমরা দাদার কণ্ঠে রেকর্ড করে নিতাম, তারপর ওগুলো শুনে-শুনে নিজেদের প্রস্তুত করতাম। এখনো কানে বাজে দাদার সেই ভরাট-দরাজ গলার আবৃত্তি, বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুঃসময়’ কবিতাটি যেটি আবৃত্তি করে স্কুলে প্রথম হয়েছিলাম। পরে জেনেছি, ঢাকায় যে কজন কবি স্বকণ্ঠে কবিতাপাঠে শ্রোতৃপ্রিয় ছিলেন, দাদা তাদের অন্যতম।

দাদাকে ঘিরে এরকম আরো কিছু টুকরো-টুকরো স্মৃতি আমার জমা আছে। কিন্তু সেগুলো দিয়ে ব্যক্তি রুদ্রের সমগ্রতাকে দাঁড় করানো যায় না। আগেই বলেছি, বয়স এবং অবস্থানগত দূরত্বের কারণে দাদার নিবিড় সান্নিধ্য আমার ভাগ্যে জোটেনি। অথচ, দাদাই নির্ধারণ করে দিয়েছে আমার পথ। মনে পড়ে, দাদা বেঁচে থাকতে দাদার পরিচয় দিতে গিয়ে সংকোচ বোধ করতাম। সংকোচের কারণও ছিল। নতুন কারো সঙ্গে পরিচয়পর্বের শুরুতে বাবা-মার পরিচয় জেনেই জিজ্ঞেস করত, ‘তোমার বড় ভাই কী করে?’ বলতাম, ‘কবি। কবিতা লেখে।’ এই উত্তর তাদের সন্তুষ্ট করতে পারতো না। বিস্ময়-বিহ্বল চোখে তাদের অবধারিত পরবর্তী প্রশ্ন হতো, ‘আর কিছু করে না?’ প্রতিনিয়ত এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে-হতে আমার কিশোর-মনে ধারণা জন্মালো, কবিতা লেখা বা লেখালেখি করা বোধহয় কোনো কাজের মধ্যে পড়ে না বা পড়লেও তা হয়তো সম্মানজনক কিছু নয়। আমার এই গ্লানি-সংকোচ নিমিষে উড়ে গেল দাদার মৃত্যুর পর। সত্যি বলতে গেলে, মৃত্যুর পরই দাদাকে আমার চেনার শুরু। সেসময় প্রায় প্রতিদিনই দাদাকে নিয়ে সংবাদপত্রে বিভিন্ন লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। দেশের বরেণ্য কবি-সাহিত্যিক, দাদার বন্ধু, পরিচিত-অপরিচিত অনেকের লেখায়, স্মৃতিচারণে দাদার জনপ্রিয়তা ও কবি হিসেবে তার গুরুত্ব উপলব্ধি করলাম। তার বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব ও সংগ্রামী চৈতন্যে মুগ্ধ হলাম। এসময় কিছু শুভানুধ্যায়ী আমাকে শোনালেন, ‘তোমাকেও তোমার দাদার মতো লেখালেখি করতে হবে।’ অবচেতনে হয়তো গেঁথে গিয়েছিল সেই স্বপ্নের বীজ। দাদার কবিতা পড়তাম প্রচুর আর একটু-একটু লেখারও চেষ্টা করতাম। এরপর কলেজ শেষ করে ভর্তি হলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে, লেখালেখির স্বপ্নে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে টানা দু-বছর দাদার রচনাবলি সম্পূর্ণ করার কাজে মনোনিবেশ করলাম। দাদার মৃত্যুর পর ‘কবি রুদ্রে’র সঙ্গে যে-পরিচয়, তা আরো ঘনিষ্ঠ হল এসময়। দাদার পাণ্ডুলিপি, চিঠিপত্র, সংবাদপত্র-সাময়িকী, বিভিন্ন সাংগঠনিক দলিল দেখতে-দেখতে দাদাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করলাম। দাদা নিজেই এতো সযত্নে সবকিছু গুছিয়ে না-রাখলে তার পূর্ণাঙ্গ রচনাবলি সম্পাদনা করা আমার পক্ষে দুঃসাধ্য হতো। বুঝতে পারলাম, যারা রুদ্রকে এলোমেলো, বোহেমিয়ান মনে করেছে তারা আসলে ভুলপাঠই করেছে রুদ্রের। কবিতার প্রতি, কর্মের প্রতি আমৃত্যু মগ্নতার পরিচয় পেয়েছি তার সংরক্ষণ-সচেতনতায়, অসংখ্যবার পাণ্ডুলিপি পরিমার্জনায়, পুনর্লিখনের পরিশ্রমে। রাখাল, দ্রাবিড়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ সংগীত পরিষদ প্রভৃতি সংগঠনের মূল কাগজপত্র থেকেও বুঝতে পারি, রুদ্রের সাংগঠনিক সক্রিয়তা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা কত প্রগাঢ় ছিল।

তবে সবচে বড় কথা রুদ্রের কবিতাই রুদ্রের বিশ্বস্ত পরিচয়। দ্রোহী, সংগ্রামী, আপসহীন এক অপ্রতিরোধ্য তরুণ সকল অন্যায়ের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, স্পষ্ট স্বরে বলছে : ‘ভুল মানুষের কাছে নতজানু নই’; সাম্যবাদের স্বপ্ন ছড়াতে-ছড়াতে যে ছুটে যাচ্ছে আদিগন্ত : ‘দিন আসবেই, দিন আসবেই দিন সমতার’; ঔপনিবেশিক আবিলতা থেকে জাতিকে মুক্ত করতে ঐতিহ্যের, মাটির, শিকড়ের দিকে যে বারবার আমাদের টেনে নিয়ে গেছে ‘বিশ্বাসের তাঁতে আজ আবার বুনতে চাই জীবনের দগ্ধ মসলিন’ কিংবা ‘আমরা কি হারাইনি লালনের একতারা মাটির হৃদয়/ আমরা কি হারাইনি প্রিয় পথ, প্রিয়তম গ্রামের ঠিকানা?’ বোলে সেই রুদ্রই আমার চৈতন্যের শিক্ষক, আমার শ্রদ্ধেয় দাদা। কেবল আমারইবা কেন, নতুন প্রজন্মের অসংখ্য তরুণকে দেখছি প্রিয় কবি হিসেবে রুদ্রকে উচ্চারণ করতে, তাকে নিয়ে গবেষণা করতে। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’ রুদ্রের দূরদর্শী, অভ্রান্ত এই পঙক্তি এখনো মুখে-মুখে, সময়ের প্রয়োজনেই। বুঝতে অসুবিধা হয় না, রুদ্রের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবার কারণ তার শাণিত চৈতন্য। এই নিরাপস ও দ্রোহ তাকে তারুণ্যের বরপুত্র করে তুলেছে। শুধু কবিতায় অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ফোটাবার পারঙ্গমতায় নয়, রুদ্র তার সাহসী জীবনাচার দিয়েও সেই বিশ্বাসকে যাপন করেছে মিছিলে নেমেছে, শ্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করেছে। এখানেই রুদ্র অনন্য শিল্প ও জীবনকে যে একপাত্রে পান করার সক্ষমতা দেখিয়ে গেছে।

দুর্ভাগ্য যে, মাত্র পঁয়ত্রিশ বছরেরও কম সময় বেঁচেছিল দাদা। এর মধ্যেই সে লিখে গেছে সাতটি কাব্যগ্রন্থসহ (উপদ্রুত উপকূল, ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম, মানুষের মানচিত্র, ছোবল, গল্প, দিয়েছিলে সকল আকাশ, মৌলিক মুখোশ) পাঁচ শতাধিক কবিতা, একটি কাব্যনাট্য (বিষ বিরিক্ষের বীজ), অর্ধশতাধিক গান ও বেশকিছু ছোটগল্প। বয়স হিসেবে লেখার এই পরিমাণ ও বৈচিত্র্য যেকোন লেখকের জন্যই ঈর্ষণীয়। শিল্পের প্রতি প্রবল দায়বদ্ধতা ছাড়া এমন সৃষ্টিযজ্ঞ সম্ভবও নয়। জীবনের শেষদিকে দাদা সাহিত্যের অন্যান্য মাধ্যমেও সক্রিয় হতে চেয়েছিল, কিন্তু অকালমৃত্যু তাকে স্তব্ধ করে দিল।

দাদার অকালপ্রয়াণের সেই ব্যথাতুর স্মৃতি দিয়েই শেষ করছি। আমি তখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি। সদ্য স্কাউটে যোগ দিয়েছি। প্রতি শুক্রবার যেতাম ক্লাস করতে। এমনই এক শুক্রবারের (২১ জুন ১৯৯১) দুপুরে ক্লাস শেষে বাড়ির পথে ফিরছি, তখনই খবর পেলাম দাদা খুব অসুস্থ, আমাদের ঢাকায় যেতে হবে। বাসায় পৌঁছে বুঝতে পারলাম, দাদা আর নেই। গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত হয়ে দশদিন হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে মোটামুটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে, তার পরদিনই সকালে হার্ট অ্যাটাক। কী ভয়ংকর আকস্মিক এই সংবাদ! ফুঁপিয়ে-ফুঁপিয়ে কাঁদছি, কিছুতেই কান্না থামে না। শুনলাম দাদাকে বাড়ি আনা হবে। আমাদের আর ঢাকায় যেতে হল না। দাদা এলো ট্রাকে। ফুলে-ফুলে সাজানো কফিন, হাজার-হাজার মানুষের ভালোবাসার স্মারক। বড় আপা (শরিফুন হাসান বীথি) আমাকে জড়িয়ে ধরে সান্তনা দিতে-দিতে নিজেই কেঁদে উঠল : ‘দেখো, দাদাকে নিয়ে এসেছি। ফুল দিয়ে সাজিয়ে নিয়ে এসেছি।’ আমরা ট্রলারে উঠলাম। নানাবাড়ি মিঠেখালিতে দাদার কবর দেয়া হবে। ট্রলারের ছাদে বসে, কফিনের পাশে নিঃশব্দে কেঁদে যাচ্ছি আর মনে-মনে অসংখ্যবার পড়ে চলেছি দাদার শেষ কবিতার দু-লাইন : ‘মাটির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আর আকাশ দ্যাখা হয় না/ এতো কিছুই দ্যাখার থাকে, এতো কিছু দেখতে হয় মাটিতে প্রতিদিন।’ বাইরে তখন ট্রলারের যান্ত্রিক গর্জন আর আমার ভেতর ভাই-হারানোর হাহাকার। অশ্রুঝাপসা চোখে আকাশের দিকে তাকালাম। ভাবলাম আকাশ দেখতে না-পারার কষ্টেই কি দাদা আকাশ হয়ে গেল? আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বোলে গেল?

(পূর্বপ্রকাশিত লেখাটি লেখকের অনুমতি সাপেক্ষে প্রকাশিত হলো)

ড. হিমেল বরকত : অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Emergency landing aircraft with 3 passengers
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি

১৫৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় জরুরি অবতরণ বিমানের

১৫৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় জরুরি অবতরণ বিমানের

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই ফিরে এলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিঙ্গাপুরগামী একটি ফ্লাইট। ইঞ্জিনে ক্রটি দেখা দেয়ায় ২৫০০ ফিট ওপরে ওঠানোর পর ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।

গতকাল সকালে বিমানের বিজি ৫৮৪ ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। বিমানে মোট ১৫৪ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। সব যাত্রী-ক্রু নিরাপদ ও সুস্থ রয়েছেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানের ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় ৮টা ৩৮ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের পরপরই, প্রায় ২৫০০ ফিট উচ্চতায় পৌঁছালে বিমানের ক্যাপ্টেন ইঞ্জিনসংক্রান্ত সমস্যার কথা জানিয়ে ঢাকায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে বিমানটি বাংলাদেশ সময় ৮টা ৫৯ মিনিটে সম্পূর্ণ নিরাপদে অবতরণ করে এবং বিমানবন্দরের বে-১৪ নম্বরে পার্ক করা হয়।

সম্ভাব্য বার্ড স্ট্রাইক ভেবে অবতরণের পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রানওয়ের পরিদর্শন করে। তবে সেখানে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তু বা পাখির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিমানবন্দর জানায়, কারিগরি পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In a special police operation 5900 arrested across the country

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেফতার ১ হাজার ৬১৬ জন

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেফতার ১ হাজার ৬১৬ জন

পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে ঢাকাসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৬১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে বিভিন্ন মামলার এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১ হাজার ৬০ জন এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৫৫৬ জন রয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর আজ এ তথ্য জানান।

এ সময় একটি বিদেশী পিস্তল ও চার রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government is working to increase the production of Karnaphuli paper mill paper Industrial Advisor

কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজ উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সরকার: শিল্প উপদেষ্টা

কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজ উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সরকার: শিল্প উপদেষ্টা

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। কারখানাটি পুরোদমে উৎপাদনে থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আজ রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেডের (কেপিএমএল) অতিথি ভবনের সম্মেলনকক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কেপিএমএলের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। আজ এক তথ্য বিবরণীতে একথা জানানো হয়।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে প্রচুর পরিমাণ কাগজ প্রয়োজন, বিদেশ থেকে কাগজ আমদানি না করে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে। মিলের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা হবে। বিদেশি ক্যামিকেলের ওপর নির্ভর না করে দেশীয় কাঁচামাল দিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

মতবিনিময় সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, কেপিএমএলের এমডি শহীদ উল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন, কেপিএমএল সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাকসহ কেপিএমএলের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভা শেষে তিনি কেপিএমএল কারখানা পরিদর্শন করেন এবং কারখানার বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The temperature of heavy rainfall in four sections is unchanged

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা অপরিবর্তিত

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা অপরিবর্তিত

দেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো ও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল আরিচায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ শুক্রবার ভোর ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১৪ মিনিটে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Law Ministry will withdraw 25000 false cases in the next 6 months

আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে

আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। এর ফলে এই সব মামলায় জড়িত ব্যক্তিরা চিরতরে সকল কলঙ্ক ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার মিথ্যা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইতোমধ্যেই প্রায় ১২ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে, যা কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।’

আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত (২৮ মে পর্যন্ত) ১৬টি বৈঠকে ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে এবং এ বিষয়ে আরও কাজ চলছে।

ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তাও চেয়েছিল তারা।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে সরকার কর্তৃক অবহেলার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে মন্ত্রণালয় এই আহ্বান জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ের কমিটি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর শাখা প্রেরিত তালিকা ও সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনা করে কমিটি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক দলগুলোও প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে রাজনৈতিক মামলার তালিকা পাঠাতে পারে।

এর আগে ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘এই পরিপ্রেক্ষিতে, বিএনপি ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ সালের মধ্যে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল।’

তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি, নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করে, ইতোমধ্যেই প্রায় অর্ধেক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

আইন উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল দুটিকে তাদের মামলার তালিকার সঙ্গে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) ও চার্জশিট (যেখানে প্রযোজ্য) এর মতো প্রাসঙ্গিক নথি না পাঠানোর জন্যও দোষারোপ করে বলেছেন যে, এটি মামলা প্রত্যাহার বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ।

উপদেষ্টা সম্প্রতি তার যাচাইকৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে বলেছেন, ‘অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ২০ মে, ২০২৫ তারিখে ৪৪টি মামলার তালিকা দাখিল করেছে। মামলাগুলোর নথি পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ইতোমধ্যে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলার তালিকাসহ এফআইআর ও চার্জশিট জমা দিতে আইন মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former CEC Nurul Huda is on the second time remand on a 3 day remand

সাবেক সিইসি নুরুল হুদা দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে

সাবেক সিইসি নুরুল হুদা দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে

অন্যায়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দ্বিতীয় দফায় তাকে ফের দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার।

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২২ জুন রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন ২৩ জুন তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরে বাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার। অপর দিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুস্তাফিজুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২২ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kuchri Mahal is chaotic in the government office using BNP name Rizvi

বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী

বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী

আয়কর অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নামে আন্দোলন চালিয়ে একটি ‘কুচক্রী মহল’র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘যারা আয়কর অফিসে বা অন্যান্য বিভাগে বিএনপির নামে আন্দোলন করছেন—তারা বিএনপির অংশ নয়। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই এটা করছে।’

শুক্রবার (২৭ জুন) রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিজভী এই মন্তব্য করেন।

তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সরকারি অফিসে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নামে নতুন নতুন কার্যকলাপ শুরু করার চেষ্টা করছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তাদের সকলেরই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তারেক রহমান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও অনেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’

রিজভী বলেন, তিনি এমন একজনের কথা শুনেছেন যিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে আয়কর অফিসে আন্দোলন করছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি (সেই ব্যক্তি) এখন (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণের চেষ্টা করছেন এবং ভবিষ্যতে অন্য কাউকে অপসারণের চেষ্টা করবেন। কে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে? আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব—আমি এ বিষয়ে জানি না। আপনি নিজেই বিএনপির নাম ব্যবহার করে একটি অফিসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেখানে আরও অনেক বিএনপি নেতা আছেন, কেউ এ সম্পর্কে জানেন না।’

বিএনপির নামে যারা অপকর্ম করছে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান রিজভী। বলেন, ‘রক্তপাত এবং সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্ট সুযোগ আগামী দিনে একটি উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা করলেও সরকারের ভালো কাজের প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনা অনুসারে, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল স্বীকার করেছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল একটি ভুয়া নির্বাচন। ‘তার এই মন্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে (শেখ) হাসিনার আমলে সমস্ত নির্বাচন অবৈধভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’

বিএনপি নেতা দাবি করেন, প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক—যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। তারা বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’

p
উপরে