ক্ষমতা ছাড়ার আগে আবারও চীনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
হুয়াওয়ে, জেডটিই, টিকটকসহ কয়েক ডজন প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্তির পর ট্রাম্প এবার সেই তালিকায় মোবাইল ব্র্যান্ড শাওমি, বিমান তৈরি প্রতিষ্ঠান কোম্যাকসহ নয়টি প্রতিষ্ঠানের নাম জুড়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র নতুন নয়টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট সরকারের সেনাবাহিনীর যোগসাজসের অভিযোগ এনেছে। সেই অভিযোগে কালোতালিকাভুক্তির পর মার্কিন প্রশাসন বলছে, এখন থেকে এসব কোম্পানিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় কোনো প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে পারবে না।
এমনকি যেসব স্থানীয় প্রতিষ্ঠান শাওমিসহ নয়টি প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করেছে তাদের চলতি বছরের ১১ নভেম্বরের মধ্যে বিনিয়োগ তুলে নিতে হবে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করতে পারবে।
বিনিয়োগের এমন নিষেধাজ্ঞা দিলেও ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র চীনের টেলিকমিউনিকেশন জায়ান্ট হুয়াওয়ে, সেমিকন্ডাক্টার নির্মাতা এসএমআইসিসহ অন্তত ৬০টি প্রতিষ্ঠানকে একই অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। সেই অভিযোগেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ ড্র্রোন নির্মাতা ডিজেআইকেও কালো তালিকাভুক্ত করেছে দেশটি।
এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে শাওমি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানায়, শাওমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও বিদ্যমান সকল আইন মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করে। শাওমি আবারও বলতে চায়, তাদের পণ্য ও পরিষেবা সর্বসাধারণের বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্যই।
শাওমি নিশ্চয়তার সঙ্গে জানাতে চায়, শাওমি চীনা সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত নয় কিংবা তাদের সাথে কোন ভাবে সংশ্লিষ্ট নয়; না তারা মার্কিন সরকারের ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট’র (এনডিএএ) আওতাধীন ‘কমিউনিস্ট চীনের সামরিক প্রতিষ্ঠান’। এমন অবস্থায় শাওমি তার ও তার শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
শাওমি বর্তমান পরিস্থিতির প্রভাব ও পরিণতি পর্যালোচনা করছে। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনে শাওমির পক্ষ থেকে আরও জানানো হবে।
অবশ্য অনেক বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা নেয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে। এমন একতরফা সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো একটা সুরাহা করবেন তিনি।