ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে ‘ভুয়া তথ্য’ ছড়ানো ও অপপ্রচার রোধে ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্বেষ ও সহিংসতা উস্কে দেয়া ঠেকানোর লক্ষ্যে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে ফেসবুকের একটি বিশেষ দল।
এ জন্য গত সপ্তাহে ‘স্পেশাল অপারেশন্স সেন্টার’ গঠন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে বুধবার জানানো হয়, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের মধ্যে অনলাইন এ প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত কনটেন্টে নজর রাখতে নেয়া হয়েছে এ পদক্ষেপ।
গত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে ভুয়া তথ্য, বিদ্বেষ ও সহিংসতা উস্কে দেয়ার প্রবণতা বেড়েছে বলে দাবি ফেসবুকের।
প্রতিষ্ঠানটির কনটেন্ট পলিসিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিকা বাইকার্ট বলেছেন, ‘ফেসবুকের নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক যে কোনো কনটেন্ট দ্রুততম সময়ে সরিয়ে ফেলতে নজরদারি চালানো হবে।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন সামনে রেখে আগেও এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নিউইয়র্ক টাইমসের বুধবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুক মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে কট্টর ইহুদিরা।
অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে কড়াকড়ি।
গত সপ্তাহে বাজফিড নিউজ জানায়, ফেসবুক মালিকানাধীন ছবি ও স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম ভুলবশত জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ বিষয়ক একটি কনটেন্ট সরিয়ে দিয়েছে।
পূর্ব জেরুজালেম থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেয়া শংকা জানিয়ে দেয়া একটি পোস্ট ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার থেকে সরিয়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছিল রয়টার্স।
ফেসবুক এ পর্যন্ত গাজার শাসকদল হামাসকে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ করেছে। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সন্ত্রাসী খেতাব দিয়ে করা পোস্টও মুছে দেয়া হয়েছে।
ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক প্রধান নিক ক্লেগসহ অন্যান্য নির্বাহী কর্মকর্তারা মঙ্গলবার ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজের সঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে একটি বৈঠকও করেছেন তারা।