ডিভাইসের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চীনের প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়েকে দেশটিতে নিষিদ্ধ করে।
পরে মোবাইল ফোনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম প্ল্যাটফর্ম অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার নয়ে গুগল হুয়াওয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেয়। ফলে অ্যান্ড্রয়েডের সেবা না পাওয়ায় ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন। বিক্রি করে দেয় ব্র্যান্ডটির সাব-ব্র্যান্ড অনার।
বাংলাদেশেও বন্ধ হয়ে যায় হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের কার্যক্রম। তবে নতুন করে ব্র্যান্ডটি নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে স্মার্টফোন এনে তা বিশ্ববাজারে বিক্রির কথা জানায়।
সে ঘোষণাও অনেক আগের। এরই মধ্যে অন্য দেশের মতো চীনেও নিজেদের বাজার হারিয়েছে হুয়াওয়ে।
তবে নতুন করে হুয়াওয়ে নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম হারমনি দিয়ে স্মার্টফোন আনতে যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম গিজমো চায়না।
এরই মধ্যে চীনের সার্টিফিকেশন প্ল্যাটফর্ম টিনায় নতুন ফোনটির অনুমোদন নিতে আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে মাধ্যমটি।
ফোনটির মডেলর হুয়াওয়ে জেএলএন-এএল০০। ফোনটি সাপোর্ট করবে ফোরজি।
প্রতিবেদন থেকে বলা হয়, চলতি মাসের মধ্যেই ফোনটি চীনের বাজারে ছাড়তে পারে হুয়াওয়ে।
যদি তাই হয়, তবে দীর্ঘদিন পর নতুন করে স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। চীনের পাশাপাশি অন্য কোনো দেশে ফোনটি ছাড়া হবে কি না সে সম্পর্কে অবশ্য এখনই কোনো তথ্য জানা যায়নি।
সার্টিফিকেশনের টিনায় যে আবেদন করেছে হুয়াওয়ে, সেখানে দেয়া স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী ফোনটিতে থাকবে এলসিডি প্যানেলের ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে। যার রেজুলেশন হবে ১০৮০*২৩৮৮ পিক্সেল।
ফোনটিতে থাকবে পাঁচটি ক্যামেরা। যার একটি সামনে ও চারটি পেছনের প্যানেলে।
পেছনের চার ক্যামেরার মধ্যে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা, অন্য তিনটি যথাক্রমে ৮, ২ এবং ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ফোনটি দিয়ে ফোর-কে ভিডিও শ্যুট করা যাবে। সামনের ক্যামেরাটি হবে ১৬ মেগাপিক্সেলের।
ফোনটিতে কী প্রসেসর ব্যবহার করা হবে সেটি জানা না গেলেও তা হতে পারে অক্টো-কোরের ২.৪ গিগাহার্জের। ৬৬ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিংয়ের সঙ্গে ফোনটিতে থাকবে ৩৯০০ এমএএইচের ব্যাটারি।
ফোনটিতে থাকতে পারে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজ।
টিনায় আবেদন করলেও কোনো ধরনের ছবি প্রকাশ করেনি হুয়াওয়ে।