দেশে বর্তমানে ১৪টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোনসেট উৎপাদন করছে। এ কারণে দেশের বাইরে থেকে সেট আমদানির প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী মঙ্গলবার মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএর ‘রাউন্ডটেবিল অন বাংলাদেশ এচিভিং মোবাইল-এনেভলড ডিজিটাল ইনক্লিউশন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রযুক্তিবান্ধব নীতির ফলে দেশে স্যামসাং ও অপ্পোসহ ১৪টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল সেট উৎপাদন করছে। এ সব কারখানায় এখন ফোরজি সেটও তৈরি হচ্ছে। ফলে আমাদের সেট আমদানির প্রয়োজনীয়তা নেই।
‘বাংলাদেশ ১৯৮৯ সালে মোবাইল ফোন যুগে প্রবেশ করলেও মনোপলি ব্যবসার কারণে এটি ছিল সাধারণের নাগালের বাইরে। ১৯৯৭ সালে চারটি অপারেটরকে মোবাইল ফোন পরিচালনার লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইল সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেয়া হয়।’
থ্রিজি সেবার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩ সালে থ্রিজি চালু করা অবধি মোবাইল প্রযুক্তি কেবল কথা বলার কাজেই ব্যবহৃত হতো। এরপর ২০১৮ সালে ফোরজি চালু হবার পর আমরা প্রকৃত মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করলাম। করোনা থাকার পরও মাত্র তিন বছরে আমাদের মোবাইল অপারেটররা দেশব্যাপী ফোরজির সম্প্রসারণ করেছে।’
জিএসএমএ নেতারা মোবাইল ফোন বিকাশে বাংলাদেশের অবস্থান, ভবিষ্যৎ করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন। তারা ডিজিটাল দক্ষতা ও সচেতনা তৈরিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ গত মঙ্গলবার ‘রাউন্ডটেবিল অন বাংলাদেশ এচিভিং মোবাইল-এনেভলড ডিজিটাল ইনক্লিউশন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছবি: নিউজবাংলা
বিটিআরসি, টেলিটক, রবি, বাংলালিংক ও মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব প্রতিনিধিরা, আইটিইউ-এর এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি এবং এটুআইয়ের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী এই ভার্চুয়াল গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন।
বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন জিএসএম কর্মকর্তা রাহুল শাহ ও জুলিয়ান গরমেন।