ফাল্গুনের প্রথম দিনের সূর্য তখনও ডোবেনি। প্রকৃতি যেমন ডালে ডালে, ফুলে ফুলে সেজেছিল, তেমনি সেজেছিল জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণ।
দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাকে নানা বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুর পদচারণায় রোববার শেষ বিকেলে মুখর হয়ে উঠেছিল শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত বসন্ত উৎসব।
একই দিনে ভালোবাসা দিবস হওয়ায় দেখা গেছে প্রেমিক যুগলের ভিড়। অনেকেরই হাতে ছিল লাল গোলাপ।
প্রধান অতিথি হিসেবে বসন্ত উৎসব উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বসন্ত উৎসব এ দেশে ঘটা করে পালন শুরু হয়েছে বেশি দিন হয়নি। ঘরে ঘরে পহেলা বৈশাখ যেভাবে উদযাপন হয়, বসন্ত উৎসবও সেভাবে এদেশে উদযাপন হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই উৎসব হবে আমাদের প্রাণের উৎসব।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে একটি বছর আমরা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। এখন আমরা সীমিত আকারে শুরু করেছি। তবে আমাদের অসচেতন হওয়া চলবে না।’
জাতীয় সংগীতের পর সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই শিশু শিল্পী রিয়াদ ও মৌসুমি পরিবেশন করেন ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’ গানটি।
এরপর যুগল শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছাড়াও ছিল সমবেত সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা। ছিল স্পন্দন ব্যান্ডদল এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক আয়োজন।
রাধা-রমনের গান এবং নৃত্যের পাশাপাশি ছিল রবীন্দ্র সংগীত, ঐতিহ্যবাহী আবহামান বাংলার গান ও আধুনিক বাংলা গান।
বসন্ত উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব নওশাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি।