তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে (আইসিটি) দক্ষ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে অষ্টমবারের মতো দেশে আবারও শুরু হয়েছে হুয়াওয়ের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১ বাংলাদেশ।’
এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সোমবার এই আয়োজনের ঘোষণা দেয়া হয়।
ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ সময় যুক্ত ছিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য ড. মো. ফজলে ইলাহী এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন।
সেখানে বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মো. রুবাইয়াত তানভীর হোসেন।
বিশ্বব্যাপী এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশলবিদ্যা ও গণিত) এবং নন-এসটিইএম বিষয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, জ্ঞান প্রদান এবং আইসিটি খাত সম্পর্কে আরও জানাশোনা ও আগ্রহ তৈরিতে কাজ করে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশে চালু হওয়া প্রোগ্রামটি সারাবিশ্বে প্রায় দশ বছর ধরে মেধা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামটির আমাদের যুব সমাজের ভবিষ্যৎ উপযোগী তথ্য ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিকাশেই নয়, পাশাপাশি এটি এমন একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছে যা ইন্ডাস্ট্রিতে এই খাতে দক্ষ ব্যক্তিদের কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে।’
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন বলেন, ‘তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। সামনের বছরগুলোতে, আইসিটি দক্ষতার ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বিষয়টি বিবেচনা করেই হুয়াওয়ে আইসিটি খাতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তরুণদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশ করতে এই প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে।
চলতি বছর প্রোগ্রামে দেশের বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে। তাদের অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট, জ্ঞান, উদ্ভাবনী চিন্তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ থেকে ১৮ জনকে বিজয়ী করা হবে। তারা সারা বিশ্বের অন্য বিজয়ীদের সঙ্গে পরের পর্যায়ে অংশ নেবেন।
২০০৮ সালে থাইল্যান্ডে বৈশ্বিকভাবে চালু হওয়ার পর ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বিশ্বের প্রায় ১৩০টি দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা বিশ্বের প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থী এবং পাঁচ শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত এই প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হয়েছে।