বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিবেশ সুরক্ষায় তিন প্রবণতা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৬:০৯

মানুষের আচরণের সঙ্গে পরিবেশের ভালো-মন্দের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। অতিভোজন ও অধিক পণ্যের ব্যবহারে পৃথিবীর পরিবেশের অবনতি হতে পারে। অন্যদিকে পণ্য ও সেবার পরিমিত ব্যবহারে এ গ্রহ আরও বাসযোগ্য হতে পারে। 

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের অভ্যাস ও আচরণে কিছু পরিবর্তন পরিবেশের সামগ্রিক উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য এমন তিনটি অভ্যাস তুলে ধরা হলো।     

ব্যয় সচেতনতা

করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) ব্যাপক সংক্রমণের বছর ২০২০ সালে বিশ্বজুড়েই স্থবির হয়ে গেছে অর্থনৈতিক কার্যক্রম। চাকরির পাশাপাশি স্বাভাবিক সময়ের অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। এমন বাস্তবতায় অনেককেই খরচের লাগাম টেনে ধরতে হয়েছে।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেকেই 'মিনিমালিস্ট লাইফ লিভিং' বা ন্যূনতম ব্যয়ে চলার অভ্যাস করছেন। এ অভ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে বেশি দামে পোশাক ও আসবাবপত্র কেনার পরিবর্তে সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য ব্যবহার করা। 

এ ধরনের চিন্তাকে বলা হচ্ছে 'কনশাস কন্সুমিং' বা সচেতন ভোগ। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্যের উৎপাদন কমানোই এই অভ্যাসের লক্ষ্য। এতে করে খরচ কমার পাশাপাশি বাঁচবে পরিবেশও।

নিরামিষ খাওয়ার অভ্যাস

গত কয়েক বছরে বিশ্বজুড়ে ভেগানের (প্রাণিজ খাবার ও পণ্য পরিহারকারী) সংখ্যা বেড়েছে। শুধু উদ্ভিদজাত খাদ্যাভ্যাসের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর একটি হলো মাংস খাওয়া ও প্রাণী নির্ভরতা কমিয়ে আনা।

অনেক গবেষকের মতে, গবাদি পশু লালন-পালন পরিবেশের জন্য দিন দিন ক্ষতিকর হয়ে উঠছে। আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালেই বিশ্বে গবাদি পশু থেকে মাংস সংগ্রহ করা হয় ৩৪১.১৬ মিলিয়ন টন। এ মাংসের ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশের জোগান দেয় এশিয়া। 

মাংসের জন্য বিপুলসংখ্যক প্রাণী হত্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে বিশ্বের ৮ শতাংশ মানুষ  শুধু উদ্ভিদজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করেছে।

দ্য ভেগান সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, গবাদি পশুদের খাদ্য উৎপাদন করতে গিয়ে উদ্ভিদ সম্পদের ক্ষতিসহ বিপুল পরিমাণ জমি ও পানির অপচয় হচ্ছে। ২০২০ সালে ভেগান খাদ্যাভাস জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর বড় কারণ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা।

সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক কমানো 

বিশ্বজুড়েই সিঙ্গেল ইউজ বা একবার ব্যবহার করে ফেলা দেওয়া প্লাস্টিকের ছড়াছড়ি। পরিবেশ সচেতনতার অংশ হিসেবে অনেক দেশই এখন সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। 

পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিকের বদলে কাঁচের পাত্র, বাঁশ ও পাতার তৈরি পাত্র ব্যবহারে ভোক্তাদের উৎসাহিত করছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা। 

প্রতি বছর বিশ্বে ৩০ কোটি টন প্লাস্টিকের অপচয় হচ্ছে। এগুলোর অর্ধেকই একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া।

এ প্লাস্টিক বর্জ্যের বেশিরভাগ যাচ্ছে সমুদ্র ও নদীগুলোতে। এতে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের ক্ষতি হচ্ছে। 

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) তথ্য অনুযায়ী, প্লাস্টিকে জড়িয়ে পরা, খেয়ে ফেলার কারণে বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে সামুদ্রিক ৮০০টি প্রজাতি। 

এ বিভাগের আরো খবর