বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাজার হাজার ফোনে আড়ি পেতে চলছে নজরদারি

  •    
  • ১৯ জুলাই, ২০২১ ০৯:২৫

এনএসও গ্রুপের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ওপর নজর রাখতে স্পাইওয়্যারটি ব্যবহার করা হয়। যেসব দেশ মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানায়, শুধু সেসব দেশের সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছেই এই স্পাইওয়্যার বিক্রি করা হয়।

ইসরায়েলের এক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা স্পাইওয়্যার অধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ফোনে ঢুকিয়ে তাদের নজরদারিতে রাখছে বিভিন্ন দেশের কর্তৃত্ববাদী সরকার।

বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাতে সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসিএএফপি

নির্দিষ্ট ব্যক্তির স্মার্টফোন দূর থেকে নজরে রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে ইসরায়েলের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপ টেকনোলজিসের পেগাসাস নামের স্পাইওয়্যার।

বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে, এনএসওর তালিকায় প্রায় ৫০ হাজারের মতো ফোন নম্বর রয়েছে। ওই সব নম্বর প্রতিষ্ঠানটির ক্লায়েন্টরা সরবরাহ করে।

ওই তালিকায় থাকা নম্বর কারা দিয়েছে বা কাদের ফোন হ্যাক করা হয়েছে, তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।

এনএসও গ্রুপ কোনো ধরনের অপকর্মের অভিযোগ অবশ্য নাকচ করেছে।

এনএসও গ্রুপের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ওপর নজর রাখতে স্পাইওয়্যারটি ব্যবহার করা হয়।

যেসব দেশ মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানায়, শুধু সেসব দেশের সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছেই এই স্পাইওয়্যার বিক্রি করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্যারিসভিত্তিক এনজিও ‘ফরবিডেন স্টরিজ’ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ নিয়ে অনুসন্ধান চালায়, যা পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়। সংস্থা দুটির অনুসন্ধান ভুল ধারণা ও অসমর্থিত তত্ত্বে ভরা।

স্থানীয় সময় রোববার পেগাসাস নামের স্পাইওয়্যারকে ঘিরে অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করে ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান, লা মঁদসহ বিশ্বের আরও ১৪টি সংবাদ সংস্থা।

প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, পেগাসাস ব্যবহার করে আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের মেসেজ, ফটো, ই-মেইল, কল রেকর্ড-সংক্রান্ত সব তথ্য জেনে যায় অপারেটর।

এ ছাড়া অপারেটর গোপনে ফোনের মাইক্রোফোনও চালু করতে পারে।

প্রতিবেদগুলোতে আরও বলা হয়, এএফপি, সিএনএন, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, আল জাজিরাসহ আরও বেশ কয়েকটি বার্তা সংস্থার ১৮০ জনের মতো সাংবাদিকের নাম এনএসওর তালিকায় রয়েছে।

নিহত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজির সঙ্গে সম্পর্কিত ঘনিষ্ঠ দুই নারী এবং নিহত মেক্সিকান সাংবাদিক সেসিলিও পিনেদা বারতোর ফোনও পেগাসাসের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়।

এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আরবের রাজপরিবারের সদস্য ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের নামও ওই তালিকাভুক্ত।

পেগাসাসের মাধ্যমে কাদের টার্গেট করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আরও তথ্য সামনে প্রকাশ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৯ সালে এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ।

তাদের অভিযোগ ছিল, পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ১ হাজার ৪০০-এর মতো মোবাইল ফোনে সাইবার হামলার পেছনে ইসরায়েলের ওই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের হাত রয়েছে।

ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল এনএসও। তবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার থেকে ওই প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর