বিটকয়েন বিলিওনেয়ার হিসেবে পরিচিত মিরচা পপেস্কু ৪১ বছর বয়সে গত সপ্তাহে মারা গেছেন। মৃত্যুর পর তার বিপুল পরিমাণ বিটকয়েনের কী হবে সেই প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। তার কাছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের বিটকয়েন ছিল। এগুলো চিরতরে খোয়া গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোস্টা রিকার উপকূলে প্লায়া আরমোসায় সকালে সাঁতরাতে গিয়ে ডুবে মারা যান ৪১ বছরের রোমানিয়ার এই বিটকয়েন বিশেষজ্ঞ। তার ঘনিষ্ঠ তিন নারী পপেস্কুর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ব্যক্তিজীবনে পপেস্কু বেশ বিতর্কিত ছিলেন। তার ‘পুরুষবাদ ও গোঁড়ামির’ বেশ কিছু উদাহরণ প্রকাশিত হয়েছে বলে জানায় আমেরিকার স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট নাসডাক ডটকম। নাসডাকের হিসেবে পপেস্কুর কাছে হাজার হাজার বিটকয়েন আছে, যার বাজারমূল্য সর্বনিম্ন ১ বিলিয়ন ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। তার মৃত্যু পর এই বিপুল ধনরাশির মালিক কে হবেন সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পপেস্কুর ডিজিটাল সম্পত্তির অ্যাকসেস যদি কারও কাছে না থাকে, তাহলে হারিয়ে যেতে পারে বিলিয়ন ডলারের এই সম্পদ।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্লেষক আলেক্সান্ডার মারডার এক টুইট বার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পপেস্কু ও গত সপ্তাহে স্প্যানিশ কারাগারে আত্মহত্যা করা সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ জন ম্যাক্যাফের বিটকয়েনগুলো চিরদিনের জন্য হারিয়ে যেতে পারে।
বিটকয়েনের আরেক বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি পমপ্লিয়ানো এক টুইটে বলেন, পপেস্কুর বিটকয়েন হারিয়ে গেলে সেটি অন্য মালিকদের জন্য লাভজনক হতে পারে। তবে তিনি তার টুইটটি ডিলিট করে ফেলেন।
২৭ জুন আরেকটি টুইটে বিটকয়েনের উদ্ভাবকদের একজন সাতোশির উদ্বৃতি দিয়ে পমপ্লিয়ানো লেখেন, “আমরা কখনই জানতে পারব না তার বিটকয়েনের কতখানি হারিয়েছে বা একেবারেই হারিয়েছে কিনা। সাতোশির একটা কথা মনে পড়ছে। তিনি বলেছিলেন, ‘হারিয়ে যাওয়া কয়েন অন্যদের কয়েনের মূল্য কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। এটাকে সবার প্রতি অনুদান হিসেবে ধরতে পারেন’।”
বিটকয়েন নিয়ে পপেস্কুর সবচেয়ে বড় উদ্যোগ ছিল এমপেক্স। এই বিটকয়েনের সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জটি ২০১২ সালে পপেস্কু নিজেই শুরু করেন। তখনও বিটকয়েন এতটা জনপ্রিয় হয়নি।