বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণপরিবহনে স্বস্তি দিতে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিশেষ অ্যাপ

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:৪৬

বাসের প্রতিটি সিটের পেছনে একটি করে কিউআর কোড থাকবে। যাত্রীরা কোডটি স্ক্যান করে তার গন্তব্য নির্ধারণ করে ভাড়া দিতে পারবেন। ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে ভাড়ার টাকা কাটা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যৎ ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিটও বুক করা যাবে।

গণপরিবহনে নির্বিঘ্ন যাতায়াত ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনভিত্তিক একটি ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

তারা বলছেন, এই ব্যবস্থাপনাটি আধুনিক গণপরিহন উপহার দিতে সক্ষম। কিউআর কোড, ডিজিটাল ওয়ালেট মোবাইল ব্যাংকিং এবং ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করায় অ্যাপ্লিকেশন যাত্রী পরিবহন শ্রমিক ও পরিবহন মালিক- সবার জন্য স্বাচ্ছন্দ্য তৈরি করবে।

‘গো বাংলাদেশ (GO BANGLADESH)’ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান সৌরভ, জাহাঙ্গীর হোসাইন, রেজাউল করিম ও নিশাত মাহমুদ।

অ্যাপ উদ্ভাবনে চার শিক্ষার্থীর টিমের তত্ত্বাবধান করেছেন সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জুলফিকার মাহমুদ ও সাবেক শিক্ষক জাহিদুর রহমান।

অ্যাপটির বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে ড. জুলফিকার মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনিবন্ধিত বাস ও ড্রাইভার এ সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবেন না। বাসের প্রতিটি সিটের পেছনে একটি করে কিউআর কোড থাকবে। যাত্রী যে সিটে বসে আছে তার সামনের সিটের পেছনে ওই সিটের কোডটি থাকবে। যাত্রীরা কোডটি স্ক্যান করে তার গন্তব্য সিলেক্ট করে ভাড়া দিতে পারবেন। ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে ভাড়ার টাকা কাটা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যৎ ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিটও বুক করা যাবে।’

ড. জুলফিকার বলেন, ‘যাত্রাপথ নিয়ে কোনো মন্তব্য বা অভিযোগ থাকলে যাত্রীরা তা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জানাতে পারবেন এবং সেবার মান নির্ধারণ করতে পারবেন। এটি সরাসরি পরিবহন মালিক দেখতে পারবেন।

‘কোনো যাত্রী ডিজিটালি ভাড়া দিতে না পারলে নগদ টাকার মাধ্যমেও ভাড়া দিতে পারবেন। ডিজিটালি দেয়া ভাড়া সরাসরি মালিকের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে যোগ হবে। বাসের সার্বিক পরিস্থিতি মালিক যে কোনো সময় দেখতে পারবেন।’

ড. জুলফিকার জানান, এরই মধ্যে হিমাচল পরিবহন অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারে আগ্রহ জানিয়েছে। এ ছাড়া ‘নগর পরিবহন’-এর সঙ্গেও চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের সঙ্গে উদ্ভাবক দল

জবি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত প্রকল্পটি মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত মুজিব ১০০ আইডিয়া প্রতিযোগিতায় সেরা ১০০-তে জায়গা করে নিয়েছে। এ ছাড়া সিটি ইউনিভার্সিটি আয়োজিত সিএসই ফেস্টিভ্যাল ২০২১ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।

অ্যাপ্লিকেশনটির উন্নয়নে ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যাকাডেমি থেকে চলতি মাসে ১০ লাখ টাকার তহবিলও পেয়েছে প্রকল্পটি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে সোমবার অ্যাপটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ সময় উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এই অ্যাপ দেশের পরিবহন খাতে ডিজিটাল পরিবর্তন আনতে সক্ষম বলে আশা প্রকাশ করা হয় অনুষ্ঠানে।

অ্যাপটি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানিয়ে ড. জুলফিকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বাইরের দেশের মতো বাংলাদেশের ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমকে স্মার্ট করে তুলতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনে আমরা এই সিস্টেমটি চালুর প্রথম ছয় মাস বা এক বছর ফ্রিতে দেব। এমনকি সরকার চাইলে আমরা পুরো সিস্টেমটাই তাদের ফ্রিতে দিয়ে দেব।’

এ বিভাগের আরো খবর