ফুটবল, ক্রিকেটের মতো জনপ্রিয় খেলা নয়। তবে জনপ্রিয়তা আছে বেশ। গ্রামীণ জনপদে প্রায়ই দেখা যায় ককফাইট বা মোরগ লড়াই খেলার আয়োজন।
কুমিল্লায় এমন এক আয়োজনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সূর্য কিরণ ক্লাব।
মোরগ লড়াইয়ের আয়োজন করে কুমিল্লার আসিল উন্নয়ন ক্লাব জহির ব্রাদার্স।
শনিবার নগরীর ভাটপাড়ায় এই লড়াইয়ে সাত ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জয় পায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। স্বাগতিক কুমিল্লা জয় পেয়েছে একটিতে। বাকি ম্যাচগুলো গড়িয়েছে ড্রতে।
লড়াইয়ের জন্য দুটি ক্লাবের ১৮টি মোরগ আনা হয় ভাটপাড়ায়। চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয় সাতটি করে মোরগ।
মোরগগুলোর নামও বাহারি। মোরগের তেজ, আক্রমণ ও ক্ষিপ্রতার ধরন অনুযায়ী নাম রাখেন মালিকরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্লাবের মোরগগুলোর মধ্যে ব্ল্যাক হিট, ডেবিট-টেরা, বিজলি ও খইয়া নাম ছিল বেশি আলোচিত। আলোচনায় ছিল কুমিল্লার গলাছিলা টাইগার, সুরমাই, বিল্ডার, পাগলু, ক্ষ্যাপা এবং ঈগল নামের মোরগও।
মোরগ লড়াই নামে সবাই চিনলেও এর আসল নাম ‘আসিল মোরগ লড়াই’।
জহির ব্রাদার্সের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাগতিক হিসেবে সফল একটি লড়াই পরিচালনা করতে পেরেছি। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।’
খেলা দেখতে আসেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল হালিম। তিনি বলেন, ‘চমৎকার আয়োজন ছিল। মোরগ লড়াই দেশীয় বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। কালক্রমে তা হারিয়ে যেতে বসেছে। এমন আয়োজনে রক্ষা হচ্ছে ঐতিহ্যও।’
মোরগ লড়াইয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের নেতৃত্ব দেন খলিফা বাদল খন্দকার। তিনি বলেন, ‘একটি আসিল মোরগের দাম ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। জাত বুঝে বাচ্চার দামই হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সৌখিন মানুষ আসিল পালন করে। এই মোরগগুলোও খুব মালিক ভক্ত। মালিকের সম্মানের জন্য লড়াইয়ে তারা প্রাণও দিতে পারে।’
কুমিল্লা আসিল উন্নয়ন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী জানান, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্লাবগুলো শখের বসে নিয়মিত মোরগ লড়াইয়ের আয়োজন করছে।
‘এ ধরনের আয়োজন করে আমরা খুশি’, বলেন তিনি।
প্রতিযোগিতার পুরস্কার তুলে দেন কুমিল্লা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমন ভৌমিক।
তিনি বলেন, ‘আসিল উন্নয়নে কেউ যদি প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সহযোগিতা চায় অবশ্যই করা হবে।’