বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ কী হবে

  •    
  • ১২ মার্চ, ২০২১ ১৬:১৪

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, খাতটি খুব সম্প্রতি বিকাশ ঘটতে শুরু করেছে। কোভিড-১৯ সময়ে খাতটি যতটা এগিয়েছে তা আগামী কয়েক বছর লাগত। সেই সঙ্গে খাতটি নিয়ে পর্যাপ্ত জানাশোনা প্রয়োজন।

দেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ কেমন হবে সে সম্পর্কে ‘ই-কমার্সের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শিরোনামে একটি গোলটেবিল বৈঠক হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় ওই বৈঠকে ই-কমার্সের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যেখানে বর্তমান সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে খাতটি কোন অবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছে সে বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

খাতটির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ওই গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকাশপিং ডটকম।

প্রধান অতিথি থেকে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, খাতটি খুব সম্প্রতি বিকাশ ঘটতে শুরু করেছে। কোভিড-১৯ সময়ে খাতটি যতটা এগিয়েছে তা আগামী কয়েক বছর লাগত। সেই সঙ্গে খাতটি নিয়ে পর্যাপ্ত জানাশোনা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মনীষী রাজা রামমোহন রায় বলেছিলেন, বিপদ কখনো কখনো বড় সম্পদ হয়ে দাঁড়ায়। কোভিড-১৯ আমাদের ক্ষেত্রে সেটা হয়েছে। দেশের ডিজিটালাইজেশনকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে। যে টার্গেট ছিল আমরা ২০২৫ সালের দিকে পৌঁছাব, সেটা কোভিডের ধাক্কায় এই ২০২০-২১ সালেই হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন আগেই বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। সেটাতে আমরা অনেক আগেই পৌঁছে যাব। সেদিকেই আমরা এগোচ্ছি।’

এই এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক সময়ে পণ্য পৌঁছে দেয়া, সঠিক পণ্য পৌঁছে দেয়া, ট্রান্সপোর্ট সমস্যা সমাধান, ক্রস বর্ডার পণ্য পৌঁছাতে নীতিমালা মানা, গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধে নতুন নীতিমালাকে আরও ফলপ্রসূ করার কথা জানান তিনি।

যত স্পিডে দেশে ই-কমার্সের প্রসার ঘটেছে, তত দ্রুত আমরা এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। সেটা করতে হবে। কোনো কিছু শুরু করতে গেলে প্রথমে তাতে কিছু সমস্যা হবে। ই-কমার্সেও এটা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ জন্য ক্যাশ অন ডেলিভারির বদলে অনলাইন পেমেন্টের উপর জোর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ধামাকাশপিং ডটকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সিরাজুল ইসলাম রানা।

উপস্থাপনায় দেশের ই-কমার্সের সার্বিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন তিনি। দেশে বর্তমানে ই-কমার্স কোন অবস্থায় আছে, কয়েক বছর আগে কোন অবস্থায় ছিল, ক্রেতা বৃদ্ধির পরিমাণ, সমস্যা, ই-কমার্স নীতিমালার উপর আলোকপাত করেন।

সঙ্গে ধামাকাশপিংয়ের যাত্রা, কয়েক মাসের মধ্যেই দেশে তার অবস্থান, ক্রেতা বৃদ্ধির পরিমাণ, অর্ডার, সফলভাবে ডেলিভারি, স্টার্টআপ হিসেবে তাদের কাজের স্বীকৃতির পুরস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ও উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, ডব্লিউটিও সেল) মো. হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ সময়ে আমরা চেষ্টা করেছি ই-কমার্সকে সক্রিয় করার। সে সময় মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছিল না, তখন আমরা চেষ্টা করেছি মানুষের হাতে পণ্য পৌঁছে দিতে। সে সময় বেসরকারি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন, বিশেষ করে ই-ক্যাব আমাদের সঙ্গে ছিল।’

তিনি বলেন, ‘পেমেন্ট, ডেলিভারি, ইন্টারনেট, ভোক্তার স্বার্থ বা ট্রাস্ট এসব নির্ভর করে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ কী হবে। আমাদের প্রশ্ন আছে, আমরা সিওডিতে যাব নাকি অনলাইন। কিন্তু ই-কমার্স মানেই অনলাইন পেমেন্ট। আমাদের পরিস্থিতি এমন, ভোক্তারা কোনোভাবেই আস্থা রাখতে পারে না। তাই অনলাইন পেমেন্ট করা একটা সমস্যা হচ্ছে। এসব থেকে বের হতে সবাইকে কাজ করতে হবে।’

গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন ধামাকাশপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে এমডি জসিমউদ্দিন চিশতী। বলেন, ‘আমরা চাই ই-কমার্স ভালো অবস্থানে আসুক। তাই পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে আমরা সঠিক সময়ের মধ্যেই গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিতে পারি। তাই নির্দিষ্ট স্টক থাকা সাপেক্ষেই আমরা অর্ডার নিয়ে তা ডেলিভারি করছি। স্টকে নেই এমন পণ্য অর্ডার নিই না।’

এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নেন ওয়ালটনের করপোরেট সেলের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই-ক্যাবের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শাহাব উদ্দিন, ডিরেক্টর আসিফ আহনাফ, ইকুরিয়ারের সিইও বিপ্লব ঘোষ রাহুলসহ আরও অনেকে। বৈঠকটিতে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ডা. এম. আলী।

এ বিভাগের আরো খবর