দেশের বিভিন্ন খাতের ১১০টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্যারিয়ার অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং ডে।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখার পাশাপাশি সমাপনী বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
ক্যারিয়ার ডের সার্বিক আয়োজনে ছিল আইইউবির অফিস অফ ক্যারিয়ার গাইডেন্স, প্লেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যালামনাই রিলেশন্স।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘পড়ার বিষয় যা-ই হোক না কেন, ছাত্র থাকাকালীন বিভিন্ন দক্ষতাবিষয়ক কোর্স কিংবা প্রশিক্ষণ নিলে শিক্ষাজীবন শেষে বেকার থাকতে হবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি নানাবিধ কাজে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে উপার্জন করে থাকে। একসময় সনদ দেখে চাকরি দেয়া হতো। এখন নিয়োগ দেয়া হয় দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে।
‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত কাজের দুনিয়ার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া। পেশাজীবীদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতে পারলে সেটি অনেকটাই অর্জন করা সম্ভব হবে।’
আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার তার বক্তব্যে আইইউবির সুযোগ-সুবিধাগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানান। শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তারা শিক্ষাজীবন শেষে কর্মজীবনে সফল হতে পারেন।
উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের সংযোগ এবং সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়টি জাতীয়ভাবে আলোচনা হচ্ছে। একে বলা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া কোলাবোরেশন। আমরা এই বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই এই ক্যারিয়ার অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং ডে আয়োজন করেছি।
‘এতে ১১০টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। দিনভর তারা আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছে, তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। এর মাধ্যমে শুধু শিক্ষার্থীই নয়, আইইউবির সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা হলো অনেক প্রতিষ্ঠানের। এতে দীর্ঘমেয়াদে আইইউবির শিক্ষার্থীরাই লাভবান হবে।’
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের ভবিষ্যৎ চাকরিদাতাদের সংযোগ স্থাপনের সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি এবারের ক্যারিয়ার ডের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈচিত্র্যের দিকটি।
‘এবারের ক্যারিয়ার ডেতে যে ১১০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, সেখানে দেশের প্রায় সবকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে, যার মধ্যে আছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকম, এনজিও ও সিবিও, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইত্যাদি। এটি তাই সত্যিকার অর্থেই এক চমৎকার মিলনমেলা।’