সফটওয়্যারে সক্ষমতা অর্জন, হার্ডওয়্যারে সক্ষমতার জন্য বাজেটে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’-এ বিশেষ সুবিধা দেশকে আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আরও এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
‘বাজেট-পরবর্তী পরিস্থিতিতে তারুণ্যের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইসিটি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে শুক্রবার রাতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
পাশাপাশি ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্লাউড সেবা, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ই-লার্নিং, ই-বুক প্রকাশ, স্মার্টফোনের অ্যাপ তৈরিসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবায় তরুণ উদ্যোক্তাদের যে কর ছাড় দেয়া হয়েছে তার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন পলক।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটি ওয়েবিনারটির আয়োজন করে।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জীবন ও জীবিকার বাজেট উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে আইসিটি বিভাগ ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে।’
‘বাজেট-পরবর্তী পরিস্থিতিতে তারুণ্যের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইসিটি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারেঅংশ নেয়া অতিথিরা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগের অধীন স্টার্টআপ কোম্পানি লিমিটেড গঠন করা হয়েছে। এটি সরকারি ভেঞ্চার কোম্পানি। এরই মধ্যে কোম্পানিটির মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য শত বর্ষে শত আশা প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
‘দেশে উদ্ভাবনী অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের বুকে একটি উদ্ভাবনমূলক উন্নত অর্থনীতির বাংলাদেশ গঠনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।’
ওয়েবিনারে প্রতিমন্ত্রী আইটি খাতের গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
পলক জানান, ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিগগির পূর্বাচলে একটি ভিশন ২০২১ টাওয়ার স্থাপন করা হবে। সেখানে রিসার্চ, ইনোভেশন, বিজনেস অ্যান্ড ডিজিটাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষক, রাজনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ডিজিটাল দুনিয়ায় নেতৃত্ব দেয়ার দক্ষতা অর্জনের প্রয়াস চালানো হবে।
‘তথ্যপ্রযুক্তি অর্থনীতির অক্সিজেন’ উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী আইসিটি বিভাগ কখনও অ্যাডভাইজরি, কখনও সাজেস্টিভ অথবা কোথাও ইমপ্লিমেন্টের রোল প্লে করবে।
‘অর্থাৎ আইসিটি অর্থনীতির অক্সিজেনে রূপান্তরিত হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বাণিজ্য, বিনোদন এমনকি বিচারিক ব্যবস্থায়ও আমরা আইসিটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছি।’
তিনি বলেন, ‘আর্থিক লেনদেন সহজ করতে ইতোমধ্যেই ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ শেষ হয়েছে; এ বছরই উদ্বোধন করা হবে। এর মাধ্যমে ক্রেডিট স্কোরিং, রেটিংসহ পুরো ফিন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেমে ট্রান্সপারেন্সি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির সভাপতি অধ্যাপক হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর, বুয়েটের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জব্বার খান, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মুনাজ আহমেদ নূর, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক মাহফুজুল ইসলাম।