কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সব ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ। বিয়ে, জন্মদিন, সংবর্ধনা এমনকি ঘরোয়া পার্টিও হচ্ছে না কোথাও।
চুপিসারে দু-একটা অনুষ্ঠান হলেও স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে যাবার সুযোগ একেবারেই নেই।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে আপনার পছন্দের পোশাকগুলো কিন্তু ব্যবহার হচ্ছে না। ওয়ার্ডরোপের কোনায় অযত্ন-অবহেলায় পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
মাঝেমধ্যে যত্ন না নিলে সেগুলোর ভবিষ্যৎ কিন্তু অন্ধকার।
পরবর্তী সময়ে ব্যবহার করতে চাইলে আপনার দামি পোশাকগুলোর যত্ন শুরু করতে হবে আজই।
এখন বর্ষাকাল। মনে রাখতে হবে, দামি পোশাকগুলোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায়। সিনথেটিক ফ্যাব্রিকের গায়ে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস জন্মায় না। কিন্তু সিল্ক, সুতি, তসর ইত্যাদি কাপড় একটানা অনেক দিন পড়ে থাকলে এর তন্তুর গায়ে জীবাণু জন্মায়।
সিলভার ফিশ পোকাগুলো প্রথমেই আক্রমণ করে সিল্ক কাপড়ে। কারণ, সিল্কের তন্তুর মধ্যে থাকে প্রাণিজ প্রোটিন, সেগুলো আবার ওই পোকার প্রিয় খাদ্য।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জামাকাপড় রোদে দেয়াই সর্বোত্তম পন্থা। রোদের তাপ এবং অতিবেগুনি রশ্মি পোশাক জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
আরও একটি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দেয়া জরুরি। তুলে রাখা পোশাকের ভাঁজ মাঝেমধ্যে বদলে দিতে হবে।
কারণ, ভাঁজের মাঝে ধুলা জমে। ধুলার প্রভাবে সেই ভাঁজ বরাবর ফ্যাব্রিকে কালো দাগ পড়ে যায়। অনেক সময় চিড় খায়। ফলে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।
সুতরাং কাপড় ভালো রাখতে হলে আপনাকে মাঝেমধ্যে তুলে রাখা পোশাকগুলো বের করে ঝেড়ে নিতে হবে। ভাঁজের মধ্যে থাকা ধুলাগুলো নরম ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
তারপর দিতে হবে রোদে। সারা দিন রোদ পোহানো শেষে পোশাকগুলো ঘরে নিয়ে আসতে হবে। ঠান্ডা হলে নতুনভাবে ভাঁজ করে আবার ওয়ার্ডরোপে তুলে রাখতে হবে।
সিলভার ফিশ পোকার উপদ্রপ থেকে বাঁচতে কাপড়ের ভাঁজে ন্যাপথলিন দিতে পারেন। অনেকে নিমপাতা রাখে। সেটাও দারুণ কাজে দেয়।