অ্যাকাডেমি অব আমেরিকান পোয়েটস-এর চেয়ারম্যান মাইকেল জ্যাকবস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘তার কবিতা, তার সামগ্রিক কাজ এবং তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত কণ্ঠস্বর মানব-পরিস্থিতিকে স্মরণীয় ও উত্তেজনাকর ভাষায় উপস্থাপন করে।’ জ্যাকব্স তার আগে বলেছেন, ‘আমাদের সবচেয়ে খ্যাতিমান আমেরিকান কবি হিসেবে লুইস গ্লুক এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় আমরা রোমাঞ্চিত।’
আমেরিকান কবিসমাজ যে রোমাঞ্চিত হয়েছে তার আরও প্রমাণ মেলে ক্লডিয়া র্যাঙ্কিনের কথায়। ক্লডিয়া র্যাঙ্কিন অপেক্ষাকৃত তরুণ কবি, ‘সিটিজেন’ ও ‘জাস্ট আস’ নামে দুটি সাড়া জাগানো বইয়ের লেখক। লুইস গ্লুকের অধীনে অধ্যয়ন করেছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে, আর এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই গ্লুকের সহকর্মী তিনি। কবি হিসেবে গ্লুকের পৃষ্ঠপোষকতাও পেয়েছেন বরাবর এবং তার কথায়, ‘আমার যখন ১৯ বছর বয়স আর জানার চেষ্টা করছি কবিতাশৈলীর ভিতরে কী আছে, তিনি তখন আমার প্রতি কখনও যে প্রাণময়তা, কখনও যে নিষ্ঠা দেখিয়েছেন তা ভোলার নয়।’ এরপর ক্লডিয়া বলেছেন সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি- ‘তার মধ্যে মাঝারিপনার কোনও জায়গা ছিল না, মিথ্যা প্রশংসার কোনও জায়গা ছিল না। লুইস যখন কথা বলেন, তখন তাকে আপনি বিশ্বাস করবেন, কেননা সভ্যতার আড়ালে নিজেকে গোপন করেন না তিনি।’
লুইস গ্লুক সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত মনোভাব নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আগে থেকেই ছিল আমেরিকান কবিসমাজে। ডাব্লিউ আর মোসেস, র্যান্ডল জ্যারেল, জর্জ ম্যারিওন ও’ডনেল, জন বেরিম্যান, মেরি বার্নার্ড প্রমুখ কবিও লুইসে মুগ্ধ। যদিও গ্লুকের পূর্বসূরীদের মধ্যে রবার্ট ফ্রস্ট বা গোয়েন্ডোলিন ব্রুক্স বা ওয়ালেস স্টিভেন্সকে বছরের পর বছর পাশ কাটিয়ে গিয়েছিল নোবেল কমিটি। তবে তাদের এবারকার নির্বাচন নিয়ে কোনও সংশয় নেই, অন্তত আমেরিকান কবিসমাজের মধ্যে। তারা ‘অকপট ও আপসহীন’ হিসেবে প্রভূত প্রশংসা করেছে লুইসের। আর ম্যাসাচুসেটসের কেমব্রিজে নিজের বাড়ির বাইরে লুইস নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রথম প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি ‘আলোড়ন, উল্লাস আর কৃতজ্ঞতা’ অনুভব করছেন।
পরে তিনি বলেছেন, ‘পার্থিব পুরস্কার বিশ্বে অস্তিত্বশীল থাকাটাকে সহজ করে দেয়। এটা আপনাকে একটা ভালো কাজ পাওয়ার অবস্থায় নিয়ে যায়। মানে হলো, একটা বিমানে চড়ার পক্ষে আপনি মোটা টাকা খরচ করতে পারেন। কিন্তু আমি যা চাই তার প্রতীক হিসেবে- এটা আমার জীবনকালে আমার সত্তাকে ধারণ করতে সক্ষম নয়। আমি মৃত্যুর পর বেঁচে থাকতে চাই, সেই প্রাচীন ধারায়। আর জানার উপায় নেই তা হবে কি না, জানা যাবেও না, আমার মৃতদেহের ওপর কতগুলো নীল রিবন এঁটে দেওয়া হলে তাতে কিছু আসে যায় না।’
লুইস এলিজাবেথ গ্লুকের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২২ এপ্রিল। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করলেও বেড়ে ওঠেন লং আইল্যান্ডে। তার বাবা ড্যানিয়েল গ্লুক ছিলেন ব্যবসায়ী, মা বিয়াট্রিস গ্লুক ছিলেন গৃহিনী। তাদের দুই মেয়ের মধ্যে লুইস ছিলেন বড়। মা ও বাবা উভয়ের পূর্বপুরুষের দিক থেকে লুইসের ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে পূর্ব ইউরোপীয় ইহুদি রক্ত। তার বাবার লেখক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু ভগ্নিপতির সঙ্গে ব্যবসায় ঢুকে পড়েছিলেন। লুইসের মা ছিলেন ওয়েলেস্লি কলেজের গ্র্যাজুয়েট। শৈশবে মা-বাবার কাছ থেকে গ্রিক পুরাণ আর ধ্রুপদী গল্প সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন লুইস। কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন ছোটবেলায়।
কিশোরীকালে অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন লুইস। ওই সময়ে ও তারুণ্যে সেটা তার জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নিউইয়র্কের হিউলেটে জর্জ ডাব্লিউ হিউলেট হাইস্কুলে শেষের দিকে সাইকোঅ্যানালিটিক্যাল ট্রিটমেন্ট নিতে শুরু করেছিলেন তিনি। কয়েক মাস পর পুনর্বাসনের জন্য স্কুল থেকে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়, তবে ১৯৬১ সালে গ্র্যাজুয়েট হতে সমস্যা হয়নি তার। পরের সাত বছর তার থেরাপি চলে। এই সময়টাকে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন আত্মোপলব্ধির সুযোগ পাওয়ার জন্য। নিজের এই পরিস্থিতির কারণে পূর্ণকালীন ছাত্রী হিসেবে কলেজে ভর্তি হতে পারেননি। পরিবর্তে সারা লরেন্স কলেজে কবিতা বিষয়ক ক্লাসে অধ্যয়ন করেন। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব জেনারেল স্টাডিজে কবিতার কর্মশালায় অংশ নেন। অপ্রথাবদ্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের একটা ডিগ্রি প্রোগ্রাম ছিল। তার শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন লিওনি অ্যাডাম্স ও স্ট্যানিও কুনিট্জ। কবি হয়ে ওঠার পথে এ দুজনের অবদান সবসময় স্বীকার করেন লুইস।
কোনও ডিগ্রি না নিয়েই কলম্বিয়া ছাড়ার পর সেক্রেটারিয়াল কাজ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন লুইস। ১৯৬৭ সালে বিয়ে করেন চার্লস হার্টজ জুনিয়রকে। সেটা শেষ হয় বিচ্ছেদে। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতার বই ফার্স্টবর্ন। কিছু ইতিবাচক সমালোচনা হয়েছিল বইটি নিয়ে। ১৯৭১ সালের পর, যখন তিনি ভার্মন্টের গডার্ড কলেজে কবিতার শিক্ষকতা করতেন, অনেক দিন বন্ধ থাকার পর আবার লেখালেখি শুরু হয়। তার দ্বিতীয় কবিতার বই দ্য হাউজ অন মার্শল্যান্ড প্রকাশিত হয় ১৯৭৫ সালে। সেটা তার ‘ব্রেক থ্রু ওয়ার্ক’ হিসেবে স্বীকৃতি পায় অনেক সমালোচকের তরফে। তার মধ্যে তারা আবিষ্কার করেছিলেন ‘একটি বৈশিষ্ট্যমূলক কণ্ঠস্বর’-এর সংকেত।
১৯৭৩ সালে জন্ম নেয় নোয়া; লুইস ও তার পার্টনার জন ড্র্যানাউয়ের ছেলে। যদিও লুইস ড্র্যানাউকে বিয়ে করেন ১৯৭৭ সালে। ১৯৮০ সালে ড্র্যানাউ ও কবি এলেন ব্রায়ান্ট ভয়েটের স্বামী ফ্রান্সিস ভয়েট মিলে প্রতিষ্ঠা করেন নিউ ইংল্যান্ড কুলিনারি ইনস্টিটিউট, বেসরকারি কলেজ। সে বছরই প্রকাশিত হয় লুইসের তৃতীয় কবিতার বই ডিসেন্ডিং ফিগার। কবি গ্রেগ কুজমা এ বইয়ের কিছু বিষয়বস্তুর কারণে ‘চাইল্ড হেটার’ হিসেবে লুইসের সমালোচনা করেন। তবে সামগ্রিকভাবে পাঠকমহলে বইটি সমাদৃত হয়। একই বছর লুইসদের ভার্মন্টের বাড়িতে আগুন ধরে এবং তার অনেক লেখা পুড়ে যায়। এই ট্র্যাজেডি থেকে উঠে এসে লুইস সেইসব কবিতা লেখা শুরু করেন. যা তাকে এনে দেয় সম্মানজনক সব পুরস্কার।
১৯৮৪ সালে লুইস ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে যোগ দেন ম্যাসাচুসেটসের উইলিয়ামস কলেজে। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয় তার কবিতার বই দ্য ট্রায়াম্ফ অব অ্যাকিলিস। বইটি উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পায় সমালোচকদের। তার বিখ্যাত আরও দুটি কবিতার বই অ্যারারাট ও দ্য ওয়াইল্ড আইরিস প্রকাশিত হয় ১৯৯০ ও ১৯৯২ সালে। শেষের বইটি সম্পর্কে পাবলিশার্স উইক্লি মন্তব্য করেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ বই’ এবং সমালোচক এলিজাবেথ লান্ড দ্য ক্রিস্টিয়ান সায়েন্স মনিটরে লেখেন, ‘একটি মাইল ফলক কাজ’। এ বইটির জন্য ১৯৯৩ সালের পুলিৎজার পুরস্কারে ভূষিত করা হয় লুইস গ্লুককে। তার অন্যান্য বইয়ের মধ্যে আরও আছে মিডোল্যান্ডস, ভিটা নোভা, দ্য সেভেন এজেস, অ্যাভার্নো, এ ভিলেজ লাইফ, ফেইথফুল অ্যান্ড ভার্চুয়াস নাইট। এছাড়া গদ্যগ্রন্থ প্রুফ্স অ্যান্ড থিওরিস : এসেস অন পোয়েট্রি (১৯৯৪) এবং অ্যামেরিকান অরিজিনালিটি: এসেস অন পোয়েট্রি (২০১৭)।
আমেরিকার সব বড় পুরস্কারই পেয়েছেন লুইস গ্লুক। পুলিৎজার ছাড়াও পেয়েছেন ন্যাশনাল হিউম্যানিটিস মেডাল, ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড, ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস সার্কল অ্যাওয়ার্ড, বলিঞ্জেন প্রাইজ। লুইস গ্লুক ২০০৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন পোয়েট লরিয়েট অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস। বাকি ছিল শুধু নোবেল সাহিত্য পুরস্কার, সেই শূন্যতাও এবার পূরণ হয়ে গেল।
প্রমিত হোসেন: অনুবাদক ও সাংবাদিক
ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা চেষ্টা মামলায় রংপুর মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম শুভকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরপিএমপি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান।
এর আগে শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর সিও বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত ইফতেখারুল ইসলাম শুভ রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ ধুমখাটিয়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
আরপিএমপি কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন শুভ।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত শুভর বিরুদ্ধে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে আহত মামুনুর রশিদ মামুন, আহত জয়নাল আবেদীন বাপ্পী, আহত রমজান আলী ও আহত শহিদুল ইসলাম পৃথক চারটি মামলা করেছেন।
এসব মামলায় শুভকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ (রবিবার) থেকেই সারা দেশে একযোগে চিরুনি অভিযান শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি চালাবে। কোথাও কোনো অপরাধী বা বিশৃঙ্খলাকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—আইন যেন কেউ নিজের হাতে তুলে না নেন। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।’
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের পর দ্রুত তদন্ত শুরু করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ জনকে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যারাই জড়িত থাকুক না কেন; তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর ও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশনে যাচ্ছে এবং অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তার করছে।’
তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে খুলনার হত্যাকাণ্ডেও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার বিশ্বাস করে, অপরাধী অপরাধীই—তা সে যে-দলেরই হোক না কেন। রাজনৈতিক অথবা অন্য কোনো পরিচয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও দেওয়া হবে না। কোনো অপরাধীকেই পুলিশ প্রশ্রয় দেবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা কোনো আপস করব না। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনকে ঘিরে যেসব নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছি, তা ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। আমাদের অংশটুকু যথাসময়ে ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
পাবনা থেকে ঢাকায় সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু, শহরে চার লেন সড়ক নির্মাণ, আরিচা-কাজিরহাট ফেরিঘাট খয়েরচরে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের ব্যানারে পাবনাবাসী। যেকোন মূল্যে ট্রেন সার্ভিস চালু করতে হরে এই সরকারকে। এসব চারদফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে চরম মূল্য দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের বলে হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়।
রোববার (১৩ জুলাই) সকাল ১১ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী আব্দুল হামিদ সড়কের শহীদ চত্ত্বর থেকে পুরো শহরজুড়ে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাবনার রাজনৈতিক সংগঠনের চরম ব্যর্থতায় আমরা ট্রেনের দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছি। এটাতো রাজনৈতিক দলের কাজ। পাবনা থেকে মাঝ পাড়া পর্যন্ত অকার্যকর একটি রেল লাইন চালু করা হয়েছে। সেটি কার্যকর করে দ্রুত পাবনা-ঢাকা ট্রেন সার্ভিস চালু করে ঢাকায় যাতায়াত সহজীকরণ করতে হবে। কাজিরহাটের ফেরিঘাট খয়েরচরে স্থানান্তর করা হলে দু'ঘন্টার পথ ১৫ মিনিটে পারাপার হওয়া যাবে। ঈশ্বরদী ইপিজেড, রপপুর প্রকল্পের জন্য বিমানবন্দর চালু করা হোক। যানজট নিরসনে পাবনা শহরে চার লেন সড়ক নির্মাণ করতে হবে। পাবনা আটঘরিয়া হয়ে মাঝপাড়া দিয়ে ৩০ কিলোমিটার ঘুড়ে ট্রেন ঢাকায় যাওয়ার কথা শুনতেছি। এটা আমরা কোনভাবেই মেনে নেবোনা।
যেকোন মূল্যে পাবনা ঢাকা ট্রেন চালু করতেই হরে। তাছাড়া এটার জন্য সংশ্লিষ্টদের চরম মূল্য দিতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন শেষে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিনত হয়েছিল। আমাদের এই দাবি যেন অন্য দাবিতে পরিনত না হয়। আমরা সবদিক থেকেই বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার।
বক্তারা আরও বলেন, পাবনাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল নগরবাড়ি আরিচায় নতুন যমুনা সেতু নির্মাণ করা। দ্বিতীয় যমুনা সেতু এখান দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে। ইছামতী নদী উদ্ধারে অনেক জটিলতা ছিল। এখন নদী খনন হচ্ছে। যারা মামলা করেছেন দ্রুত মামলা তুলে নিয়ে নদী খননের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সহযোগীতা করুন। এটা হলে পাবনাবাসীর জন্য স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। এছাড়াও পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা, মানসিক হাসপাতাল সংস্কার করতে হবে। এটা জুলাইয়ের মাস। এই চত্বরেই দুজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছিল। এখনো ওসব খুনি গ্রেফতার হয়নি। দ্রুত গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফার সভাপতিত্বে ও আতাইকুলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রাজু ইসলাম ওলির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মো: ইকবাল হোসাইন, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, জামায়াতের পৌর আমীর আব্দুল লতিফ, দেশ বরেণ্য শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক, সাইদুল ইসলাম, কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল আলিম, এডভোকেট রানা, রোটারিয়ান বিনয় জ্যোতি কুন্ডু, সমন্বয়ক শাওন হোসাইন, আইডিয়াল গ্রুপের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সহ পাবনার সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মানবন্ধনে পাবনা শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থী যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম জমা না দেন, তবে তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। অর্থাৎ ভেরিফিকেশন ছাড়া নিয়োগের সুযোগ থাকছে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সই করা পরিপত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিকট থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম প্রাপ্তির পর তা সরাসরি স্পেশাল ব্রাঞ্চ, পুলিশ অধিদপ্তরে পাঠাবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম দাখিল না করলে তাকে নিয়োগ সুপারিশের জন্য বিবেচনা করা হবে না।’ এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে বিদ্যমান নিয়মে, এই ভেরিফিকেশন ফরম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে পাঠানো হতো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সে পদ্ধতি আর অনুসরণ করা হবে না।
পরিপত্রের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া দ্রুত ও কার্যকর করার লক্ষ্যেই এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ, আগের প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে পাঠানোর কারণে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছিল। তাই এনটিআরসিএকে সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যুক্ত করে সময় কমানো এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এনটিআরসিএ-এর অধীন এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে এক লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগের আবেদন চলছে।
এ আবেদন চলার মধ্যেই গত বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ পুলিশ ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত পরিপত্রটি জারি করেছে।
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনালের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুল আলম (৩২) গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার কালনী গ্রামের প্রয়াত মকসেদ আলীর ছেলে।
নিহতের চাচাতো ভাই হাসান আল আরিফ জানান, রাত সোয়া ১১টার দিকে আশরাফুল মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিন নম্বর টার্মিনালের সামনে একটি অজ্ঞাতনামা পিকআপ ভ্যান তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান হাসান। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের মর্গের দায়িত্বে থাকা এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ সদস্য ইসমাইল জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে এক হাজার কেজি হাড়িভাঙ্গা আম পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দুই প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার (১৫ জুলাই) এই আমের চালানটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছাবে।
নয়াদিল্লি পৌঁছানোর পর আমগুলো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, কূটনীতিক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যেও বিতরণ করা হবে— মৈত্রীর অংশ হিসেবে।
এছাড়া, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আম পাঠাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ সেখানকার বিশিষ্টজনদের জন্য ৩০০ কেজি হাড়িভাঙ্গা আম উপহার পাঠানো হয়। আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ৬০টি কার্টনে এসব আম পাঠানো হয়।
প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার মৌসুমি উপহার হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য আমসহ বিভিন্ন ফল পাঠিয়ে থাকে। এর জবাবে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারও উপহার হিসেবে বাংলাদেশের জন্য পাঠায় বিখ্যাত রসালো ‘কুইন’ জাতের আনারস।
চলতি বছরের আম উপহার পাঠানোর কার্যক্রমটি পরিচালনা করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এটি রপ্তানিকারকের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন, আগরতলার কর্মকর্তাদের কাছে উপহারের চালানটি হস্তান্তর করা হয়।
এই উদ্যোগকে ‘আম কূটনীতি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়, যা আগের প্রশাসনের সময়েও চলমান ছিল। এখনো এটি সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক শুভেচ্ছার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বিষয়ে ঐক্য গড়ে এবং রাষ্ট্র সংস্কারের বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ তৈরির লক্ষ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় দফার দ্বাদশ দিনের মত আনুষ্ঠানিকভাবে এ আলোচনা শুরু হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের আলোচনার সূচিতে প্রাধান্য পাচ্ছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা, প্রধান বিচারপতি নিয়োগবিধি ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
এর আগে, উল্লেখ্য তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পূর্বের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আজ অধিকতর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
বরাবরের মতো আজকেও আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
এছাড়া, কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন- বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সংলাপ শুরু হওয়ার আগে সূচনা বক্তব্যে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, যেহেতু আপনারা রাজনৈতিক দল করেন, সেহেতু সব বিষয়ে আপনাদের একটি নির্দিষ্ট অবস্থান থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে আপনাদের প্রতি অনুরোধ, একটি মাঝামাঝি স্থানে এসে আমাদের দাঁড়াতে হবে।
পরবর্তীতে যদি জনগণের কাছ থেকে আপনারা প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারেন, তাহলে সেটি পরিবর্তন করতে পারেন এবং সেটি জনগণের রায়ের ওপর নির্ভরশীল থাকবে।
কিন্তু কমিশন মনে করছে, একটি পর্যায়ে আসা ভালো।
তিনি আরো বলেন, আমরা আপনাদের বক্তব্যকে গুরুত্বহীন মনে করছি না, বরং আমরা চাচ্ছি সকলে একটি ঐক্যমতে পৌঁছাক। চাইলেই এ আলোচনা বাদ দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু তাতে বিদ্যমান পরিস্থিতিই থেকে যাবে। আমাদের একটি জায়গায় আসতে হবে- এই বিবেচনাটা যদি আপনারা করেন, তাহলে আমাদের পক্ষে ঐকমত্য গঠন করা সম্ভব।
তিনি সকলের প্রতি কিছুটা ছাড় দিয়ে ও কিছুটা অবস্থান পরিবর্তন করে একটি জায়গায় আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা অবস্থার পরিবর্তন করে হলেও এগিয়ে আসুন। না হলে আমরা যেখানে আছি, সেখানেই থেকে যাব। গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে এইটুকু বিবেচনা করুন যে, এটা সম্ভব কি-না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
এর আগে, দফায় দফায় বৈঠকে কমিশন প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণকল্পে স্বতন্ত্র কমিটি গঠন করাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, আলোচনা শেষে ব্রিফ করবেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য