ডেটার বিশ্বাসযোগ্যতা, হস্তান্তরযোগ্যতা, বিভ্রান্তি দূরীকরণ ও অবাধ ব্যবহার নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে দেশি উন্মুক্ত ডেটার প্লাটফর্ম ডেটাফুলের উদ্বোধন হয়েছে। প্ল্যাটফর্মটি থেকে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ডেটা সহজে পাবার ক্ষেত্রে জনগণের জটিলতা নিরসন করবে।
শনিবার বিকেল ৪টায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুমে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বর্তমানে তথ্যের যুগ চলছে স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যের সঠিক উপস্থাপন বিভ্রান্তি দূর করে। তথ্যর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার।
‘তথ্যর অবাধ ব্যবহার নিশ্চিত করে আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে, যা নিশ্চিতে ডেটাফুল ভূমিকা রাখতে পারবে।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, ‘ডেটাফুলের শুরু থেকেই পাশে ছিলাম। সৃজনশীলতা, চিন্তাচেতনার বিকাশে বিভিন্ন ধরনের ডেটার প্রয়োজন রয়েছে। ডেটা দেশের সম্পদ। ডেটা হচ্ছে পরিকল্পনার কাঁচামাল। ডেটাফুলের এই তথ্য সরকারকে সহায়তা করবে।’
কৃষ্ণা গায়েন বলেন, ‘পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিভিন্ন তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছাতে ডেটাফুল ভূমিকা রাখবে। ডেটা সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি। ডেটার বিভ্রান্তি দূর করে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারলেই ডেটফুলের লক্ষ্য সার্থক হবে।’
ডেটাফুলের উদ্যোক্তা পলাশ দত্ত বলেন, ‘ডেটাফুলের মূল লক্ষ্য হলো সরকারি বিভিন্ন ডেটার হস্তান্তরযোগ্যতা তৈরি করা। যা বিভিন্ন গবেষণা ও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কাজে আসবে।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আশফাকুর রহমান।