বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২১ আয়োজনের নির্বাচিত ৬৫টি স্টার্টআপ নিয়ে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বুটক্যাম্প। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে এবার বুটক্যাম্প হবে অনলাইনে।
পাঁচ দিনের বুটক্যাম্প শুরু করছে আইসিটি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্প।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি থেকে বুটক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পারস্পরিক সহযোগিতা ও কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য স্টার্টআপদের কাজ করার আহ্বান জানান পলক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেধাবী তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকরাই আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুটক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপরাই যথাযথ নার্সিং ও ইনকিউবেশন গ্রহণের মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পূরণ করে নিজেদের আত্মনির্ভরশীল করার পাশাপাশি বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল দেশে পরিণত করবে।
তিনি বলেন, ‘তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের সহযোগিতার মাধ্যমে স্টার্টআপ কালচার ও এন্টারপ্রেনিউর সাপ্লাই চেইন গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগ ৩৯টি হাইটেক পার্ক, ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, ঢাকার কারওয়ান বাজারে ইনোভেশন সেন্টার স্থাপনসহ সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।’
যা প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি জানান।
পলক অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপদের উদ্দেশে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘থিংক বিগ, স্টার্ট স্মল, মুভ ফাস্ট।’
বুটক্যাম্পে প্রত্যেক উদ্যোক্তাকে নিরবে নজরে রাখা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী সবাইকে ইনোভেশনে সতর্কতা ও মনযোগের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এই ৬৫টি সাটার্টআপ আমাদের আগামী দিনের বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
পলক আরও বলেন, ‘পাঠাও-ট্রাক লাঘবের মতো আগামী দিনের স্টার্টআপগুলো যেন দেশের সমস্যাগুলোর সমাধান করে, প্রয়োজন মিটিয়ে লক্ষ-লক্ষ, কোটি-কোটি তরুণ-তরুণীর আরও নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে সেটি আমাদের লক্ষ্য।’
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন- স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা এফ জাবিন, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক আব্দুর রাকিবসহ অন্যরা।