আম, জাম, কাঁঠাল, অর্জুন, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া গাছে ভরে উঠবে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। ক্ষয়ে যাওয়া দ্বীপটি রক্ষা পাবে পরিবেশ দূষণ থেকে। সেখানকার প্রকৃতি হবে সজীব।
এমন স্বপ্ন নিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিএন ইসলামিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে শনিবার বৃক্ষরোপণ উৎসব করেছেন কুমিল্লার বাসিন্দা, চিকিৎসক আবু নাইম।
পুরো সেন্ট মার্টিনে ১ হাজার ১০০ প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করেছেন গাছ।
প্রথমবারের মতো বৃক্ষরোপণের এ উৎসবে অংশগ্রহণকারী স্থানীয়রা প্রকাশ করেন উচ্ছ্বাস।
চিকিৎসক আবু নাইম বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত খরচে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বিভিন্ন প্রজাতির ১ হাজার ১০০ গাছের চারা নিয়ে এসেছি। আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের সহস্রাধিক গাছ উপহার দিয়েছি, যার মধ্যে আম, কাঁঠাল, করমচা, অর্জুন, সোনালু, কষ্ণচূড়া, হিজল, সমুদ্রজবাসহ বিভিন্ন প্রজাতির শোভাবর্ধক গাছ রয়েছে।
‘সাগরতটে রোপণ করা হয় সাগরলতা গাছ। এ গাছ বালিয়াড়ি বাড়াতে ভূমিকা পালন করে।’
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহজালাল সরকার, অন্যান্য শিক্ষকসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা।
সেন্ট মার্টিন বিএন কলেজের শিক্ষক যতিন রায় বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনে সরকারি উদ্যোগে তেমন কোনো আয়োজন হতে দেখিনি। সেখানে ব্যক্তি উদ্যোগে এমন আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। আরও বড় পরিসরে এমন আয়োজন হোক।’
অধ্যক্ষ শাহজালাল সরকার বলেন, ‘পরিবশ দূষণ রোধ এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা ঠেকাতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। সেন্ট মার্টিনে এমন আয়োজন ব্যক্তি উদ্যোগে এই প্রথম। পরিবেশ রক্ষায় এমন আয়োজন সুন্দর ভাবনার বহিঃপ্রকাশ।’
ঢাকা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, ‘কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনের সময় ডা. নাইমের কাজ দেখেছি। সেন্ট মার্টিনে তার গাছ লাগানোর উৎসব অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।’
নাইম কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। চিকিৎসার পাশাপাশি পরিবেশ, প্রকৃতি, বৃক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন গত এক যুগ।
কুমিল্লায় ছাদকৃষি, বাগান ও পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
বিনা মূল্যে বীজ, কাটিং, চারা প্রদান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ, পরিবশ সচেতনতায় জনমত তৈরি তার নেশা। পাশাপাশি বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ সংরক্ষণের নেশায় গড়ে তুলেছেন বিশাল সংগ্রহ।