বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়ের মরদেহ কাঁধে ৩৫ কিলোমিটার

  •    
  • ১০ মে, ২০২১ ১৩:২১

হেঁটে মেয়ের লাশ হাসপাতালে নেয়ার বিষয়ে ধীরপতি বলেন, ‘আমরা সকাল ৯টার দিকে হাঁটা শুরু করে হাসপাতালে পৌঁছাই বিকেল ৪টা নাগাদ। খাটিয়ায় মরদেহ তুলে সেটি একটি গাছের ডাল দিয়ে ঘাড়ে করে নিয়ে আসতে হয়েছে। এখন আমার অবস্থাও ভালো না। তবে কারও কাছেই কোনো সহায়তা পাইনি।’

ভারতের মধ্যপ্রদেশের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী আত্মহত্যা করে ৫ মে। খবর পেয়ে পুলিশ রাজ্যের সিংরৌলি জেলার গাধাই গ্রামে সেই বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়।

ময়নাতদন্ত করতে হবে জানিয়ে মেয়েটির পরিবারকে মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে পুলিশ। ওই হাসপাতাল ছিল গাধাই গ্রাম থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে।

পরিবারটির আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, মরদেহ তারা কোনোভাবেই গাড়িতে করে নিতে পারেনি।পুলিশও মরদেহ নেয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় মেয়েটির বাবা ধীরপতি সিং গন্ডকে।

তিনি মেয়ের মরদেহ হাসপাতালে নেয়ার জন্য অনেকের কাছেই গাড়ি চেয়ে অনুরোধ জানান। কিন্তু কেউ গাড়ির ব্যবস্থা করেনি। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় খাটিয়ায় করে মেয়ের মরদেহ নিয়ে হাঁটতে শুরু করেন ধীরপতি।

৩৫ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে পৌঁছাতে তার সাত ঘণ্টা সময় লাগে। তাকে সহায়তা করেন আরও কয়েকজন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সিংরৌলি জেলার সেই ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

হেঁটে মেয়ের লাশ হাসপাতালে নেয়ার বিষয়ে ধীরপতি বলেন, ‘আমরা সকাল ৯টার দিকে হাঁটা শুরু করে হাসপাতালে পৌঁছাই বিকেল ৪টা নাগাদ। খাটিয়ায় মরদেহ তুলে সেটি একটি গাছের ডাল দিয়ে ঘাড়ে করে নিয়ে আসতে হয়েছে। এখন আমার অবস্থাও ভালো না। তবে কারও কাছেই কোনো সহায়তা পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘বাড়ির এক কিলোমিটার দূরেই একটি সড়ক আছে হাসপাতালে যাওয়ার। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল একটি গাড়ির ব্যবস্থা করার।’

এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা অরুণ সিং বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে হাসপাতালে বা থানায় নেয়ার জন্য তাদের কাছে কোনো বাজেট নেই। তাই কোনো যানবাহন জোগাড় করা সম্ভব হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর