বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্যামেরার ভিউ ফাইন্ডারে দেখা জীবন

  •    
  • ২২ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:৩০

জীবনের নানা রঙের গল্প বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ক্যামেরার মাধ্যমে তুলে আনার কাজটি নিবিড় মনে করে যাচ্ছেন তিনি। স্বল্প সময়ের ফটোগ্রাফি ক্যারিয়ারে ৮০টি দেশে তার ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। সাফল্যের ঝুলিতেও আছে বেশ কিছু পুরস্কার।

‘ফটোগ্রাফিতে যাত্রার শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না। সালটা ২০১৫, তখন আমি দশম শ্রেণির ছাত্র, ফ্যামিলি থেকে তখন তেমন সাপোর্ট ছিল না, তারা মনে করতেন আমি হয়তো বখে যাচ্ছি। তাই নিজের হাত খরচের টাকা জমিয়ে একটি ফোন এবং ম্যাক্রো লেন্স কিনে শুরু হয় আমার ফটোগ্রাফির যাত্রা’-কথাগুলো বলছিলেন তরুণ আলোকচিত্রী আবির মাহমুদ।

জীবনের নানা রঙের গল্প বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ক্যামেরার মাধ্যমে তুলে আনার কাজটি নিবিড় মনে করে যাচ্ছেন তিনি। স্বল্প সময়ের ফটোগ্রাফি ক্যারিয়ারে ৮০টি দেশে তার ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। সাফল্যের ঝুলিতেও আছে বেশ কিছু পুরস্কার।

এত স্বল্প সময়ে ৮০টি দেশে আপনার ছবি প্রদর্শিত হলো- প্রশ্ন শুনে আবিরের উত্তর, ‘আসলে আমার কাছে মনে হয় সফলতার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই, যদি কেউ একাগ্রতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের কাজকে ভালোবেসে তার পেছনে ছুটতে থাকে তবে সফলতা আসবেই।

‘আমি সব সময় চেষ্টা করতাম প্রচুর ট্রাভেল করতে। ২০১৭ তে মোবাইল ফটোগ্রাফি ছেড়ে স্মার্ট ফোন বিক্রি করে দিলাম, একটা ছোট্ট সেকেন্ড হ্যান্ড ক্যানন পাওয়ার শট ক্যামেরা নিয়েছিলাম। সেটা দিয়েই ছবি তুলতে লাগলাম। বলতে গেলে প্রায় সপ্তাহে ৩-৪ দিনই বের হতাম ছবি তুলতে। কখনও এখান থেকে সফলতা পাব ভাবিনি। শুধু নিজের মন মতো ছবি তুলতাম যা ভালো লাগতো, মানুষের সঙ্গে মিশতাম, তাদের সুখ-দুঃখগুলো ভাগাভাগি করে নিতাম আর প্রচুর ছবি তুলতাম।’

এই ছবিগুলো দেশ-বিদেশের সব ফটোগ্রাফি কন্টেস্টে শেয়ার করতে থাকেন বলে জানান তিনি।

প্রথম দিকে অনেক বাধা-বিপত্তি আসলেও ধীরে ধীরে দেখতে শুরু করেন সফলতার মুখ।

আলোকচিত্রী আবির মাহমুদ

আবির ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফির জন্য ৩০টিরও বেশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।

উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল-২০২০ এর বঙ্গবন্ধু ইয়্যুথ আর্ট কম্পিটিশনে ফটোগ্রাফি ক্যাটগরিতে প্রথম পুরস্কার, ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের তর্জনী প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, বগুড়া জেলা পুলিশ আয়োজিত ফটো ফিভার ড্রাগস নেভার ২০১৮-এ প্রথম স্থান, জাতীয় ছবি প্রতিযোগিতা এবং থাউজেন্ড স্টোরিজ, সিজন-২ আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

ডকুমেন্টারি এবং ট্রাভেল ফটোগ্রাফি হচ্ছে আবিরের পছন্দের সাবজেক্ট। মানুষের জীবন এবং প্রকৃতির মাঝের লুকানো হাজারও গল্পকে ধারণ করার চেষ্টা করেন ক্যামেরার লেন্সে।

‘ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে নিজের পুরস্কার সমগ্র থেকে অর্জিত অর্থ জমিয়ে একটি হাসপাতাল তৈরি করার, যেখানে অসহায় মানুষ এবং প্রাণীদের জন্য থাকবে বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা’- ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও পরিকল্পনা এভাবেই ঠিক করেছেন আবির।

নতুনদের জন্য আবিরের পরামর্শ, যারা ফটোগ্রাফিতে নতুন আসতে চায় তাদের বলবো কখনও ধৈর্য্য হারানো যাবে না, ক্যামেরা সেটআপ যাই থাকুক না কেন কষ্ট করে ধরে রাখতে হবে। জীবনে অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে, তাই বলে হার মানা যাবে না, যদি নিজের কাজকে ভালোবেসে আগলে রাখতে পারেন তবে সফলতা আপনারই জন্য।

ফটোগ্রাফিতে অনুপ্রেরণা কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফটোগ্রাফিতে আমার অনুপ্রেরণা ছিলেন শ্রদ্ধেয় ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার জিএমবি আকাশ স্যার এবং বগুড়ার ফটোগ্রাফার আব্দুল মোমিন ভাই।’

সঙ্গে যোগ করলেন, 'পৃথিবীতে কোনো কাজই ছোট নয়, যদি কেউ নিজের কাজকে ভালোবেসে সততার সঙ্গে সেটির পেছনে লেগে থাকেন তবে সফলতা আসবেই সেটা হোক ফটোগ্রাফি কিংবা যে কোনো সেক্টর।’

এ বিভাগের আরো খবর