বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের এক দাম

  •    
  • ৬ জুন, ২০২১ ২২:৪৫

বর্তমানে ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার কোন মূল্য নির্দিষ্ট না থাকায় শহর ও গ্রামের সেবার মান ও মূল্যে বিস্তর তফাৎ রয়েছে। গ্রাহক কম থাকায় অনেক আইএসপি ইউনিয়ন পর্যায়ে যেতে আগ্রহী হয় না। গেলেও অধিক অর্থ আদায় করে। নতুন ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফের মাধ্যমে সকল ইউনিয়নের জন্য ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করায় প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা পাবে বলে মনে বিটিআরসি।

আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় সারা দেশে এক দামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি।

‘এক দেশ, এক রেট’-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পাঁচ এমবিপিএস শেয়ার্ড ব্যান্ডউইথ প্যাকেজের মূল্য ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস প্যাকেজের মূল্য সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ প্যাকেজের মূল্য সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিটিআরসির প্রধান সম্মেলনে কক্ষে রোববার বিকেলে কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে ‘এক দেশ, এক রেট’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

এর মধ্য দিয়ে বিটিআরসি প্রথমবারের মতো প্রান্তিক পর্যায়ে সারা দেশের জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ট্যারিফ নির্ধারণ করে। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকরা এই নির্ধারিত মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দাতাদের-আইএসপি কাছ থেকে ইন্টার সেবা নেবে।

এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় ইন্টারনেটের গুরুত্ব সবাই উপলব্ধি করতে পেরেছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেটের সেবার পাশাপাশি ঘরে ঘরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের চরাঞ্চলে ও হাওড় এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেয়া হচ্ছে।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন বলেন, ‘আগে ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণ করে না দেয়ায় এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন প্যাকেজ বিদ্যমান ছিল। নতুন এক দেশ এক রেট নির্ধারণের ফলে প্রান্তিক গ্রাহকরা নির্দিষ্ট মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পাবেন এবং এর ফলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হারও বাড়বে।’

তবে ইন্টারনেট সেবাদানকারীরা যেন প্যাকেজে নির্দিষ্ট গতি পান সে বিষয় নজরদারির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘বিটিআরসি টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখে সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাবে।’

কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ‘এক দেশে এক রেট ট্যারিফ নির্ধারণের ফলে ইন্টারনেট সেবা প্রদান ও গ্রহণের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।’

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দাম নির্ধারণ করে দেয়া স্বাগত জানিয়েছেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘এর ফলে আইএসপিদের সঙ্গে ব্যবহারকারীদের দূরত্ব কমবে।’

ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের ট্যাারিফ নির্ধারণের জন্য বিটিআরিসির প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

এ ছাড়াও বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন এবং এনটিটিএন ও আইআইজি অপারেটরদের প্রতিনিধিরা বিটিআরসির পদক্ষেপকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বর্তমানে ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার কোন মূল্য নির্দিষ্ট না থাকায় শহর ও গ্রামের সেবার মান ও মূল্যে বিস্তর তফাৎ রয়েছে। গ্রাহক কম থাকায় অনেক আইএসপি ইউনিয়ন পর্যায়ে যেতে আগ্রহী হয় না। গেলেও অধিক অর্থ আদায় করে। নতুন ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফের মাধ্যমে সকল ইউনিয়নের জন্য ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করায় প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা পাবে বলে মনে বিটিআরসি।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ট্যারিফ নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট সকল অপারেটরদের ব্যয় ও বাজার বিশ্লেষণ, ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের ব্যান্ডউইথ মূল্য, ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের ট্রান্সমিশন মূল্য, পয়েন্ট অব প্রেজেন্স (পপ), ইক্যুইপমেন্ট, ক্যাপাসিটি ব্যাক-আপ ব্যবস্থা- সবকিছু মূল্যায়ন ও বিবেচনা করে প্রান্তিক পর্যায়ে সাশ্রয়ী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার জন্য একটি যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য ইন্টারনেট ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।

এ বিভাগের আরো খবর