বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা মোকাবিলায় অবদান রাখায় ৬ জনকে সম্মাননা পড়শির

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ জুলাই, ২০২২ ১০:৪০

সংবর্ধনা পাওয়া ছয়জন হলেন আমিনী গ্রামের সাইফুল্লাই মুনছুর, ইয়ানুর রহমান, ফয়সাল হোসেন, রেজোয়ান হোসেন, মনিরুল ইসলাম ও মহব্বত আলী।

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ ইউনিয়নে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশেষ অবদানের জন্য ছয়জনকে সম্মাননা দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পড়শি।

আমিনী রামচন্দ্রপুর দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সম্প্রতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্কয়ার টয়লেট্রিজের সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা জাহিদ আল ইমরান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক হাবিবুর রহমান, ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার জেনারেল মেহেদী হাসানসহ অনেকে।

সংবর্ধনা পাওয়া ছয়জন হলেন আমিনী গ্রামের সাইফুল্লাই মুনছুর, ইয়ানুর রহমান, ফয়সাল হোসেন, রেজোয়ান হোসেন, মনিরুল ইসলাম ও মহব্বত আলী।

এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলের জন্য আমিনী গ্রামের শিক্ষার্থী ইয়ানুর রহমানকে অভিনন্দন জানিয়েছে পড়শি।

২০২০ সাল থেকে আমিনী গ্রামের মানুষের মধ্যে করোনা মোকাবিলায় সচেতনতা সৃষ্টিতে নানা ধরনের ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে পড়শি।

করোনা উপসর্গে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিনা মূল্যে ওষুধ, ভিটামিন সি-যুক্ত ফল, সংকটাপন্ন রোগীর জন্য অক্সিজেন ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেয় সংগঠনটি। অসুস্থ ব্যক্তির বাড়িতে চাল, ডাল, আলু, তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও পৌঁছে দেয়া হয়।

গ্রামীণ খেলার আয়োজন

এদিকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্মার্টফোন আসক্তি কমানো ও তাদের মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে গ্ৰাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া বেশ কিছু খেলাধুলার আয়োজন করে পড়শি। এসব খেলাধুলার মধ্যে রয়েছে হাড়ি ভাঙা, মোরগ লড়াই ও বিস্কুট দৌড়।

আমিনী রামচন্দ্রপুর দাখিল মাদ্রাসা খেলার মাঠে সম্প্রতি এসব খেলার আয়োজন করা হয়।

খেলায় আমিনী ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের শতাধিক শিশু, কিশোর, তরুণ ও প্রবীণ অংশ নেয়। এসব খেলা দেখতে শত শত নারী, পুরুষ ও শিশু মাদ্রাসার মাঠে ভিড় জমায়।

খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন পড়শির সভাপতি ও স্কয়ার টয়লেট্রিজের সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা জাহিদ আল ইমরান।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বড় হচ্ছে টিভিতে কার্টুন দেখে আর স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে গেমস খেলে। সমবয়সীদের সঙ্গে মাঠের খেলার আনন্দ তারা জানেই না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় গাঁও-গ্রামের এসব খেলাধুলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, যা নতুন প্রজন্মের কাছে একেবারেই অজানা।’

এ বিভাগের আরো খবর