শর্তসাপেক্ষে আগের প্যাকেজের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডেটা ফেরত পাবেন মোবাইল ফোন গ্রাহকরা। এজন্য গ্রাহককে মেয়াদ শেষের আগে একই প্যাকেজ আবার কিনতে হবে।
তবে আগে ইন্টারনেট প্যাকেজ ছিল শুধু এক মেয়াদের। এখন সবগুলো প্যাকেজ হবে ৪টি আলাদা মেয়াদের ৩ দিন, ৭ দিন ১৫ দিন ও এক মাস।
এ সম্পর্কিত নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। বুধবার থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিটিআরসি কার্যালয়ে নতুন নির্দেশিকার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অব্যবহৃত ডেটা গ্রাহকরা এখনও ফেরত পান, তবে এ জন্য মেয়াদ শেষের আগে একই মেয়াদের প্যাকেজ কিনতে হয়। নতুন নির্দেশনায় একই প্যাকেজের ভিন্ন মেয়াদের ক্ষেত্রেও তা কার্যকর হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে মোবাইল অপারেটরদের প্রধান ব্যবসায় জায়গা হবে ডেটা। মোবাইলে কল থাকবে, কথা থাকবে তবে শতভাগ কথাই ডেটা নির্ভর হয়ে যাবে। তা নিয়ে এখনই গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায় পরিকল্পনা করতে না পারলে অপারেটরদের পিছিয়ে পড়তে হবে। আর একবার পিছিয়ে পড়লে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
নতুন নির্দেশিকার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি বলেন, ‘আগে তিন দিনেই যে ডেটার মেয়াদ শেষ হয়ে যেত এখন তার মেয়াদ একটু বেড়েছে। তবে এটাকে মেয়াদহীন করার বিষয়ে বিটিআরসিকে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে অপারেটরদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে।’
এর আগে ডেটা ফেরতের বিষয়টি গত বছরের ২২ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিটিআরসির ভার্চুয়াল গণশুনানিতে উত্থাপন হয়। অব্যবহৃত ডেটা ফেরতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সেসময় বিটিআরসি থেকে বলা হয়, ডেটা ফেরতের বিষয়ে কথা হচ্ছে; কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মোবাইল ফোন অপারেটররা তখন জানান, বিটিআরসির বর্তমান নির্দেশনা মেনে এখন কিছু ডেটা ফেরত দেয়া হয়। তাতে দুইটি শর্ত মানতে হবে। এর একটি হলো যে প্যাকেজের ডেটা অব্যবহৃত রয়ে গেছে, সেই একই প্যাকেজ আবার কিনতে হবে। আর দ্বিতীয়টি হলো বিদ্যমান প্যাকেজ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই প্যাকেজটি আবার কিনতে হবে। তবে ভিন্ন প্যাকেজ কিনলে ডেটা ফেরত পাওয়া যায় না।