আওয়ামী লীগ যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিল, তখন অনেকেই বাঁকা কথা বলতেন জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, এখন এই বাংলাদেশের সুফলই পাচ্ছে সবাই।
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ সত্যিকারের ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। সরকার এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করতে সক্ষম। এ অগ্রযাত্রায় প্রমাণিত হয়েছে আমাদের জনগোষ্ঠী অত্যন্ত মেধাবী, তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে কাজ করতে সক্ষম।’
২০০৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তার ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন জনদুর্ভোগ হলেই ‘ডিজিটাল’ বলে বিদ্রুপ করত বিরোধী পক্ষ।
সেই কথার প্রতি ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে অনেকেই ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেছিল। কিন্তু আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তব। যা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্যই।’
রোববার দ্য ইনস্টিটিউট অফ চাটার্ড অ্যাকাউন্টসের (আইসিএবি) ডেভেলমেন্ট অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টটেশন অফ অডিট প্র্যাকটিস সফটওয়্যারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘করোনার এই সময়ে আমাদের জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ক্লাস করছে। যা একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন।’
দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বানও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে নিজের অস্তিত্বই টিকিয়ে রাখা যাবে না।’
প্রতিটি সূচকে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের ছাড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘হেনরি কিসিঞ্জার যে দেশটাকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিল, সে দেশটা আজ বিশ্বে রোল মডেল।’
অনুষ্ঠানে আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার ডিজিটালাইজেশন অডিট প্র্যাকটিস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইতোমধ্যে ৬০-৭০টি সিএ ফার্মকে এ সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ সফটওয়্যার ব্যবহারে নিখুঁতভাবে অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। এ সফটওয়্যার ব্যবহারে অনেক কম সময়ে কাজ করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু, কাউন্সিল মেম্বার মোহাম্মদ ফারুকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।