নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে চাকরির বিজ্ঞাপন। সেসব বিজ্ঞাপনে সরকারি চাকরি যেমন আছে, তেমনি আছে বেসরকারি চাকরি। এসব চাকরি পেতে হলে মৌলিক জ্ঞান বাড়ানোর বিকল্প নেই।
মৌলিক জ্ঞান বলতে আমরা বুঝি চলমান ঘটনাবলির ওপর দখল রাখা। পাশাপাশি সেসব বিষয়ে শুদ্ধভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে লিখতে পারা। এ ছাড়া রয়েছে গণিতের সাধারণ বিষয়াবলি যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি সমাধান করতে পারা। তা ছাড়া বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিষয়, ইতিহাস, ঐতিহ্য, জাতীয় পর্যায়ের সুবিধা-অসুবিধা, চ্যালেঞ্জ, টার্গেট, চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি সম্পর্কে জানাও মৌলিক জ্ঞানের মধ্যে পড়ে। মৌলিক জ্ঞান নানাভাবে বাড়ানো যায়। চলুন দেখে নিই।
-
জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক ও সম্পাদকীয় পাতায় নিয়মিত চোখ বুলান। পাশাপাশি অন্য পাতায়ও দৃষ্টি দিন। অনলাইন পত্রিকাগুলোতে ঢুঁ মারুন। এতে আপনি আপডেটেড থাকবেন। সেখান থেকে বাক্য বিন্যাস ও শব্দ চয়ন শিখে নিন। শেখা বাক্যের কাঠামো ও শব্দ বাস্তবজীবনে প্রয়োগ করুন।
-
যা-ই পড়ুন না কেন, পড়ার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিন। বানানের দিকে লক্ষ করুন। বাক্য কীভাবে গঠন করা হয়েছে সেদিকে নজর দিন। এতে বানান ভুল এবং বাক্য গঠন শিখে যাবেন। মনে রাখবেন, লিখিত পরীক্ষায় নম্বর কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ বানান ভুল করা।
-
অবসর সময়ে দেশি-বিদেশি বিখ্যাত ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনুন। জাতীয় সংসদ, সুপ্রিম কোর্ট, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের দিকে খেয়াল রাখুন। মনে রাখবেন, তারা যা বলছেন, দেশের মধ্যে সেসবই ঘটছে।
-
একই বই বারবার না পড়ে বিভিন্ন ধরনের বই পড়ুন। বইয়ের সংখ্যা বেশি হলে আপনার মৌলিক জ্ঞানও বাড়বে। বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও মৌলিক সাধারণ জ্ঞানের জোরালো প্রস্তুতি নিন।
-
দৈনন্দিন কাজের সময় যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করার সময় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করবেন না। লেখার অভ্যাস রাখুন। দ্রুত কলম চালাতে পারলে পরীক্ষায় অনেকটা এগিয়ে থাকবেন।
-
যেখান থেকে যা-ই পড়ুন না কেন, বুঝে পড়ুন। কোনো বিষয় না বুঝলে এড়িয়ে না গিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে সেটা বুঝে নিন। এমনভাবে বিষয়গুলো রপ্ত করুন, যেন চাইলে সেটা নিয়ে এখনই প্রেজেন্টেশন দিতে পারেন।
-
এভাবে বুঝে পড়তে পারলে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় আপনাকে আটকানো সহজ হবে না। সুতরাং এখন থেকেই সচেতন হোন। মৌলিক জ্ঞান বাড়ান।