× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

বাংলাদেশ: উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি

বাংলাদেশ-উদীয়মান-অর্থনৈতিক-শক্তি
বাংলাদেশের অর্থনীতির এই চিত্তাকর্ষক সাফল্য ভারত ও এর বাইরের সংবাদ মাধ্যমে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী শিল্পোন্নতসহ অনেক দেশের অর্থনীতিতে যেখানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, সেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঘটনা বাংলাদেশের জন্য সত্যি একটি উদ্‌যাপনের ব্যাপার।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অক্টোবরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাথাপিছু জিডিপির দিক থেকে ভারতকে টপকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটুলক: আ লং অ্যান্ড ডিফিকাল্ট অ্যাসেন্ট’ শিরোনামের এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি এক হাজার ৮৮৮ ডলার। অথচ মাত্র পাঁচ বছর আগেও ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ছিল বাংলাদেশের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেছেন, যে কোনো উদীয়মান অর্থনীতি ভালো করছে, এমন সংবাদ সুখকর।

শেখ হাসিনা সরকার ও দেশের জনগণের দূরদর্শী পরিকল্পনা, তা বাস্তয়নে পদক্ষেপ ও কঠোর পরিশ্রম বাংলাদেশের জন্য এ ধরনের সাফল্য এনে দিয়েছে, অসম্ভবকে করেছে সম্ভব।

যদিও এ লেখার শুরু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশের তুলনা দিয়ে, তবে বাংলাদেশ ভারতকে প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং বন্ধুপ্রতিম দেশ বলেই গণ্য করে। প্রতিবেশী এই দেশসহ অন্যান্য ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক সুসম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে বাংলাদেশ আস্থাশীল। দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই দেশগুলোকে অংশীদার হিসেবে মনে করে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির এই চিত্তাকর্ষক সাফল্য ভারত ও এর বাইরের সংবাদ মাধ্যমে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী শিল্পোন্নতসহ অনেক দেশের অর্থনীতিতে যেখানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, সেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঘটনা বাংলাদেশের জন্য সত্যি একটি উদ্‌যাপনের ব্যাপার। এমন প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের এই উত্থানের কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে। সাধারণত, বাংলাদেশের ইতিবাচক উন্নয়নের অনেক খবর উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম কেবল নেতিবাচক সংবাদেই জোর দিয়ে থাকে।

অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের এই উত্থানকে বুঝতে হলে পেছন ফিরে তাকাতে হবে। দশকের পর দশক পশ্চিম পাকিস্তানের নিপীড়ন, নির্যাতন, বৈষম্যমূলক আচরণ ও অন্যায় অবিচারের শিকার হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান, যার ফল ছিল পূর্ব পাকিস্তানে তীব্র দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা । ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে মাথাপিছু বার্ষিক গড় আয় ছিল মাত্র ৪৫০ টাকা (বর্তমানের হিসাবে ৫.৩০ ডলার)। জনগোষ্ঠী একটা বিশাল অংশ অপুষ্টিতে ভুগছিল। শিক্ষিতের হার ছিল মাত্র ১৭। ১৯৪৯-৫০ এবং ১৯৬৯-৭০ অর্থবছর পর্যন্ত মাথাপিছু গড় আয় ০.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারত। কিন্তু, পঞ্চাশের দশকে বাংলাদেশের মাথাপিছু বার্ষিক গড় আয় কমে ০.৩ শতাংশ নেমে যায়।

বাংলাদেশে মাথাপিছু দুধ, স্নেহ, তেল, মাছ ও অন্যান্য প্রোটিন গ্রহণের হার ছিল অনেক কম। ১৯৭২ সালের মার্চে, পিসি ভেরমা ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিকাল উইকলি জার্নালে লিখেছিলেন, ‘গত ২৪ বছরে, বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানের অংশ ছিল, তখন এর অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সররকারের নীতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল পশ্চাদমুখী (পৃষ্ঠা ৫৮০)।’ তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সূচক ছিল ভয়ানক কম। তা ছাড়া পাকিস্তানের কেন্দ্রীর সরকারের বৈশ্বিক বাণিজ্য, সহায়তা এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যনীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর।

পশ্চিম পাকিস্তানিদের এই নিপীড়ন, নির্যাতন, অর্থনৈতিক শোষণ ও বৈষম্যের শিকার পূর্ব পাকিস্তানিদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুখে ঠেলে দেয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। একাত্তরের যুদ্ধ সংকটকে আরো ঘণীভূত করে। জাতিসংঘের হিসাবে, ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো সংস্কারে দরকার ছিল অন্তত ৯৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

এই পরিস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ পুনর্গঠনে হাত দেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে সোনার বাংলায় পরিণত করার কাজ শুরু করেন।

বাস্তবে কাজটি ছিল সত্যিই দুঃসাধ্য। এমনকি তখন অনেকেই বাংলাদেশকে স্থিতিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার সম্ভাব্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭৪ সালে ঢাকা সফরে আসেন। তখন তিনি বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। আর রাষ্ট্রদূত ইউ অ্যালিক্স জনসন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে বলেছিলন ‘আন্তর্জাতিক ঝুলি’। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে এ ধরনের পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে যেতে সক্ষম হন।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর দ্য প্রিন্ট-এ এক নিবন্ধে বলেছিলেন, ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ছাড়াও, সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদনে আমরা এখন চতুর্থ স্থানে, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, আমে চতুর্থ, শাকসবজি উৎপাদনে পঞ্চম ও অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে রয়েছি।’

বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত আছে। বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশের স্বীকৃতি পায়। এছাড়া ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে জাতিসংঘের বেঁধে দেয়া শর্ত ২০১৮ সালে পূরণ করেছে দেশটি। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

এগুলো সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের বিস্ময়কর অর্জন। এই অগ্রগতির পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি পরিকল্পনা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। একইসঙ্গে লাখো কৃষক, কারখানা শ্রমিক, পোশাক শ্রমিক ও দেশের নানা শ্রেণিপেশার মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে।

দারিদ্র্য দূর করায় তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ ২০১৩ সালে ‘সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্’ পেয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৩তম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে। এছাড়া, দ্য গোল্ডম্যান স্যাচ পূর্বাভাস দিয়েছে, ব্রিকসের পর যে ১১টি দেশ (এন ১১) আগামীর পৃথিবীর অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে বাংলাদেশ তার একটি।

দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক হাব হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বাংলাদেশের রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর ফলে লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনীতির উন্নতি হবে। এতে বদলে যাবে দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ২০১৮ সালে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস আইন প্রণীত হয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা একই পয়েন্ট থেকে সব ধরনের সেবা পাবে।

তা ছাড়া বিনিয়োগের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি উদার ও অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। বাংলাদেশের জিডিপি ২০০৯ সালে ছিল ১০২ বিলিয়ন ডলার। তা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০২ বিলিয়ন ডলার। সরাসরি বিদেশি নিয়োগও বেড়েছে। ২০০৯ সালে তা ছিল ৭০০ মিলিয়ন ডলার; ২০১৮ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬১৩ মিলিয়ন ডলার।

শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের উন্নয়নের জন্য নানান লক্ষ্য ঠিক করেছে। এর মধ্যে আছে ২০২১ সালে মধ্য-আয়ের দেশের স্বীকৃতি লাভ, ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া, ২০৭১ সালের মধ্যে যাদুকরী দেশে রূপান্তর এবং ২১০০ সালের মধ্যে বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এটি সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

অনেকেই মনে করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলের বর্তমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং প্রধান উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশের জন্য একটি বড় শক্তি হল, ১৭ কোটি জনগণ যাদের ৬০ ভাগের বেশি তরুণ। কর্মশক্তিতে পরিপূর্ণ এই তরুণেরা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বিপুল ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

বিশ্বের জানা দরকার বাংলাদেশ আর ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বা ‘আন্তর্জাতিক ঝুলি’ নয়। এবং বাংলাদেশ ও এর জনগণ দেশের এই উন্নতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতার বিষয়টিকে আন্তরিকভাবে প্রশংসা করে।

মো. শরীফুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। বর্তমানে ভারতের নয়াদিল্লির সাউথ এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর পিএইচডি করছেন। মডার্নডিপ্লমেসি-তে তার লেখা নিবন্ধটির ভাষান্তর করেছেন মিজান মল্লিক।

আরও পড়ুন

বিশ্লেষণ
LPG 12 kg cylinder price increased by Tk 23

এলপিজি: ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ২৩ টাকা

এলপিজি: ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ২৩ টাকা দোকানের পাশে এলপিজি সিলিন্ডারভর্তি গাড়ি। ফাইল ছবি
চলতি মাসের প্রথম কর্মদিবস রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ মূল্য ঘোষণা করা হয়, যা কার্যকর হবে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে।

ভোক্তা পর্যায়ে ডিসেম্বর মাসের জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম সমন্বয় করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

চলতি মাসের প্রথম কর্মদিবস রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ মূল্য ঘোষণা করা হয়, যা কার্যকর হবে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে।

প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এলপিজির সমন্বয়কৃত দর ঘোষণা করে বিইআরসি।

সমন্বয়কৃত মূল্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে এলপিজির ১২ কেজির সিলিন্ডার কিনতে ভোক্তাকে গুনতে হবে ১ হাজার ৪০৪ টাকা, যা নভেম্বরে ছিল ১ হাজার ৩৮১ টাকা। অর্থাৎ রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের ১২ কেজির সিলিন্ডার কিনতে চলতি মাসে ক্রেতাকে ২৩ টাকা বেশি গুনতে হবে।

বিইআরসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর তথা মূসকসহ সাড়ে পাঁচ কেজি এলপিজির দাম ঠিক করা হয়েছে ৬৪৪ টাকা। এ ছাড়া ১৫ কেজি এলপিজির দাম ১ হাজার ৭৫৫ টাকা, ২০ কেজির দাম দুই হাজার ৩৪০ টাকা, ২৫ কেজির দাম ২ হাজার ৯২৬ টাকা ও ৩০ কেজির দাম ৩ হাজার ৫১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
এলপিজি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ৫৭ টাকা
এলপিজি: ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম কমল ২৪৪ টাকা
এলপি গ্যাসের দাম কমল ৭৬ টাকা
গোপালগঞ্জে সিলিন্ডারবাহী ট্রাক ছিনতাই
এলপিজি: ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ২৬৬ টাকা

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
Opportunity to deposit in foreign currency in the countrys bank

বিদেশি মুদ্রায় দেশের ব্যাংকে আমানত রাখার সুযোগ

বিদেশি মুদ্রায় দেশের ব্যাংকে আমানত রাখার সুযোগ ফাইল ছবি
নতুন নিয়মে প্রবাসী, দেশি-বিদেশি এমনকি বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানও ডলার কিংবা পাউন্ডসহ অন্য বিদেশি মুদ্রায় আমানত জমা করতে পারবেন দেশের ব্যাংকে। জমার বিপরীতে মেয়াদ অনুযায়ী সর্বোচ্চ প্রায় ৯ শতাংশ পর্যন্ত সুদও পাওয়া যাবে।

বিদেশে আয় করে সেদেশের মুদ্রা দেশের ব্যাংকগুলোতে আমানত হিসেবে রাখা যাবে। শুধু তাই নয়, ওই আমানত থেকে মিলবে মোটা অংকের সুদও। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সেচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট-এফইপিডি থেকে জারি করা এক সার্কুলারে এমনটি জানানো হয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় রয়েছে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার বিষয়টি। হিসাবে দেখা যাচ্ছে রেকর্ড পরিমাণ কর্মী বিদেশে গেলেও সে তুলনায় রেমিট্যান্স আসছে না। শোনা যায়, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে অবৈধ হুন্ডিতে পাঠাতে উৎসাহ বাড়ছে প্রবাসীদের। আবার অনেক প্রবাসীর অভিযোগ, তাদের আমানত বিনিয়োগের কোনো ভালো পরিবেশ নেই দেশে। তাই অনেকে বিদেশেই তাদের অর্জিত অর্থ জমা রাখছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ইতোপূর্বে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগের কথা বলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রবাসীদের জন্য এমন সুযোগ দেয়া হলো। আশা করা হচ্ছে, এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নিয়মে রেমিট্যান্স খরা কাটবে।

নতুন নিয়মে প্রবাসী, দেশি-বিদেশি এমনকি বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানও ডলার কিংবা পাউন্ডসহ অন্য বিদেশি মুদ্রায় আমানত জমা করতে পারবেন দেশের ব্যাংকে। জমার বিপরীতে মেয়াদ অনুযায়ী সর্বোচ্চ প্রায় ৯ শতাংশ পর্যন্ত সুদও পাওয়া যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের ফরেন কারেন্সি (এফসি) একাউন্টের মাধ্যমে এসব ডিপোজিট সংগ্রহ করতে পারবে দেশের ব্যাংকগুলো। সেক্ষেত্রে মুদ্রাভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে মার্কআপ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মো. সারওয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এই উদ্যোগের ফলে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। গ্রাহকরা দেশের ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা রাখলে বিদেশের চেয়েও বেশি সুবিধা পাবেন। শুধু তাই নয়, তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আমানত ও মুনাফা বিদেশেও পাঠাতে পারবেন। তবে এফসি হিসেবে আমানত করা অর্থ অবশ্যই বৈধভাবে বিদেশে অর্জিত অর্থ হতে হবে।

হিসাবে দেখা গেছে, কোনো গ্রাহক তিন বছর মেয়াদে ডিপোজিট করলে সুদ পাবেন প্রায় ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট কারেন্সিতে সুদ পেমেন্ট করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নতুন সুবিধা অনুযায়ী কোনো প্রবাসী চাইলে তার নিজের অথবা পরিবারের অন্য কারও নামে এফসি একাউন্ট খুলে ফরেন কারেন্সি জমা করতে পারবেন। মেয়াদ শেষে সুদসহ জমা থাকা ফরেন কারেন্সি দেশে ব্যবহার করা যাবে। চাইলে বিদেশেও নিয়ে যাওয়া যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৩৩ কোটি ডলার; এটা সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। অবশ্য পরের মাস অক্টোবরেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা দেখা গেছে। এই মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১৯৮ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।

সব মিলে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর এই চার মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৬৮৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, যা তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম।

আরও পড়ুন:
ডলারের দর কমলো আরও ২৫ পয়সা
ডলারের অবমূল্যায়ন বিচক্ষণ পদক্ষেপ: বাংলাদেশ ব্যাংক

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
MasterCard Excellence Award received by Islami Bank

মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক

মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আবুল ফায়েজ মুহাম্মদ কামালউদ্দীন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের নিকট থেকে মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। ছবি: নিউজবাংলা
রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আবুল ফায়েজ মুহাম্মদ কামালউদ্দীন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের নিকট থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ ‘এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড প্রিপেইড বিজনেস (ডমেস্টিক) ২০২২-২০২৩’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। সম্প্রতি

রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আবুল ফায়েজ মুহাম্মদ কামালউদ্দীন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের নিকট থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেইভ, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মো. শরাফত উল্লাহ্ খান, ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজিম উদ্দীন তালুকদার ও মোহাম্মদ মানজুরুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ওসমান গণি ও আ ন ম তাওহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
The rate of dollar decreased by another 25 paise

ডলারের দর কমলো আরও ২৫ পয়সা

ডলারের দর কমলো আরও ২৫ পয়সা
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনায় ডলারের দাম পড়বে ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা। আর আমদানিতে পড়বে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা।

ডলারের দাম আরও ২৫ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনায় ডলারের দাম পড়বে ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা। আর আমদানিতে পড়বে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা।

বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) বুধবার অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা কার্যকর হবে আগামী রোববার থেকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন দুটি।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কিনতে ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা, যা আগে ছিল ১১০ টাকা। আর আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেয়া যাবে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা, আগে যা ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।

প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকও সমপরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারবে। ফলে প্রবাসী আয় পাঠালে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকার কিছু বেশি পাবেন উপকারভোগীরা।

ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে সময় সময় বাফেদা ও এবিবি বিদেশি মুদ্রাটির বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে। এ দুটি সংগঠন মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংকসংশ্লিষ্ট। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে তারা সময় সময় ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করছে।

আরও পড়ুন:
ডলারের অবমূল্যায়ন বিচক্ষণ পদক্ষেপ: বাংলাদেশ ব্যাংক
ডলারের দাম কমল
খোলা বাজারে ডলারের দাম ১১৭ টাকা নির্ধারণ, না মানলে ব্যবস্থা
খোলা বাজারে ডলারের দাম রেকর্ড ১২৮ টাকা

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
The price of gold rose another round to 109875

স্বর্ণের দাম আরেক দফা বেড়ে ভরি ১০৯৮৭৫

স্বর্ণের দাম আরেক দফা বেড়ে ভরি ১০৯৮৭৫ ফাইল ছবি।
টানা ষষ্ঠ দফা বৃদ্ধির তিন দিনের ব্যবধানে এবার ভরিতে বাড়ানো হয়েছে এক হাজার ৭৫০ টাকা। সে হিসাবে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা।

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরেক দফা বাড়ল। টানা ষষ্ঠ দফা বৃদ্ধির তিন দিনের ব্যবধানে এবার সপ্তম দফায় ভরিতে বাড়ানো হয়েছে এক হাজার ৭৫০ টাকা। সে হিসাবে সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এনামুল হক ভুইয়া লিটনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।

দেশের বাজারে আর কখনোই স্বর্ণের দাম এমন উচ্চতায় ওঠেনি। এ নিয়ে টানা সপ্তমবারের মতো দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলো।

দেশে এর আগে ২৭ অক্টোবর এবং ৬, ১৯ ও ২৬ নভেম্বর টানা চার দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। এর মধ্যে সবশেষ ২৬ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের স্বর্ণে ভরিতে বাড়ানো হয় এক হাজার ৭৪৯ টাকা। সে হিসাবে ওই পর্যায়ে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় এক লাখ আট হাজার ১২৫ টাকা।

এছাড়া ১৯ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দামে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে এই মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। সেটিও ছিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে সর্বোচ্চ।

আরও পড়ুন:
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল
স্বর্ণের ভরি এখন ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা
দেশে স্বর্ণের বাজারে সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড
স্বর্ণের ভরি আবারও লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেল
তিন দফা কমে স্বর্ণের দামে বড় লাফ

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
Income tax return submission time increased by 2 months

আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ল ২ মাস

আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ল ২ মাস আয়কর রিটার্ন জমা দিতে করদাতার ভিড়। ফাইল ছবি
পূর্বনির্ধারিত ৩০ নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে রিটার্ন জমার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে এনবিআর। একইসঙ্গে কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন জমার মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি থেকে দেড় মাস বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।

ব্যক্তি করদাতাদের ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত ৩০ নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে রিটার্ন জমার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এছাড়া কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন জমার মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি থেকে দেড় মাস বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।

বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে এই ঘোষণা দেয় এনবিআর।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪০ লাখ ব্যক্তির আয়কর রিটার্ন জমার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এনবিআর। তবে এ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক রিটার্নও জমা পড়েনি।

এনবিআরে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১৯ লাখের মতো নাগরিকের রিটার্ন জমা পড়েছে। সারা বছরের যেকোনো সময় রিটার্ন জমা দেয়া যায়। তবে নির্দিষ্ট সময়ের পর সংশ্লিষ্ট আয় বছরের রিটার্ন দাখিল করতে গেলে ৪ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়।

এ বছর কোনো আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়নি। এর পরিবর্তে এনবিআর করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে সহায়তা করার জন্য দেশব্যাপী কর অঞ্চল অফিস চত্বরে বিশেষ সহায়তা পরিষেবার আয়োজন করেছে।

এক্ষেত্রে করদাতাদের যে বিনিয়োগ রেয়াত পাওয়ার কথা ছিল, সেটিও তারা পাবেন না। ফলে তাদের আরও বেশি কর দিতে হবে।

আরও পড়ুন:
বোরবারও রিটার্ন জমা দেয়া যাবে
বাংলাদেশের সেরা করদাতা যারা
দুই-তৃতীয়াংশ রিটার্নই জমা পড়েনি
সামর্থ্যবানদের অনেকে দিচ্ছেন না আয়কর: এনবিআর
আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ল এক মাস

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
Bangladesh can be the target of US labor policy
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ওয়াশিংটন দূতাবাসের চিঠি

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম নীতির টার্গেট হতে পারে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম নীতির টার্গেট হতে পারে বাংলাদেশ ফাইল ছবি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মেমোরেন্ডামটি সব দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য একটি বৈশ্বিক নীতি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবু বাংলাদেশ যে তাদের করা টার্গেটগুলোর একটি হতে পারে- এটি মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্র শ্রম অধিকারের বিষয়ে সবশেষ যে নীতি প্রকাশ করেছে তা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস উল্লেখ করেছে। বলা হয়েছে, বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকারের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়া উচিত।

বাংলাদেশ দূতাবাসের মন্ত্রী (বাণিজ্য) মো. সেলিম রেজা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘শ্রম অধিকার সংক্রান্ত যে স্মারকলিপি যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশকে টার্গেট করা হতে পারে।’

চিঠির অনুলিপি অনুযায়ী, শ্রম অধিকার বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের এ নীতি আরেকটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মেমোরেন্ডামটি সব দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য একটি বৈশ্বিক নীতি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবু বাংলাদেশ যে তাদের করা টার্গেটগুলোর একটি হতে পারে- এটি মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

‘মেমোরেন্ডামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শ্রম বিষয়ক ইস্যুগুলো বিশেষভাবে উদ্ধৃত করেছেন সেক্রেটারি অফ স্টেট এবং অ্যাক্টিং সেক্রেটারি অফ লেবার।’

বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ক্ষমতায়ন, অধিকার এবং হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ড উন্নয়ন ইস্যুতে ১৬ নভেম্বর একটি প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যারা ইউনিয়ন নেতা, শ্রমিক অধিকার রক্ষাকারী ও শ্রমিক সংগঠনকে আক্রমণ করে, হুমকি দেয়, ভয় দেখায়, তাদের জবাবদিহি করতে হবে। যারা এ ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য বিষয়ক জরিমানা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের মেমোরেন্ডামটি এমন এক সময় ঘোষণা করা হয় যখন ন্যূনতম মজুরি ইস্যুতে বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন-বিক্ষোভ চলছিল।

বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠিতে বলা হয়, ‘মেমোরেন্ডাম অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের ফরেইন মিশন সরাসরি শ্রম বিষয়ক ইস্যু নিয়ে কাজ করবে। এ নীতিটি যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহী কূটনীতিক বা মিশনকে অনেক অভ্যন্তরীণ/বাহ্যিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহিত করতে পারে।

‘ধারণা করা হচ্ছে, এ নীতি কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রয়োগ করার সুযোগ আছে; যদি তারা মনে করে যে সেখানে শ্রম অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মেমোরেন্ডাম নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। মেমোরেন্ডামে শ্রম অধিকার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার পেছনে রাজনীতি রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন উপায়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটা ব্যবহারের চেষ্টা করবে।’

মেমোরেন্ডামটিকে বাংলাদেশের জন্য একটি সংকেত উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ‘শ্রম ইস্যুর অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র এ নীতির অধীনে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করতে পারে।

‘মেমোরেন্ডাম বাংলাদেশের পোশাক খাতেও প্রভাব ফেলতে পারে।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে শ্রমিকদের ওপর সহিংসতার নিন্দা যুক্তরাষ্ট্রের
‘শ্রমঅধিকার রক্ষাকারীদের ওপর হামলা হলে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র’

মন্তব্য

p
উপরে