যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলের সাবেক বিজ্ঞানী স্যামি বেনজিওকে নিয়োগ দিয়েছে আরেক টেক জায়ান্ট অ্যাপল।
স্থানীয় সময় সোমবার অ্যাপলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক (এআই) গবেষণা বিভাগের দুই সহকর্মীকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছিলেন বেনজিও।
অ্যাপল সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির মেশিন লার্নিং ও এআই কৌশলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট জন জ্ঞানেন্দ্রর অধীনে প্রতিষ্ঠানটির নতুন এআই গবেষণা ইউনিটকে নেতৃত্ব দেয়ার কথা বেনজিওর।
টানা প্রায় আট বছর গুগলে ছিলেন জ্ঞানেন্দ্র। ২০১৮ সালে অ্যাপলে যোগ দেন তিনি।
অ্যাপলে বেনজিওর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটিতে সদ্য যোগ দিতে যাওয়া বেনজিও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।
১৪ বছর গুগলে কাজ করার পর গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটি থেকে সরে দাঁড়ান বেনজিও। গত মাসে রোমাঞ্চকর কাজের সন্ধান করছেন বলে জানিয়েছিলেন আলোচিত এ বিজ্ঞানী।
গত কয়েক মাসে নিজেদের দুই কর্মীকে বরখাস্ত করে গুগল। তাদের একজন মারগারেট মিশেল। তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ নথি বাইরে স্থানান্তরের অভিযোগ এনেছিল সার্চ জায়ান্টটি।
অন্যজন হলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষক টিমনিত গেবরু। কৃষ্ণাঙ্গ এ নারীর দাবি, অ্যাকাডেমিক গবেষণাপত্রের সহ-লেখক হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। ওই গবেষণাপত্রের জন্য তাকে বরখাস্ত করা হয়।
গবেষণাপত্রটিতে জেন্ডার ও সংখ্যালঘুদের প্রতি পক্ষপাতের বিষয় ছিল। এতে নারী ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কাঠামোগত পক্ষপাতসহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভাষার মডেল নিয়ে কথা বলেছিলেন টিমনিত। গুগলের নির্দেশে ওই গবেষণাপত্র প্রত্যাহার না করায় তাকে বহিষ্কার করে প্রতিষ্ঠানটি।
দুই সহকর্মীকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বেনজিও। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে নৈতিকতার বিষয়ে গবেষণা দলের দায়িত্বে ছিলেন মিশেল ও টিমনিত। গুগলের কর্মপরিবেশের বৈচিত্র্য নিয়েও উদ্বেগ জানান তারা। দুজনের প্রতিই সমর্থন ছিল বেনজিওর।
গুগলের ব্রেইন রিসার্চ দলের শুরুর দিকে নেতৃত্ব দেয়া বেনজিও ‘ডিপ লার্নিং’ অ্যালগরিদম ডেভেলপমেন্ট করেন।