দেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করার কথা জানিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকাশপিং ডটকম।
সেই লক্ষে ধামাকাশপিং ডিজঅ্যাবলড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনস-ডিআরআরএ সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছে।
ধামাকাশপিং ডটকমের কার্যালয়ে বুধবার দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ওই চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।
মন্ত্রী ধামাকার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বলেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সহায়তায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর এমন উদ্যোগ খুব প্রশংসনীয়। মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে দেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার এই আয়োজন ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিফলন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ধামাকার উদ্যোগটিতে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এই লকডাউনে যাতে খাবারের কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় সে জন্য ধামাকাশপিং ডিআরআরএকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দেয়। এর মাধ্যমে দেড় হাজার পরিবারকে ১৫ দিনের খাদ্যসহায়তা দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধামাকাশপিং ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এমডি জসিম উদ্দীন চিশতী, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম রানা, ডিআরআরএর নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন, উপদেষ্টা স্বপ্না রেজাসহ আরও অনেকেই।
ধামাকাশপিং ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এমডি জসিম উদ্দীন চিশতী বলেন, ‘ডিআরআরএ দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করছে। এখন থেকে ধামাকা উদ্যোক্তা অ্যাপের মাধ্যমে ডিআরআরএর সহযোগিতায় প্রান্তিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে চাই আমরা।
'আমাদের এই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তারা খুব সহজেই যুক্ত হতে পারবেন।'
জাতীয় পরিচয়পত্র, চেয়ারম্যানের সনদ অথবা ডাক বিভাগের উদ্যোক্তা প্রত্যয়ন নিয়ে যেকেউ অ্যাপটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন। নিজ নিজ এলাকায় অর্ডার হওয়া পণ্য ডেলিভারি দেয়ার মাধ্যমেও এখানে অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
চিশতী বলেন, ‘ই-কমার্স উদ্যোক্তা হিসেবে আমরা কোনো আর্থিক সহযোগিতা চাই না। আমরা চাই সরকারের সমর্থন, অন্তত পাঁচ বছর ভ্যাট ট্যাক্স থেকে মুক্ত রেখে আমাদেরকে বিকশিত হতে দিলে গার্মেন্টস সেক্টরের চেয়েও বেশি উপার্জনশীল খাত হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করতে পারব।'
ডিআরআরএর নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, কমিউনিটিভিত্তিক পুনর্বাসনের জন্য দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পাশে আছে ডিআরআরএ। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার কাজ করা হচ্ছে। আগামী দিনে ধামাকা উদ্যোক্তা অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলতে তারা কাজ করবেন।
ধামাকার সিওও সিরাজুল ইসলাম রানা জানান, তারা ডিআরআরএ এর মধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে থাকবেন। ডিআরআরএ এর সহযোগিতায় করোনার এই দুর্যোগে প্রায় ১৫০০ অসহায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বাসায় তারা ১৫ দিনের খাবার পৌঁছে দেবেন।