বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্মার্টফোনে পেগাসাসের আক্রমণ বুঝবেন কী করে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৪ জুলাই, ২০২১ ২০:৫৪

এই ম্যালওয়্যারকে চিহ্নিত করতে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি টুলকিট তৈরি করেছে। একে তারা বলছে, মোবাইল ভেরিফিকেশন টুলকিট (এমভিটি)। এর সোর্স কোড পাওয়া যাচ্ছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট গিটহাব-এ।

কয়েকদিন আগেই জানা গেছে যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার জন্য ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের বানানো ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার পেগাসাস বিভিন্ন দেশের নাগরিকের ওপর নজরদারিতে গোপনে ব্যবহার করা হচ্ছে।তথ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বজুড়ে অন্তত ৫০ হাজার ডিভাইসকে আক্রমণ করা হয়েছে। পেগাসাসকে বলা হচ্ছে খুবই বিপজ্জনক একটি স্পাইওয়্যার, যা দিয়ে ফোনের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সম্ভব, গোপনে বার্তা পড়া, ফোনালাপ শোনা এবং ছবি ও ভিডিও দেখা সম্ভব।প্রচলিত অ্যান্টিভাইরাসগুলো পেগাসাসকে চিহ্নিত করতে পারে না। এর কারণ, এটি অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যান্টিভাইরাস ডেভেলপারদের অজানা জিরো-ডে দুর্বলতায় (যে দুর্বলতাগুলো এখনও বের করা সম্ভব হয়নি) আঘাত করে।তবে এই ম্যালওয়্যারকে চিহ্নিত করতে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি টুলকিট তৈরি করেছে। একে তারা বলছে মোবাইল ভেরিফিকেশন টুলকিট (এমভিটি)। এর সোর্স কোড পাওয়া যাচ্ছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট গিটহাব-এ।এমভিটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে চলবে। তবে এই টুলকিটগুলো ইন্সটল করার সঙ্গে সঙ্গেই সমাধান পাওয়া যাবে ব্যাপারটা তা নয়। টুলকিটগুলোকে একটি নির্দিষ্ট ডিভাইসের জন্য এক জায়গায় করতে হবে। এই কাজটি লিনাক্স ও ম্যাকওএস আছে এমন একটা কম্পিউটারে করতে হবে।এমভিটি স্মার্টফোনের ডেটার ব্যাকআপ কম্পিউটারে সেভ করবে, ডেটাগুলো পেগাসাস আক্রান্ত কিনা সেটা যাচাইয়ের জন্য স্ক্যান করবে। সেই সঙ্গে ব্যবহারকারীকে জানাবে যে, তার ডিভাইসটি আক্রান্ত কিনা বা তথ্য তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে তথ্য পাঠানো হয়েছে কিনা।ডিভাইসের ডেটা ট্র্যান্সফার লগকে স্ক্যান করবে এই টুলকিট। এখানেই ফোন আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে (কল করার হিস্ট্রি, এসএমএস, আইএম মেসেজ ও অন্যান্য তথ্য যা রিমোট সার্ভারে পাঠানো হয়)।আইওএসে এই লগটি অ্যান্ড্রয়েডের চেয়ে বেশি সময় থাকে, যে কারণে আইফোনে পেগাসাস স্পাইওয়্যার খুঁজে পাওয়া সহজ। এমভিটি ব্যবহারের জটিলতা থাকায় এটিকে প্রযুক্তিতে দক্ষ ব্যবহারকারী ও পেগাসাস আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা ব্যক্তিদেরই শুধু ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদেরা।

তথ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই স্পাইওয়্যারটি নির্দিষ্ট কোনো টার্গেটকে নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি হুট করেই কোনো ডিভাইসকে আক্রমণ করে না, শুধু নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত স্মার্টফোনকে আক্রমণ করে, যাদের কর্মকাণ্ড পেগাসাসের ক্লায়েন্টের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। পেগাসাসের স্পাইওয়্যারের প্রতিটি লাইসেন্সের দাম কয়েক হাজার থেকে কয়েক লাখ ডলার। যে কারণে শুধু তাকেই নজরদারিতে রাখা হয় যার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে (উদাহরণ হিসেবে বলা যায় রাজনৈতিক, ব্যবসায়ীক নেতা বা বড় কোনো পত্রিকার সাংবাদিক)।পেগাসাস সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে মুখরোচক খবর হয়ে উঠলেও, শত শত অন্য নজরদারির অ্যাপ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে গোপনে বিভিন্ন লক্ষ্যের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। অনেক সফটয়্যারই প্যারেন্টাল কন্ট্রোল বা অন্যান্য বৈধ অ্যাপের ছদ্মবেশে অস্পষ্ট ভাবে নিজের কাজ চালিয়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর