নতুন ধরনের সুপারশপের সঙ্গে পরিচয় করাতে যাচ্ছে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যামাজন। সে সুপারশপে থাকবে না কোনো কাউন্টার; বসবেন না কোনো হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। ক্রেতারা আসবেন, দেখবেন, পছন্দের পণ্য নেবেন ব্যাগে।
ক্রেতাকে পণ্য কেনার পর লাইনে দাঁড়িয়ে আর দাম পরিশোধ করতে হবে না। এর বদলে তারা সুপারশপে প্রবেশ ও বাইরের গেটের কাছে থাকা অ্যাপ স্ক্যান করে নিলেই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পণ্যের দাম কেটে নেবে অ্যামাজন।
অ্যামাজন তাদের স্বয়ংক্রিয় চেকআউটের প্রযুক্তিটিকে বলছে ‘জাস্ট ওয়াক আউট’।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ব্রুকফিল্ডে নির্মাণাধীন সুবারবার্ন শপিং মলে প্রথম এই সুপারশপ করার জন্য কিছু নথি জমা দিয়েছে অ্যামাজন।
অবশ্য বিষয়টি নিয়ে অ্যামাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো ধরনের মন্তব্য করতে চায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তিটি ক্রেতার পুরো বিষয়টিই নিয়ন্ত্রণ করবে ক্যামেরা, অ্যালগরিদম ও সেলফ সেন্সরের মাধ্যমে। ক্রেতা তার প্রয়োজনীয় পণ্য নিলে সেটা ক্যামেরা ও অ্যালগরিদমে ধরা পড়বে। যখন বাইরের গেট দিয়ে ক্রেতা বের হবেন তখন নির্দিষ্ট অর্থ কেটে নেয়া হবে কার্ড থেকে।
এমন সুপারশপ আনার মধ্য দিয়ে অ্যামাজন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এতে সক্ষম হলে সুপারমার্কেট পরিচালনার ব্যয় অনেক কমিয়ে আনা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এটাকে অ্যামাজনের জন্য একটা ব্রেকথ্রু হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রযুক্তিটির পরীক্ষায় সফল হলে ক্যামেরাভিত্তিক একই ধরনের স্টার্টআপের কদর বাড়বে। সেই সঙ্গে হিসাবরক্ষকহীন এমন কাজে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অ্যামাজন অন্তত এক থেকে দুই বছর এগিয়ে থাকবে।
অবশ্য অ্যামাজনের চেকআউট প্রযুক্তিটি নিয়ে দেশটির শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে ব্যাপক সমালোচনা আসতে শুরু করেছে।
ইউনিয়নগুলোর ভাষ্য, এটা মানুষের চাকরি হারানোর শঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
এর আগেই অ্যামাজনের আধা স্বয়ংক্রিয় গ্রোসারি শপ ধারণার বিরোধিতা করেছিল দেশটির শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। তখন অ্যামাজনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা এর মাধ্যমে হাজার হাজার চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে।