বিপন্নপ্রায় মাউই প্রজাতির ডলফিন রক্ষায় ড্রোন দিয়ে সাগরে নজরদারি করবে নিউজিল্যান্ড।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে বর্তমানে মাত্র ৬৩টি মাউই ডলফিনের বিচরণ রয়েছে।
এ অবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সাগরে মাউই ডলফিন শনাক্ত করতে সক্ষম বিশেষ ধরনের ড্রোন আবিষ্কারে কাজ শুরু করেছে কিউই প্রশাসন। শুরু হয়েছে অর্থায়নও। এতে যোগ দিয়েছে ফিশিং প্রতিষ্ঠান স্যানফোর্ড, মোয়ানা, কিউই সরকার, ডব্লিউডব্লিউএফ নিউজিল্যান্ড, মৎস্যবিজ্ঞানী ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
মাউই ডলফিনের আচরণ, তাদের চারণক্ষেত্র, মোট সংখ্যা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে প্রথমে। এরপর তথ্য বিশ্লেষণ করে মাউই ডলফিনের সংখ্যা বৃদ্ধিতে করণীয় কী, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্টরা।
বিশেষ ধরনের এ ড্রোন তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়েছেও।
অলাভজনক সংস্থা মাউইসিক্সথ্রি ড্রোনটি তৈরির কাজ শুরু করে ২০১৯ সালে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, অন্যান্য প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্য থেকে মাউই ডলফিনকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব। তা-ও ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভুল ফল দেয় ড্রোনটি।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৯৩ ফুট উঁচুতে উড়তে পারে এই ড্রোন। এর রয়েছে ৫০এক্স অপটিক্যাল জুমপ্রযুক্তি। টানা ছয় ঘণ্টা ছবি তুলতে পারবে ড্রোনটি।
২০১৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডের গবেষক রোচেল কন্সট্যানটাইনের তাগিদে ২০১৮ সালে এ পরিকল্পনা হাতে নেয় কিউই প্রশাসন।
সে সময় বার্ষিক জরিপে ব্যবহৃত একটি উড়োযান অস্ট্রেলিয়াকে বিক্রি করে দেয়ায় আর ডলফিন নিয়ে গবেষণা বা ডলফিন চিহ্নিত করতে পারছিলেন না তিনি।
তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের মাত্র ৭ শতাংশ স্থলভূমি। বাকি পুরোটাই সাগর। আর আমাদেরই মহাসাগর নিয়ে গবেষণার মতো পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই। অথচ এগুলো খুব বেশি ব্যয়বহুলও নয়।’
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ টেইন ভ্যান ডের বুন এবং চিকিৎসক ও ড্রোন গবেষক উইলি ওয়াংয়ের সঙ্গে কন্সট্যানটাইনের যৌথ উদ্যোগের ফসল মাউইসিক্সথ্রি।