ভারতের আক্রমণাত্মক সাইবার ক্ষমতা মূলত ‘পাকিস্তানকেন্দ্রিক’ ও ‘আঞ্চলিকভাবে কার্যকর’। আক্রমণাত্মক সাইবার ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে চীনের দিকে নজর দেয়নি ভারত।
আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী ব্রিটিশ থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) নতুন পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
বিশ্বের ১৫টি দেশের সাইবার ক্ষমতার গুণগত মূল্যায়ন করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
পর্যালোচনায় একটি দেশের সাইবার ক্ষমতা ৭টি বিভাগে মূল্যায়ন করা হয়।
সেগুলো হচ্ছে কৌশল ও মতবাদ; প্রশাসন, আদেশ ও নিয়ন্ত্রণ; মূল সাইবার-বুদ্ধি ক্ষমতা; সাইবার ক্ষমতায়ন ও নির্ভরতা; সাইবার সুরক্ষা ও স্থিতিস্থাপকতা; সাইবারস্পেস-সম্পর্কিত বিষয়ে বিশ্ব নেতৃত্ব এবং আক্রমণাত্মক সাইবার ক্ষমতা।
যুক্তরাষ্ট্র প্রথম স্তরের একমাত্র দেশ যে ‘সব’ বিভাগগুলোতে ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করছে।
প্রতিবেদনে ভারতকে রাখা হয়েছে তৃতীয় স্তরে।
নির্দিষ্ট বিভাগের কয়েকটিতে শক্তি বা সম্ভাব্য শক্তি রয়েছে, তবে অন্য বিভাগে ‘উল্লেখযোগ্য দুর্বলতা’ রয়েছে এমন দেশগুলোকেই রাখা হয় তৃতীয় স্তরে।
ভারত ছাড়াও এ বিভাগে রয়েছে জাপান, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও উত্তর কোরিয়া।
দ্বিতীয় স্তরে আছে কিছু বিভাগে শীর্ষ স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, ইসরায়েল, রাশিয়া ও ইংল্যান্ড।
সোমবার লন্ডন থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত বছরের জুনে লাদাখ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চীনের সঙ্গে সামরিক সংঘাত, পরে ভারতীয় সাইবার নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে চীনা ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি ও সাইবার সুরক্ষা সম্পর্কে ভারতীয় উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বিশেষ করে চীনের সরবরাহকৃত সিস্টেম সম্পর্কে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের ভূ-কৌশলগত অস্থিতিশীলতা এবং সাইবার হুমকির প্রতি তীব্র সচেতনতা থাকা সত্ত্বেও সাইবারস্পেস সুরক্ষায় নীতি ও মতবাদের বিকাশে ‘সামান্য অগ্রগতি’ হয়েছে ভারতের।