বাংলাদেশে সেফটি সেন্টার চালুর ঘোষণা দিয়েছে ছোট ভিডিও তৈরির অ্যাপ টিকটক।
নিজেদের কমিউনিটির জন্য একটি নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনলাইন সেফটি সেন্টার মূলত একটি ওয়ান স্টপ ডেসটিনেশন, যাতে প্ল্যাটফর্মটির সেফটি পলিসি ও রিসোর্স পাওয়া যায়। দেশে এখন এটি পাওয়া যাচ্ছে বাংলা ও ইংরেজিতে।
প্রতিষ্ঠানটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অ্যাপকে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও সুরক্ষিত রাখতে সেফটি সেন্টারের তথ্য ও সরঞ্জাম সহায়তা করবে।
সেফটি সেন্টারে সাইবার বুলিং কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে নির্দেশনা রয়েছে, আছে প্যারেন্টাল গাইড, ফ্যামিলি পেয়ারিং যা পিতামাতা বা পরিবারের সদস্যদের তাদের টিকটক অ্যাকাউন্টকে কিশোর বয়সীদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করতে দেয়। এর পাশাপাশি ‘স্ক্রিন টাইম ম্যানেজমেন্ট’, ‘রেস্ট্রিক্টেড মোড’-এর ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে দেয় অভিভাবকদের।
কিশোর-কিশোরীদের কে ম্যাসেজ পাঠাতে পারবে সেটিও নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ থাকে এতে। এইভাবে অভিভাবকেরা তাদের বাচ্চারা প্ল্যাটফর্মে কী করছে, তার ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন।
টিকটক সেফটি সেন্টারটিতে বেশ কয়েকটি আর্টিকেল ও সেফটি ভিডিও রয়েছে বলেও জানান হয়।
টিকটকের মুখপাত্র বলেন, ‘সেফটি সেন্টার হলো ব্যবহারকারীদের জন্য নিজেদের অ্যাপ সুরক্ষিত রাখার সম্পদ। আমরা বিশ্বাস করি, অনলাইন নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের দায়িত্ব।
‘এ জন্য ব্যবহারকারী, বিশেষজ্ঞ, সরকার ও প্ল্যাটফর্মগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা গর্বিত যে, আমরা সেদিক থেকে সক্রিয় পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছি।’
দেশে অনলাইন স্ক্যাম, নিরাপত্তা ও প্ল্যাটফর্মের দায়িত্বশীল ব্যবহার সম্পর্কে ডিজিটাল কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে টিকটক এর আগেও পাবলিক সার্ভিস অ্যানাউন্সমেন্ট হিসেবে #হইসচেতন ক্যাম্পইন করেছে।
এ ছাড়া ২০২০ সালে বিশ্ব ইন্টারনেট দিবসে আমরা সেফ ইন্টারনেট সেফ ক্যাম্পইন করেছে।
টিকটক জানায়, তাদের বিশেষজ্ঞরা মূল্যায়নের মাধ্যমেই এই নীতিমালা প্রকাশ করেছে।