বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিডস ফর দ্য ফিউচারের তৃতীয় রাউন্ডে ৩০ শিক্ষার্থী

  •    
  • ৪ জুন, ২০২২ ১৪:২৫

প্রাথমিকভাবে প্রতিযোগিতায় এক হাজার ১০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। সেখান থেকে তৃতীয় রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত ৩০ জনের দক্ষতা, পরীক্ষা, প্রকল্প ও প্রেজেন্টেশেন দক্ষতা রপ্ত করার ওপর জোর দেয়া হবে।

বহুজাতিক নেটওয়ার্কিং ও টেলিযোগাযোগ কোম্পানি হুয়াওয়ে আয়োজিত সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার তৃতীয় রাউন্ডে অংশ নেবেন ৩০ শিক্ষার্থী।

সিজিপিএ, অ্যাকাডেমিক জ্ঞান, সৃজনশীলতা বা প্রকল্প আইডিয়া এবং ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে তাদের এ রাউন্ডের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।

হুয়াওয়ের কর্মকর্তা, প্রজেক্ট ম্যানেজার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেয়া ২০০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে থেকে তৃতীয় রাউন্ডের জন্য এ ৩০ শিক্ষার্থীকে বেছে নেন।

প্রাথমিকভাবে এই প্রতিযোগিতায় এক হাজার ১০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। সেখান থেকে তৃতীয় রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত ৩০ জনের দক্ষতা, পরীক্ষা, প্রকল্প ও প্রেজেন্টেশেন দক্ষতা রপ্ত করার ওপর জোর দেয়া হবে।

‘মিট দ্য মেন্টর’ শীর্ষক প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। তৃতীয় রাউন্ডের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নয়জন সেরা শিক্ষার্থী থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় রিজিয়নাল রাউন্ডে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন। রিজিয়নাল রাউন্ডের বিজয়ীরা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠেয় ‘টেক ফর গুড অ্যাকসেলেরেটর’ ক্যাম্পে অংশ নেবেন।

এ নিয়ে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশনস বিভাগের প্রধান ইউইং কার্ল বলেন, “নয় বছর আগে হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ (এসএফটিএফ) প্রোগ্রামটি চালু করে। প্রতিবারই আমরা অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। এই বছর অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা চমৎকার।

“আইসিটি খাত রূপান্তরের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। এই স্বপ্নপূরণে তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মেধাবী এসব তরুণদের মধ্যে যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে, তা দেখে আমি বেশ আশাবাদী। আমাদের এ প্রোগ্রামটি দেশের চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ প্রোগ্রামটি দেশটির ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এসএফটিএফের পরবর্তী ধাপে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।”

৩০ শিক্ষার্থী কারা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তাকি ইয়াশির, এলিন রঞ্জন দাস ও গোলাম মাহমুদ সামদানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহাদ সারোয়ার, শাদমিন সুলতানা, মো. আশিকুজ্জামান কৌশিক ও নাফিসা আমিন হৃদি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সুনন্দা দাস ও মো. সাজেদুর রহমান, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মনোয়ারা নাজনীন, ফারহানা আমিন, মাদিহা বিনতে জাকির, মেহেরীন তাবাসসুম ও মো. মাশরুর সাকিব, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (আইইউটি) ওয়াসিফা রহমান রেশমি, আনিকা রেহনুমা, মো. সুমিত হাসান, ফাইরুজ শাইআরা ও মো. সাজিদ আলতাফ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির মাফরুজা মাহরিন নেহা, সাদ মাহবুব চৌধুরী ও মারজিয়া তাবাসসুম প্রীতি, আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এইউএসটি) আব্দুল্লাহ সালেহ ও আবু মো. ফুয়াদ, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সুমাইয়া আবুল কালাম ও মোহাম্মদ ইফতেখার ইবনে জালাল এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সায়েম সাদাত হোসাইন, লাজিব শারার শায়ক, মোহসীনা তাজ ও আংকিতা কুণ্ডু।

বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে সামগ্রিক আইসিটি ইকোসিস্টেম বিকাশে অবদান রাখতে চায় হুয়াওয়ে। তাদের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ উদ্যোগটি বৈশ্বিকভাবে ২০০৮ সালে থাইল্যান্ডে শুরু হয়।

এখন পর্যন্ত এ প্রোগ্রামটি ১৩৭টি দেশে চালু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী ও ৫ শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় এ উদ্যোগের সুবিধা ভোগ করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর