বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজধানীতে বসন্ত এল নীরবে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৫:০৪

করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সামাজিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ২৬ বছরের প্রথা ভেঙে এবার বসন্তবরণের উৎসব হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে।

ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন রাজধানীতে এসেছে অনেকটাই নিষ্প্রাণভাবে। গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি ও ফুল মনে করিয়ে দিচ্ছে এসেছে বসন্ত, তবে তাকে বরণের আয়োজন প্রায় একদমই নেই।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বসন্তবরণের অন্যতম কেন্দ্রস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল না কোনো আয়োজন। প্রতি বছর চারুকলার বকুলতলায় বসন্তবরণের আয়োজন করা হলেও এবার রঙিন প্রাণের স্পন্দন নেই মঞ্চে।

করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ২৬ বছরের প্রথা ভেঙে এবার বসন্তবরণের উৎসব নিয়ে যাওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে।

তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসন্তের উচ্ছ্বাস না থাকলেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিল কিছু আয়োজন।

‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’ স্লোগানে এখানে বসন্ত উৎসব-১৪২৭ আয়োজন করে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ।

সুর সপ্তক, বুলবুল ললিতকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সকাল ৭টায় শুরু হয় বসন্তের আয়োজন। বাদ্যযন্ত্রে ছিলেন দীপেন সরকার। বসন্তের আবাহন করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ ছাড়া কাজল দেবনাথের উপস্থাপনায় আলোচক ছিলেন স্থপতি সফিউদ্দীন আহমেদ ও মানজার চৌধুরী সুইট।

গত বছর ক্যালেন্ডার সংশোধনের পর পয়লা বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস মিলেছে একই দিনে। দুই উৎসব কেন্দ্র করে উদ্যানের ভেতর ছিল তারুণ্যের উচ্ছ্বাস।

রঙিন পোশাক ছিল সবার। শার্ট কিংবা টি-শার্টের চেয়ে পাঞ্জাবিতেই তরুণেরা সাজিয়েছেন নিজেদের। তরুণীরা এসেছিলেন হলুদসহ নানা রঙের শাড়ি পরে। কপালে টিপ, মাথায় খোঁপায় অনেকে গুঁজেছিলেন লাল গোলাপ।

উদ্যানে ভিন্নধর্মী আয়োজন ছিল অর্পাস ওয়ার্ল্ডের। তাদের কর্মীরা পথশিশুদের হাতে আঁকিয়ে দেন মেহেদী।

অন্যদিকে, সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিল না কোলাহল।

ক্যাম্পাসের মল চত্বরে ফুল নিয়ে আসা মালিহা খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস খোলা থাকলে এতক্ষণে পোলা-মাইয়ারা ঘিরা ধরতো। অহন ক্যাম্পাস বন্ধ, আমাগো বেচা-বিক্রিও বন্ধ।’

একই কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে টক-ঝাল-মিষ্টির বাহারি ধরনের আচার নিয়ে বসা বিল্লাল হোসেনের মুখেও।

তিনি বলেন, ‘বেচা-বিক্রি নেই। সকাল থেকে বসেছি, এখনও বিসমিল্লাহ করতে পারিনি। ক্যাম্পাস খোলা থাকলে এতক্ষণে দুই শ করে ফেলতে পারতাম।’

বঙ্গবাজার থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ক্যাম্পাস এলাকায় এসেছেন জুবায়ের। কাজ করেন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে।

কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভালো না। কিছুই নেই। সব ফাঁকা। তাই এখন চলে যাচ্ছি।’

তবে ফুল ফুটুক আর না ফুটুক বসন্তবরণের এই দিন উপভোগে ছাড় দিতে রাজি নন শহীদুল ইসলাম নামের এক জন।

তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস বিদেশ থেকে ধার করা একটি সংস্কৃতি। তাই ভালোবাসা দিবস নিয়ে আমার আগ্রহ নেই। তবে বসন্ত উৎসব নিয়ে আমার আগ্রহ আছে ব্যাপক। কারণ আমার কাছে বসন্ত মানে ফুল, পাখি ও প্রকৃতি নিয়ে ব্যাপক একটি উন্মাদনা।’

এ বিভাগের আরো খবর